রাসূল ﷺ কোন স্থান অনুযায়ী ইসলামকে পরিবর্তন করেন নি, বরং ইসলাম অনুযায়ী সেই স্থানকে সাজিয়ে ছিলেন৷ এটা পাশ্চাত্যের মুসলিমদের কথার ঠিক উল্টো৷ তারা বলে যে, যেহেতু আমরা পাশ্চাত্যে থাকি অতএব আমাদের পশ্চিমা ইসলাম বা আমেরিকান ইসলাম দরকার৷ যার অর্থ মুসলিমরা অন্য যেকোন আমেরিকানদের মতই তাদের সংস্কৃতি, শিক্ষা ও আকাঙ্খা অনুযায়ী চলতে পারবে৷ যদি অনুভব করেন যে, ঐ স্থানে থাকতে হলে আপনার ইসলামকে পরিবর্তন করতে হবে, তবে বুঝতে হবে যে, আপনার ঐ স্থান থেকে হিজরত করা অত্যান্ত জরুরী৷ যদি আপনি ইসলামকে পূর্ণাঙ্গরূপে পালন করতে না পারেন, তবে ঐ স্থান থেকে আপনার হিজরত করতে হবে৷
রসূল ﷺ কখনও বলেননি যে, আমার মক্কায় থাকা উচিত, ভাল নাগরিক হওয়া উচিত, কিছু দাওয়ার কাজ করা উচিত, চরমপন্থি পরচার করা থেকে বিরত হয়ে তাদের সমাজ ব্যবস্থা ও ইলাহ সম্বন্ধে খারাপ কথা বলা ত্যাগ করা উচিত, যাতে করে তারা ইসলামকে ভালবাসে৷ না, বরং রসূলু ল্লাহ ﷺ ইসলামকে এর পূর্ণরূপে তুলে ধরেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এর উপর তার কোন হাত নেই এবং তিনি একে পরিবর্তনও করতে পারবেন না৷ আল্লাহ্* তা’য়ালা কুরআনে বলেছেনঃ
يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَÒ
হেরসূল! তোমার রবের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর; যদি না কর, তবে তো তুমি তার বার্তা প্রচার করলে না৷ আলল্লাহ্* তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন৷ নিশ্চই আল্লাহ্* কাফির সম্প্রদায়কে সত্য পথে পরিচালিত করেন না৷ (সূরা আল-মায়িদাঃ ৬৭)
একটি গোত্র ইসলাম কবুল করতে রাজী হল কিন্তু এক শর্তে যে, রসূলের ﷺ মৃত্যুর পর তাদের ক্ষমতা দিতে হবে৷ রসূল ﷺ রাজী হলেন না, কারণ এই পৃথিবী আল্লাহ্* তা’আলার এবং কে এই পৃথিবীতে আল্লাহ্*র প্রতিনিধিনিত্ব ¡ করবে, তা নবীদের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়৷ আরেকটি গোত্র ইসলামী রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দিতে রাজী হল কিন্তু তারা বলল যে , পারস্য সাম্রাজ্য থেকে একে সুরক্ষা দিতে তারা অপারগ৷ অন্য আরব গোত্র থেকে একে সুরক্ষা দিতে তারা রাজী আছে৷ রসূলুল্লাহ্* ﷺ বলেন যে, এই দ্বিন কেবল তারাই বহন করতে পারবে, যারা একে সবদিক থেকে ঘিরে রাখবে অর্থাৎ সর্বদিক থেকে সুরক্ষা দিবে৷ হয় তোমরা এই দ্বিনকে সবদিক থেকে সব আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে নতুবা তোমরা তোমাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে পারলে না৷ অতঃপর রসূল ﷺ এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন৷ পরে রসূল ﷺমদীনাবাসীদের তাঁর সম্পর্কে প্রস্তাব গ্রহণে আগ্রহি দেখলেন৷ তারা রসূলকে ﷺ জিজ্ঞসা করলোঃ এর প্রতিদানে আমরা কি পাবো, ইয়া রসূলুল্লাহ্*? তিনি বললেন, জান্নাত, আনসাররা তাঁর এই উত্তরে ভীষণ খুশী হল এবং বললঃ কতইনা লাভজনক বানিজ্য! আমরা কখনই এর থেকে পিছু হঠব না৷(সুনান আবু দাউদ)
অনেক পাশ্চাত্য মুসলিমই উসূল আল ফিকহ্*কে পরিবর্তন করে নতুন ফিকহ্* তৈরী করতে চায়, যাতে করে ইসলাম পাশ্চাত্য আদর্শকে গ্রহণ করে নেয়৷ এমনকি তারা কিছু আকিদা বাদও দিয়ে দেয়, কারণ তা পাশ্চাত্যের জন্য খুবই চরমপন্থী৷ এমনকি কিছু ইবাদত বাদ দিয়ে দেয়া হয়৷ মূলতঃ তারা পাশ্চাত্যের জন্য ইসলামকে পরিবর্তন করে ফেলছে এবং নিঃসন্দেহে এ রকম ইসলামকেই পাশ্চাত্যরা প্রচার করবে এবং এর প্রতি সন্তুষ্ট হবে৷
সাহাবাগণ পূর্ব থেকে পশ্চিমে ইসলামের প্রসার ও প্রচার ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রসূল ﷺ এর পথ অনুসরণ করেছিল৷ সাহাবাগণ যে কারণে মদীনা ত্যাগ করেছিল আর যে কারণে মক্কা ত্যাগ করেছিল তা এক ছিল না৷ বরং তারা মদীনা ত্যাগ করেছিল জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর জন্য৷ ইমাম মালিক رحمه اللهতার মুয়াত্তায় উল্লেখ করেছেন সালমান আল ফারসীর رضي الله عنه কাছে তার প্রিয়বন্ধু আবু দারদার رضي الله عنه লেখা চিঠি এই পবিত্র ভূমিতে এসো! সালমান আল ফারসীرضي الله عنه জবাব দিয়েছিলেন, “ কোন পবিত্র ভূমি মানুষকে পবিত্র করে না বরং তার আমল-ই তাকে পবিত্র করে তুলে৷”
তাঁরা জিহাদকে কেবল মক্কা বা মদীনার সাথে সংশ্লিষ্ট করে রাখেননি, বরং বিশ্বের যেকোন স্থানে যখনই এর পূর্বশর্তগুলো পূরণ হবে,তখনই জিহাদ হবে৷ যখন তুমি ফী সাবিলিল্লাহ্*র উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়, তুমি তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ী যারা তোমাকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করত৷ তারা তোমার মতই কথা বলে এবং নিজেদের মুসলিম হিসেবে দাবী করে কিন্তু মুজাহিদ হওয়ার প্রমাণসমূহ বিকৃত করে, আল্লাহ্* তাদের সম্পর্কে বলেনঃ
لَوْ خَرَجُوا فِيكُمْ مَا زَادُوكُمْ إِلَّا خَبَالًا وَلَأَوْضَعُوا خِلَالَكُمْ يَبْغُونَكُمُ الْفِتْنَةَ وَفِيكُمْ سَمَّاعُونَ لَهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ
“তারা তোমাদের সাথে (জিহাদে) বাহির হলে তোমাদের বিভ্রান্তিই বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মধ্যে ফিত্*না সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ছুটাছুটি করত৷ তোমাদের মধ্যে তাদের জন্য কথা শুনবার লোক আছে৷ আল্লাহ্* যালিমদের সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত৷”
এসব মানুষ তোমাদের সামনে শাইখের বেশে আসতে পারে এবং তোমাদের বলতে পারে যে, এখন জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর সময় নয় এবং তারা আলিম হওয়ার কারণে তুমি তাদের কথা শুনতে পার৷ আল্লাহ্* তা’য়ালা বলেনঃ
“তোমাদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি থাকতে পারে যারা তাদের কথা শুনবে৷”
কেন তারা এসব লোকের কথা শোনে? কারণ তাদের পদমর্যাদা৷ তারা তাদের গোষ্ঠীর নেতা, এমনকি আলিমও৷ তারা মুসলিমদের জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্* পালনে নিরুৎসাহিত করে৷ আর যেই একজন মুসলিমকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ পালনে নিরুৎসাহিত করে, সে একজন মুনাফিক, কারণ এই আয়াত মুনাফিকদের উদ্দেশ্যে৷ একজন মুসলিম যখন মুজাহিদ হয়, সে এসব লোকদের অগ্রাহ্য করে৷ সে এসব লোকদের রাজত্বকে পরোয়া করেনা৷ একজন মুজাহিদ তাই করে যা আল্লাহ্* তাকে করতে বলেন৷ এটা বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় ফিতনা, যা আমরা দেখি বিশেষত আমাদের ছোট ভাইদের মধ্যে৷ আলিমরা তাদের উত্সাহিত করার বদলে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্*র ব্যাপারে তাদের নিরুৎসাহিত করে৷ তাদের ইসলামিক জামাআত পস্তুতি গ্রহণ করার বদলে তাদেরকে পিছনে ধরে রাখে৷ এই আয়াত সাহাবীদের বলেছে যে তোমাদের কেউ কেউ হয়তো তাদের কথা শুনত, সাহাবাদের ঈমানের কোন কমতি ছিল না৷ কিন্তু তাঁরা এমন লোকের কথা শুধুমাত্র উচ্চ মর্যাদার কারণে শুনে থাকত৷ কিন্তু আল্লাহ্* মুসলিম সেনাদলের সাথে মুনাফিকদের যাওয়া বন্ধ করে, এসব সাহাবীদের রক্ষা করলেন৷ যদি তারা যেত, তারা বরং মতনৈক্য বা ফিতনার বিস্তার করত৷ এই ফিতনার ভয়াবহতা এতই বেশি যে, আল্লাহ্* এমন লোকদের ব্যাপারে সাহাবাদের সর্তক করেছেন৷ আল্লাহ্* মহামহিম বলেনঃ
فَرِحَ الْمُخَلَّفُونَ بِمَقْعَدِهِمْ خِلَافَ رَسُولِ اللَّهِ وَكَرِهُوا أَنْ يُجَاهِدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَالُوا لَا تَنْفِرُوا فِي الْحَرِّ قُلْ نَارُ جَهَنَّمَ أَشَدُّ حَرًّا لَوْ كَانُوا يَفْقَهُون
“যারা পশ্চাতে রয়ে গেল তারা আল্লাহর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে বসে থাকাতেই আনন্দ বোধ করল এবং তাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করা অপছন্দ করল এবং তারা বলল, গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না৷ বল, উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম, যদি তারা বুঝত! সূরা আত-তওবাঃ ৮১
মুজাহিদগণ নিজেদের নফ্*সকে, শয়তানকে এবং যারা জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্*র ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে তাদের পরাস্ত করে৷ এটা একটি বড় বিজয়৷ যখন তারা মানুষকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে, মানুষ তখন যুদ্ধ হতে বিরত থাকে৷ আমাদের অধিকাংশ তরুণ আল্লাহ কে সঠিক উপায়ে সন্তুষ্ট করতে চায় কিন্তু এসব শাইখ এবং ইসলামী ব্যাক্তিত্যের (?) কারণে পারেনা, তারা এসব তরুণদের জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্* হতে পিছন থেকে ধরে রাখে৷ দেখ, এসব মর্যাদা সম্পন্ন লোকেরা কত গুণাহ জমা করেছে৷ তারা যা করছে তা কুফ্*ফারদের সেবা করারই নামান্তর৷ তাদের দাওয়াহ কুফ্*ফারদের সেবা দেয়, তারা এর জন্য অর্থ পাওয়া হোক অথবা না হোক৷ তাদের সাথে ইন্টেলিজেন্সির (গোয়েন্দা বিভাগ) যোগাযোগ থাক অথবা না থাক; এতে কোন পার্থক্য নেই৷ যদি তোমার কাজ কুফ্*ফারদের সেবা দেয় বা উপকারে আসে, তখন তুমি তাদেরই একজন৷
রসূল ﷺ কখনও বলেননি যে, আমার মক্কায় থাকা উচিত, ভাল নাগরিক হওয়া উচিত, কিছু দাওয়ার কাজ করা উচিত, চরমপন্থি পরচার করা থেকে বিরত হয়ে তাদের সমাজ ব্যবস্থা ও ইলাহ সম্বন্ধে খারাপ কথা বলা ত্যাগ করা উচিত, যাতে করে তারা ইসলামকে ভালবাসে৷ না, বরং রসূলু ল্লাহ ﷺ ইসলামকে এর পূর্ণরূপে তুলে ধরেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এর উপর তার কোন হাত নেই এবং তিনি একে পরিবর্তনও করতে পারবেন না৷ আল্লাহ্* তা’য়ালা কুরআনে বলেছেনঃ
يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَÒ
হেরসূল! তোমার রবের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর; যদি না কর, তবে তো তুমি তার বার্তা প্রচার করলে না৷ আলল্লাহ্* তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন৷ নিশ্চই আল্লাহ্* কাফির সম্প্রদায়কে সত্য পথে পরিচালিত করেন না৷ (সূরা আল-মায়িদাঃ ৬৭)
একটি গোত্র ইসলাম কবুল করতে রাজী হল কিন্তু এক শর্তে যে, রসূলের ﷺ মৃত্যুর পর তাদের ক্ষমতা দিতে হবে৷ রসূল ﷺ রাজী হলেন না, কারণ এই পৃথিবী আল্লাহ্* তা’আলার এবং কে এই পৃথিবীতে আল্লাহ্*র প্রতিনিধিনিত্ব ¡ করবে, তা নবীদের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়৷ আরেকটি গোত্র ইসলামী রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দিতে রাজী হল কিন্তু তারা বলল যে , পারস্য সাম্রাজ্য থেকে একে সুরক্ষা দিতে তারা অপারগ৷ অন্য আরব গোত্র থেকে একে সুরক্ষা দিতে তারা রাজী আছে৷ রসূলুল্লাহ্* ﷺ বলেন যে, এই দ্বিন কেবল তারাই বহন করতে পারবে, যারা একে সবদিক থেকে ঘিরে রাখবে অর্থাৎ সর্বদিক থেকে সুরক্ষা দিবে৷ হয় তোমরা এই দ্বিনকে সবদিক থেকে সব আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে নতুবা তোমরা তোমাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে পারলে না৷ অতঃপর রসূল ﷺ এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন৷ পরে রসূল ﷺমদীনাবাসীদের তাঁর সম্পর্কে প্রস্তাব গ্রহণে আগ্রহি দেখলেন৷ তারা রসূলকে ﷺ জিজ্ঞসা করলোঃ এর প্রতিদানে আমরা কি পাবো, ইয়া রসূলুল্লাহ্*? তিনি বললেন, জান্নাত, আনসাররা তাঁর এই উত্তরে ভীষণ খুশী হল এবং বললঃ কতইনা লাভজনক বানিজ্য! আমরা কখনই এর থেকে পিছু হঠব না৷(সুনান আবু দাউদ)
অনেক পাশ্চাত্য মুসলিমই উসূল আল ফিকহ্*কে পরিবর্তন করে নতুন ফিকহ্* তৈরী করতে চায়, যাতে করে ইসলাম পাশ্চাত্য আদর্শকে গ্রহণ করে নেয়৷ এমনকি তারা কিছু আকিদা বাদও দিয়ে দেয়, কারণ তা পাশ্চাত্যের জন্য খুবই চরমপন্থী৷ এমনকি কিছু ইবাদত বাদ দিয়ে দেয়া হয়৷ মূলতঃ তারা পাশ্চাত্যের জন্য ইসলামকে পরিবর্তন করে ফেলছে এবং নিঃসন্দেহে এ রকম ইসলামকেই পাশ্চাত্যরা প্রচার করবে এবং এর প্রতি সন্তুষ্ট হবে৷
সাহাবাগণ পূর্ব থেকে পশ্চিমে ইসলামের প্রসার ও প্রচার ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রসূল ﷺ এর পথ অনুসরণ করেছিল৷ সাহাবাগণ যে কারণে মদীনা ত্যাগ করেছিল আর যে কারণে মক্কা ত্যাগ করেছিল তা এক ছিল না৷ বরং তারা মদীনা ত্যাগ করেছিল জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর জন্য৷ ইমাম মালিক رحمه اللهতার মুয়াত্তায় উল্লেখ করেছেন সালমান আল ফারসীর رضي الله عنه কাছে তার প্রিয়বন্ধু আবু দারদার رضي الله عنه লেখা চিঠি এই পবিত্র ভূমিতে এসো! সালমান আল ফারসীرضي الله عنه জবাব দিয়েছিলেন, “ কোন পবিত্র ভূমি মানুষকে পবিত্র করে না বরং তার আমল-ই তাকে পবিত্র করে তুলে৷”
তাঁরা জিহাদকে কেবল মক্কা বা মদীনার সাথে সংশ্লিষ্ট করে রাখেননি, বরং বিশ্বের যেকোন স্থানে যখনই এর পূর্বশর্তগুলো পূরণ হবে,তখনই জিহাদ হবে৷ যখন তুমি ফী সাবিলিল্লাহ্*র উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়, তুমি তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ী যারা তোমাকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করত৷ তারা তোমার মতই কথা বলে এবং নিজেদের মুসলিম হিসেবে দাবী করে কিন্তু মুজাহিদ হওয়ার প্রমাণসমূহ বিকৃত করে, আল্লাহ্* তাদের সম্পর্কে বলেনঃ
لَوْ خَرَجُوا فِيكُمْ مَا زَادُوكُمْ إِلَّا خَبَالًا وَلَأَوْضَعُوا خِلَالَكُمْ يَبْغُونَكُمُ الْفِتْنَةَ وَفِيكُمْ سَمَّاعُونَ لَهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ
“তারা তোমাদের সাথে (জিহাদে) বাহির হলে তোমাদের বিভ্রান্তিই বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মধ্যে ফিত্*না সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ছুটাছুটি করত৷ তোমাদের মধ্যে তাদের জন্য কথা শুনবার লোক আছে৷ আল্লাহ্* যালিমদের সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত৷”
এসব মানুষ তোমাদের সামনে শাইখের বেশে আসতে পারে এবং তোমাদের বলতে পারে যে, এখন জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর সময় নয় এবং তারা আলিম হওয়ার কারণে তুমি তাদের কথা শুনতে পার৷ আল্লাহ্* তা’য়ালা বলেনঃ
“তোমাদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি থাকতে পারে যারা তাদের কথা শুনবে৷”
কেন তারা এসব লোকের কথা শোনে? কারণ তাদের পদমর্যাদা৷ তারা তাদের গোষ্ঠীর নেতা, এমনকি আলিমও৷ তারা মুসলিমদের জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্* পালনে নিরুৎসাহিত করে৷ আর যেই একজন মুসলিমকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ পালনে নিরুৎসাহিত করে, সে একজন মুনাফিক, কারণ এই আয়াত মুনাফিকদের উদ্দেশ্যে৷ একজন মুসলিম যখন মুজাহিদ হয়, সে এসব লোকদের অগ্রাহ্য করে৷ সে এসব লোকদের রাজত্বকে পরোয়া করেনা৷ একজন মুজাহিদ তাই করে যা আল্লাহ্* তাকে করতে বলেন৷ এটা বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় ফিতনা, যা আমরা দেখি বিশেষত আমাদের ছোট ভাইদের মধ্যে৷ আলিমরা তাদের উত্সাহিত করার বদলে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্*র ব্যাপারে তাদের নিরুৎসাহিত করে৷ তাদের ইসলামিক জামাআত পস্তুতি গ্রহণ করার বদলে তাদেরকে পিছনে ধরে রাখে৷ এই আয়াত সাহাবীদের বলেছে যে তোমাদের কেউ কেউ হয়তো তাদের কথা শুনত, সাহাবাদের ঈমানের কোন কমতি ছিল না৷ কিন্তু তাঁরা এমন লোকের কথা শুধুমাত্র উচ্চ মর্যাদার কারণে শুনে থাকত৷ কিন্তু আল্লাহ্* মুসলিম সেনাদলের সাথে মুনাফিকদের যাওয়া বন্ধ করে, এসব সাহাবীদের রক্ষা করলেন৷ যদি তারা যেত, তারা বরং মতনৈক্য বা ফিতনার বিস্তার করত৷ এই ফিতনার ভয়াবহতা এতই বেশি যে, আল্লাহ্* এমন লোকদের ব্যাপারে সাহাবাদের সর্তক করেছেন৷ আল্লাহ্* মহামহিম বলেনঃ
فَرِحَ الْمُخَلَّفُونَ بِمَقْعَدِهِمْ خِلَافَ رَسُولِ اللَّهِ وَكَرِهُوا أَنْ يُجَاهِدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَالُوا لَا تَنْفِرُوا فِي الْحَرِّ قُلْ نَارُ جَهَنَّمَ أَشَدُّ حَرًّا لَوْ كَانُوا يَفْقَهُون
“যারা পশ্চাতে রয়ে গেল তারা আল্লাহর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে বসে থাকাতেই আনন্দ বোধ করল এবং তাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করা অপছন্দ করল এবং তারা বলল, গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না৷ বল, উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম, যদি তারা বুঝত! সূরা আত-তওবাঃ ৮১
মুজাহিদগণ নিজেদের নফ্*সকে, শয়তানকে এবং যারা জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্*র ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে তাদের পরাস্ত করে৷ এটা একটি বড় বিজয়৷ যখন তারা মানুষকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে, মানুষ তখন যুদ্ধ হতে বিরত থাকে৷ আমাদের অধিকাংশ তরুণ আল্লাহ কে সঠিক উপায়ে সন্তুষ্ট করতে চায় কিন্তু এসব শাইখ এবং ইসলামী ব্যাক্তিত্যের (?) কারণে পারেনা, তারা এসব তরুণদের জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্* হতে পিছন থেকে ধরে রাখে৷ দেখ, এসব মর্যাদা সম্পন্ন লোকেরা কত গুণাহ জমা করেছে৷ তারা যা করছে তা কুফ্*ফারদের সেবা করারই নামান্তর৷ তাদের দাওয়াহ কুফ্*ফারদের সেবা দেয়, তারা এর জন্য অর্থ পাওয়া হোক অথবা না হোক৷ তাদের সাথে ইন্টেলিজেন্সির (গোয়েন্দা বিভাগ) যোগাযোগ থাক অথবা না থাক; এতে কোন পার্থক্য নেই৷ যদি তোমার কাজ কুফ্*ফারদের সেবা দেয় বা উপকারে আসে, তখন তুমি তাদেরই একজন৷
Comment