মুসলিমদের অধঃপতনের জন্য কি হানাফি মাযহাব দায়ি অথবা মুসলিমদের অধঃপতনের জন্য কি আহলুল হাদিস দায়ি?? তবে কেন কোন আলিম তাগুতের বিরুদ্ধে বললেই তার ছিদ্রান্বেষ শুরু হয়ে যায়। ব্যাপারটি তখনই বেদনাদায়ক যখন আলিমরাই এই কাজ করে বেড়ায়। সে কোনো আমার মত হানাফি ফিক্বহ না, সে কোন আমার মত আহলুল হাদিস ফিক্বহ অনুসরণ করে না এ নিয়েই আলিমদের চিন্তার শেষ নেই। অথচ আলিম হিসেবে ওনাদের বুঝা উচিত ছিল যে উম্মাহর অধঃপতনের জন্য এগুলো মূল নিয়ামক না।
একজন আলিমের কোন বিষয়ে সীমাবদ্ধতা থাকবেই। কারণ, তিনি তার জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই তা প্রকাশ করেন, আল্লাহু আ’লাম। আমার দরকার নেই তিনি কোন ফিক্বহ অনুসরণ করেন সেটা জানার। এই হিসেবে যে, “দুধেল গাইয়ের লাথিও সহ্য করতে হয়।” দুধেল গাইয়ের রঙ আমার গায়ের রঙ এক কি না, এই নিয়ে আমার কোন সংকোচ নেই।
ইমাম আনওয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছিলেন,
“যখন সমগ্র কাফির মুনাফিকরা মুসলিমদের হত্যা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, তখন আমরা ব্যস্ত নামাযে হাত বাঁধবো কোথায় তা নিয়ে তর্কাতর্কিতে।”
আপনারা আলিমরা এখনো ফিক্বহের ব্যাপারে একমত হতে পারলেন না, ঐক্য গড়তে পারলেন না, ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারলেন না। আপনারা এমনই বিদ্বেষ নিজেদের মধ্যে রাখেন যেই বিদ্বেষটা রাখা উচিত ছিল কাফিরদের প্রতি। একজন কুফরী করলেও আমরা তাকে এতটা ঘৃণা করি না, যতটা না করি আমাদের মতের মাসায়ালার সাথে অন্যের মাসায়ালা না মিললেই। তাই আমি প্রথমে আল্লাহর কাছে তাদেরই কাঠগড়ায় দাড় করাবো যারা মুসলিমদেরকে তাগুত, আল-ওয়ালা ওয়াল-বারআ, জিহাদ এইসব ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার চেষ্টা না করে অন্যদের ফিক্বহী ত্রুটি বের করে সেটা প্রচার করতেই বেশি সময় ব্যয় করে। তবে যারা তাওহীদ, জিহাদ, খিলাফাহ বুঝায় তাদের লাথি খেতেও রাজি আছি। যারা নাম ধরে ধরে তাগুতকে চিনিয়ে দেয় তাদের দোষ-ত্রুটি তারা মাফ না চাইলেও মাফ করে দিতে রাজি আছি।
সবচেয়ে অবাক লাগে যে এত মুসলিম কুফরী করছে অথচ আলিমরা তাদের তাওবাহ করতে না বলে ভিন্ন মাসায়ালার পক্ষ অবলম্বনের কারণে, তার তাওবাহ কামনা করে। “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” মুসলিমরা সব কাফির হয়ে যাচ্ছে, ওয়াল্লাহি! মুসলিমরা সব কাফির হয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানরচিত আইন, জাতিসঙ্ঘের মত ইসলামের প্রকাশ্য শত্রুগুলোর সাথে মুসলিমরা মিশে যাচ্ছে কিন্তু আলিমদের এই ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাদের জানালেও তারা দুনিয়াবী কারণ দেখিয়ে পাশ কাটাতে চায় অথচ ভিন্ন মতের মুসলিমদের ছিদ্রান্বেষণে শ্রম ব্যয় করতে তাদের কোন ক্লান্তি নেই! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন আল্লাহ আমাদের হিদায়াত দান করুন , আমাদের হিফাজাত করুক।
একজন আলিমের কোন বিষয়ে সীমাবদ্ধতা থাকবেই। কারণ, তিনি তার জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই তা প্রকাশ করেন, আল্লাহু আ’লাম। আমার দরকার নেই তিনি কোন ফিক্বহ অনুসরণ করেন সেটা জানার। এই হিসেবে যে, “দুধেল গাইয়ের লাথিও সহ্য করতে হয়।” দুধেল গাইয়ের রঙ আমার গায়ের রঙ এক কি না, এই নিয়ে আমার কোন সংকোচ নেই।
ইমাম আনওয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছিলেন,
“যখন সমগ্র কাফির মুনাফিকরা মুসলিমদের হত্যা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, তখন আমরা ব্যস্ত নামাযে হাত বাঁধবো কোথায় তা নিয়ে তর্কাতর্কিতে।”
আপনারা আলিমরা এখনো ফিক্বহের ব্যাপারে একমত হতে পারলেন না, ঐক্য গড়তে পারলেন না, ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারলেন না। আপনারা এমনই বিদ্বেষ নিজেদের মধ্যে রাখেন যেই বিদ্বেষটা রাখা উচিত ছিল কাফিরদের প্রতি। একজন কুফরী করলেও আমরা তাকে এতটা ঘৃণা করি না, যতটা না করি আমাদের মতের মাসায়ালার সাথে অন্যের মাসায়ালা না মিললেই। তাই আমি প্রথমে আল্লাহর কাছে তাদেরই কাঠগড়ায় দাড় করাবো যারা মুসলিমদেরকে তাগুত, আল-ওয়ালা ওয়াল-বারআ, জিহাদ এইসব ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার চেষ্টা না করে অন্যদের ফিক্বহী ত্রুটি বের করে সেটা প্রচার করতেই বেশি সময় ব্যয় করে। তবে যারা তাওহীদ, জিহাদ, খিলাফাহ বুঝায় তাদের লাথি খেতেও রাজি আছি। যারা নাম ধরে ধরে তাগুতকে চিনিয়ে দেয় তাদের দোষ-ত্রুটি তারা মাফ না চাইলেও মাফ করে দিতে রাজি আছি।
সবচেয়ে অবাক লাগে যে এত মুসলিম কুফরী করছে অথচ আলিমরা তাদের তাওবাহ করতে না বলে ভিন্ন মাসায়ালার পক্ষ অবলম্বনের কারণে, তার তাওবাহ কামনা করে। “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” মুসলিমরা সব কাফির হয়ে যাচ্ছে, ওয়াল্লাহি! মুসলিমরা সব কাফির হয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানরচিত আইন, জাতিসঙ্ঘের মত ইসলামের প্রকাশ্য শত্রুগুলোর সাথে মুসলিমরা মিশে যাচ্ছে কিন্তু আলিমদের এই ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাদের জানালেও তারা দুনিয়াবী কারণ দেখিয়ে পাশ কাটাতে চায় অথচ ভিন্ন মতের মুসলিমদের ছিদ্রান্বেষণে শ্রম ব্যয় করতে তাদের কোন ক্লান্তি নেই! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন আল্লাহ আমাদের হিদায়াত দান করুন , আমাদের হিফাজাত করুক।
Comment