মাসউলের আদাবসমূহ
{আমার মাসউল কে? আমার মাসউলের পরিচয় কী? তাঁর সাথে আমার কিসের সম্পর্ক?}
তাঁর সাধারণ পরিচয় হলো- তিনি বিশুদ্ধ তাওহীদের অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার। তাই এক মুমিন অপর মুমিন থেকে যত হক পাওনা, এর সবগুলোই তিনি আমার কাছে পাবেন।
তাঁর বিশেষ পরিচয় হলো- ইসলাম ও মুসলিমদের এমন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায়, আল্লাহর যমিনে আল্লাহর শরিয়া কায়েমের লক্ষ্যে লৌহকঠিন পথে নিজের সর্বস্ব কোরবানি করে যাওয়া এক অকুতোভয় বীর সেনানী ও দায়ী ইলাল্লাহ।
আমার মাসউল, তিনি আমার বিশুদ্ধ তাওহীদ শেখানো উস্তাদ। জিহাদের এই কন্টকময় পথে পথ চলার এক অকৃত্রিম বন্ধুসুলভ রাহবার। আমার তাযকিয়ার বাগানে সুভাসিত ফুল ফুটানোর প্রয়াসে এক যত্নশীল মালী।
তাই, পৃথক পৃথকভাবে একজন উস্তাদ, বন্ধু, রাহবার এবং শায়েখ ও মুরশিদ তাঁর ছাত্র, শিষ্য ও মামুরের কাছে যা যা প্রাপ্য, আমার ও আমাদের মাসউল ভাইগণ আমাদের কাছে একসাথে এর সবগুলোই প্রাপ্য। সুতরাং, হে দায়ী ইলাল্লাহ ও কিতালকারী ভাইগণ! আমরা আমাদের মাসউল ভাইদের হকের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক আছি তো?
আমার প্রিয় ভাইয়েরা! মাসউলের আদাব-সম্মানের বিষয়টিকে আরেকটু খোলাসা করার জন্য কয়েকটি পয়েন্ট মুযাকারাতান উল্লেখ করছি বি-ইজনিল্লাহী তা'আলা-
১। মাসউলের সকল বৈধ আদেশ মান্য করা। এক্ষেত্রে নিজের পক্ষ হতে যুক্তি ও খোঁড়া অজুহাত পেশ না করা। নিঃসন্দেহে যে তার মাসউলকে মান্য করলো, সে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মান্য করলো।
২। কখনো কোন বিষয়ে মাসউলের সাথে তর্কে জড়িয়ে না যাওয়া। এক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। {হে ভাই! উস্তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে যাওয়া কী আদাব পরিপন্থী নয়??}
৩। মাসউল ভাইয়ের সাথে কথা বলার সময় শব্দ চয়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। এমন সব শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, যার কারণে মাসউল ভাইয়ের মনে আঘাত লাগতে পারে। {আমাকে সবসময় একথা স্মরণ রাখতে হবে যে, তিনি আমার দায়িত্বশীল, আমি তাঁর দায়িত্বশীল নই; তিনি আমার উস্তাদ সমতুল্য, আমার সহপাঠী নন।}
৪। মাসউল ভাই থেকে আগে বেড়ে কিংবা তাঁর মুখ থেকে কথা টেনে নিয়ে কথা না বলা।
৫। কথা ও আচরণে সর্বাধিক নম্রতা ও কোমলতা অবলম্বন করা। রাগ ইত্যাদির স্বরে বা কঠোর ভাষায় কথা না বলা।
৬। সাক্ষাতে আগে আগে সালাম দেয়া ও হাল-হাকিকত জিজ্ঞেস করা।
৭। সবসময় মাসউল ভাইয়ের সামনে নিজেকে ছোট মনে করা। {হে ভাই! নিঃসন্দেহে এটিই আমার জন্য কল্যাণকর}
৮। কখনো এমন যেনো না হয় যে, আমি নিজেকে আমার মাসউল থেকে অধিকতর যোগ্য মনে করছি। { নিশ্চয়ই এটি অহংকার সৃষ্টিকারী ও আনুগত্যের শেকল ছিন্নকারী। }
৯। গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে, সামনে কিংবা পেছনে তাঁর দোষ-ত্রুটি বর্ণনা না করা। {তবে হাঁ! যদি মাসউল ভাইয়ের এমন কোন ত্রুটি থাকে, যা সংশোধন করা জরুরী ; তাহলে সর্বোচ্চ আদাব-সম্মান বজায় রেখে, একান্তভাবে তা মাসউল ভাইকে তাঁর কল্যাণকামী হয়ে জানানো যেতে পারে}
১০। নিজেকে মাসউলের হাতে ন্যাস্ত করে দেয়া। যেনো মাসউল ভাই নির্দ্বিধায় ও স্বাচ্ছন্দ্যে আমার শাষণ, সংশোধন ও উন্নয়নে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
১১। যথাসম্ভব সকল বিষয় মাসউল ভাইয়ের সাথে মাশওয়ারা করে করা। একা একা নিজ থেকে সিদ্ধান্তগ্রহণ না করা।
১২। মাসউল ভাইয়ের জন্য সবসময় প্রাণ খুলে দোয়া করা
এমন আরো অনেক বিষয় রয়েছে; তবে আপাতত এটুকুই যথেষ্ট মনে করছি। আমার ভাই! এগুলো একজন মামুরের স্বচ্ছ হৃদয়ের সুভ্র অনুভুতির খোরাক। উন্নয়ন ও অগ্রগতির সিঁড়ি। এবং মহান আল্লাহর দরবারে মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত।
{নিঃসন্দেহে যে ব্যাক্তি মাসউলের আদাব-সম্মানের বিষয়টিকে ছুঁড়ে মেরেছে, সে তার প্রকৃত উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মাকবুলিয়্যাতের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সবাইকে মাসউল ভাইয়ের আদাব-সম্মান রক্ষা করার মাধ্যমে মাকবুলিয়্যাতের দরজা উন্মুক্ত করার ও উন্মুক্ত রাখার তাওফিক দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামিনা ওয়াল মুজাহিদীন। }
{আমার মাসউল কে? আমার মাসউলের পরিচয় কী? তাঁর সাথে আমার কিসের সম্পর্ক?}
তাঁর সাধারণ পরিচয় হলো- তিনি বিশুদ্ধ তাওহীদের অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার। তাই এক মুমিন অপর মুমিন থেকে যত হক পাওনা, এর সবগুলোই তিনি আমার কাছে পাবেন।
তাঁর বিশেষ পরিচয় হলো- ইসলাম ও মুসলিমদের এমন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায়, আল্লাহর যমিনে আল্লাহর শরিয়া কায়েমের লক্ষ্যে লৌহকঠিন পথে নিজের সর্বস্ব কোরবানি করে যাওয়া এক অকুতোভয় বীর সেনানী ও দায়ী ইলাল্লাহ।
আমার মাসউল, তিনি আমার বিশুদ্ধ তাওহীদ শেখানো উস্তাদ। জিহাদের এই কন্টকময় পথে পথ চলার এক অকৃত্রিম বন্ধুসুলভ রাহবার। আমার তাযকিয়ার বাগানে সুভাসিত ফুল ফুটানোর প্রয়াসে এক যত্নশীল মালী।
তাই, পৃথক পৃথকভাবে একজন উস্তাদ, বন্ধু, রাহবার এবং শায়েখ ও মুরশিদ তাঁর ছাত্র, শিষ্য ও মামুরের কাছে যা যা প্রাপ্য, আমার ও আমাদের মাসউল ভাইগণ আমাদের কাছে একসাথে এর সবগুলোই প্রাপ্য। সুতরাং, হে দায়ী ইলাল্লাহ ও কিতালকারী ভাইগণ! আমরা আমাদের মাসউল ভাইদের হকের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক আছি তো?
আমার প্রিয় ভাইয়েরা! মাসউলের আদাব-সম্মানের বিষয়টিকে আরেকটু খোলাসা করার জন্য কয়েকটি পয়েন্ট মুযাকারাতান উল্লেখ করছি বি-ইজনিল্লাহী তা'আলা-
১। মাসউলের সকল বৈধ আদেশ মান্য করা। এক্ষেত্রে নিজের পক্ষ হতে যুক্তি ও খোঁড়া অজুহাত পেশ না করা। নিঃসন্দেহে যে তার মাসউলকে মান্য করলো, সে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মান্য করলো।
২। কখনো কোন বিষয়ে মাসউলের সাথে তর্কে জড়িয়ে না যাওয়া। এক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। {হে ভাই! উস্তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে যাওয়া কী আদাব পরিপন্থী নয়??}
৩। মাসউল ভাইয়ের সাথে কথা বলার সময় শব্দ চয়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। এমন সব শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, যার কারণে মাসউল ভাইয়ের মনে আঘাত লাগতে পারে। {আমাকে সবসময় একথা স্মরণ রাখতে হবে যে, তিনি আমার দায়িত্বশীল, আমি তাঁর দায়িত্বশীল নই; তিনি আমার উস্তাদ সমতুল্য, আমার সহপাঠী নন।}
৪। মাসউল ভাই থেকে আগে বেড়ে কিংবা তাঁর মুখ থেকে কথা টেনে নিয়ে কথা না বলা।
৫। কথা ও আচরণে সর্বাধিক নম্রতা ও কোমলতা অবলম্বন করা। রাগ ইত্যাদির স্বরে বা কঠোর ভাষায় কথা না বলা।
৬। সাক্ষাতে আগে আগে সালাম দেয়া ও হাল-হাকিকত জিজ্ঞেস করা।
৭। সবসময় মাসউল ভাইয়ের সামনে নিজেকে ছোট মনে করা। {হে ভাই! নিঃসন্দেহে এটিই আমার জন্য কল্যাণকর}
৮। কখনো এমন যেনো না হয় যে, আমি নিজেকে আমার মাসউল থেকে অধিকতর যোগ্য মনে করছি। { নিশ্চয়ই এটি অহংকার সৃষ্টিকারী ও আনুগত্যের শেকল ছিন্নকারী। }
৯। গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে, সামনে কিংবা পেছনে তাঁর দোষ-ত্রুটি বর্ণনা না করা। {তবে হাঁ! যদি মাসউল ভাইয়ের এমন কোন ত্রুটি থাকে, যা সংশোধন করা জরুরী ; তাহলে সর্বোচ্চ আদাব-সম্মান বজায় রেখে, একান্তভাবে তা মাসউল ভাইকে তাঁর কল্যাণকামী হয়ে জানানো যেতে পারে}
১০। নিজেকে মাসউলের হাতে ন্যাস্ত করে দেয়া। যেনো মাসউল ভাই নির্দ্বিধায় ও স্বাচ্ছন্দ্যে আমার শাষণ, সংশোধন ও উন্নয়নে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
১১। যথাসম্ভব সকল বিষয় মাসউল ভাইয়ের সাথে মাশওয়ারা করে করা। একা একা নিজ থেকে সিদ্ধান্তগ্রহণ না করা।
১২। মাসউল ভাইয়ের জন্য সবসময় প্রাণ খুলে দোয়া করা
এমন আরো অনেক বিষয় রয়েছে; তবে আপাতত এটুকুই যথেষ্ট মনে করছি। আমার ভাই! এগুলো একজন মামুরের স্বচ্ছ হৃদয়ের সুভ্র অনুভুতির খোরাক। উন্নয়ন ও অগ্রগতির সিঁড়ি। এবং মহান আল্লাহর দরবারে মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত।
{নিঃসন্দেহে যে ব্যাক্তি মাসউলের আদাব-সম্মানের বিষয়টিকে ছুঁড়ে মেরেছে, সে তার প্রকৃত উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মাকবুলিয়্যাতের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সবাইকে মাসউল ভাইয়ের আদাব-সম্মান রক্ষা করার মাধ্যমে মাকবুলিয়্যাতের দরজা উন্মুক্ত করার ও উন্মুক্ত রাখার তাওফিক দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামিনা ওয়াল মুজাহিদীন। }
Comment