অনলাইনে ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ বইটির তথ্যগত ভুল আলোচনা করায় অনেক ভাইই বলেছেন এবিষয়ে কথা না বলার জন্য। ঐক্যের খাতিরে চুপ থাকার দাবী জানিয়েছেন। ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু দুনিয়া ছেড়ে যাওয়া এই জনপ্রিয় আলিমের তিরোধানের পর এই বইটি এবং একটি ভিডিও (যেটির ভিউ অর্ধলক্ষাধিক, যেখানে তিনি বলেছেন,"গণতন্ত্রের সাথে ইসলামের মিল-অমিল রয়েছে", "শাতিমের রাসুল(সা)কে হত্যার বিধান কুর'আন-হাদিসে নেই") ব্যাপক হারে ছড়িয়ে যাওয়ায় চুপ থাকা কঠিন হয়ে পরে। আল্লাহু আ'লাম! এই নিরবতা আমাদের জিহাদ ও দাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে ভেবেই নিম্নোক্ত লেখাটি লেখা। ইলম গ্রহণের ব্যাপারে আমাদের মানহাজ ও আলিমদের ব্যাপারে আমাদের মূল্যায়ন কেমন তা তুলে ধরাই ছিল নিম্নোক্ত পোস্টের উদ্দেশ্য।
শুরুতেই আমাদের ইলমের উৎস কী এবং আমাদের অনুসরণীয় আলিম কারা তা স্মরণ করিয়ে দিতে এপ্রসঙ্গে জাবহাত আন নুসরার শার'ঈ শায়খ সামি আল উরাইদি (হাফিজাহুল্লাহ)'র বক্তব্য সরাসরি তুলে ধরছি,
অতঃপর,
১/ ১৯৯৯ সালের মে মাসেই সালাফি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, লক্ষ-কোটি মুসলমানের অনুসরণীয় আলিম শায়খ ইবনে বাজ মৃত্যুবরণ করেন।
জাজিরাতুল আরবে মার্কিনদের উপস্থিতির বৈধতা দানকারী , OSLO Accord এর মত জঘন্য চুক্তিকে হুদায়বিয়ার সন্ধির সাথে তুলনাকারী শায়খ ইবনে বাজের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিটি ছিল শায়খ উসামা বিন লাদিন (রহ) সর্বপ্রথম প্রকাশ্য বিবৃতি।
শায়খ উসামা (রহ)'র এমন "ঐক্য বিনষ্টকারী চিঠি" প্রকাশিত হওয়ার পর শায়খ ইবনে বাজ বলেন,
উম্মতের খেদমত সাধনে গোটা জীবন পার করে দেয়া একজন আলেমের উদ্দেশ্যে লেখা শায়খ উসামা (রহ)'র চিঠির শিরোনামটি লক্ষ্য করুন - Open Letter to Shaykh Bin Baz on the Invalidity of his Fatwa on Peace with the Jews.
২/ শায়খ আবু ফিরাস আস সুরি (রাহিমাহুল্লাহ) আল রিসালাহ (ইস্যু ২) ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ছবি দুটি দেখুন।
দা'ঈদের উনার মত সরাসরি হওয়াটাই কাম্য। স্পষ্ট বিষয় স্পষ্ট করাই উচিৎ। যে বিষয়ে কোনো আলিমের বিতর্কিত মত রয়েছে সেই বিষয় বাদ দিয়ে উক্ত আলিমের উপকারী ইলম গ্রহণে বাধা আছে এমনটা কেউই বলছে না।
যা বলা হয়েছে, যা করা হয়েছে সেটা উল্লেখ করার মাঝেও যদি বাধা থাকে তাহলে সেটা কেমন দাওয়াহ হলো? একেমন আলিমের এনডোর্সমেন্ট হচ্ছে যার বইয়ের লাইন তুলে দিলে আপনারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন? আশা করি বিষয়গুলো অস্পষ্ট থাকবে না আর।
আলিমদের গ্রিন সিগনাল না থাকলে শায়খ হামুদ বিন উক্কলা (রহ), শায়খ ইউসুফ আল উয়াইরি(রহ)'র মত আলিমকে হত্যার গ্রহণযোগ্যতা আদায় কঠিন ছিল বৈ কি! বলতে গেলে সৌদি তাগুতের জন্য একপ্রকার অসম্ভব ছিল ফারিস আজ জাহরানি (রহ), নাসির আল ফাহাদ কিংবা সুলাইমান আল উলওয়ানসহ সহস্রাধিক আলিমদের বন্দী/হত্যা করা(আল্লাহু আ'লাম)। তাগুতের কঠিন থেকে কঠিনতর কাজগুলো সহজ থেকে সহজতর করে যাচ্ছে একশ্রেণীর 'আলিম' এটা সূর্যালোকের মতই পরিষ্কার। এটা আজ গোপন কোনো বিষয় নয়।
ওয়াল্লাহি! কারো প্রতি নিন্দা প্রকাশ করা বা কারো মৃত্যুতে আনন্দিত হওয়ার আহ্বান আমি করছি না কিংবা আমি নিজেও তা করছি না বা হচ্ছি না। এবং খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেবের নামের সাথে কোনো বিশেষণও আমি আগে-পরে যোগ করিনি। উনার কিতাবের বিভ্রান্তি যা গণহারে ছড়িয়ে যাচ্ছে সেগুলোর অপনোদন কি মুসলমান সমাজের ইহলৌকিক-পরলৌকিক কল্যাণ এবং নিহত লেখকের পরলৌকিক কল্যাণ বয়ে আনবে না?
আমার উদ্দেশ্য তো শুধু এটুকুই যে, এমন ইলমের প্রচার যেন না হয় যে ইলম মুসলিম নারীপুরুষের জান-মাল-ইজ্জতের উপর হামলার বৈধতা দিয়ে দেয়।
নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহ্* তা'আলার দিকেই ফিরে যাব।
আল্লাহ্* তা'আলা যেন আমাদের মাফ করেন। আমীন।
শুরুতেই আমাদের ইলমের উৎস কী এবং আমাদের অনুসরণীয় আলিম কারা তা স্মরণ করিয়ে দিতে এপ্রসঙ্গে জাবহাত আন নুসরার শার'ঈ শায়খ সামি আল উরাইদি (হাফিজাহুল্লাহ)'র বক্তব্য সরাসরি তুলে ধরছি,
"আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ'র উত্তরসূরি।। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ'র ইলমের উৎসই আমাদের ইলমের উৎস। আমরা কুর'আন ও সুন্নাহ থেকে ইলম নিয়ে থাকি এবং তা আমরা সেভাবেই বুঝে থাকি যেভাবে বুঝেছেন সাহাবি, তাবিই, তাবি-তাবিইনগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত আসতে থাকা তাদের অনুসারীগণ।
এক্ষেত্রে আমাদের ইলমের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে আল-মাজহাবাতুল আরবা'আ তথা চার মাজহাব। এবং অন্যান্য মনীষীগণ, যেমন - ইমাম আবদুল্লাহ বিন মুবারাক (রহ), ইমাম আওজা'ই (রহ), ইমাম ইজ্জ ইবনু আব্দ-আস সালাম (রহ), ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) প্রমুখ।
এবং সমসাময়িকদের মধ্য থেকে যাদের থেকে আমরা ইলম নিয়ে থাকি তাদের মধ্যে আছেন, শায়খ আবদুল্লাহ আজ্জাম (রহ), শায়খ হামুদ বিন উক্কলা আশ শুয়াইবি (রহ), শায়খ উমার আব্দুর রাহমান (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) প্রমুখ।"
- শায়খ সামি আল উরাইদি (হাফিজাহুল্লাহ)
এক্ষেত্রে আমাদের ইলমের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে আল-মাজহাবাতুল আরবা'আ তথা চার মাজহাব। এবং অন্যান্য মনীষীগণ, যেমন - ইমাম আবদুল্লাহ বিন মুবারাক (রহ), ইমাম আওজা'ই (রহ), ইমাম ইজ্জ ইবনু আব্দ-আস সালাম (রহ), ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) প্রমুখ।
এবং সমসাময়িকদের মধ্য থেকে যাদের থেকে আমরা ইলম নিয়ে থাকি তাদের মধ্যে আছেন, শায়খ আবদুল্লাহ আজ্জাম (রহ), শায়খ হামুদ বিন উক্কলা আশ শুয়াইবি (রহ), শায়খ উমার আব্দুর রাহমান (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) প্রমুখ।"
- শায়খ সামি আল উরাইদি (হাফিজাহুল্লাহ)
১/ ১৯৯৯ সালের মে মাসেই সালাফি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, লক্ষ-কোটি মুসলমানের অনুসরণীয় আলিম শায়খ ইবনে বাজ মৃত্যুবরণ করেন।
জাজিরাতুল আরবে মার্কিনদের উপস্থিতির বৈধতা দানকারী , OSLO Accord এর মত জঘন্য চুক্তিকে হুদায়বিয়ার সন্ধির সাথে তুলনাকারী শায়খ ইবনে বাজের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিটি ছিল শায়খ উসামা বিন লাদিন (রহ) সর্বপ্রথম প্রকাশ্য বিবৃতি।
শায়খ উসামা (রহ)'র এমন "ঐক্য বিনষ্টকারী চিঠি" প্রকাশিত হওয়ার পর শায়খ ইবনে বাজ বলেন,
"এই ব্যাক্তিকে সাহায্য করা হারাম। এবং তাদের প্রকাশনাগুলো ধ্বংস করা আবশ্যক। তাদের প্রতি নমনীয় হওয়াও জায়েজ নেই।"
শায়খ ইবনে বাজের সম্পূর্ণ বিবৃতি -
উম্মতের খেদমত সাধনে গোটা জীবন পার করে দেয়া একজন আলেমের উদ্দেশ্যে লেখা শায়খ উসামা (রহ)'র চিঠির শিরোনামটি লক্ষ্য করুন - Open Letter to Shaykh Bin Baz on the Invalidity of his Fatwa on Peace with the Jews.
২/ শায়খ আবু ফিরাস আস সুরি (রাহিমাহুল্লাহ) আল রিসালাহ (ইস্যু ২) ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ছবি দুটি দেখুন।
দা'ঈদের উনার মত সরাসরি হওয়াটাই কাম্য। স্পষ্ট বিষয় স্পষ্ট করাই উচিৎ। যে বিষয়ে কোনো আলিমের বিতর্কিত মত রয়েছে সেই বিষয় বাদ দিয়ে উক্ত আলিমের উপকারী ইলম গ্রহণে বাধা আছে এমনটা কেউই বলছে না।
যা বলা হয়েছে, যা করা হয়েছে সেটা উল্লেখ করার মাঝেও যদি বাধা থাকে তাহলে সেটা কেমন দাওয়াহ হলো? একেমন আলিমের এনডোর্সমেন্ট হচ্ছে যার বইয়ের লাইন তুলে দিলে আপনারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন? আশা করি বিষয়গুলো অস্পষ্ট থাকবে না আর।
আলিমদের গ্রিন সিগনাল না থাকলে শায়খ হামুদ বিন উক্কলা (রহ), শায়খ ইউসুফ আল উয়াইরি(রহ)'র মত আলিমকে হত্যার গ্রহণযোগ্যতা আদায় কঠিন ছিল বৈ কি! বলতে গেলে সৌদি তাগুতের জন্য একপ্রকার অসম্ভব ছিল ফারিস আজ জাহরানি (রহ), নাসির আল ফাহাদ কিংবা সুলাইমান আল উলওয়ানসহ সহস্রাধিক আলিমদের বন্দী/হত্যা করা(আল্লাহু আ'লাম)। তাগুতের কঠিন থেকে কঠিনতর কাজগুলো সহজ থেকে সহজতর করে যাচ্ছে একশ্রেণীর 'আলিম' এটা সূর্যালোকের মতই পরিষ্কার। এটা আজ গোপন কোনো বিষয় নয়।
ওয়াল্লাহি! কারো প্রতি নিন্দা প্রকাশ করা বা কারো মৃত্যুতে আনন্দিত হওয়ার আহ্বান আমি করছি না কিংবা আমি নিজেও তা করছি না বা হচ্ছি না। এবং খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেবের নামের সাথে কোনো বিশেষণও আমি আগে-পরে যোগ করিনি। উনার কিতাবের বিভ্রান্তি যা গণহারে ছড়িয়ে যাচ্ছে সেগুলোর অপনোদন কি মুসলমান সমাজের ইহলৌকিক-পরলৌকিক কল্যাণ এবং নিহত লেখকের পরলৌকিক কল্যাণ বয়ে আনবে না?
আমার উদ্দেশ্য তো শুধু এটুকুই যে, এমন ইলমের প্রচার যেন না হয় যে ইলম মুসলিম নারীপুরুষের জান-মাল-ইজ্জতের উপর হামলার বৈধতা দিয়ে দেয়।
নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহ্* তা'আলার দিকেই ফিরে যাব।
আল্লাহ্* তা'আলা যেন আমাদের মাফ করেন। আমীন।
Comment