আল কায়েদা কি আসলেই শরীয়াহ কায়েমে অক্ষম?
আস সালামু ‘আলাইকুম,
আমাদের অনেক জিহাদ প্রেমী ভাইয়ের মনের কোনে হয়ত এমন ধারনা আছে, বা সন্দেহ পোষন করেন যে, আল কায়েদাহ কি পারবে আল্লাহর জমীনে দ্বীন কায়েম, শরীয়াহ কায়েম করতে? যেহেতু তারা সালাফি ঘেষা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে তারা এখন পর্যন্ত ইতিহাসে তেমন নজির দেখাতে পারেন নি... তবে এর মাঝে একটা কথা বলে রাখা ভাল যে, ঐসব ভাইদের অধিকাংশই শরীয়াহ কায়েম বলতে হুদুদ কায়েম বুঝে থাকেন তাই তাদেরই একটা দল যখন দেখলো দাউলাতুল খারেজী হুদুদু কায়েমের নামে শরীয়াহ কায়েম করছে তখন তারা তাদের এই বিষয় গুলো এইচ ডি ভিডিও তে দেখে সাত পাচ না ভেবে তাদেরকে সমর্থন, সাহায্য, বায়াহ দেয়া শুরু করলো... সুবহানাল্লাহ... এবং বক্রভাবে এই কথাও বলা শুরু করলো আল কায়েদা এবং তালেবানরা না কি রাষ্ট্র চালাতে সক্ষম নয়?
এই ব্যাপারে আমার নিচের কিছু পর্যালোচনা তুলে ধরলাম যা মোটেও ভুল ক্রুটির উর্ধ্বে নয়...
১। দূর ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, খুলাফায়ে রাশেদা ছাড়া পরবর্তী সময়ে যত খলিফা এসেছেন অল্প কয়েকজন ছাড়া তাদের প্রায় সবাই বিভিন্ন ধরনের আক্বিদাহ গত ভ্রান্তি ধারন করতেন যা একদম শেষ দিকে মানে উসমানী খেলাফতের সময়ে এসে প্রকট আকার ধারন করে। এই কারনে অনেকে ভুল ক্রমে সেসব ভ্রান্ত আক্বিদাহ গুলোকে রাস্ট্র বা, শরীয়াহ কায়েমের অধিক যোগ্য মনে করে ফেলছেন। হয়ত বিষয়টা এমনই। না হলে কেন খুলাফায়ে রাশেদার যুগ হবে মাত্র ৩০ বছর +/- আর বংশীয় শাসন গুলো থাকবে হাজার বছর।
২। আল কায়েদাকে এই রাষ্ট্র কায়েম করতে না পারার দোষে কিছু দিন আগে শায়েখ আবু বাসির তারতৌসী হাঃ দোষী সাব্যস্ত করেন। তখন শামের আল কায়দার প্রধান সামরিক কমান্ডার, শায়েখ আবু ফিরাস আস সুরী হাঃ , যিনি শায়েখ উসামা বিন লাদেনের দীর্ঘ দিনের সহচর ছিলেন, বলেন – আমরা এখন বর্তমান সময়ের কুফরের প্রধান আমেরিকার সাথে লড়াই করছি এমন অবস্থায় তাদেরকে ধ্বংস না করে আমরা কোন ইমারত গঠন করতে পারবো না বা, চেষ্টা ও করছি না কারণ যদি তা করা হয় তবে তা সাধারন বুদ্ধি পরিপন্থি হবে। তাই যে বিষয় আমরা আমাদের ইজতিহাদের কারণে গড়ার চেষ্টা করিনি তা আমরা করতে পারিনি সেটা কিভাবে বলা যাবে?
৩। মালীতে যখন ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, তখন AQAP এর আমির শায়েখ নাসির আল উহাইশী রঃ একটা বার্তা দিয়েছিলেন AQIM এর আমির শায়েখ আবু মুস’আব আব্দুল ওয়াদুদ হাঃ কে এই ব্যাপারে সতর্ক করে যে, আপনি এখনি কোন ইমারত গঠন করতে যাবেন না যখন আমেরিকাকে আমরা এখন পরাভূত করতে যাই নি।
৪। একই ভাবে শায়েখুল মুজাহিদ ওসামা বিন লাদেন রঃ আদনে আবিয়ানে যখন ইমারত গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয় তখন তিনি ও তখন AQAP এর আমিরকে ইমারত ঘোষণা না করে উম্মতের প্রতি হামদার্দী দেখিয়ে যেন যতটূকু পারা যায় ততটুকু সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করতে বলেন এবং উম্মতকে যতটুকু পারা ছাড় দেয়া যায় তা দিতে।
৫। বর্তমানে ইমারতে আফগানিস্তানেও যখন কোন এলাকা স্বাধীন হয় তখন সেই এলাকাও কোন ধরনের মিডিয়া মনোযোগ আকর্যন না করেই শরীয়াহ কায়েম করে থাকেন। এর জন্যে আপনারা “Hallamark of jihadi experience in Imrate isamiyah” নামের শাহমাতে একটা প্রবধ পড়ে দেখতে পারেন।
৬। আবার সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, কুফরের প্রধানকে অক্ষত রেখে মুরতাদ শাসককে অপসারন করা কত টূকু অযৌক্তিক ও অসম্ভব। এই পর্যালোচনা আমি করি নি, বরং এটা শায়েখ আবু মুস’আব আস সুরি ফাঃ এর পর্যবেক্ষন। তাহলে কি আমরা সেই আমেরিকাকে অক্ষত রেখে দ্বীন কায়েম করতে যাব? যদি তাই করি তবে ইতিহাস থেকে কি শিখলাম? মু’মিনকে একই গর্তে কত বার দঃশিত হবে হবে?
৭। এই ব্যাপারে শায়েখ হানি আস সিবাঈ হাঃ এর একটা লেকচার রয়েছে, যেখানে উনি বলেছেন, বর্তমান আমেরিকার যে এয়ার পাওয়ার আছে তাকে অক্ষত রেখে কোন মুসলিম ভুখন্ডে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
৮। আর আজকে পাওয়া একটা প্রবন্ধে পেলাম, AQAP এর একজন সিনিয়র শায়েখ, শায়েখ সাঈদ আস সিহরী রঃ বলেন, এই বিষয়টি হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদেরকে বুঝতে হবে, তা হল, আমরা ততক্ষন পর্যন্ত শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষন হব না যতক্ষন পর্যন্ত না আমরা মুসলিম ভুখন্ড গুলো থেকে আগ্রাসী শত্রুদেরকে বের করে দিতে সমর্থ হচ্ছি।
তাহলে আমরা উপরের বিষয়গুলো থেকে বুঝলাম যে, কুফরের প্রধান আমেরিকাকে অক্ষত রেখে ইসলামী ইমারত স্থাপনের চেষ্টা ঘোষনা করে করছেন না বরং বিষয়টা অঘোষিত অবস্থায় রয়েছে। তাহলে যা করার চেষ্টা করা হয় নি বা, করলেও আমাদেরকে জানিয়ে করা হয় নি, তার জন্যে কিভাবে আল কায়েদা / জিহাদী সালাফীরা শরীয়াহ কায়েম করতে পারেন নি সাব্যস্ত হবে?
সুবহানাল্লাহ...
ওমা তাওফিকী ইল্লা বিল্লাহ
collected
আস সালামু ‘আলাইকুম,
আমাদের অনেক জিহাদ প্রেমী ভাইয়ের মনের কোনে হয়ত এমন ধারনা আছে, বা সন্দেহ পোষন করেন যে, আল কায়েদাহ কি পারবে আল্লাহর জমীনে দ্বীন কায়েম, শরীয়াহ কায়েম করতে? যেহেতু তারা সালাফি ঘেষা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে তারা এখন পর্যন্ত ইতিহাসে তেমন নজির দেখাতে পারেন নি... তবে এর মাঝে একটা কথা বলে রাখা ভাল যে, ঐসব ভাইদের অধিকাংশই শরীয়াহ কায়েম বলতে হুদুদ কায়েম বুঝে থাকেন তাই তাদেরই একটা দল যখন দেখলো দাউলাতুল খারেজী হুদুদু কায়েমের নামে শরীয়াহ কায়েম করছে তখন তারা তাদের এই বিষয় গুলো এইচ ডি ভিডিও তে দেখে সাত পাচ না ভেবে তাদেরকে সমর্থন, সাহায্য, বায়াহ দেয়া শুরু করলো... সুবহানাল্লাহ... এবং বক্রভাবে এই কথাও বলা শুরু করলো আল কায়েদা এবং তালেবানরা না কি রাষ্ট্র চালাতে সক্ষম নয়?
এই ব্যাপারে আমার নিচের কিছু পর্যালোচনা তুলে ধরলাম যা মোটেও ভুল ক্রুটির উর্ধ্বে নয়...
১। দূর ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, খুলাফায়ে রাশেদা ছাড়া পরবর্তী সময়ে যত খলিফা এসেছেন অল্প কয়েকজন ছাড়া তাদের প্রায় সবাই বিভিন্ন ধরনের আক্বিদাহ গত ভ্রান্তি ধারন করতেন যা একদম শেষ দিকে মানে উসমানী খেলাফতের সময়ে এসে প্রকট আকার ধারন করে। এই কারনে অনেকে ভুল ক্রমে সেসব ভ্রান্ত আক্বিদাহ গুলোকে রাস্ট্র বা, শরীয়াহ কায়েমের অধিক যোগ্য মনে করে ফেলছেন। হয়ত বিষয়টা এমনই। না হলে কেন খুলাফায়ে রাশেদার যুগ হবে মাত্র ৩০ বছর +/- আর বংশীয় শাসন গুলো থাকবে হাজার বছর।
২। আল কায়েদাকে এই রাষ্ট্র কায়েম করতে না পারার দোষে কিছু দিন আগে শায়েখ আবু বাসির তারতৌসী হাঃ দোষী সাব্যস্ত করেন। তখন শামের আল কায়দার প্রধান সামরিক কমান্ডার, শায়েখ আবু ফিরাস আস সুরী হাঃ , যিনি শায়েখ উসামা বিন লাদেনের দীর্ঘ দিনের সহচর ছিলেন, বলেন – আমরা এখন বর্তমান সময়ের কুফরের প্রধান আমেরিকার সাথে লড়াই করছি এমন অবস্থায় তাদেরকে ধ্বংস না করে আমরা কোন ইমারত গঠন করতে পারবো না বা, চেষ্টা ও করছি না কারণ যদি তা করা হয় তবে তা সাধারন বুদ্ধি পরিপন্থি হবে। তাই যে বিষয় আমরা আমাদের ইজতিহাদের কারণে গড়ার চেষ্টা করিনি তা আমরা করতে পারিনি সেটা কিভাবে বলা যাবে?
৩। মালীতে যখন ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, তখন AQAP এর আমির শায়েখ নাসির আল উহাইশী রঃ একটা বার্তা দিয়েছিলেন AQIM এর আমির শায়েখ আবু মুস’আব আব্দুল ওয়াদুদ হাঃ কে এই ব্যাপারে সতর্ক করে যে, আপনি এখনি কোন ইমারত গঠন করতে যাবেন না যখন আমেরিকাকে আমরা এখন পরাভূত করতে যাই নি।
৪। একই ভাবে শায়েখুল মুজাহিদ ওসামা বিন লাদেন রঃ আদনে আবিয়ানে যখন ইমারত গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয় তখন তিনি ও তখন AQAP এর আমিরকে ইমারত ঘোষণা না করে উম্মতের প্রতি হামদার্দী দেখিয়ে যেন যতটূকু পারা যায় ততটুকু সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করতে বলেন এবং উম্মতকে যতটুকু পারা ছাড় দেয়া যায় তা দিতে।
৫। বর্তমানে ইমারতে আফগানিস্তানেও যখন কোন এলাকা স্বাধীন হয় তখন সেই এলাকাও কোন ধরনের মিডিয়া মনোযোগ আকর্যন না করেই শরীয়াহ কায়েম করে থাকেন। এর জন্যে আপনারা “Hallamark of jihadi experience in Imrate isamiyah” নামের শাহমাতে একটা প্রবধ পড়ে দেখতে পারেন।
৬। আবার সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, কুফরের প্রধানকে অক্ষত রেখে মুরতাদ শাসককে অপসারন করা কত টূকু অযৌক্তিক ও অসম্ভব। এই পর্যালোচনা আমি করি নি, বরং এটা শায়েখ আবু মুস’আব আস সুরি ফাঃ এর পর্যবেক্ষন। তাহলে কি আমরা সেই আমেরিকাকে অক্ষত রেখে দ্বীন কায়েম করতে যাব? যদি তাই করি তবে ইতিহাস থেকে কি শিখলাম? মু’মিনকে একই গর্তে কত বার দঃশিত হবে হবে?
৭। এই ব্যাপারে শায়েখ হানি আস সিবাঈ হাঃ এর একটা লেকচার রয়েছে, যেখানে উনি বলেছেন, বর্তমান আমেরিকার যে এয়ার পাওয়ার আছে তাকে অক্ষত রেখে কোন মুসলিম ভুখন্ডে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
৮। আর আজকে পাওয়া একটা প্রবন্ধে পেলাম, AQAP এর একজন সিনিয়র শায়েখ, শায়েখ সাঈদ আস সিহরী রঃ বলেন, এই বিষয়টি হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদেরকে বুঝতে হবে, তা হল, আমরা ততক্ষন পর্যন্ত শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষন হব না যতক্ষন পর্যন্ত না আমরা মুসলিম ভুখন্ড গুলো থেকে আগ্রাসী শত্রুদেরকে বের করে দিতে সমর্থ হচ্ছি।
তাহলে আমরা উপরের বিষয়গুলো থেকে বুঝলাম যে, কুফরের প্রধান আমেরিকাকে অক্ষত রেখে ইসলামী ইমারত স্থাপনের চেষ্টা ঘোষনা করে করছেন না বরং বিষয়টা অঘোষিত অবস্থায় রয়েছে। তাহলে যা করার চেষ্টা করা হয় নি বা, করলেও আমাদেরকে জানিয়ে করা হয় নি, তার জন্যে কিভাবে আল কায়েদা / জিহাদী সালাফীরা শরীয়াহ কায়েম করতে পারেন নি সাব্যস্ত হবে?
সুবহানাল্লাহ...
ওমা তাওফিকী ইল্লা বিল্লাহ
collected
Comment