Announcement

Collapse
No announcement yet.

এই পৃথিবীর প্রায় সকলেই দা’ঈ...

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এই পৃথিবীর প্রায় সকলেই দা’ঈ...

    একজন মুসলিম যেমন দাড়ি রেখে, টাখনুর উপর কাপড় রেখে, পর্দা করে, নিজেদের ভালো আচরনের মধ্যমে মানুষজনদের ইসলামের দিকে দাওয়াহ্ দেয়, তেমনি একজন মূর্খ গালিগালাজ করে নিজের দিকে দাওয়াহ্ দেয়। একজন বেপর্দা নারী অথবা লম্পট পুরুষ, তার চাল চালন দিয়ে নিজের দিকে দাওয়াহ দেয়। একজন ক!ফির, মুশরিক কুফরী শিরকী করে তার দিকে মানুষকে দাওয়াহ্ দেয়।

    মূল কথা আমরা এই যামানায় সকল কিছুর কাছ থেকেই দাওয়াহ্ পাচ্ছি। কিন্তু কোনটা গ্রহণ করব সেটা শিখাবে ইসলাম, কারণ ইসলামই ধ্রুব এবং সত্য।

    গণতন্ত্র এবং কথিত সুষ্ঠ গণতন্ত্র যখন স্পষ্ট শিরক তখন সেটাকে মাধ্যম হিসেবে ইসলামের দাওয়াহ্’র কাজে ব্যবহৃত হওয়ার আগে কি এটা প্রয়োজন ছিল না যে ইসলামের দাওয়াহ্ দিতে গিয়ে আমরা না আবার কাফিরদের থেকে গণতন্ত্রের দাওয়াহ্ নিয়ে বসি!

    ঠিক তাই হয়েছে এবং হচ্ছে। এরা সেই কাফির যারা পথভ্রষ্ট এবং সূরা ফাতিহার মাধ্যমে প্রতি রাকা’আত সালাতে আমরা এদের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার জন্য দু’আ করি অথচ সলাহ শেষে আবার কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় তা নিয়ে কাফিরদের চিন্তাভাবনা এবং কর্মপদ্ধতিকে ইসলামের সাথে গুলিয়ে ফেলি!

    নিশ্চয়ই অধিকাংশ লোক ইসলামের দাওয়াহ্ দেয়ার পথ থেকে বিচ্যুত হচ্ছেন। আপনারা এখন গণতন্ত্রের দাওয়াহ্ দিচ্ছেন। আপনারা যতই বলেন তা ইসলামিক গণতন্ত্র। কিন্তু দিন শেষে ব্রান্ডিং হচ্ছে পশ্চিমা গণতন্ত্রের, খিলাফার না!

    দাওয়াহ’র ক্ষেত্রে আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং সালফেসালেহীনরা কি কৌশল বা হিকমাহ গ্রহণ করতেন? যেটাই গ্রহণ করতেন না কে, ওনারা তাওহীদের কথাটা স্পষ্ট বলতেন এবং তাগুত বর্জনের কথাটাও স্পষ্ট বলতেন। এটাই মিল্লাত-ই-ইব্রাহীম (আঃ)।

    আমরা আজ উম্মাত-ই-মুহাম্মাদ (সাঃ) কেন্দ্রিক চিন্তা করতেই ভয় পাই, পাছে না আবার কেউ সন্ত্রাসী-জঙ্গি বলে! আর মিল্লাত-ই-ইব্রাহীম (আঃ) অনুযায়ী কর্মপদ্ধতি, দাওয়াহ্ চালিয়ে যাওয়া তো বিশাল ব্যাপার!

    কিন্তু এটাই সত্য, এটাই একমাত্র পথ। তাগুত বর্জনের দাওয়াহ্ না দিলে সেটা কখনোই ইসলামের দাওয়াহ্ নয়, হতে পারে না। তেমনি তাওহীদের দাওয়াহ স্পষ্ট ভাবে না দিলেও সেটা ইসলামের দাওয়াহ্ নয়।

    যে তাওহীদ জানে না বা এর প্রতি ঈমান আনে না, তার উপর কি নামাজ, রোজা, ফরজ? না। আরে সে তো মুসলিমই না।

    গণতন্ত্র নামক আবর্জনায় নেমে, আপনারদের শরীরে আবর্জনা লেগে গেছে। আপনারা হয়ত মণিমুক্তাগুলো উঠিয়ে আনতেই নেমেছিলেন। মূলত(!) গণতন্ত্রের ডাস্টবিনে কোন মণিমুক্ত নেই। সব মিথ্যা। কাফিরদের কল্পনাপ্রসূত মিথ্যা।

    হয়ত কিছু প্লাস্টিকে মণিমুক্ত দেখে আপনারা লাফ দিয়ে ক!ফিরদের প্ররোচনায় ইসলামিক গণতন্ত্র গ্রহণ করেছেন। দিন শেষে তাদের খুশি করার জন্য আপনার জেনে না জেনে যাদেরই জঙ্গি বলেছেন, তারা কিন্তু আপনাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে না। কাজ শেষ হলেই আপনাদের টয়লেট টিসুর মত ফ্ল্যাশ করে দিবে, এর প্রমাণও পৃথিবীতে বহু রয়েছে।

    আর যারা সম্পূর্ণরূপে তাদের মত হয়ে গিয়েছে, সত্যকে তারা আচ্ছাদন করে দিয়েছে, তারা তো তাদের বন্ধু। তাদের হাশর তাদের সাথেই হবে, যদি না তারা সত্যকে গ্রহণ করে আবর্জনাগুলো ধুয়ে মুছে মিল্লাত-ই-ইব্রাহমের (আঃ) পথ ধরে উম্মাত-ই-মুহাম্মাদের (সাঃ) জন্য কাজ না করে।

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুন, আমীন ইয়া রাব্বাল 'আলামীন।
    .
    🖋️ নু'য়াইম বিন মুকাররিম
Working...
X