Announcement

Collapse
No announcement yet.

👉মাসউল ও মামুরের আদাব রক্ষা মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত! {২য় পর্ব- মাসউলের আদাবসমুø

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 👉মাসউল ও মামুরের আদাব রক্ষা মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত! {২য় পর্ব- মাসউলের আদাবসমুø

    মাসউলের আদাবসমূহ
    {আমার মাসউল কে? আমার মাসউলের পরিচয় কী? তাঁর সাথে আমার কিসের সম্পর্ক?}
    তাঁর সাধারণ পরিচয় হলো- তিনি বিশুদ্ধ তাওহীদের অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার। তাই এক মুমিন অপর মুমিন থেকে যত হক পাওনা, এর সবগুলোই তিনি আমার কাছে পাবেন।
    তাঁর বিশেষ পরিচয় হলো- ইসলাম ও মুসলিমদের এমন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায়, আল্লাহর যমিনে আল্লাহর শরিয়া কায়েমের লক্ষ্যে লৌহকঠিন পথে নিজের সর্বস্ব কোরবানি করে যাওয়া এক অকুতোভয় বীর সেনানী ও দায়ী ইলাল্লাহ।

    আমার মাসউল, তিনি আমার বিশুদ্ধ তাওহীদ শেখানো উস্তাদ। জিহাদের এই কন্টকময় পথে পথ চলার এক অকৃত্রিম বন্ধুসুলভ রাহবার। আমার তাযকিয়ার বাগানে সুভাসিত ফুল ফুটানোর প্রয়াসে এক যত্নশীল মালী।
    তাই, পৃথক পৃথকভাবে একজন উস্তাদ, বন্ধু, রাহবার এবং শায়েখ ও মুরশিদ তাঁর ছাত্র, শিষ্য ও মামুরের কাছে যা যা প্রাপ্য, আমার ও আমাদের মাসউল ভাইগণ আমাদের কাছে একসাথে এর সবগুলোই প্রাপ্য। সুতরাং, হে দায়ী ইলাল্লাহ ও কিতালকারী ভাইগণ! আমরা আমাদের মাসউল ভাইদের হকের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক আছি তো?

    আমার প্রিয় ভাইয়েরা! মাসউলের আদাব-সম্মানের বিষয়টিকে আরেকটু খোলাসা করার জন্য কয়েকটি পয়েন্ট মুযাকারাতান উল্লেখ করছি বি-ইজনিল্লাহী তা'আলা-

    ১। মাসউলের সকল বৈধ আদেশ মান্য করা। এক্ষেত্রে নিজের পক্ষ হতে যুক্তি ও খোঁড়া অজুহাত পেশ না করা। নিঃসন্দেহে যে তার মাসউলকে মান্য করলো, সে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মান্য করলো।

    ২। কখনো কোন বিষয়ে মাসউলের সাথে তর্কে জড়িয়ে না যাওয়া। এক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। {হে ভাই! উস্তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে যাওয়া কী আদাব পরিপন্থী নয়??}

    ৩। মাসউল ভাইয়ের সাথে কথা বলার সময় শব্দ চয়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। এমন সব শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, যার কারণে মাসউল ভাইয়ের মনে আঘাত লাগতে পারে। {আমাকে সবসময় একথা স্মরণ রাখতে হবে যে, তিনি আমার দায়িত্বশীল, আমি তাঁর দায়িত্বশীল নই; তিনি আমার উস্তাদ সমতুল্য, আমার সহপাঠী নন।}

    ৪। মাসউল ভাই থেকে আগে বেড়ে কিংবা তাঁর মুখ থেকে কথা টেনে নিয়ে কথা না বলা।

    ৫। কথা ও আচরণে সর্বাধিক নম্রতা ও কোমলতা অবলম্বন করা। রাগ ইত্যাদির স্বরে বা কঠোর ভাষায় কথা না বলা।

    ৬। সাক্ষাতে আগে আগে সালাম দেয়া ও হাল-হাকিকত জিজ্ঞেস করা।

    ৭। সবসময় মাসউল ভাইয়ের সামনে নিজেকে ছোট মনে করা। {হে ভাই! নিঃসন্দেহে এটিই আমার জন্য কল্যাণকর}

    ৮। কখনো এমন যেনো না হয় যে, আমি নিজেকে আমার মাসউল থেকে অধিকতর যোগ্য মনে করছি। { নিশ্চয়ই এটি অহংকার সৃষ্টিকারী ও আনুগত্যের শেকল ছিন্নকারী। }

    ৯। গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে, সামনে কিংবা পেছনে তাঁর দোষ-ত্রুটি বর্ণনা না করা। {তবে হাঁ! যদি মাসউল ভাইয়ের এমন কোন ত্রুটি থাকে, যা সংশোধন করা জরুরী ; তাহলে সর্বোচ্চ আদাব-সম্মান বজায় রেখে, একান্তভাবে তা মাসউল ভাইকে তাঁর কল্যাণকামী হয়ে জানানো যেতে পারে}

    ১০। নিজেকে মাসউলের হাতে ন্যাস্ত করে দেয়া। যেনো মাসউল ভাই নির্দ্বিধায় ও স্বাচ্ছন্দ্যে আমার শাষণ, সংশোধন ও উন্নয়নে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।

    ১১। যথাসম্ভব সকল বিষয় মাসউল ভাইয়ের সাথে মাশওয়ারা করে করা। একা একা নিজ থেকে সিদ্ধান্তগ্রহণ না করা।

    ১২। মাসউল ভাইয়ের জন্য সবসময় প্রাণ খুলে দোয়া করা

    এমন আরো অনেক বিষয় রয়েছে; তবে আপাতত এটুকুই যথেষ্ট মনে করছি। আমার ভাই! এগুলো একজন মামুরের স্বচ্ছ হৃদয়ের সুভ্র অনুভুতির খোরাক। উন্নয়ন ও অগ্রগতির সিঁড়ি। এবং মহান আল্লাহর দরবারে মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত।
    {নিঃসন্দেহে যে ব্যাক্তি মাসউলের আদাব-সম্মানের বিষয়টিকে ছুঁড়ে মেরেছে, সে তার প্রকৃত উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মাকবুলিয়্যাতের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সবাইকে মাসউল ভাইয়ের আদাব-সম্মান রক্ষা করার মাধ্যমে মাকবুলিয়্যাতের দরজা উন্মুক্ত করার ও উন্মুক্ত রাখার তাওফিক দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামিনা ওয়াল মুজাহিদীন। }

  • #2
    জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাইজান।খুব সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন।আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এর জন্য উত্তম প্রতিদান দান করুক।

    Comment


    • #3
      আমাদের প্রতিটা ভাইয়ের এই পোষ্ট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত! আল্লাহ তায়া'লা আমাদের সবার জন্য বিষয়গুলো বোঝা ও আমল করা সহজ করে দিন,আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ আপনি আমাদের তাওফিক দান করুন আমীন।
        اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা'য়ালা আমাকে এবং আমাদের সবাইকে এর উপর আমল করার তৌফীক দিক আমীন

          Comment


          • #6
            মাশ আল্লাহ, জাযাকাল্লাহ @অশ্বারোহী ভাই।
            মুহতারাম ভাই, বাকি লিখার জন্য আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পেল।

            ইয়া আল্লাহ আমরা যেন আমাদের মাসুলদের হক আদায় করতে পারি।

            আমরা আমাদের মামুরদের মাঝে এই লিখা প্রচার করতে পারি তবে সতর্ক থাকা চাই, যদি মামুরের সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকে তখন কিন্তু সেই মামুর ভাই বিরক্ত হয়ে যাবেন। আর ভাববেন আমার মাসুল ভাই কতৃত্ব বুঝেন কিন্তু কর্তব্য বুঝেন না...
            তাই সম্পর্ক ভালো ওয়ালা মামুরদের কাছে আগে শেয়ার করে পরে উপযুক্ত সময়ে একটু বিগড়ে যাওয়া মামুরদের কাছে শেয়ার করা যেতে পারে... আল্লাহু আলাম..

            মুহতারাম অশ্বারোহী ভাই, আমার একটি মাশওয়ারা আপনার সমীপে তা হলঃ এই সিরিজ লিখা শেষ হলে আমরা আমাদের মামুরদের কতটুকু নম্রতাপূর্ণ আচরন করবো এবং শাস্তি/ইসলাহ দিলে কতটুকু দিব এইরকম একটি টপিক্স নিয়ে যদি আলোচনা করতেন তবে আরেকটু লাভবান হতাম ইংশা আল্লাহ।

            Comment


            • #7
              জ্বি ইনশাআল্লাহ ভাই চেষ্টা থাকবে।

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহু খায়রান
                খুবই উপকারী একটি পোস্ট

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ আপনার কলমে বারাকা দান করুন। আ-মীন

                  Comment


                  • #10
                    মুহতারাম ভাই! আপনি দলিল-প্রমাণ কিছু উল্লেখ না করে এক গাদা আদব বর্ণনা করছেন।
                    আপনি অতিরঞ্জন করেছেন। আপনার দুয়েকটা পয়েন্ট ছাড়া বাকি সবগুলোই অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রত্যেকটা নিয়ে কথা বললে অনেক সময় লাগবে, তাই বলছি না। শুধু বিশেষ কিছু পয়েন্টের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি....

                    ২। কখনো কোন বিষয়ে মাসউলের সাথে তর্কে জড়িয়ে না যাওয়া। এক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। {হে ভাই! উস্তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে যাওয়া কী আদাব পরিপন্থী নয়??}
                    ----------- ভাই! অনর্থক তর্ক কারো সাথেই ভালো নয়; এটা মাসুলের বিশেষত্ব নয়। আর মাসুল ভাইকে উস্তাদ বলছেন কীভাবে ভাই? উনাদেরকে তো উস্তাদ হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় না, বরং তানযীমের জিহাদি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় ছাত্রও উস্তাদের তানযীমী মাসুল হতে পারে। আপনি কি বলবেন একটা মাদরাসার মুহতামিম সহকারী শিক্ষকদের উস্তাদ ও গুরু? মুহতামিম তো অন্যান্য শিক্ষকদের পরিচালক এবং মাদরাসার কার্যক্রমের পরিচালক?
                    ভাই! আমি আসলে মাসুলদের বিরুদ্ধে নই এবং তাদের স্বাভাবিক সম্মানেরও বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আপনি অতি আবেগে ভক্তি-গদগদ ভাব দেখিয়ে অতিরঞ্জন করছেন। এটা ক্ষতিকর। এতে মাসুলরা স্বেচ্ছাচারিতা করার সুযোগ পেয়ে যাবে। কারণ মাসুলরাও তো মানুষ। এমনিতেই পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটা যুগে ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করা হয়েছে, তাদের মর্যাদাকে বাড়িয়ে বলা হয়েছে,তাদেরকে উপাস্যের আসনে আসীন করা হয়েছে। ফলে তারাও বিভ্রান্ত হয়েছে। আর জাতিও গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ তাদের সামনে হক কথা বলতে ভয় পেয়েছে।

                    আপনি যদি তাদেরকে সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্ন উচ্চ একটা স্তরে নিয়ে যান, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য তাদের কাজের উপর আপত্তি করা, তাদের ভুল ধরা, তাদেরকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন করা বা তাদের সামনে হক কথা বলা কঠিন হয়ে যাবে। যেটা বিশাল অধ:পতনের কারণ হবে। যা অতীতেও হয়েছে।


                    ৩। মাসউল ভাইয়ের সাথে কথা বলার সময় শব্দ চয়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। এমন সব শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, যার কারণে মাসউল ভাইয়ের মনে আঘাত লাগতে পারে। {আমাকে সবসময় একথা স্মরণ রাখতে হবে যে, তিনি আমার দায়িত্বশীল, আমি তাঁর দায়িত্বশীল নই; তিনি আমার উস্তাদ সমতুল্য, আমার সহপাঠী নন।}
                    --------------- ভাই! তিনি আমার সহপাঠিই। তিনি আমার উস্তাদ নন। তিনি আমার সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের দায়িত্বশীল অবশ্যই; কিন্তু তিনি আমার ব্যক্তিগত কাজকর্মের দায়িত্বশীল নন। আর এরকম দায়িত্বশীল হওয়া এবং সহপাঠি হওয়ার মাঝে কোন বিরোধ নেই। এটাই বাস্তবতা।
                    সব মানুষের সাথে কথা বলতে সময়ই শব্দ চয়নে সাবধান হতে হয়। মাসুল ভাই মামুরের সাথে কথা বলতে সময়ও সাবধানে শব্দ চয়ন করতে হয়।
                    আচ্ছা, সাহাবায়ে কেরামের সময় কেমন ছিল? আলী রাযি. কি উসমান রাযি.কে নিজের উস্তাদ সমতুল্য মনে করতেন? নিজের সহপাঠি মনে করতেন না? বা অন্যান্য বড় বড় সাহাবীগণ কি উসমান রাযি.কে নিজেদের উস্তাদসমতুল্য মনে করতেন? নিজেদের সহপাঠি মনে করতেন না?

                    ৪। মাসউল ভাই থেকে আগে বেড়ে কিংবা তাঁর মুখ থেকে কথা টেনে নিয়ে কথা না বলা।
                    -------------- কারো মুখ থেকেই টেনে নিয়ে কথা বলা উচিত না। মাসুল ভাইয়েরও উচিত না, মামুরের মুখ থেকে টেনে নিয়ে কথা বলা। এটাও মাসুল ভাইয়ের জন্য অভদ্রতা ও বে-আদবি হবে। কারণ সবার সাথেই সবার আদব-শিষ্টাচারিতা রক্ষা করতে হয়। কিন্তু আপনি সেই সূরা হুজুরাতের প্রথম আয়াতগুলোকে এখানে প্রয়োগ করছেন, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপারে নাযিল হযেছে। আর তার ওয়ারিসদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়ার কথা কোন কোন ইমাম বলেছেন।

                    ৬। সাক্ষাতে আগে আগে সালাম দেয়া ও হাল-হাকিকত জিজ্ঞেস করা।
                    ------------ এটা বিশেষভাবে মাসুলের জন্য নয়। বরং যদি মামুর মাসুল থেকে বয়সে বড় হয় বা ইলমে বড় হয় বা অভিজ্ঞতায় বড় হয়, তাহলে মাসুলের জন্যই আদব হল মামুরকে আগে আগে সালাম দেওয়া ও হাল-হাকিকত জিজ্ঞেস করা। ব্যাপারটা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি অতিরঞ্জন করার কারণে আমি ভিন্ন সাইডটার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম।

                    ৭। সবসময় মাসউল ভাইয়ের সামনে নিজেকে ছোট মনে করা। {হে ভাই! নিঃসন্দেহে এটিই আমার জন্য কল্যাণকর}
                    --------- আমীর-মামুর প্রত্যেকটা মানুষের জন্যেই বিনয় অবলম্বন করা জরুরী, এটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু আপনি এমন স্থায়ী হীনমন্যতার শিক্ষা কোথায় পেলেন? এগুলো কোন ধর্মের বাণী?! নাকি কারো উপর নতুন করে ওহী নাযিল হয়েছে?

                    ৮। কখনো এমন যেনো না হয় যে, আমি নিজেকে আমার মাসউল থেকে অধিকতর যোগ্য মনে করছি। { নিশ্চয়ই এটি অহংকার সৃষ্টিকারী ও আনুগত্যের শেকল ছিন্নকারী। }
                    ------------ একেকটা অভূতপূর্ব আবিস্কার!!! কেন? এটার উপর কি মোহর করে দেওয়া হয়েছে যে, এই পৃথিবীতে মামুররা কখনো মামুর থেকে যোগ্যতর হতে পারে না? মানে এটা কি কোন চিরন্তন সত্যবাণী? প্রত্যেকের জন্যই বিনয় অবলম্বন করা উচিত। কিন্তু বাস্তবে তো মামুর ভাইয়েরাও মাসুল থেকে যোগ্যতর হতে পারে।
                    কী আশ্চর্য!!
                    যেন মু’আবিয়া রাযি. এর শাসনকালে তার থেকে যোগ্য কোন সাহাবী ছিল না?যেন ওয়ালিদ বিন আব্দুল মালিকের শাসনামলে তার থেকে যোগ্য কেউ ছিল না? যেন খলীফা হারুনুর রশীদের শাসনামলে তার থেকে যোগ্য কেউ ছিল না?

                    ১০। নিজেকে মাসউলের হাতে ন্যাস্ত করে দেয়া। যেনো মাসউল ভাই নির্দ্বিধায় ও স্বাচ্ছন্দ্যে আমার শাষণ, সংশোধন ও উন্নয়নে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।

                    ---------- তানযীমী বিষয়ে সর্বদা মাসুল ভাইয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত থাকা, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি শরীয়তসম্মত ও কল্যাণকর সিদ্ধান্ত দেন। মাসুলের সিদ্ধান্ত শরীয়তসম্মতও হতে হবে, আবার তানযীমীমের জন্য ও ইসলামের জন্য কল্যাণকরও হতে হবে, অর্থাৎ সঠিক সিদ্ধান্তও হতে হবে। অন্ধের মতো নিজেকে কোন মানুষের হাতে ন্যাস্ত করে দেওয়া যাবে না। যেমনটা ভন্ড পীরের মুরিদরা করে থাকে।
                    কিন্তু একেবারে নিজেকে তার হাতে ন্যাস্ত করে দেওয়ার মতো প্রভুত্ব-দাসত্বসুলভ মানসিকতা ইসলাম শিখায়নি।

                    আপনি কি দেখেন নি, এক যুদ্ধে ‍রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসামা রাযি.কে আমীর বানিয়েছেন। আর তার অধীনস্ত করেছেন আবু বকর ও ওমর রাযি.দের মতো বড় বড় সাহাবীদেরকে। সেখাানে আপনার এসব বাণীগুলো প্রয়াগ করেন তো.....

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by salahuddin aiubi View Post
                      মুহতারাম ভাই! আপনি দলিল-প্রমাণ কিছু উল্লেখ না করে এক গাদা আদব বর্ণনা করছেন।
                      আপনি অতিরঞ্জন করেছেন। আপনার দুয়েকটা পয়েন্ট ছাড়া বাকি সবগুলোই অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রত্যেকটা নিয়ে কথা বললে অনেক সময় লাগবে, তাই বলছি না। শুধু বিশেষ কিছু পয়েন্টের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি....

                      ২। কখনো কোন বিষয়ে মাসউলের সাথে তর্কে জড়িয়ে না যাওয়া। এক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। {হে ভাই! উস্তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে যাওয়া কী আদাব পরিপন্থী নয়??}

                      ৩। মাসউল ভাইয়ের সাথে কথা বলার সময় শব্দ চয়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা। এমন সব শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, যার কারণে মাসউল ভাইয়ের মনে আঘাত লাগতে পারে। {আমাকে সবসময় একথা স্মরণ রাখতে হবে যে, তিনি আমার দায়িত্বশীল, আমি তাঁর দায়িত্বশীল নই; তিনি আমার উস্তাদ সমতুল্য, আমার সহপাঠী নন।}

                      ৪। মাসউল ভাই থেকে আগে বেড়ে কিংবা তাঁর মুখ থেকে কথা টেনে নিয়ে কথা না বলা।

                      ৬। সাক্ষাতে আগে আগে সালাম দেয়া ও হাল-হাকিকত জিজ্ঞেস করা।

                      ৭। সবসময় মাসউল ভাইয়ের সামনে নিজেকে ছোট মনে করা। {হে ভাই! নিঃসন্দেহে এটিই আমার জন্য কল্যাণকর}

                      ৮। কখনো এমন যেনো না হয় যে, আমি নিজেকে আমার মাসউল থেকে অধিকতর যোগ্য মনে করছি। { নিশ্চয়ই এটি অহংকার সৃষ্টিকারী ও আনুগত্যের শেকল ছিন্নকারী। }

                      ১০। নিজেকে মাসউলের হাতে ন্যাস্ত করে দেয়া। যেনো মাসউল ভাই নির্দ্বিধায় ও স্বাচ্ছন্দ্যে আমার শাষণ, সংশোধন ও উন্নয়নে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
                      ---------- মাসুল ভাই শুধু সাংগঠনিক বিষয়ে সিদ্ধান্তাদাতা, ব্যাস। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে তিনি মামুরের থেকে ছোটও হতে পারেন। এমনকি মামুরের থেকে কম তাকওয়াবান এবং স্বভাব-চরিত্রের দিক থেকে নিম্নও হতে পারেন।
                      আপনি কি বলতে চাচ্ছেন বুঝতে পারছিনা। আপনি কথা গুলো এমন ভাবে বলছেন মনে হচ্ছে আপনি লেখকে সহ্য করতে পারছেননা!
                      "মাসুল ভাই শুধু সাংগঠনিক বিষয়ে সিদ্ধান্তাদাতা, ব্যাস। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে তিনি মামুরের থেকে ছোটও হতে পারেন। এমনকি মামুরের থেকে কম তাকওয়াবান এবং স্বভাব-চরিত্রের দিক থেকে নিম্নও হতে পারেন।"
                      ক) এ কথার বিপরীত কি পোস্টে কিছু আছে?
                      খ) আর আপনি যতটা হালকা ভাবে দেখাতে চাচ্ছেন ততটাও হালকা কি?
                      বিষয় গুলো আবারো আপনাকে ভাবার অনুরোধ রইলো
                      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                      Comment


                      • #12
                        মুহতারাম salahuddin aiubi ভাই,
                        মাসউল ও মামুরের "আদাব রক্ষা" মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত! এই শিরোনামের তিনটি পোস্টে আপনার কমেন্টের প্রেক্ষিতে কিছু কথা:

                        ১- আপনি বলেছেন- উনি প্রথম পোস্টে আয়াত-হাদীসের ভুল প্রয়োগ করেছেন। তাহরীফ করেছেন।
                        আপনার এই কথাটি সঠিক নয়। কারণ, উনি ‘আদাবের গুরুত্ব’ শিরোনামে আয়াত-হাদীসের উদ্ধৃতি এনেছেন।
                        আপনি সম্ভবত: এটাকে পোস্টের শিরোনামের সাথে মিলিয়ে বিষয়টিকে গুলিয়ে ফেলেছেন। আল্লাহু আলাম।
                        দ্বিতীয়ত: তাছাড়া এই নসকে উনি আমীরের আদেশের ক্ষেত্রে বা আদবের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেননি বা কোথাও দাবিও করেননি। অবশ্য পোস্টদাতা ভাই এটা ক্লিয়ার করলে ভালো হতো।
                        যাই হোক, এটা আপাতদৃষ্টিতে পড়ে যাবার ফলে আপনার দৃষ্টিভ্রম হয়েছে সম্ভবত। গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে এমনটা হত না মনে হয়।

                        ২. আপনার আপত্তির আরেকটি জায়গা হলো- ব্যক্তিগতভাবে আমীরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে- এমন কোন হাদিস আছে কিনা?
                        জি, মুহতারাম ভাই আছে।
                        উদাহরণস্বরূপ-

                        আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে এ সনদেই বর্ণিত হয়েছে যে, (রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন,)

                        مَنْ أَطَاعَنِيْ فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَقَدْ عَصَى اللهَ وَمَنْ يُطِعْ الأَمِيْرَ فَقَدْ أَطَاعَنِيْ وَمَنْ يَعْصِ الأَمِيْرَ فَقَدْ عَصَانِيْ وَإِنَّمَا الْإِمَامُ جُنَّةٌ يُقَاتَلُ مِنْ وَرَائِهِ وَيُتَّقَى بِهِ فَإِنْ أَمَرَ بِتَقْوَى اللهِ وَعَدَلَ فَإِنَّ لَهُ بِذَلِكَ أَجْرًا وَإِنْ قَالَ بِغَيْرِهِ فَإِنَّ عَلَيْهِ مِنْهُ

                        যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলারই আনুগত্য করল আর যে ব্যক্তি আমার নাফরমানী করল, সে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলারই নাফরমানী করল। আর যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করল, সে ব্যক্তি আমারই আনুগত্য করল আর যে ব্যক্তি আমীরের নাফরমানী করল সে ব্যক্তি আমারই নাফরমানী করল। ইমাম তো ঢাল স্বরূপ। তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধ এবং তাঁরই মাধ্যমে নিরাপত্তা অর্জন করা হয়। অতঃপর যদি সে আল্লাহ্‌র তাকওয়ার নির্দেশ দেয় এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে, তবে তার জন্য পুরষ্কার রয়েছে আর যদি সে এর বিপরীত করে তবে এর মন্দ পরিণাম তার উপরই বর্তাবে।

                        সহিহ বুখারী: ২৯৫৭
                        হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


                        --
                        আম্মাজান আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. এর একটি হাদীস।
                        তিনি বলেন-
                        أَمرَنا رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليهِ وسلَّمَ أنْ نُنزِّلَ الناسَ مَنازلَهُمْ
                        রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন- মানুষকে তার পদমর্যাদা অনুযায়ী স্থান দিতে।

                        এ হাদীসটি ইমাম হাকিম আবূ ’আবদুল্লাহ (রাহ তার ’’মারিফাতু উলুমিল হাদীস’’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন এটি সহীহ হাদীস।

                        আরও দেখুন- বাইহাকী (৭/৪৬২)

                        আবু দাউদের সনদে আছে-
                        রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
                        ‏ أَنْزِلُوا النَّاسَ مَنَازِلَهُمْ
                        তোমরা লোকদের সাথে তাদের মর্যাদা অনুসারে ব্যবহার করবে।
                        হাদীসের মান: যঈফ

                        এই হাদীসের আলোকেও মূল বিষয়টি প্রমাণিত হচ্ছে।
                        আমীর/মাসউল/দায়িত্বশীল হিসাবে উনি আমাদের উপরের স্তরের। তাই উনাকে সম্মান-শ্রদ্ধা করা হাদীসের-ই নির্দেশনা। চাই বাস্তবে উনি যেমনই হোক। আল্লাহু আলাম
                        ----

                        عَنْ مُعَاذِ بن جَبَلٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ خَمْسٌ مَنْ فَعَلَ وَاحِدَةً مِنْهُنَّ كَانَ ضَامِنًا عَلَى اللهِ: مَنْ عَادَ مَرِيضًا، أَوْ خَرَجَ مَعَ جَنَازَةٍ، أَوْ خَرَجَ غَازِيًا، أَوْ دَخَلَ عَلَى إِمَامِهِ يُرِيدُ تَعْزِيزَهُ وَتَوْقِيرَهُ، أَوْ قَعَدَ فِي بَيْتِهِ فَسَلِمَ النَّاسُ مِنْهُ وَسَلِمَ مِنَ النَّاسِ

                        মুআয বিন জাবাল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচটির একটি পালন করবে সে আল্লাহর যামানতে হবে; কোন রোগীর সাথে সাক্ষাৎ করে তার অবস্থা জানবে, অথবা জিহাদে প্রস্থান করবে, কিংবা তার ইমাম বা নেতার নিকট তার শ্রদ্ধা ও সম্মান জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে আগমন করবে, অথবা (প্রকাশ্য কুফরী শুরু না হলে ইমামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা বিদ্রোহ ঘোষণা না করে) স্বগৃহে উপবেশন করবে যাতে তার বাক্শক্তি ও অন্যান্য শক্তি হতে জনগণ এবং জনগণের বিভিন্ন অত্যাচার হতে সে নিরাপদে থাকবে।
                        (আহমাদ ২২০৯৩, ত্বাবারানী ১৬৪৮৫, সঃ জামে’ ৩২৫৩)

                        এছাড়া ভাই আমীর/মাসউলদের আনুগত্য সম্পর্কিত যত নস আছে। সবগুলোর আলোকে এটা বলা যায় যে, ব্যক্তিগতভাবেও আমীরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে হবে। কারণ, যিনি আমার আমীর/মাসউল/জিম্মাদার/দায়িত্বশীল হবেন, তিনি স্বাভাবিকভাবেই আমার উস্তাদতুল্য বা বড় বলে বিবেচিত হবেন। যদিও বাস্তবে তিনি ইলমে/আমলে/বয়সে/দ্বীনদারীতে ছোট হতে পারেন, আবারও নাও হতে পারেন। কিন্তু সর্বাবস্থায় আমাকে তার আনুগত্য, সম্মান, আদব ইত্যাদি বজায় রেখে চলতে হবে। এখানে কে ছোট আর কে বড়, সেটা বিবেচ্য নয়।
                        যেমন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
                        (إِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ مُجَدَّعٌ أَسْوَدُ يَقُودُكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا)

                        ‘‘তোমাদের উপর একজন কালো নাক-কান কাটা ক্রীতদাসকে আমীর বানানো হলেও সে যদি তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী পরিচালনা করে তাহলে তোমরা তার কথা শুন ও তার আনুগত্য কর’’। সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইমারাত।

                        তো এই হাদীস দ্বারা কি বুঝা গেল ভাই- আমীর সবসময় বাস্তবেই সব দিক দিয়ে বড় হওয়া জরুরী না। আর এটা আসলে সম্ভবও না।
                        তাই তিনি আমার আমীর, তিনি যদি শরীয়তের সীমারেখার ভিতরে থেকে আমাকে পরিচলনা করেন, তাহলে আমি শরয়ীভাবেই বৈধ সকল ক্ষেত্রে তার আনুগত্য করতে বাধ্য।
                        লক্ষণীয় কেবল এটা যে, কোন গোনাহের আদেশ দিচ্ছেন কিনা? শরীয়াহ বহির্ভূত কিছু বলছেন কিনা?

                        এ বিষয়ে ফোরামের মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের পোস্টটি অনুগ্রহপূর্বক অবশ্যই দেখুন। ওখানে আমীরের আনুগত্যের বিষয়টি নসের আলোকেই সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুহতারাম ভাই।
                        আমীরের আনুগত্য, যার ব্যাপারে আমরা প্রায়ই উদাসীন


                        Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 03-29-2023, 11:59 PM.

                        Comment


                        • #13
                          আরও একটি উদাহরণ লক্ষ্য করুন-
                          আমীরের চেয়ে আল্লাহর কাছে মামুর বেশী মুত্তাকী হতে পারে। আবার আমীর গাইরে আলেম, মামুর আলেমও হতে পারে।
                          কিন্তু মুসলিম তো নিজের চোখে নিজেকে বড় মনে করবে না। তাই না ভাই?
                          আলেম গাইরে আলেমের ক্ষেত্রে - মামুরের আলেম হিসেবে আলাদা সম্মান আছে। কিন্তু আলেম ছেলের গাইরে আলেম পিতা যেমন পিতা হিসেবে সম্মান রাখে, তেমনি আলেম মামুরের গাইরে আলেম আমীর বা মাসউলও তেমন সম্মান রাখে।

                          ৩. আপনি অভিযোগ করেছেন যে, উনি দলিল-প্রমাণ কিছু উল্লেখ না করে এক গাদা আদব বর্ণনা করছেন।
                          ভাই আমার! আপনার মত মানুষদের পক্ষ থেকে এমন অমূলক আপত্তি দেখেই আমি বরং আশ্চর্য হচ্ছি!
                          আসলে ভাই, হয়তো ‍উনি এমন ছোট একটি পোস্টে সংক্ষিপ্ত করার মানসে এগুলোর দলীল আনেননি বা আনার প্রয়োজনবোধ করেননি। কারণ, বিষয়গুলো একদম স্বাভাবিক। যার জন্য আসলে আলাদা কোন দলীল না থাকলেও সমস্যা নেই। (যদিও বাস্তবে মৌলিকভাবে এগুলোর দলীল আছে।) কারণ, ইমাম, উস্তাদ, আমীর, বড়দের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখানো সালাফের আমলে মুতাওয়ারাস। আমালে মুতাওয়ারাস এর গুরুত্ব দেয়া জরুরী। এর জন্য দলীলের প্রয়োজন পড়ে না ভাই।
                          তথাপিও নসের কিছু উদ্ধৃতি দেখুন-
                          وقد ورد الربط واضحا بين طاعة الأمير والمحافظة على وحدة الجماعة في حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم -،قَالَ: «مَنْ رَأَى مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَصْبِرْ عَلَيْهِ فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الجَمَاعَةَ شِبْرًا فَمَاتَ، إِلَّا مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً» .
                          صحيح البخاري (٩/ ٤٧) (٧٠٥٤)
                          আমিরের আনুগত্যের সঙ্গে জামাতের ঐক্য হেফাজতের যে ওতপ্রোত সম্পর্ক, সেটা সুস্পষ্টভাবে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমার হাদিসে এসেছে।
                          তিনি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, নবীজি আলাইহিস সালাম বলেন:
                          তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি তার আমিরের কোন কাজকে অপছন্দনীয় মনে করে, তাহলে যেন সে ধৈর্য ধারণ করে। কারণ যে ব্যক্তি জামাত থেকে এক বিঘত দূরেও সরে যাবে, অতঃপর মৃত্যুবরণ করবে, তার মৃত্যু হবে জাহিলিয়াতের মৃত্যু।
                          সহীহুল বুখারী (৯/৪৭) (৭০৫৪)
                          عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "إِنَّ اللهَ يَرْضَى لَكُمْ ثَلَاثًا، وَيَسْخَطُ لَكُمْ ثَلَاثًا: يَرْضَى لَكُمْ أَنْ تَعْبُدُوهُ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَأَنْ تَعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا، وَأَنْ تُنَاصِحُوا مَنْ وَلَّاهُ اللهُ أَمْرَكُمْ، وَيَسْخَطُ لَكُمْ: قِيلَ وَقَالَ، وَإِضَاعَةَ الْمَالِ، وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ" مسند أحمد ط الرسالة (١٤/ ٤٠٠)
                          আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য ৩টি কাজ পছন্দ করেন এবং ৩টি কাজ অপছন্দ করেন। তিনি তোমাদের জন্য এই পছন্দ করেন যে, তোমরা তাঁর ইবাদত কর এবং তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করো না, সকলে একতাবদ্ধ হয়ে আল্লাহর রশি (কুরআন বা দ্বীন) কে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং আল্লাহ তোমাদের উপর যাকে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন তার আনুগত্য কর। আর তিনি তোমাদের জন্য ভিত্তিহীন বাজে কথা বলা (বা জনরবে থাকা), অধিক (অনাবশ্যক) প্রশ্ন করা (অথবা প্রয়োজনের অধিক চাওয়া) এবং ধন-মাল বিনষ্ট (অপচয়) করাকে অপছন্দ করেন। [মুসনাদে আহমদ, আর রিসালা প্রকাশন, (১৪/৪০০) (মুসলিম ৪৫৭৮)
                          أخرج الإمام أحمد عن زَيْدِ بْنَ ثَابِتٍ، قال: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: "ثَلَاثُ خِصَالٍ لَا يَغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُسْلِمٍ أَبَدًا: إِخْلَاصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ، وَمُنَاصَحَةُ وُلَاةِ الْأَمْرِ، وَلُزُومُ الْجَمَاعَةِ، فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ" مسند أحمد ط الرسالة - (٣٥/ ٤٦٧) .
                          ইমাম আহমদ যায়েদ ইবনে সাবেত রাযি. সূত্রে হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: তিনটি অভ্যাস এমন রয়েছে, যেগুলো থাকা অবস্থায় কখনোই কোন মুসলমানের অন্তরে খেয়ানত বা প্রতারণা স্থান পেতে পারে না।
                          একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমল করা তথা ইখলাসের সহিত কাজ করা, শাসকবর্গের কল্যাণ কামনা করা এবং জামাত আঁকড়ে থাকা। কারণ তাদের দাওয়াত যাদেরকে পেছন থেকে বেষ্টন করে রাখে (হেফাজত করে)
                          [মুসনাদে আহমদ, আর রিসালা প্রকাশন, (৩৫/৪৬৭)
                          وعَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الدِّينُ النَّصِيحَةُ» قُلْنَا: لِمَنْ؟ قَالَ: «لِلَّهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ» رواه مسلم.
                          তামিম দারী থেকে বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: « দ্বীন হলো নসিহা তথা কল্যাণ কামনার নাম। » আমরা বললাম: কার জন্য? (অর্থাৎ কাদের জন্য কল্যাণ কামনা?) তখন নবীজি ইরশাদ করলেন: « আল্লাহর জন্য, আল্লাহর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, মুসলমানদের শাসকদের জন্য এবং মুসলিম জনসাধারণের জন্য »
                          —ইমাম মুসলিম হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।

                          তো ভাই, আমীর বা মাসউল ভাই কি মুসলমানদের একজন নন? অবশ্যই। তাহলে নসীহা বা কল্যাণকামনা তো আমীরের জন্যও,
                          যেমনভাবে সকল মুসলিমের জন্য হবে। অতএব, আমীরের/মাসুলের প্রতি আন্তরিকতা কল্যাণ কামনা তো এই হাদীস দিয়েও প্রমাণিত।
                          এছাড়াও আপনার প্রথম পোস্টের কমেন্টেও এ সংক্রান্ত কিছু নসের সারাংশ এসেছে, তাই সেগুলো আর উদ্ধৃত করলাম না।
                          মোট কথা:
                          আমীরের জন্য শুধু আনুগত্য ছাড়া আর কোন হক স্বীকার না করাটা ভুল। কারণ, আনুগত্যের মাঝে আদাব এর বিষয়গুলোও রয়েছে। তবে সেগুলো অবশ্যই শরয়ী সীমারেখার ভিতরে হতে হবে। তাই আমীরের সম্মান করাকে অতিরঞ্জন বলা যায় না কিছুতেই। বাস্তবে এগুলোও আমীরের আদবের মধ্যে পড়ে ভাই।

                          ৪.আপনার কমেন্ট পড়ে বুঝা গেল যে, আপনি আমীরের হক বলায় বিরক্ত হয়েছেন। কিন্তু মামুরের হক সংক্রান্ত আলোচনায় খুশি হয়েছেন। অথচ এক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া দরকার ছিল।
                          আচ্ছা ভাই- আপনি মেহেরবানী করে বলুন তো- কেউ যদি এগুলো মানেন, তাহলে সে কি শরীয়াহ বহির্ভূত কোন কাজ করছেন বলে গন্য হবেন? অথবা সে কি গোনাহগার হবে? যদি উত্তর ‘না’ হয়ে থাকে, তাহলে এগুলোর জন্য দলীল দেয়া বা খোঁজা কি খুব জরুরী কোন বিষয়? তাহলে এগুলো নিয়ে অনর্থক কমেন্ট করার কি অর্থ হতে পারে? আমাদের প্রয়োজনীয় কত কাজ পড়ে আছে ভাই। সেগুলোতে মনোযোগ দেয়াই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?
                          তাছাড়া আপনি নিজেও কি এগুলোর বিপরীতে কোন নস খুঁজে পেয়েছেন? যে এগুলো করা যাবে না?
                          আপনার প্রতিটি কথার পিছনেও কি কোন দলীল আছে বা দিয়েছেন? তাহলে শুধু অন্যের প্রতি এত প্রশ্ন/বিরক্ত কেন আপনি?
                          আসলে যুক্তির পেছনে আরেক যুক্তি দাঁড় করানো যায়। কিন্তু সমাধানে পৌঁছা যায় না।
                          তাই আসুন! আত্মসমালোচনার প্রতি আমরা সবাই মনোযোগী হই। এটাই হোক আমাদের সব কাজের ভিত্তি।

                          ৫.শাইখ হারিস আন নাযযারী রহ. এর কিতাব > الموجز في أحكام الإمارة এ সংক্রান্ত অধ্যায়টিও দ্রষ্টব্য।

                          ৬. শুধু নিজের ইলম জাহির করার জন্যই কারো সাথে তর্ক না করা।
                          عَنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : قَالَ رَسُول اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ لِيُجَارِيَ بِهِ الْعُلَمَاءَ أَوْ لِيُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ أَوْ يَصْرِفَ بِهِ وُجُوهَ النَّاسِ إِلَيْهِ أَدْخَلَهُ اللهُ النَّارَ
                          কা’ব বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, যে ব্যক্তি উলামাদের সাথে তর্ক করার জন্য, অথবা মূর্খ লোকেদের সাথে বচসা করার জন্য এবং জন সাধারণের সমর্থন (বা অর্থ) কুড়াবার জন্য ইলম অন্বেষণ করে, সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। (তিরমিযী ২৬৫৪, ইবনে আবিদ্দুনয়্যা, হাকেম ২৯৩, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ১৭৭২, সহীহ তারগীব ১০০)

                          ৬. শেষ কথা: আপনি যেভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন, সেভাবে চললে দুনিয়ার কোন সাধারণ প্রতিষ্ঠানও চলবে না। জিহাদী তানযীম তো পরের কথা। তাই আমীর বা মাসউল ভাইকে উস্তাদ সমতুল্য বা বড় ভাই হিসাবে বিবেচনা করলে আপনার আপত্তিগুলো আসলে সামনে আসার কথা না। তিনি জিম্মাদার হিসাবে বড় হিসাবেই মানতে হবে। দুনিয়াতে সব প্রতিষ্ঠানেই এভাবে সবাই মেনে চলছে। যেমন- মাদরাসার মুহতামীম যদি কোন দিক দিয়ে ছোটও হয়, তারপরেও উনাকে সবার মেনে চলতে হয়। সম্মান দিয়ে চলতে হয়। এভাবে অফিসের বস যদি কোন দিক দিয়ে ছোটও হয়, তারপরেও তাকে বস বা স্যার বলে সম্বোধন করে সম্মান জানাতে হয়। এটা দোষের কিছু না।
                          তবে কোন ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জন কাম্য না। সেটা ভিন্ন বিষয়।
                          আশা করি- মূল বিষয়টি সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা হলেও স্পষ্ট করতে পেরেছি।

                          আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন। সকল ধরনের প্রান্তিকতা থেকে হিফাযত করুন।
                          সীরাতে মুস্তাকিমের উপর অবিচল থেকে সুন্নাহর আলোকে জিহাদের কাজ আঞ্জাম দেওয়ার তাওফীক দান করুন।
                          Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 03-30-2023, 11:52 AM.

                          Comment


                          • #14
                            এক কথায় আমির যেমন মামুরের হক নষ্ট করতে পারবেনা। তেমনি ভাবে মামুরও আমিরের হক নষ্ট করতে পারবেনা। তাহলেই সব কিছু ঠিক ঠাক হয়ে যায়।
                            পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                            Comment


                            • #15
                              মডারেটর আবু আব্দুল্লাহ ভাই!

                              ১। আপনার এক নাম্বার পয়েন্টের কথাগুলো সঠিক না।

                              ২। আপনার পেশকৃত হাদিসগুলোর মধ্যে শুধু একটি হাদিসই আলোচ্য বিষয়টিকে সরাসরি প্রমাণ করে। আর ওই হাদিসের সনদের মধ্যে ইবনু লাহিয়া আছেন, যিনি যয়ীফ। ইমাম তিরমিযী রহ: বলেছেন: وَابْنُ لَهِيعَةَ ضَعِيفٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ؛ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَغَيْرُهُ.
                              তাই হাদিসটি দিয়ে প্রমাণ পেশ করা শক্তিশালী না।

                              ৩। নিজের ইলম জাহির করার জন্য অনর্থক তর্ক করা আমার উদ্দেশ্য না। মহান আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি যে, উম্মাহর প্রয়োজনে নেক উদ্দেশ্যে আমীরদের প্রশংসা ও সম্মানের অতিরঞ্জনের বিরুদ্ধে বলি।

                              ৪। আমি আমীরদের সম্মানের কথা বললে বিরক্ত হই আর মামুরদের অধিকারের কথা বললে খুশি হইو কথাটি আপনার কু ধারণাপ্রসূত। ভুল বুঝেছেন ভাই।

                              ৫। আমি আমীরদের স্বভাবিক সম্মানকে স্বীকার করি এবং নিজেও তা করি। কিন্তু ওই পোস্টে অতিরঞ্জন করা হয়েছে। যেটার মারাত্মক সুদূরপ্রসারী খারাপ প্রভাব আছে।


                              আমার এই আপত্তিমূলক কমেন্টের দ্বারা অনেক ফায়দা হয়েছে ও হবে ইনশাআল্লাহ। পোস্টদাতার পোস্টের কারণে সবাই একযুগে মাসুলদের অস্বভাবিক সম্মান ও বড়ত্বের জয়গান গাওয়ার কারণে কখনো মাসুলরা কোন অন্যায় করলে মামুরদের সাহসই হতো না তাদের প্রতিবাদ করার বা তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার। সবাই আশা করবে, অন্য কেউ বলে কি না, আমি এই ঝামেলা থেকে বেঁচে থাকি। কারণ তাদের সামনে কণ্ঠও উঁচু করা যাবে না, তর্কে জড়িয়ে পড়লে সর্বনাশ, ভুলেও যদি আমার কথা দ্বারা তার কথা একটু ডিস্টার্ব হয় বা তার সম্মানে লাগে (যদিও তা ন্যায়সঙ্গতভাবেই হোক না কে), তাহলে বিপদের ঝড়-তুফান নেমে আসবে।
                              কিন্তু এখন আমার এই ধরণের কমেন্ট দ্বারা বুঝমান লোকদের কাছে বিষয়টা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে। যেমন আবু বকর, ওমরو উসমানو আলী রাযি.দের বিরুদ্ধে যে কেউ প্রতিবাদ করতে পেরেছে, তর্কও করতে পেরেছে, ঝগড়াও করতে পেরেছে, তেমন একটা উপলব্ধি হবে সবার মনে। যেটা স্থায়ীভাবে উম্মাহর জন্য কল্যাণকর।

                              Comment

                              Working...
                              X