মডারেট, সেমি মডারেট, মোল্লা ব্র্যাডলি, সউদিপন্থী সালাফি, মাদখালি, কট্টর মাযহাবী, পীরপন্থী অন্ধ মুকাল্লিদ, গোড়া তাবলীগপন্থী এদের প্রতি মন থেকে অভিযোগ রাখাটা এক হিসাবে অযৌক্তিক এবং এতে আসলে কোন ফায়দাও নেই, এদের কাছে খুব একটা আশা করারও নেই। এদের কাছে দ্বীন এর প্রকৃত বুঝকে খুলে খুলে উপস্থাপন করা অত্যন্ত জরুরী দায়িত্ব, নতুবা দাওয়াহর ক্ষেত্রকে উপেক্ষা করা হবে। হয়ত বা এদের থেকেই বের হবে উম্মাহর পরবর্তী সিংহ। আর এদের মধ্যে থেকে যারা তাচ্ছিল্য ও ঘৃনা ভরে সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদেরকে সময়ের দাবি অনুযায়ী ইলম ও হিকমাহ দ্বারা খন্ডন করাও দাওয়াহর একাংশ।
.**
প্রকৃত অভিযোগ তো ঐসব নামধারী মানহাযের বুঝদারদের প্রতি যারা অতিজ্ঞানের অগ্নিমান্দ্যে এই মানহাযেরই আমল করা ভুলে গেছে। যারা আল-ক্বায়িদার মানহাযকে এতই বেশি বুঝে ফেলেছেন যে বুঝের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে উস্তাদ আসিম উমার এমনকি শায়খুল মুজাহিদ আইমান এর বুঝকেও (হাফিযাহুমুল্লাহ)। নিজেদের হীনতা ও অক্ষমতা ঢাকতে মা’লুমিয়াতের যথেচ্ছ অপব্যবহার আর স্বীয় অবস্থানের নাহক্ব ফায়দা নেয়ার মাধ্যমে তারা যে নিজেরাই গোমরাহ হয়েছেন তাই না, বরং বিশাল একটা অনুসারী মহল তৈরি করে সামষ্টিক ভাবে যুবসমাজকে জিহাদ বিমুখ করে রাখার প্রয়াস পেয়েছেন। এযেন ঐ কথারই প্রতিফলন, “তোমরা বের হয়ো না, বাইরে তো প্রচন্ড গরম!”
.
এমনকি তাদের অসতর্ক জবান ও লেখনি থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে হক্বের পথের সৈনিকগন মযলুম হয়েছেন। অদ্ভুত অদ্ভুত সব চিন্তা, অবাস্তব থিওরি আর উর্বর মস্তিষ্কের কিছু কল্পকাহিনী দ্বারা মানহাযকে এমন এক আজব পোষাক পরিয়ে দিয়েছেন যে সরলমনা অনেকেই এদের শিকার হয়ে ঘরে বসে থাকা দলের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।
.
ভাই, আপনি যখন আপনার অফিসে মহিলা সহকর্মীর সাথে কথার ফাকে ফেসবুকে কিছু জিহাদ সংক্রান্ত জ্ঞান বিপননে মত্ত তখন হক্বের পথের পথিকরা আধাপেটা খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। আপনি যখন কফির মগ থেকে মুখ টা নামিয়ে দেখে নিচ্ছেন আপনার ফলোয়ার এর উর্ধ্বগতি আর আত্মতৃপ্তির লম্বা ঢেকুর তুলছেন, খবর নিয়ে দেখেন আরেকটা শাতিম যেন চলে গেল। আপনি যখন দেশে বিদেশে নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাব করছেন আর ফাকে ফাকে ভাবছেন যে জীবনে সুযোগ পেলে কোন এক সময় এই ল্যাবের জ্ঞানকে জিহাদে লাগাবেন হয়ত, তখন পুরুষ সিংহরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাগুতের ঘুম নষ্ট করতে। আপনার কি মনে হয় যে এই ভাইদের সক্ষমতা ছিল না আপনার মত দামী সার্টিফিকেট নেয়ার বা দামী চাকরি করার বা দামী গাড়ী চালানোর বা দামী ফ্ল্যাটে মৌজ করার? আলবত ছিল, বরং তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সব দিক থেকে আপনার চেয়ে অগ্রগামী ছিল। কিন্ত এরা তো মা-বাবা, বিবি-সন্তান, লেখাপড়া, ব্যবসা-চাকরি সব ছেড়ে এগুলোর চেয়ে অনেক দামী এক বস্তুকে পছন্দ করেছেন। আর এর মাধ্যমেই আল্লাহ এদেরকে সম্মানিত করছেন, যে সম্মানের ছিটেফোটা হয়ত আপনার গায়েও এসে লেগেছে আর আপনি চিন্তা করছেন কি করে ঘরে বসে থেকেও এসব কৃতিত্বের সম্পূর্নটাই ভোগ দখল করা যায়!
.
যারা আপনার চেয়ে কুরবানিতে লক্ষ গুনে উত্তম, ইলমের কোন মাকামেই যাদের ধারে কাছেও আপনি বিবেচ্য নন, যারা আপনার আরাম আয়েশের জিন্দেগি আর ঘরকন্না করার বিপরীতে নিজেদের রক্ত-ঘাম দিয়ে ফরযিয়্যাতের ইট গুলোকে জুড়ে দ্বীনের ইমারত প্রতিষ্ঠা করছেন; এদের ব্যাপারে অসংলগ্ন কথা বলতে ভাই আপনার ভয় করা উচিত। আপনি নিজেকে মানহাযের দাবিদার বলছেন কিন্ত মানহাযের কর্মীদের প্রতি কারো বিষেদাগার প্রকাশ পেলে আপনার নিরবতাই যে সবচে অদ্ভুত! মানহাযের প্রতি আঘাত এলে হক্ব আর বাতিলের মাঝে কোন সে নিরাপদ স্থান খুজে নেন আপনি যাতে কারো নজরেই খারাপ হতে না হয়? আপনার জন্যে তো এটাই সমীচিন ছিল যে নিজের দূর্বলতা ও অক্ষমতার কারনে ছোট হয়ে, নম্র হয়ে নিজেকে আল্লাহর সমীপে উপস্থাপন করবেন; উলটো আপনি লেগে গেলেন চিৎকার-উস্ফলনে! হাজার হাজার বার বললেও আপনার ঐ নাহক্ব চিন্তা তো হক্ব হয়ে যাবে না, সূর্যের আলোকেও যেমন ঢাকতে পারে না চামচিকার ডানা। আল্লাহর কাছে শয়তানের বিরুদ্ধে সামর্থ্য চান যে শয়তান আপনার চোখের সামনে কুকর্মগুলোকে সুশোভিত করে দিয়েছে। প্রচন্ড পরিমান কিতাবী ইলম আর দ্বীনের তাফাক্কুহ এক জিনিস না। সূরা তাওবায় এসেছে, “তারা পেছনে পড়ে থাকা লোকদের সাথে থেকে যেতে পেরে আনন্দিত হয়েছে এবং মোহর এঁটে দেয়া হয়েছে তাদের অন্তরসমূহের উপর। বস্তুতঃ তারা বোঝে না।”
.
এই পেছনে পড়নেওয়ালাদের অবস্থা আল্লাহ এমন করে দিয়েছেন যে এদের মধ্যে কোন বুঝ নেই, নেই কোন ফিকহ। এরা আলেম তো নয়ই বরং এমন মূর্খ যাদের অন্তর তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। কি করে এই তালা খুলতে পারে যদি না তারা আল্লাহর কাছে এর দুয়া না করে? কি করে মুসলিমের উপর কৃত যুলমের প্রতিবিধান হতে পারে যদি না তারা হক্কুল ইবাদ নষ্টের মাফি বান্দার কাছ থেকেই না নিয়ে নেয়? জিহাদ যদি ফারদুল আইন হয়, তবে তা ঐ মুজাহিদের জন্যেও যেমন আপনার জন্যেও একই রকম। আল্লাহর বিধান আপনার জনপ্রিয়তা বা লাইকের পরিমানের উপর নির্ভরশীল না। তবে শুধু এক পক্ষই কাজ করে যাবে আর এক পক্ষ বিনা শ্রমে সুফল ভোগ করেই যাবে উল্টো কর্মীদলকে ছোট করবে; এটা কোন ইনসাফের কাতারেই পড়ে না। এবং এমন যুলম ঠেকানাও মুসলিমের দায়িত্ব, এটাও হিসবাহর অন্তর্ভুক্ত।
- সংগৃহীত।
.**
প্রকৃত অভিযোগ তো ঐসব নামধারী মানহাযের বুঝদারদের প্রতি যারা অতিজ্ঞানের অগ্নিমান্দ্যে এই মানহাযেরই আমল করা ভুলে গেছে। যারা আল-ক্বায়িদার মানহাযকে এতই বেশি বুঝে ফেলেছেন যে বুঝের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে উস্তাদ আসিম উমার এমনকি শায়খুল মুজাহিদ আইমান এর বুঝকেও (হাফিযাহুমুল্লাহ)। নিজেদের হীনতা ও অক্ষমতা ঢাকতে মা’লুমিয়াতের যথেচ্ছ অপব্যবহার আর স্বীয় অবস্থানের নাহক্ব ফায়দা নেয়ার মাধ্যমে তারা যে নিজেরাই গোমরাহ হয়েছেন তাই না, বরং বিশাল একটা অনুসারী মহল তৈরি করে সামষ্টিক ভাবে যুবসমাজকে জিহাদ বিমুখ করে রাখার প্রয়াস পেয়েছেন। এযেন ঐ কথারই প্রতিফলন, “তোমরা বের হয়ো না, বাইরে তো প্রচন্ড গরম!”
.
এমনকি তাদের অসতর্ক জবান ও লেখনি থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে হক্বের পথের সৈনিকগন মযলুম হয়েছেন। অদ্ভুত অদ্ভুত সব চিন্তা, অবাস্তব থিওরি আর উর্বর মস্তিষ্কের কিছু কল্পকাহিনী দ্বারা মানহাযকে এমন এক আজব পোষাক পরিয়ে দিয়েছেন যে সরলমনা অনেকেই এদের শিকার হয়ে ঘরে বসে থাকা দলের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।
.
ভাই, আপনি যখন আপনার অফিসে মহিলা সহকর্মীর সাথে কথার ফাকে ফেসবুকে কিছু জিহাদ সংক্রান্ত জ্ঞান বিপননে মত্ত তখন হক্বের পথের পথিকরা আধাপেটা খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। আপনি যখন কফির মগ থেকে মুখ টা নামিয়ে দেখে নিচ্ছেন আপনার ফলোয়ার এর উর্ধ্বগতি আর আত্মতৃপ্তির লম্বা ঢেকুর তুলছেন, খবর নিয়ে দেখেন আরেকটা শাতিম যেন চলে গেল। আপনি যখন দেশে বিদেশে নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাব করছেন আর ফাকে ফাকে ভাবছেন যে জীবনে সুযোগ পেলে কোন এক সময় এই ল্যাবের জ্ঞানকে জিহাদে লাগাবেন হয়ত, তখন পুরুষ সিংহরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাগুতের ঘুম নষ্ট করতে। আপনার কি মনে হয় যে এই ভাইদের সক্ষমতা ছিল না আপনার মত দামী সার্টিফিকেট নেয়ার বা দামী চাকরি করার বা দামী গাড়ী চালানোর বা দামী ফ্ল্যাটে মৌজ করার? আলবত ছিল, বরং তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সব দিক থেকে আপনার চেয়ে অগ্রগামী ছিল। কিন্ত এরা তো মা-বাবা, বিবি-সন্তান, লেখাপড়া, ব্যবসা-চাকরি সব ছেড়ে এগুলোর চেয়ে অনেক দামী এক বস্তুকে পছন্দ করেছেন। আর এর মাধ্যমেই আল্লাহ এদেরকে সম্মানিত করছেন, যে সম্মানের ছিটেফোটা হয়ত আপনার গায়েও এসে লেগেছে আর আপনি চিন্তা করছেন কি করে ঘরে বসে থেকেও এসব কৃতিত্বের সম্পূর্নটাই ভোগ দখল করা যায়!
.
যারা আপনার চেয়ে কুরবানিতে লক্ষ গুনে উত্তম, ইলমের কোন মাকামেই যাদের ধারে কাছেও আপনি বিবেচ্য নন, যারা আপনার আরাম আয়েশের জিন্দেগি আর ঘরকন্না করার বিপরীতে নিজেদের রক্ত-ঘাম দিয়ে ফরযিয়্যাতের ইট গুলোকে জুড়ে দ্বীনের ইমারত প্রতিষ্ঠা করছেন; এদের ব্যাপারে অসংলগ্ন কথা বলতে ভাই আপনার ভয় করা উচিত। আপনি নিজেকে মানহাযের দাবিদার বলছেন কিন্ত মানহাযের কর্মীদের প্রতি কারো বিষেদাগার প্রকাশ পেলে আপনার নিরবতাই যে সবচে অদ্ভুত! মানহাযের প্রতি আঘাত এলে হক্ব আর বাতিলের মাঝে কোন সে নিরাপদ স্থান খুজে নেন আপনি যাতে কারো নজরেই খারাপ হতে না হয়? আপনার জন্যে তো এটাই সমীচিন ছিল যে নিজের দূর্বলতা ও অক্ষমতার কারনে ছোট হয়ে, নম্র হয়ে নিজেকে আল্লাহর সমীপে উপস্থাপন করবেন; উলটো আপনি লেগে গেলেন চিৎকার-উস্ফলনে! হাজার হাজার বার বললেও আপনার ঐ নাহক্ব চিন্তা তো হক্ব হয়ে যাবে না, সূর্যের আলোকেও যেমন ঢাকতে পারে না চামচিকার ডানা। আল্লাহর কাছে শয়তানের বিরুদ্ধে সামর্থ্য চান যে শয়তান আপনার চোখের সামনে কুকর্মগুলোকে সুশোভিত করে দিয়েছে। প্রচন্ড পরিমান কিতাবী ইলম আর দ্বীনের তাফাক্কুহ এক জিনিস না। সূরা তাওবায় এসেছে, “তারা পেছনে পড়ে থাকা লোকদের সাথে থেকে যেতে পেরে আনন্দিত হয়েছে এবং মোহর এঁটে দেয়া হয়েছে তাদের অন্তরসমূহের উপর। বস্তুতঃ তারা বোঝে না।”
.
এই পেছনে পড়নেওয়ালাদের অবস্থা আল্লাহ এমন করে দিয়েছেন যে এদের মধ্যে কোন বুঝ নেই, নেই কোন ফিকহ। এরা আলেম তো নয়ই বরং এমন মূর্খ যাদের অন্তর তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। কি করে এই তালা খুলতে পারে যদি না তারা আল্লাহর কাছে এর দুয়া না করে? কি করে মুসলিমের উপর কৃত যুলমের প্রতিবিধান হতে পারে যদি না তারা হক্কুল ইবাদ নষ্টের মাফি বান্দার কাছ থেকেই না নিয়ে নেয়? জিহাদ যদি ফারদুল আইন হয়, তবে তা ঐ মুজাহিদের জন্যেও যেমন আপনার জন্যেও একই রকম। আল্লাহর বিধান আপনার জনপ্রিয়তা বা লাইকের পরিমানের উপর নির্ভরশীল না। তবে শুধু এক পক্ষই কাজ করে যাবে আর এক পক্ষ বিনা শ্রমে সুফল ভোগ করেই যাবে উল্টো কর্মীদলকে ছোট করবে; এটা কোন ইনসাফের কাতারেই পড়ে না। এবং এমন যুলম ঠেকানাও মুসলিমের দায়িত্ব, এটাও হিসবাহর অন্তর্ভুক্ত।
- সংগৃহীত।
Comment