সাবধান! উদারতার অর্থ বিশ্বাসের বিসর্জন নয়
মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক দা,বা,
ইসলামের সঠিক পরিচয়টুকুও যাদের নেই তাদেরকেও বলতে শোনা যায় ‘ইসলাম উদারতার ধর্ম’। আসলে এ বাক্যের ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। কিন্তু বাক্যটির মর্ম বুঝে কিংবা সঠিক অর্থে বাক্যটির প্রয়োগকারী অনেক কম।
বাস্তবতা হল, উদারতা যদি থাকে তবে তা শুধু ইসলামেই আছে। কেননা ইসলামই হচ্ছে একমাত্র সঠিক ও আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন। এছাড়া অন্য সকল ধর্মই বাতিল ও আল্লাহর নিকট প্রত্যাখ্যাত। সুতরাং অন্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝে কোনো উদারতা দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে তা উদারতা নয়। কেননা ভূ-পৃষ্ঠে নেতৃত্ব দেওয়ার কোনো অধিকারই তাদের নেই। এরপরও তারা মুসলিম উম্মাহর অধিকার লুণ্ঠনকারী ও তাদের প্রভু রাববুল আলামীনের বিদ্রোহী হয়ে পৃথিবীতে শাসন করে চলেছে। এজন্য তারা উদারতার দাবিদার হওয়ার যোগ্য নয়।
ইসলামই একমাত্র সঠিক ধর্ম এবং নেককার মুসলিমই হল ভূ-পৃষ্ঠের উত্তরাধিকারী। সুতরাং তারা যদি ভূ-মন্ডল ও আকাশমন্ডলের সৃষ্টিকর্তা রাববুল আলামীনের বিদ্রোহীদের জন্য কিছু অধিকার স্বীকার করে নেয় তাহলে এটিই হবে উদারতা। আর নিঃসন্দেহে ইসলাম অমুসলিমদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং মুসলিম উম্মাহর আমীর, খলীফা ও প্রত্যেক ব্যক্তি সে অধিকারগুলো আদায় করে আসছে।
উদারতার অর্থ হচ্ছে, ইসলাম অমুসলিমদের জন্য যেসব অধিকার নির্ধারণ করেছে, যে শ্রেণীর অমুসলিমের জন্য যেসব অধিকার স্থির করেছে সেগুলো যথাযথভাবে আদায় করা। অমুসলিম হওয়ার কারণে তাদের প্রতি জুলুম না করা ও তাদের কোনো অধিকার খর্ব না করা। তারা যেন পূর্ণ নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারে সে ব্যবস্থা করা। তাদের মধ্যে কেউ কোনো বিপদের সম্মুখীন হলে শুধু অমুসলিম হওয়ার কারণে তার সাহায্য সহযোগিতা কিংবা দান-সদকা (নফল) থেকে বিরত না থাকা। তবে ইসলামের দন্ডবিধি (হুদূদ-তাযীর-কিসাস) যে কোনো অপরাধীর জন্যই প্রযোজ্য। ইসলামী রাষ্ট্রের অধিবাসী হিসেবে ইসলামী ফিকহে উল্লেখিত বিস্তারিত বিবরণ অনুযায়ী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তা অমুসলিম অপরাধীর উপরও প্রয়োগ হবে।
আর ইসলামের জিহাদ তো হয় যুদ্ধবাজ ও বিদ্রোহী গোষ্ঠির বিরুদ্ধে, অমুসলিম দেশের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে নয়। তবে এর জন্যও ইসলামে রয়েছে পৃথক বিধান ও নির্দিষ্ট সীমারেখা, যার যথার্থ অনুসরণের মাধ্যমেই জিহাদ হয় রহমত। বলাবাহুল্য যে, অমুসলিমদের যুদ্ধটা বাস্তবতা, হিকমত ও বিধান-সকল দিক থেকে ইসলামী জিহাদ থেকে ভিন্ন। তাই সেটি কখনো রহমত হয় না; বরং তা হল আগাগোড়া ফাসাদ বা বিশৃঙ্খলা।
এটাই হল উদারতার শরঈ মর্ম। কিন্তু আফসোসের বিষয় এই যে, ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কে সাধারণ উদাসীনতার কারণে আর কিছুটা পশ্চিমা প্রচার-প্রোপাগান্ডা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মানুষ আজ উদারতার ভুল অর্থ বুঝতে শুরু করেছে। কেউ কেউ মনে করে, উদারতার অর্থ হল সব ধর্মকেই সঠিক বলা ও যে কোনো ধর্মের অনুসরণকেই বৈধ বলা। (নাউযুবিল্লাহ)
আবার অনেকে মনে করে, উদারতা প্রমাণের জন্য মুসলিমদেরকে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন, তাদের ধর্মীয় শাআইর ও প্রতীক এবং আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে!! অনেকে তো এমনও বলে যে, শুধু এতটুকুই যথেষ্ট নয়; বরং তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে হবে। তাদের আকাইদ ও দর্শনকে ভালো চোখে দেখা বা উপস্থাপন করাও কাম্য। (নাউযুবিল্লাহ, ছুম্মা নাউযুবিল্লাহ)
কেউ আবার উদারতার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলে, ইসলাম শুধু এবং শুধু শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। এতে জিহাদ নামে কিছু নেই। তাদের হয়তো জানা নেই যে, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর বান্দাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে ইসলাম জালিমদের বিরুদ্ধে জিহাদকে ফরয করেছে, যা কিয়ামত পর্যন্ত এক অমোঘ বিধান। এর বিধান ও সীমারেখা সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহয় পূর্ণ শিক্ষা রয়েছে। আর অত্যন্ত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ বিস্তারিতভাবে ফিকহী কিতাবসমূহে ‘কিতাবুল জিহাদ’ কিংবা ‘কিতাবুস সিয়ার’ (জিহাদ বা সিয়ার অধ্যায়) শিরোনামে উল্লেখ রয়েছে। এসকল বিধান ও সীমারেখার যথার্থ পালনের মাধ্যমেই কেবল জিহাদ হয় রহমত এবং সকল ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা বন্ধের একমাত্র রববানী প্রতিষেধক।
মোটকথা, আলোচনার শুরুতে উদারতার যে অর্থটি উল্লেখ করা হয়েছে এটিই হল সঠিক অর্থ, এছাড়া অন্য যেসব অর্থ উপরে বলা হয়েছে, যেগুলো দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ লোকেরা তৈরি করেছে তা স্পষ্ট কুফর। এগুলোর কোনো একটি অর্থকে সঠিক মনে করা কিংবা এটাকে ইসলামের শিক্ষা আখ্যা দেওয়া মূলত কুরআনের সরাসরি বিরোধিতা এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে বিদ্রোহের শামিল।
বিশদ আলোচনার পরিবর্তে আমরা পাঠকদের সামনে এ বিষয়ে কুরআন মজীদের কিছু আয়াতের শুধু তরজমা পেশ করছি :
(তরজমা) এবং (সেই সময়কে) স্মরণ কর, যখন সে তার পুত্রকে উপদেশচ্ছলে বলেছিল, ওহে আমার বাছা! আল্লাহর সাথে শিরক করো না। নিশ্চিত জেন, শিরক চরম জুলুম। আমি মানুষকে তার পিতা-মাতা সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছি-(কেননা) তার মা কষ্টের পর কষ্ট সয়ে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’ বছরে-তুমি শুকর আদায় কর আমার এবং তোমার পিতা-মাতার। আমারই কাছে (তোমাদেরকে) ফিরে আসতে হবে।
তারা যদি এমন কাউকে (প্রভুত্বে) আমার সমকক্ষ সাব্যস্ত করার জন্য তোমাকে চাপ দেয়, যে সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে তাদের কথা মানবে না। তবে দুনিয়ায় তাদের সাথে সদ্ভাবে থাকবে। এমন ব্যক্তির পথ অবলম্বন করো, যে একান্তভাবে আমার অভিমুখী হয়েছে। অতপর তোমাদের সকলকেই আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে। তখন আমি তোমাদেরকে অবহিত করব তোমরা যা কিছু করতে। (সূরা লুকমান ( ৩১) : ১৩-১৫)
(তরজমা) হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাই যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরকে শ্রেষ্ঠ মনে করে, তবে তাদেরকে নিজেদের অভিভাবক বানিও না। যারা তাদেরকে অভিভাবক বানাবে তারা জালেম সাব্যস্ত হবে।
‘(হে নবী! মুসলিমদেরকে) বল, তোমাদের কাছে যদি আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং তাঁর পথে জিহাদ করা অপেক্ষা বেশি প্রিয় হয় তোমাদের পিতা, তোমাদের পুত্র, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের খান্দান, তোমাদের সেই সম্পদ, যা তোমরা অর্জন করেছ, তোমাদের সেই ব্যবসায়, যার মন্দা পড়ার আশঙ্কা কর এবং বসবাসের সেই ঘর, যা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর, যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ ফায়সালা প্রকাশ করেন। আল্লাহ অবাধ্যদেরকে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছান না। (সূরা তাওবা (৯) : ২৩-২৪)
(তরজমা) ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যদি আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমার পথে জিহাদের জন্য (ঘর থেকে) বের হয়ে থাক, তবে আমার শত্রু ও তোমাদের নিজেদের শত্রুকে এমন বন্ধু বানিও না যে, তাদের কাছে ভালবাসার বার্তা পৌঁছাতে শুরু করবে, অথচ তোমাদের কাছে যে সত্য এসেছে তারা তা এমনই প্রত্যাখ্যান করেছে যে, রাসূলকে এবং তোমাদেরকেও কেবল এই কারণে (মক্কা হতে) বের করে দিচ্ছে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছ।
বাকি অংশ নিচে , , , , , ,
মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক দা,বা,
ইসলামের সঠিক পরিচয়টুকুও যাদের নেই তাদেরকেও বলতে শোনা যায় ‘ইসলাম উদারতার ধর্ম’। আসলে এ বাক্যের ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। কিন্তু বাক্যটির মর্ম বুঝে কিংবা সঠিক অর্থে বাক্যটির প্রয়োগকারী অনেক কম।
বাস্তবতা হল, উদারতা যদি থাকে তবে তা শুধু ইসলামেই আছে। কেননা ইসলামই হচ্ছে একমাত্র সঠিক ও আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন। এছাড়া অন্য সকল ধর্মই বাতিল ও আল্লাহর নিকট প্রত্যাখ্যাত। সুতরাং অন্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝে কোনো উদারতা দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে তা উদারতা নয়। কেননা ভূ-পৃষ্ঠে নেতৃত্ব দেওয়ার কোনো অধিকারই তাদের নেই। এরপরও তারা মুসলিম উম্মাহর অধিকার লুণ্ঠনকারী ও তাদের প্রভু রাববুল আলামীনের বিদ্রোহী হয়ে পৃথিবীতে শাসন করে চলেছে। এজন্য তারা উদারতার দাবিদার হওয়ার যোগ্য নয়।
ইসলামই একমাত্র সঠিক ধর্ম এবং নেককার মুসলিমই হল ভূ-পৃষ্ঠের উত্তরাধিকারী। সুতরাং তারা যদি ভূ-মন্ডল ও আকাশমন্ডলের সৃষ্টিকর্তা রাববুল আলামীনের বিদ্রোহীদের জন্য কিছু অধিকার স্বীকার করে নেয় তাহলে এটিই হবে উদারতা। আর নিঃসন্দেহে ইসলাম অমুসলিমদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং মুসলিম উম্মাহর আমীর, খলীফা ও প্রত্যেক ব্যক্তি সে অধিকারগুলো আদায় করে আসছে।
উদারতার অর্থ হচ্ছে, ইসলাম অমুসলিমদের জন্য যেসব অধিকার নির্ধারণ করেছে, যে শ্রেণীর অমুসলিমের জন্য যেসব অধিকার স্থির করেছে সেগুলো যথাযথভাবে আদায় করা। অমুসলিম হওয়ার কারণে তাদের প্রতি জুলুম না করা ও তাদের কোনো অধিকার খর্ব না করা। তারা যেন পূর্ণ নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারে সে ব্যবস্থা করা। তাদের মধ্যে কেউ কোনো বিপদের সম্মুখীন হলে শুধু অমুসলিম হওয়ার কারণে তার সাহায্য সহযোগিতা কিংবা দান-সদকা (নফল) থেকে বিরত না থাকা। তবে ইসলামের দন্ডবিধি (হুদূদ-তাযীর-কিসাস) যে কোনো অপরাধীর জন্যই প্রযোজ্য। ইসলামী রাষ্ট্রের অধিবাসী হিসেবে ইসলামী ফিকহে উল্লেখিত বিস্তারিত বিবরণ অনুযায়ী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তা অমুসলিম অপরাধীর উপরও প্রয়োগ হবে।
আর ইসলামের জিহাদ তো হয় যুদ্ধবাজ ও বিদ্রোহী গোষ্ঠির বিরুদ্ধে, অমুসলিম দেশের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে নয়। তবে এর জন্যও ইসলামে রয়েছে পৃথক বিধান ও নির্দিষ্ট সীমারেখা, যার যথার্থ অনুসরণের মাধ্যমেই জিহাদ হয় রহমত। বলাবাহুল্য যে, অমুসলিমদের যুদ্ধটা বাস্তবতা, হিকমত ও বিধান-সকল দিক থেকে ইসলামী জিহাদ থেকে ভিন্ন। তাই সেটি কখনো রহমত হয় না; বরং তা হল আগাগোড়া ফাসাদ বা বিশৃঙ্খলা।
এটাই হল উদারতার শরঈ মর্ম। কিন্তু আফসোসের বিষয় এই যে, ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কে সাধারণ উদাসীনতার কারণে আর কিছুটা পশ্চিমা প্রচার-প্রোপাগান্ডা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মানুষ আজ উদারতার ভুল অর্থ বুঝতে শুরু করেছে। কেউ কেউ মনে করে, উদারতার অর্থ হল সব ধর্মকেই সঠিক বলা ও যে কোনো ধর্মের অনুসরণকেই বৈধ বলা। (নাউযুবিল্লাহ)
আবার অনেকে মনে করে, উদারতা প্রমাণের জন্য মুসলিমদেরকে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন, তাদের ধর্মীয় শাআইর ও প্রতীক এবং আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে!! অনেকে তো এমনও বলে যে, শুধু এতটুকুই যথেষ্ট নয়; বরং তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে হবে। তাদের আকাইদ ও দর্শনকে ভালো চোখে দেখা বা উপস্থাপন করাও কাম্য। (নাউযুবিল্লাহ, ছুম্মা নাউযুবিল্লাহ)
কেউ আবার উদারতার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলে, ইসলাম শুধু এবং শুধু শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। এতে জিহাদ নামে কিছু নেই। তাদের হয়তো জানা নেই যে, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর বান্দাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে ইসলাম জালিমদের বিরুদ্ধে জিহাদকে ফরয করেছে, যা কিয়ামত পর্যন্ত এক অমোঘ বিধান। এর বিধান ও সীমারেখা সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহয় পূর্ণ শিক্ষা রয়েছে। আর অত্যন্ত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ বিস্তারিতভাবে ফিকহী কিতাবসমূহে ‘কিতাবুল জিহাদ’ কিংবা ‘কিতাবুস সিয়ার’ (জিহাদ বা সিয়ার অধ্যায়) শিরোনামে উল্লেখ রয়েছে। এসকল বিধান ও সীমারেখার যথার্থ পালনের মাধ্যমেই কেবল জিহাদ হয় রহমত এবং সকল ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা বন্ধের একমাত্র রববানী প্রতিষেধক।
মোটকথা, আলোচনার শুরুতে উদারতার যে অর্থটি উল্লেখ করা হয়েছে এটিই হল সঠিক অর্থ, এছাড়া অন্য যেসব অর্থ উপরে বলা হয়েছে, যেগুলো দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ লোকেরা তৈরি করেছে তা স্পষ্ট কুফর। এগুলোর কোনো একটি অর্থকে সঠিক মনে করা কিংবা এটাকে ইসলামের শিক্ষা আখ্যা দেওয়া মূলত কুরআনের সরাসরি বিরোধিতা এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে বিদ্রোহের শামিল।
বিশদ আলোচনার পরিবর্তে আমরা পাঠকদের সামনে এ বিষয়ে কুরআন মজীদের কিছু আয়াতের শুধু তরজমা পেশ করছি :
(তরজমা) এবং (সেই সময়কে) স্মরণ কর, যখন সে তার পুত্রকে উপদেশচ্ছলে বলেছিল, ওহে আমার বাছা! আল্লাহর সাথে শিরক করো না। নিশ্চিত জেন, শিরক চরম জুলুম। আমি মানুষকে তার পিতা-মাতা সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছি-(কেননা) তার মা কষ্টের পর কষ্ট সয়ে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’ বছরে-তুমি শুকর আদায় কর আমার এবং তোমার পিতা-মাতার। আমারই কাছে (তোমাদেরকে) ফিরে আসতে হবে।
তারা যদি এমন কাউকে (প্রভুত্বে) আমার সমকক্ষ সাব্যস্ত করার জন্য তোমাকে চাপ দেয়, যে সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে তাদের কথা মানবে না। তবে দুনিয়ায় তাদের সাথে সদ্ভাবে থাকবে। এমন ব্যক্তির পথ অবলম্বন করো, যে একান্তভাবে আমার অভিমুখী হয়েছে। অতপর তোমাদের সকলকেই আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে। তখন আমি তোমাদেরকে অবহিত করব তোমরা যা কিছু করতে। (সূরা লুকমান ( ৩১) : ১৩-১৫)
(তরজমা) হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাই যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরকে শ্রেষ্ঠ মনে করে, তবে তাদেরকে নিজেদের অভিভাবক বানিও না। যারা তাদেরকে অভিভাবক বানাবে তারা জালেম সাব্যস্ত হবে।
‘(হে নবী! মুসলিমদেরকে) বল, তোমাদের কাছে যদি আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং তাঁর পথে জিহাদ করা অপেক্ষা বেশি প্রিয় হয় তোমাদের পিতা, তোমাদের পুত্র, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের খান্দান, তোমাদের সেই সম্পদ, যা তোমরা অর্জন করেছ, তোমাদের সেই ব্যবসায়, যার মন্দা পড়ার আশঙ্কা কর এবং বসবাসের সেই ঘর, যা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর, যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ ফায়সালা প্রকাশ করেন। আল্লাহ অবাধ্যদেরকে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছান না। (সূরা তাওবা (৯) : ২৩-২৪)
(তরজমা) ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যদি আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমার পথে জিহাদের জন্য (ঘর থেকে) বের হয়ে থাক, তবে আমার শত্রু ও তোমাদের নিজেদের শত্রুকে এমন বন্ধু বানিও না যে, তাদের কাছে ভালবাসার বার্তা পৌঁছাতে শুরু করবে, অথচ তোমাদের কাছে যে সত্য এসেছে তারা তা এমনই প্রত্যাখ্যান করেছে যে, রাসূলকে এবং তোমাদেরকেও কেবল এই কারণে (মক্কা হতে) বের করে দিচ্ছে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছ।
বাকি অংশ নিচে , , , , , ,
Comment