بسم الله الرحمن الرحيم
نحمده ونصلي علي رسوله الكريم اما بعد
আদাব কী?
{প্রতিটি মানুষ ও বস্তুকে তার যথোপযুক্ত সম্মানদান ও অধিকার আদায় করাই আদাব।}
আদাব রুচিশীল মুমিনের বাস্তবতা। আদাব প্রকৃত শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা। আদাব উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সফলতার সিঁড়ি। আদাব মহান রবের কাছে মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত। তাই যার কাছে আদাবিয়্যাতের কোন মূল্য ও মর্যাদা নেই, তার জন্য মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে মাকবুলিয়্যাতেরও কোন সুযোগ নেই।
আদাব এটি প্রতিটি মানুষের ভেতরের সুপ্ত ও গুপ্ত মানুষটির প্রতিচ্ছবি। এই আদাবই প্রকাশ করে দেয়, আমার, আপনার ও আমাদের সবার প্রকৃত অবস্থা। একটি স্বচ্ছ আয়নার সামনে দাঁড়ালে যেমন মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য ও অসৌন্দর্য প্রস্ফুটিত হয়, তেমনি আদাব নামক এই বিষয়টি দ্বারা মানুষের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য ও কদর্যতা উদ্ভাসিত হয়।
আদাবের গুরুত্ব
ইসলামে, ইসলামী শরিয়াতে আদাবের গুরুত্ব পূর্বের সকল শরিয়া থেকেও অনেক বেশি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কোর'আন জুড়ে বহু আয়াতে এই উম্মাতকে আদাব শিক্ষা দিয়েছেন। শুধুমাত্র এই আদাবিয়্যাতের ব্যাপারেই আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মোবারক যবানে উচ্চারিত হয়েছে অসংখ্য হাদিস।
মুহতারাম ভাইয়েরা আমার! আদাব ও আদাবিয়্যাতের গুরুত বুঝানোর জন্য একটি আয়াত ও একটি হাদিসই যথেষ্ট। আদাবের গুরুত্ব ও প্র*য়োজনীয়তা উপলব্ধি করার জন্য এর বেশি আসলেই প্রয়োজন পড়েনা। মহান রব্বুল আলামিন এরশাদ করেছেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَرۡفَعُوۡۤا اَصۡوَاتَکُمۡ فَوۡقَ صَوۡتِ النَّبِیِّ وَ لَا تَجۡهَرُوۡا لَهٗ بِالۡقَوۡلِ کَجَهۡرِ بَعۡضِکُمۡ لِبَعۡضٍ اَنۡ تَحۡبَطَ اَعۡمَالُکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿۲﴾
হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না এবং তোমরা নিজেরা পরস্পর যেমন উচ্চস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরকম উচ্চস্বরে কথা বলো না। এ আশঙ্কায় যে তোমাদের সকল আমল-নিষ্ফল হয়ে যাবে অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না। {সুরা হুজুরাতঃ২}
এই আয়াতে কারিমাটি দুই মহান ব্যক্তি তথা হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ ও হযরত উমার ফারুক রাঃ এর ব্যাপারে নাজিল হয়েছিলো। তাঁরা একটি বিষয়কে কেন্দ্র করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে উঁচু আওয়াজে কথা বলেছিলেন। আর এটুকুর কারণেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এক কঠোর সতর্কবার্তা নাজিল করে জানিয়ে দিলেন যে- যদি এমনটি আর হয় তাহলে তোমাদের অজ্ঞাতসারেই তোমাদের সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে।
আবু মুলাইকা রাঃ বলেন- এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো যে, মহান দুই ব্যাক্তি যেনো ধ্বংসই হয়ে যাচ্ছিলেন; যেহেতু তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে তাঁদের কন্ঠস্বর উঁচু করেছিলেন....
আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাঃ বলেন- এরপর থেকে উমার রাঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে এতো নিন্মস্বরে কথা বলতেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করতেন। { ফাতহুল বারী: ৮/৪৫৪}
আমার ভাই! এই আয়াতে কারিমার মাঝে সরল পথের অনুসন্ধানী প্রতিটি ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শিক্ষার উপকরণ রয়েছে। ইমাম ইবনে কাসীর রঃ তাঁর তাফসির গ্রন্থে এই আয়াতের বিশদ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। আগ্রহী ভাইয়েরা সেখান থেকে পড়ে নিতে পারেন।
এবার আসুন আমরা একটিমাত্র হাদিস শরীফ দেখে আসি-
عن أَنَس بْن مَالِكٍ، يَقُولُ جَاءَ شَيْخٌ يُرِيدُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَبْطَأَ الْقَوْمُ عَنْهُ أَنْ يُوَسِّعُوا لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيُوَقِّرْ كَبِيرَنَا "
আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন - নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসার উদ্দেশ্যে এক বৃদ্ধ এলো। কিন্তু উপস্থিত লোকজন তাকে পথ করে দিতে দেরী করে। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের দয়া করে না আর বড়দের শ্রদ্ধা করে না সে আমাদের নয়। { তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯১৯ }
সুবহানাল্লাহ! এটাই ইসলাম ও ইসলামী শরিয়ার সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্ব যে, এখানে প্রতিটি সদস্যকে তার উপযুক্ত সম্মান ও হক প্রদান করা হয়েছে। চাই সে ছোট হোক কিংবা বড়। কাউকেই অবহেলা করা হয়নি। বরং ছোট-বড় সবার বিষয়টিকেই সমান গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
সুতরাং, ইসলামের দান করা সেই সম্মান ও হক নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। দেখুন! সাহাবায়ে কেরাম রাঃ সেই বৃদ্ধ লোকটির জন্য পথতো করে দিয়েছেন, কিন্তু কিছুটা দেরী করেছেন। আর এই কিছু সময় দেরী করাটাই সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সেই বৃদ্ধের আদাব, সম্মান ও হক নষ্ট করার শামিল। তাই তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট উচ্চারণ করলেন যে, এভাবে বলে-কয়ে দেরী করে হক আদায় করলেও কোন ব্যক্তি আমার মিল্লাতের প্রকৃত অনুসারী হতে পারবেনা। কেননা, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরিয়া কারো হক ও পাওনাকে তার যথাযথ সময়ে আদায় করা আবশ্যক করে দিয়েছে।
আমার ভাইয়েরা! আমরা আমাদের দৈনন্দিন সকল কাজে আমাদের উপরোস্থ-অধিনস্থ সকল ভাইদের আদাব-সম্মানের হক ঠিকঠাক আদায় করছি তো? নাকি গুরুত্বপূর্ণ এই আদাবিয়্যাতের ব্যাপারে আমাদের অবহেলায়, আমরা নিজেদের আমলগুলোকে বরবাদ করে দিচ্ছি?! আর নিজের অজান্তেই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিল্লাত থেকে দূরে সরে যাচ্ছি??!
সামনে ২য় ও ৩য় পর্বে গুরুত্বপূর্ণ আরো অনেক বিষয় নিয়ে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সবাইকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীনা ওয়াল মুজাহিদীন।
نحمده ونصلي علي رسوله الكريم اما بعد
আদাব কী?
{প্রতিটি মানুষ ও বস্তুকে তার যথোপযুক্ত সম্মানদান ও অধিকার আদায় করাই আদাব।}
আদাব রুচিশীল মুমিনের বাস্তবতা। আদাব প্রকৃত শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা। আদাব উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সফলতার সিঁড়ি। আদাব মহান রবের কাছে মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত। তাই যার কাছে আদাবিয়্যাতের কোন মূল্য ও মর্যাদা নেই, তার জন্য মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে মাকবুলিয়্যাতেরও কোন সুযোগ নেই।
আদাব এটি প্রতিটি মানুষের ভেতরের সুপ্ত ও গুপ্ত মানুষটির প্রতিচ্ছবি। এই আদাবই প্রকাশ করে দেয়, আমার, আপনার ও আমাদের সবার প্রকৃত অবস্থা। একটি স্বচ্ছ আয়নার সামনে দাঁড়ালে যেমন মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য ও অসৌন্দর্য প্রস্ফুটিত হয়, তেমনি আদাব নামক এই বিষয়টি দ্বারা মানুষের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য ও কদর্যতা উদ্ভাসিত হয়।
আদাবের গুরুত্ব
ইসলামে, ইসলামী শরিয়াতে আদাবের গুরুত্ব পূর্বের সকল শরিয়া থেকেও অনেক বেশি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কোর'আন জুড়ে বহু আয়াতে এই উম্মাতকে আদাব শিক্ষা দিয়েছেন। শুধুমাত্র এই আদাবিয়্যাতের ব্যাপারেই আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মোবারক যবানে উচ্চারিত হয়েছে অসংখ্য হাদিস।
মুহতারাম ভাইয়েরা আমার! আদাব ও আদাবিয়্যাতের গুরুত বুঝানোর জন্য একটি আয়াত ও একটি হাদিসই যথেষ্ট। আদাবের গুরুত্ব ও প্র*য়োজনীয়তা উপলব্ধি করার জন্য এর বেশি আসলেই প্রয়োজন পড়েনা। মহান রব্বুল আলামিন এরশাদ করেছেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَرۡفَعُوۡۤا اَصۡوَاتَکُمۡ فَوۡقَ صَوۡتِ النَّبِیِّ وَ لَا تَجۡهَرُوۡا لَهٗ بِالۡقَوۡلِ کَجَهۡرِ بَعۡضِکُمۡ لِبَعۡضٍ اَنۡ تَحۡبَطَ اَعۡمَالُکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿۲﴾
হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না এবং তোমরা নিজেরা পরস্পর যেমন উচ্চস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরকম উচ্চস্বরে কথা বলো না। এ আশঙ্কায় যে তোমাদের সকল আমল-নিষ্ফল হয়ে যাবে অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না। {সুরা হুজুরাতঃ২}
এই আয়াতে কারিমাটি দুই মহান ব্যক্তি তথা হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ ও হযরত উমার ফারুক রাঃ এর ব্যাপারে নাজিল হয়েছিলো। তাঁরা একটি বিষয়কে কেন্দ্র করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে উঁচু আওয়াজে কথা বলেছিলেন। আর এটুকুর কারণেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এক কঠোর সতর্কবার্তা নাজিল করে জানিয়ে দিলেন যে- যদি এমনটি আর হয় তাহলে তোমাদের অজ্ঞাতসারেই তোমাদের সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে।
আবু মুলাইকা রাঃ বলেন- এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো যে, মহান দুই ব্যাক্তি যেনো ধ্বংসই হয়ে যাচ্ছিলেন; যেহেতু তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে তাঁদের কন্ঠস্বর উঁচু করেছিলেন....
আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাঃ বলেন- এরপর থেকে উমার রাঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে এতো নিন্মস্বরে কথা বলতেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করতেন। { ফাতহুল বারী: ৮/৪৫৪}
আমার ভাই! এই আয়াতে কারিমার মাঝে সরল পথের অনুসন্ধানী প্রতিটি ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শিক্ষার উপকরণ রয়েছে। ইমাম ইবনে কাসীর রঃ তাঁর তাফসির গ্রন্থে এই আয়াতের বিশদ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। আগ্রহী ভাইয়েরা সেখান থেকে পড়ে নিতে পারেন।
এবার আসুন আমরা একটিমাত্র হাদিস শরীফ দেখে আসি-
عن أَنَس بْن مَالِكٍ، يَقُولُ جَاءَ شَيْخٌ يُرِيدُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَبْطَأَ الْقَوْمُ عَنْهُ أَنْ يُوَسِّعُوا لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيُوَقِّرْ كَبِيرَنَا "
আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন - নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসার উদ্দেশ্যে এক বৃদ্ধ এলো। কিন্তু উপস্থিত লোকজন তাকে পথ করে দিতে দেরী করে। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের দয়া করে না আর বড়দের শ্রদ্ধা করে না সে আমাদের নয়। { তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯১৯ }
সুবহানাল্লাহ! এটাই ইসলাম ও ইসলামী শরিয়ার সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্ব যে, এখানে প্রতিটি সদস্যকে তার উপযুক্ত সম্মান ও হক প্রদান করা হয়েছে। চাই সে ছোট হোক কিংবা বড়। কাউকেই অবহেলা করা হয়নি। বরং ছোট-বড় সবার বিষয়টিকেই সমান গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
সুতরাং, ইসলামের দান করা সেই সম্মান ও হক নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। দেখুন! সাহাবায়ে কেরাম রাঃ সেই বৃদ্ধ লোকটির জন্য পথতো করে দিয়েছেন, কিন্তু কিছুটা দেরী করেছেন। আর এই কিছু সময় দেরী করাটাই সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সেই বৃদ্ধের আদাব, সম্মান ও হক নষ্ট করার শামিল। তাই তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট উচ্চারণ করলেন যে, এভাবে বলে-কয়ে দেরী করে হক আদায় করলেও কোন ব্যক্তি আমার মিল্লাতের প্রকৃত অনুসারী হতে পারবেনা। কেননা, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরিয়া কারো হক ও পাওনাকে তার যথাযথ সময়ে আদায় করা আবশ্যক করে দিয়েছে।
আমার ভাইয়েরা! আমরা আমাদের দৈনন্দিন সকল কাজে আমাদের উপরোস্থ-অধিনস্থ সকল ভাইদের আদাব-সম্মানের হক ঠিকঠাক আদায় করছি তো? নাকি গুরুত্বপূর্ণ এই আদাবিয়্যাতের ব্যাপারে আমাদের অবহেলায়, আমরা নিজেদের আমলগুলোকে বরবাদ করে দিচ্ছি?! আর নিজের অজান্তেই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিল্লাত থেকে দূরে সরে যাচ্ছি??!
সামনে ২য় ও ৩য় পর্বে গুরুত্বপূর্ণ আরো অনেক বিষয় নিয়ে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সবাইকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীনা ওয়াল মুজাহিদীন।
Comment