কারা তালেবান-আল-কায়েদার বিরোধিতা করে?
AQIS গঠনের পর থেকে আমি অনলাইনে-অফলাইনে আলকায়েদা সম্পর্কে সর্বস্তরের লোকের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম, তখন আমার সামনে আলকায়েদা নিয়ে চার ধরনের মনোভাব ধরা পড়ল। ইদানিং মুজাহিদদের চাপাতি অভিযানের পর এই মনোভাব আরো বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
১মঃ তাদের আলকায়েদা বিরোধিতার মুল কারণ হচ্ছে আমেরিকার ভয়। এদের ধারণা হল বর্তমানে আমেরিকা হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী শক্তিশালী রাষ্ট্র। আলকায়েদা যদি এই ভূখন্ডে থাকে তাহলে সুপার পাওয়ার(!) আমেরিকা এসে তাদেরকে গিলে ফেলবে। এই ধরনের ভীতু অন্তরের অধিকারীদের উদ্দেশ্যে কুরআনের এই আয়াত হাদিয়া। আল্লাহ বলেন, 'তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না অতঃপর দেখে না যে; তাদের 'পূর্ববর্তীদের পরিণাম' কি কি হয়েছে? তারা তাদেরচাইতে শক্তিশালী ছিল, তারা যমীন চাষ করত এবং তাদের চাইতে বেশী আবাদ করত।'[রূম:৯] এবার আপনারাই বলুনতো এই পৃথিবীতে কি অতীতে আমেরিকার চেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র অতিবাহিত হয় নি? আমাদের আল্লাহ কি তাদের ধ্বংস করেন নি? তাহলে কেনো আমেরিকাকে নিয়ে এত ভয়? এটা কি ওইআমেরিকা নয় যে ২০০১সালে পূর্ণ দম্ভসহকারে আফগানিস্তানে হামলা করেছিলো? আর আজ সে আফগানিস্তানে ছটফট করে বলতেছে আফগানিস্তান 'বহুত বুরী জাগাহ হ্যায়' এটা কি ওই আমেরিকা নয় যে জাওয়াহিরির ফোনের আওয়াজ শুনে ২২টি দেশের দুতাবাস ছেড়ে পালিয়েছিলো? এটা কি ওই আমেরিকা নয় যার প্রেসিডেন্ট অর্থাভাবে এশিয়া সফর বাতিল করেছেন? এটা কি ওই আমেরিকা নয় যে আজ is’র
মোকাবিলার জন্যে বিশ্বের দরবারে ফরিয়াদ করছে? আজ তারাই তো স্বীকার করছে শায়খ উসামা রাহ’র শাহাদতের পর আল-কায়েদা দুর্বল নয় বরং সবল হয়েছে। গত কয়দিনের পত্রিকাসমূহে এটাই এসেছে। অথচ এই আমেরিকাইতো ২০০৩ সালে সারাবিশ্বের মত উপেক্ষা করে একাই বৃটেনকে সাথে নিয়ে ইরাকে হামলা করেছিলো! আপনাদের আমেরিকাকে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানাচ্ছি, 'দুঃখিত আমেরিকা, তোমার পতন অতি সন্নিকটে ইন শা আল্লাহ!!'
২য়ঃ এরা এ কারণে আলকায়েদার বিরোধিতা করতেছে যাতে কুফফার আমেরিকাসহ বাকি তাগুতরা তাদের বন্ধু হয়ে যায়, তাদের বিশ্বাসআমেরিকা যদি তাদের বন্ধু হয়ে যায় তা হলে তাদের ক্ষমতা দৃঢ় হবে, বিভিন্ন বিপদ আপদে কাজে আসবে, এজন্য তারা জনগণের গাড়ী ভাংচুর করলে ক্ষতিপূরণ দেয় না আর আমেরিকার গাড়ীতে আচড় লাগলেই সাথে সাথে ক্ষমা প্রার্থনা করে ক্ষতিপূরণ দেয়, পরে আবার এই আমেরিকার কাছে হাত পাতে। তাদের অবস্থা দেখে কুরআন শরীফের এই আয়াত
স্মরণ হলো। আল্লাহ বলেন, 'যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দুর্বল, যদি তারা জানত।' [আনকাবুত:৪১] আসলে সত্যিই আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব মাকড়সার জালের মতো। আমেরিকা শুধু নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে পরে প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এদেরকে পচা ইদুরের মতো ফেলে দেয়। যেভাবে অতীতে ফেলে দিয়েছে ইরানের রেজা শাহ পাহলভি, ইরাকের সাদ্দাম আর পারভেজ মোশাররফকে। আর বর্তমানে ফেললো হামিদ কারজাঈ আর নুরি মালিকিকে। ডক্টর মুরসি যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন তিনি আমেরিকার সাথে বেশ ভাব নিয়েই চলেছিলেন, কিন্তু পরে যখন তিনি শরীয়াহের কথা বললেন তখন এই
মুরসিকেই আমেরিকা হটিয়ে সিসিকে বসিয়ে ইখওয়ানি ভাইদের উপর নির্যাতনের নরক চালালো!!!
৩য়ঃ এই দলের কথা হলো আলকায়েদা সঠিক দল মানি। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি তাদের সাথী হই তাহলে আমাদের বিপদ আসবে। তাদের এই অবস্থা দেখে কুরআন শরীফের এই আয়াতদ্বয় স্মরণ হলো। 'তারা বলে, যদি আমরা আপনার সাথে সুপথে আসি, তবে আমরা আমাদের দেশ থেকে উৎখাত হব। আমি কি তাদের জন্যে একটি নিরাপদ হরম প্রতিষ্ঠিত করি নি? এখানে সর্বপ্রকার ফল-মূল আমদানী হয় আমার দেয়া রিযিকস্বরূপ। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না। [কাসাস-৫৭]
'তাদের পশ্চাদ্ধাবনে শৈথিল্য করো না। 'যদি তোমরা আঘাত প্রাপ্ত, তবে তারাও তো তোমাদের মতই হয়েছে আঘাতপ্রাপ্ত এবং তোমরা আল্লাহর কাছে আশা কর, যা তারা আশা করে না। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।'[নিসা:১০৪]
৪র্থঃ এই দলের কথা হলো আমরা আলকায়েদাকে হক দল মানি এবং তাদের ঘোষণাকেও সমর্থন করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের সহযোগী হতে পারবো না। যদি তারা বিজয়ী হয় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে পাবে। তাদের জন্যে কুরআনের এই আয়াত। আল্লাহ বলেন, 'তোমাদের মধ্যে যে বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে, সে সমান নয়। এরূপ লোকদের মর্যাদা বড় তাদের অপেক্ষা, যার পরে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে। তবে আল্লাহ উভয়কে কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।' [হাদীদ[
এখন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো আমীরুল মুজাহিদীন হাকীমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আজ- জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহের বার্তা সম্বলিত যে বার্তাটি প্রকাশিত হয়েছে, ৫৫মিনিটের এই বার্তাটির নাম হচ্ছে 'তোমরা সবাই আল্লাহর রশিকে শক্ত করে ধরো'। [সূরা আলে ইমরান]
তাফসীরে ইবনে কাসীরে এসেছে যে, বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী আল্লাহর রশি দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে 'কুরআন শরীফ'। এই কুরআন-সুন্নাহের আলোকে আপনি তালেবান-আলকায়েদাকে চিনুন, কোনো কুফরিতন্ত্র আর তাগুতি মিডিয়ার প্রচারণায় নয়। এখানে যেসব আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো শুধু যে একেকটি আয়াত তা নয়
বরং একেকটি কষ্টিপাথর। এইসব কষ্টিপাথরের আলোকেই সিদ্ধান্ত নিন, 'আল্লাহর রশিকে ধরবেন না মাকড়সা জালে বাসা বাঁধবেন'।
AQIS গঠনের পর থেকে আমি অনলাইনে-অফলাইনে আলকায়েদা সম্পর্কে সর্বস্তরের লোকের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম, তখন আমার সামনে আলকায়েদা নিয়ে চার ধরনের মনোভাব ধরা পড়ল। ইদানিং মুজাহিদদের চাপাতি অভিযানের পর এই মনোভাব আরো বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
১মঃ তাদের আলকায়েদা বিরোধিতার মুল কারণ হচ্ছে আমেরিকার ভয়। এদের ধারণা হল বর্তমানে আমেরিকা হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী শক্তিশালী রাষ্ট্র। আলকায়েদা যদি এই ভূখন্ডে থাকে তাহলে সুপার পাওয়ার(!) আমেরিকা এসে তাদেরকে গিলে ফেলবে। এই ধরনের ভীতু অন্তরের অধিকারীদের উদ্দেশ্যে কুরআনের এই আয়াত হাদিয়া। আল্লাহ বলেন, 'তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না অতঃপর দেখে না যে; তাদের 'পূর্ববর্তীদের পরিণাম' কি কি হয়েছে? তারা তাদেরচাইতে শক্তিশালী ছিল, তারা যমীন চাষ করত এবং তাদের চাইতে বেশী আবাদ করত।'[রূম:৯] এবার আপনারাই বলুনতো এই পৃথিবীতে কি অতীতে আমেরিকার চেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র অতিবাহিত হয় নি? আমাদের আল্লাহ কি তাদের ধ্বংস করেন নি? তাহলে কেনো আমেরিকাকে নিয়ে এত ভয়? এটা কি ওইআমেরিকা নয় যে ২০০১সালে পূর্ণ দম্ভসহকারে আফগানিস্তানে হামলা করেছিলো? আর আজ সে আফগানিস্তানে ছটফট করে বলতেছে আফগানিস্তান 'বহুত বুরী জাগাহ হ্যায়' এটা কি ওই আমেরিকা নয় যে জাওয়াহিরির ফোনের আওয়াজ শুনে ২২টি দেশের দুতাবাস ছেড়ে পালিয়েছিলো? এটা কি ওই আমেরিকা নয় যার প্রেসিডেন্ট অর্থাভাবে এশিয়া সফর বাতিল করেছেন? এটা কি ওই আমেরিকা নয় যে আজ is’র
মোকাবিলার জন্যে বিশ্বের দরবারে ফরিয়াদ করছে? আজ তারাই তো স্বীকার করছে শায়খ উসামা রাহ’র শাহাদতের পর আল-কায়েদা দুর্বল নয় বরং সবল হয়েছে। গত কয়দিনের পত্রিকাসমূহে এটাই এসেছে। অথচ এই আমেরিকাইতো ২০০৩ সালে সারাবিশ্বের মত উপেক্ষা করে একাই বৃটেনকে সাথে নিয়ে ইরাকে হামলা করেছিলো! আপনাদের আমেরিকাকে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানাচ্ছি, 'দুঃখিত আমেরিকা, তোমার পতন অতি সন্নিকটে ইন শা আল্লাহ!!'
২য়ঃ এরা এ কারণে আলকায়েদার বিরোধিতা করতেছে যাতে কুফফার আমেরিকাসহ বাকি তাগুতরা তাদের বন্ধু হয়ে যায়, তাদের বিশ্বাসআমেরিকা যদি তাদের বন্ধু হয়ে যায় তা হলে তাদের ক্ষমতা দৃঢ় হবে, বিভিন্ন বিপদ আপদে কাজে আসবে, এজন্য তারা জনগণের গাড়ী ভাংচুর করলে ক্ষতিপূরণ দেয় না আর আমেরিকার গাড়ীতে আচড় লাগলেই সাথে সাথে ক্ষমা প্রার্থনা করে ক্ষতিপূরণ দেয়, পরে আবার এই আমেরিকার কাছে হাত পাতে। তাদের অবস্থা দেখে কুরআন শরীফের এই আয়াত
স্মরণ হলো। আল্লাহ বলেন, 'যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দুর্বল, যদি তারা জানত।' [আনকাবুত:৪১] আসলে সত্যিই আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব মাকড়সার জালের মতো। আমেরিকা শুধু নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে পরে প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এদেরকে পচা ইদুরের মতো ফেলে দেয়। যেভাবে অতীতে ফেলে দিয়েছে ইরানের রেজা শাহ পাহলভি, ইরাকের সাদ্দাম আর পারভেজ মোশাররফকে। আর বর্তমানে ফেললো হামিদ কারজাঈ আর নুরি মালিকিকে। ডক্টর মুরসি যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন তিনি আমেরিকার সাথে বেশ ভাব নিয়েই চলেছিলেন, কিন্তু পরে যখন তিনি শরীয়াহের কথা বললেন তখন এই
মুরসিকেই আমেরিকা হটিয়ে সিসিকে বসিয়ে ইখওয়ানি ভাইদের উপর নির্যাতনের নরক চালালো!!!
৩য়ঃ এই দলের কথা হলো আলকায়েদা সঠিক দল মানি। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি তাদের সাথী হই তাহলে আমাদের বিপদ আসবে। তাদের এই অবস্থা দেখে কুরআন শরীফের এই আয়াতদ্বয় স্মরণ হলো। 'তারা বলে, যদি আমরা আপনার সাথে সুপথে আসি, তবে আমরা আমাদের দেশ থেকে উৎখাত হব। আমি কি তাদের জন্যে একটি নিরাপদ হরম প্রতিষ্ঠিত করি নি? এখানে সর্বপ্রকার ফল-মূল আমদানী হয় আমার দেয়া রিযিকস্বরূপ। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না। [কাসাস-৫৭]
'তাদের পশ্চাদ্ধাবনে শৈথিল্য করো না। 'যদি তোমরা আঘাত প্রাপ্ত, তবে তারাও তো তোমাদের মতই হয়েছে আঘাতপ্রাপ্ত এবং তোমরা আল্লাহর কাছে আশা কর, যা তারা আশা করে না। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।'[নিসা:১০৪]
৪র্থঃ এই দলের কথা হলো আমরা আলকায়েদাকে হক দল মানি এবং তাদের ঘোষণাকেও সমর্থন করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের সহযোগী হতে পারবো না। যদি তারা বিজয়ী হয় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে পাবে। তাদের জন্যে কুরআনের এই আয়াত। আল্লাহ বলেন, 'তোমাদের মধ্যে যে বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে, সে সমান নয়। এরূপ লোকদের মর্যাদা বড় তাদের অপেক্ষা, যার পরে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে। তবে আল্লাহ উভয়কে কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।' [হাদীদ[
এখন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো আমীরুল মুজাহিদীন হাকীমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আজ- জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহের বার্তা সম্বলিত যে বার্তাটি প্রকাশিত হয়েছে, ৫৫মিনিটের এই বার্তাটির নাম হচ্ছে 'তোমরা সবাই আল্লাহর রশিকে শক্ত করে ধরো'। [সূরা আলে ইমরান]
তাফসীরে ইবনে কাসীরে এসেছে যে, বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী আল্লাহর রশি দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে 'কুরআন শরীফ'। এই কুরআন-সুন্নাহের আলোকে আপনি তালেবান-আলকায়েদাকে চিনুন, কোনো কুফরিতন্ত্র আর তাগুতি মিডিয়ার প্রচারণায় নয়। এখানে যেসব আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো শুধু যে একেকটি আয়াত তা নয়
বরং একেকটি কষ্টিপাথর। এইসব কষ্টিপাথরের আলোকেই সিদ্ধান্ত নিন, 'আল্লাহর রশিকে ধরবেন না মাকড়সা জালে বাসা বাঁধবেন'।
Comment