Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভারতীয় হিন্দু আগ্রাসনের বিপরীতে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা দুটিঃ ১। 'ইসলাম' বা 'মুসলমানি

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভারতীয় হিন্দু আগ্রাসনের বিপরীতে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা দুটিঃ ১। 'ইসলাম' বা 'মুসলমানি

    ভারতীয় হিন্দু আগ্রাসনের বিপরীতে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা দুটিঃ
    ১। 'ইসলাম' বা 'মুসলমানিত্ব' বা 'মুসলিম জাতীয়তাবাদ' ও
    ২। মুসলিম ভূমি হিসাবে ' মুসলিম বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ'


    কুমিল্লা কাণ্ডের পর চারদিকে একটা রব উঠেছে, এহেন সস্তা কাণ্ড ঘটাইয়া ভারত বাংলাদেশে সেনা অভিযানের প্লট রচনা করিতেছে!

    ভাবছিলাম, কথা যদি সত্যিই হয় স্বাধীন একটা দেশের সরকার বা স্বাধীন একটা দেশের সশস্ত্র বাহিনী কি সত্যিই হা করে চেয়ে চেয়ে দেখবে ?! কিছুই কি করবে না?!

    চলমান সেনাপ্রধান দ্বায়িতে অধিষ্ঠিত হবার অব্যবহিত পরেই, প্রেস ব্রিফিং এ বলছিলেন - আমি আমার কমান্ড ফিলসফি যথা সময়ে শেয়ার করব - কথাটার মধ্যে একটা মেরুদণ্ডের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। যদিও হাসিনা ভাত খেতে দিয়েছে এসব বলে কিছু তৈল মর্দনের ভিডিও আছে ইউ টিউবে তার, বাকি শোনা যাচ্ছিল তিনি নাকি মনে মনে ভারত বিরোধী! কেউ কেউ প্রমাণ স্বরূপ অর্ধ ডজন 'র' এর এজেন্ট ধরা পড়ার কথা বলেন উনার আমল শুরু হতে না হতেই আলহামদুলিল্লাহ। তাহলে নতুন বিগ বস নিশ্চয়ই বসে নেই... ভিতরে ভিতরে একটা বাক-বিতণ্ডা কিংবা পরিকল্পনা তো তাহলে চলছেই অনুমান করা যায় কুমিল্লা কাণ্ড ও তৎপরবর্তি ভারতীয় সাংসদ সুভ্রামানিয়ম গোস্বামী টাইপের কিছু মন্ত্যব্য শুনে। ন্যূনতম দেশ চিন্তা থাকলেও এগুলো নিয়ে নিশ্চয়ই তারা ভাবে, স্ট্রাটেজি সাজায়, অপারেশন প্ল্যান করে, সিভিল - মিলিটারি ব্যুরোক্র্যাট বা পলিসি মেকারদের নিয়ে মডেল ডিসকাশনে বসে। এহেন সিচুয়েশন মোকাবেলায় দেশের নিজস্ব শক্তির সাথে ভূ-রাজনৈতিক শক্তি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমন্বয়ে একটা রূপরেখা তো কম সে কম রেডি রাখে - রাখা উচিত।

    দেশের প্রতিরক্ষা নীতিই নাকি ফাইনাল হয়নি - একটা লুতুপুতু টাইপ লেঃ জেনারেল চাকরি থেকে অবসরের পর সাংবাদিক কনক সারওয়ার কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটাই বলছিলেন গত বছর। তিনি এর সমন্বয়ের দ্বায়িতে ছিলেন চাকরিতে থাকা কালীন। ফাইনাল না হলেও খসড়া কিছু আছে নিশ্চয়ই। সে অনুযায়ী তারা ডেপলয় হবে এবং শোনা যায় সিভিলিয়ানদেরকেও তখন তারা প্রশিক্ষণ দিয়ে সৈন্য বানিয়ে ফেলবে আস্তে আস্তে সেটা কনভেনশনাল ওয়ারফেয়ার থেকে গেরিলা ওয়ারফেয়ারের চরিত্র ধারণ করবে।

    এমনই যদি হয় ভবিষ্যতে, তাহলে এই যুদ্ধ হতে হবে একটি সর্বাত্নক যুদ্ধ বা টোটাল ওয়ার, যেটাতে জয়ী হতে হলে আবাল, বৃদ্ধ বনিতা সকলে মিলে যাবতীয় সকল সম্পদ নিয়ে এক মহা উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে। তথা ১৮ কোটি মন- শরীর ও তাদের সম্পদকে কে ভারত খেদাও যুদ্ধে কাজে লাগাতে পারতে হবে।

    আর তা পারতে হলে যে মহৌষধটি দরকার হবে সেটি হলঃ

    আমি মুসলিম, আমি বাংলাদেশী,
    অথবা
    আমি বাংলাদেশী + আমি মুসলিম
    ( তুই মালাউন ব্যাটা ভাগ আমার দেশ থেকে ) ।

    আর এস এস, বজরঙদল, বিজেপি সরকারের আমলে এমন আগ্রাসন হলে তা যতটা না একটি বৃহৎ আঞ্চলিক শক্তি কর্তৃক আগ্রাসন হিসাবে দেখা হবে তার থেকে বেশি দেখা হবে 'হিন্দু মালাউন কাফের' শক্তি কর্তৃক 'মুসলিম ভূমি' আক্রমণ হিসাবে। বা কৌশলগত ভাবে জিততে হলে বাংলাদেশের যুদ্ধ পরিচালকদের সেটাই দেখাতে হবে।

    এটা যত দ্রুত উপলব্ধি তে আনা যায় তত মঙ্গল। একে শান দেওয়া দরকার, বাস্তবায়ন করা দরকার। পৃষ্ঠপোশকতা করা দরকার। ইতিমধ্যেই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কবলে মূমূর্ষু প্রায় বাংলাদেশকে ভৌগলিক ভাবেও লুলা বানিয়ে ফেলা হয়েছে ট্রানজিট, পোর্ট এবং ত্রিপুরা ব্রিজ এর মত উপহার দিয়ে। এছাড়া এদেশে ভারতের বানিজ্যের পরিমাণ ও ভারতীয়রা এসে নিয়ে যাওয়া রেমিটেন্স এর অঙ্ক শুনে কেউ যদি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বলে - অত্যুক্তি হবে না। তার উপর মুসলমানিত্বের মূল্যবোধটাকেও ফিকে ক্ষয়িষ্ণু করে দেওয়া হয়েছে - হচ্ছে। এসবের রাস টেনে না ধরলে কি দরকারের সময়ে দেশের মানুষের সেই উৎসাহ, উদ্দীপনা, দেশপ্রেম বা অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদ টুকু খুঁজে পাওয়া যাবে?

    আমার মতে, চাইলে এবার দাদাদের অমতে গিয়ে এই সরকারও খেলে দিতে পারে - অবনিবনা যেহেতু শুরুই হয়েছে। রাজনীতিতে অনেক পলটিই তো হয়। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিকে কথা রাখতে গিয়ে দিয়েছে না হয় ফাঁসি কিছু (আল্লাহ তা'আলা সঠিক বিচার করুন), এবার দেশের স্বার্থে পলটি মেরে তাদেরই কাছে টেনে নিতেই পারে - দ্বীনের বুঝ থেকে না হলেও দেশের স্বার্থে। অর্থাৎ, অমূল্য রত্ন হিসাবে যে ' মুসলমানিত্ব ' এই দেশের মানুষ ধারণ করে তাকে পুরোদমে পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত, তাকে ডালে পালে তৃণ ও শাখায় বাড়তে দেওয়া উচিত, পুষ্টি যোগানো উচিত, দমনের বদলে। তাহলেই, ভারত দূর থেকে ভয় খাবে। ইনশাআল্লাহুল আজিজ। বাংলাদেশের সরকার গুলো এই কৌশল কে যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে তত মঙ্গল।

    অপর শক্তিটি 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ' । অখণ্ড বাংলা আর নেই, যা এত দিনে হিন্দু বাংলা ও মুসলিম বাংলা হিসাবে বাংলা ভাষাভাষীদের মন ও মননে গভীর ছাপ ফেলেছে, যতটা ফেললে আলাদা সংস্কৃতি হিসাবে দাবী করা যায় ততটাই গভীর। অতএব পশ্চিম- পূর্ব মিলিয়ে বাঙ্গালিয়ানা বা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ নয় বরং শুধুমাত্র ভৌগলিক যে ভূমি 'পূর্ব বাংলা' থেকে বিবর্তিত হয়ে আজ 'বাংলাদেশ' রূপ লাভ করেছে তার প্রতি ভূমিপুত্রদের যে টান কাজ করে সেটুকু।

    কোন আগ্রাসী সংস্কৃতির পেটের ভিতরে বাস করে আলাদা সংস্কৃতি ধারণ করা ও ৫০ বছর টিকে থাকা সহজ কথা নয়, যা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে অস্থি মজ্জায় না থাকলে কোন প্রচেষ্টা বা টুলস এ্যন্ড টেকনিক দিয়ে ধরে রাখা যায় না। যা আওয়ামীলীগ ওয়ালারা মুজিব-টুজিব এর ইমেজ দেশে- বিদেশে প্রতিষ্ঠা করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেঁচে বজায় রাখতে চেষ্টা করে। আর একটা আইটেম ভাল কাজে দেয় - আতর্জান্তিক কোন মঞ্চে জাতীয় দলের সফলতা বা অংশগ্রহণ - যেমনঃ ক্রিকেট । ক্রিকেট জাতীয় দল দিয়ে একটা ঐক্যের ঝলক খেলে দেওয়া যায় বটে পুরো বাংলাদেশীদের উপর - জয়ে আপামর বাংলাদেশীদের মনে ভাল লাগা কাজ করে, অল্পের জন্য হারতে নিলে খারাপ লাগা কাজ করে। এই একটা জায়গায় সবাই এক, আবেগপ্রবণ ও উৎসাহী। - ভাল অস্ত্র। জাতীয় ঐক্য গড়তে নেলসন ম্যান্ডেলা এ অস্ত্রটি ব্যাবহার করেছিল, সেটাই এখনো চলছে কোথাও কোথাও। এগুলো না হয় ঠিক আছে... কিন্তু ' বাংলাদেশ আমার ভূমি - মুসলিমদের ভূমি, আর মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষায় জীবন দেওয়া ফারজে আইন, যা ধর্মীয় দিক থেকে শহিদ হওয়া, প্রকৃত শহিদান। সেক্যুলার জাতীয়তাবাদের জন্য মরলে শহিদ কিনা ডাউট থাকে' এই বোধটি আরও অনেক অনেক গুন বেশি কার্যকরি, অনেক গুন বেশি শক্তিশালী।

    শেষ ও সারকথা এই যে, ওহে সেক্যুলার রাষ্ট্রনায়ক কিংবা সেনাপতি, তোমার সেক্যুলার রাষ্ট্র খানাও যদি বাঁচাতে চাও অবিলম্বে মুসলিমদের কদর কর, মুসলমানিত্বের কদর কর। এটাই আসল শক্তি ( যা মহান আলাহ'র পক্ষ থেকে আসে)। জিহাদ কে পৃষ্ঠপোষকতা দাও। তাদের দমন পীড়ন করোনা। জেল জুলুম করোনা বরং রাষ্ট্রীয়ভাবে সাহায্য সহযোগীতে করে পরিপুষ্ট কর। তোমার আমেরিকা মরে গেছে... গণতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদের পতন হয়েছে, কথায় কথায় পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে ওদের মত হতে চেয়ে যে জাতে ওঠার চেষ্টা ছিল এতদিন সেটা আর করার দরকার আছে কি? এবার হাজার বছরের নিজস্ব ঐতিহ্য যা তোমার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে ' ইসলাম' ও 'মুসলমানিত্ব' তাকেই আপন করে নাও - সম্মনিত হবে।

    হাজার বছরের মুসলিম বাংলাদেশীদের বিজয় হোক।

    'মুসলিম জাতীয়তাবাদ' গর্জে উঠুক
    মেরুদণ্ডহীন সেক্যুলারিজম নিপাত যাক।
    ' মুসলিম বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ' ধারণ কর,
    ভারতের আগ্রাসন ব্যার্থ কর।
    কাশ্মীর বাংলাদেশ ভাই ভাই
    মাঝের জমি টুকুও ফিরত চাই।
    ইউ পি, বিহার, পশ্চিম বংগ
    এবার হবে হবে ভারত ভঙ্গ।
    সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ আল জিহাদ।

    তাকবীর তাকবীর
    আল্লাহু আকবর।
    "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
    আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
    "


  • #2
    কাশ্মীর বাংলাদেশ ভাই ভাই
    মাঝের জমি টুকুও ফেরত চাই।
    সুন্দর শ্লোগান। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X