আবারও কিছু লিখতে যাচ্ছি। আমার এ লেখনীতে মিথ্যা বা ভুল তথ্য থেকে থাকলে ধরিয়ে দেবেন। শুদ্ধ অবস্থানের পথ সবারই কাম্য হওয়া উচিত। সম্প্রতি গুলশান হামলাকে কেন্দ্র করে সঠিক মানহাজের দাবিদারদের মাঝেও ভিন্ন-মিশ্র মত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্যাপারটি যেহেতু is নামক বিভ্রান্ত একটি গোষ্ঠীকে নিয়ে, তাই এ ব্যাপারে কিছু কথা থেকে যায়। এই হামলা কতোটুকু হালাল হয়েছে- এরচেও জরুরী হলো এ ব্যাপারে এই ভূমির সঠিক মুজাহিদদের কী ভূমিকা নেয়া প্রয়োজন।
অবস্থানের ধারাঃ
এর ফলাফলঃ
করণীয়-বর্জনীয়ঃ
আমার কথাগুলো সাদামাটা। এখনও সময় আছে সার্বিকভাবে এই মানহাজকে ছড়িয়ে দেবার। এখনই সময় তাওয়াগিত ও এর সাংবাদিক, আলিম এবং অনুসারীদের বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধে পরাজিত করবার। সুস্পষ্ট প্রমাণের সুসংহত অবস্থান তৈরি করার সময় এখনই। আল্লাহ্ সহায় হোন।
অবস্থানের ধারাঃ
১. Is-র গুলশান হামলা আপাতদৃষ্টে শারয়িভাবে বৈধ- যদিও নারীদের হত্যা করা হয়েছে, আর আমরা এখনও জানি না যে, এ নারীরা অফিসিয়াল কিনা- ধরে নিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে হবে। এই হামলা সুস্পষ্টভাবে হারাম হলেতো কথাই ছিলো না।
২. প্রশ্ন হলো- এমন হামলাতো কায়িদাতুল জিহাদ পরিচালনা করে থাকে, ফলে আজ নয় কাল এমন হামলা কায়িদাতুল জিহাদ পরিচালনা করবে, তখন অবস্থান কী ও কেমন হবে? ফলে এই ধারণা ওপর ভিত্তি করে অনেক ভাইয়েরা এই হামলার শারয়ি সমর্থনের পাশাপাশি নিজেদের is থেকে মুক্ত ঘোষণা করে যাচ্ছেন।
৩. ভাইয়েরা is-র প্রতি ইনসাফ করে এই হামলার শারয়ি যৌক্তিকতার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
৪. তাগূত ও সেক্যুলারদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার জবাব দিয়ে যাচ্ছেন, যদিও এই প্রতিক্রিয়া মন্তব্যগুলো সার্বিক ‘জঙ্গিবাদ’কে নিয়ে, তবুও এই প্রতিক্রিয়ার সূত্রপাত কিন্তু is-কে নিয়েই।
৫. ভাইয়েরা এরই মাঝে ‘জংগীর সাথে কথোপকথন’ নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলে ফেলেছেন এবং রীতিমত কাজ করে যাচ্ছেন।
৬. যুদ্ধরত কাফির জাতির নাগরিক হত্যার বিধান নিয়ে কমেন্টে তর্ক করছেন, পোস্ট দিচ্ছেন, শেয়ার করছেন।
২. প্রশ্ন হলো- এমন হামলাতো কায়িদাতুল জিহাদ পরিচালনা করে থাকে, ফলে আজ নয় কাল এমন হামলা কায়িদাতুল জিহাদ পরিচালনা করবে, তখন অবস্থান কী ও কেমন হবে? ফলে এই ধারণা ওপর ভিত্তি করে অনেক ভাইয়েরা এই হামলার শারয়ি সমর্থনের পাশাপাশি নিজেদের is থেকে মুক্ত ঘোষণা করে যাচ্ছেন।
৩. ভাইয়েরা is-র প্রতি ইনসাফ করে এই হামলার শারয়ি যৌক্তিকতার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
৪. তাগূত ও সেক্যুলারদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার জবাব দিয়ে যাচ্ছেন, যদিও এই প্রতিক্রিয়া মন্তব্যগুলো সার্বিক ‘জঙ্গিবাদ’কে নিয়ে, তবুও এই প্রতিক্রিয়ার সূত্রপাত কিন্তু is-কে নিয়েই।
৫. ভাইয়েরা এরই মাঝে ‘জংগীর সাথে কথোপকথন’ নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলে ফেলেছেন এবং রীতিমত কাজ করে যাচ্ছেন।
৬. যুদ্ধরত কাফির জাতির নাগরিক হত্যার বিধান নিয়ে কমেন্টে তর্ক করছেন, পোস্ট দিচ্ছেন, শেয়ার করছেন।
১. প্রথমত এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে- যুদ্ধরত কাফির জাতির জনগগণ হত্যার বিধানটি কখনও সাধারণ মুসলিমের কাছে স্পষ্ট ছিলো না, আর তারা তা বুঝেও না। মজার ব্যাপার হলো- সর্বজনের মূলধারার আলিম সমাজও এ ব্যাপারে সঠিক মতে উপনীত হচ্ছেন না, বরং তাঁরাই বিরোধিতা করেন। ফলে যতো শারয়ি লজিক দেয়া হোক না কেনো, সাধারণ এগুলো বুঝবে না। ফলে, ভাইয়েরা এই হামলার পক্ষে কথা বলে মূলত is-কেই highlight করে ফেলছেন।
২. তাগূত ও সেক্যুলারেরা সার্বিকভাবেই কায়িদাতুল জিহাদ ও is-র বিরোধিতা করছে। is-কে নিয়ে সূত্রপাত ঘটলেও তারা কিন্তু সার্বিক জিহাদের বিরুদ্ধেই কথা বলছে। ভাইয়েরা এ বিষয়টিকে ধরে এই জবাবমূলক কাজগুলো করে যাচ্ছেন, কিন্তু এর ফলাফল কিন্তু ভিন্ন হচ্ছে। সবাই ধরে নিবে বা নিচ্ছে এই প্রচারণা is-র। যার ফলে, প্রকৃত মুজাহিদদেরকে is থেকে আলাদা করতে বাধার সৃষ্টি হবে বা হচ্ছে।
৩. তাগূত ও এর মিডিয়া is বনাম aq-র পার্থক্য বুঝে থাকলেও, ঠিকই একে ঢাল হিশেবে কাজে লাগাবে এবং এর ভার কায়িদাতুল জিহাদের ওপর বর্তাবে। এরই মাঝে ‘জংগীর সাথে কথোপকথন’ পেজটিকে বাংলাট্রিবিউন ডট কম is-র মুখপাত্র হিশেবে চিত্রিত করে ফেলেছে, রীতিমত লেখা ছাপিয়েছে।
৪. মানুষের মনে যে তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে, এর কিছু ভাগ কায়িদাতুল জিহাদের ওপরও আসবে বা আসছে। মানুষ এখন কায়িদাতুল জিহাদের সাথে is-কে গুলিয়ে ফেলছে বা এক কাতারেই ফেলবে।
৫. গুলশান হামলা রয়ে-সয়ে করলেও, is-র পরবর্তী হামলা যদি ইরাকের অনুসরণ করে তখন এমন পরিস্থিতির সূচনা হবে যে, কায়িদাতুল জিহাদ যতোই নিষ্পাপ রক্তের মুহাফিজ সেজে এই ভূমিতে জিহাদের কাজ করতে চাক না কেন, মানুষ aq-কেও সার্বিকভাবে দায়ী করবে। আওয়াম এটা দেখবে না- কে প্রকৃত মুজাহিদ, বরং তারা দেখবে এই দুদল মিলে দেশময় রক্তপাতের বিস্তার ঘটাচ্ছে। তখন কিন্তু, কায়িদাতুল জিহাদের কাজ করাটাই হবে দুঃসাধ্য।
৬. শাতিম হত্যা করে যেভাবে সাধারণের সহানুভূতি পাওয়া যাচ্ছিলো, এগুলো সব ভেস্তে যাবে এবং যাচ্ছেও।
৭. সবাই জিহাদকে আপদ ভাবা শুরু করবে বা করছে। আর এরই সাথে যখন যুক্ত হয় তাগূতের আলিমদের ফাতাওয়া, বিবৃতি-বক্তৃতা, তখন ভাবনাগুলোও থমকে যেতে বাধ্য। তাগূতের আলিম নয়- এমন আলিমরাও এই হামলার বিরোধিতা করছে এবং সার্বিকভাবেই বিরোধিতা করবে। এরই মাঝে মাদ্রাসাগুলো নিজেকে 'নিষ্পাপ' প্রমাণে সচেষ্ট হচ্ছে বা হবে। ফলে জনসাধারণ থেকে মুজাহিদগণ বিচ্ছিন হচ্ছেন।
২. তাগূত ও সেক্যুলারেরা সার্বিকভাবেই কায়িদাতুল জিহাদ ও is-র বিরোধিতা করছে। is-কে নিয়ে সূত্রপাত ঘটলেও তারা কিন্তু সার্বিক জিহাদের বিরুদ্ধেই কথা বলছে। ভাইয়েরা এ বিষয়টিকে ধরে এই জবাবমূলক কাজগুলো করে যাচ্ছেন, কিন্তু এর ফলাফল কিন্তু ভিন্ন হচ্ছে। সবাই ধরে নিবে বা নিচ্ছে এই প্রচারণা is-র। যার ফলে, প্রকৃত মুজাহিদদেরকে is থেকে আলাদা করতে বাধার সৃষ্টি হবে বা হচ্ছে।
৩. তাগূত ও এর মিডিয়া is বনাম aq-র পার্থক্য বুঝে থাকলেও, ঠিকই একে ঢাল হিশেবে কাজে লাগাবে এবং এর ভার কায়িদাতুল জিহাদের ওপর বর্তাবে। এরই মাঝে ‘জংগীর সাথে কথোপকথন’ পেজটিকে বাংলাট্রিবিউন ডট কম is-র মুখপাত্র হিশেবে চিত্রিত করে ফেলেছে, রীতিমত লেখা ছাপিয়েছে।
৪. মানুষের মনে যে তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে, এর কিছু ভাগ কায়িদাতুল জিহাদের ওপরও আসবে বা আসছে। মানুষ এখন কায়িদাতুল জিহাদের সাথে is-কে গুলিয়ে ফেলছে বা এক কাতারেই ফেলবে।
৫. গুলশান হামলা রয়ে-সয়ে করলেও, is-র পরবর্তী হামলা যদি ইরাকের অনুসরণ করে তখন এমন পরিস্থিতির সূচনা হবে যে, কায়িদাতুল জিহাদ যতোই নিষ্পাপ রক্তের মুহাফিজ সেজে এই ভূমিতে জিহাদের কাজ করতে চাক না কেন, মানুষ aq-কেও সার্বিকভাবে দায়ী করবে। আওয়াম এটা দেখবে না- কে প্রকৃত মুজাহিদ, বরং তারা দেখবে এই দুদল মিলে দেশময় রক্তপাতের বিস্তার ঘটাচ্ছে। তখন কিন্তু, কায়িদাতুল জিহাদের কাজ করাটাই হবে দুঃসাধ্য।
৬. শাতিম হত্যা করে যেভাবে সাধারণের সহানুভূতি পাওয়া যাচ্ছিলো, এগুলো সব ভেস্তে যাবে এবং যাচ্ছেও।
৭. সবাই জিহাদকে আপদ ভাবা শুরু করবে বা করছে। আর এরই সাথে যখন যুক্ত হয় তাগূতের আলিমদের ফাতাওয়া, বিবৃতি-বক্তৃতা, তখন ভাবনাগুলোও থমকে যেতে বাধ্য। তাগূতের আলিম নয়- এমন আলিমরাও এই হামলার বিরোধিতা করছে এবং সার্বিকভাবেই বিরোধিতা করবে। এরই মাঝে মাদ্রাসাগুলো নিজেকে 'নিষ্পাপ' প্রমাণে সচেষ্ট হচ্ছে বা হবে। ফলে জনসাধারণ থেকে মুজাহিদগণ বিচ্ছিন হচ্ছেন।
করণীয়-বর্জনীয়ঃ
১. ‘জঙ্গি’ শব্দটি হলো গালি, আর এই শব্দটিকে কেউ যেনো বিস্তৃত না করে। মজার ব্যাপার হলো, আলিমরাই এই শব্দের ব্যবহার শুরু করে দিয়েছেন। ‘জংগীর সাথে কথোপকথন’ পেজটি আপাত বন্ধ করে দেয়া হোক। ‘জঙ্গি’ বলতেই মানুষের চোখ এখন is-র দিকে যাবে। এতে aq-র ভাইদের দৃষ্টি-আকর্ষণ বৃথা যাবে। আর এই সুন্দর যুক্তিগুলো is-র পাল্লাই ভারী করবে।
২. ভাইদের উচিত ছিলো, গুলশান হামলায় সম্পূর্ণ চুপ থাকা। এই ঘটনার রেশ কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করা। তারপর না হয় এই হামলাগুলোর শারয়ি বৈধতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা যেতো- গুলশান হামলাকে সামনে রেখে নয়, কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজে হিশেবে।
৩. তাগূত ও এর মিডিয়াকে এর সুবিধা না দিয়ে চুপ থাকাই হবে কল্যাণকর।
৪. আজ কায়িদাতুল জিহাদও যদি এই হামলা করতো তবে আমার ধারণা, এই হামলার পক্ষে কিছু সমর্থন আদায় তারা করে ফেলতো, অন্তত সাধারণের এই ব্যাপক ঘৃণা অর্জন করতো না। গুলশান হামলা কী কারণে ও কেনো- এ জন্য কোনো মার্কেটিং-র গরজ অনুভব করেনি is। এরা এই হামলাকে উপজীব্য করে বার্তা পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ভূমিতে শারিয়াহ্ প্রতিষ্ঠায় এটি কোনো ভূমিকা রাখবে না, বরং নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে, আর রাখছেও।
৫. সাধারণ মুসলিমদের গুরুত্ব দেয়া মানে এই নয় যে, সাধারণের মতামতের অনুগামী হতে হবে, এটি স্থূল চিন্তা। মনে রাখতে হবে যে, সাধারণ ব্যাপকভাবে জিহাদে শামিল হবে না, আনসারও হবে না, কিংবা এই হামলার যৌক্তিকতাও বুঝে ওঠবে না। মুজাহিদদের মূল কাজ হবে- সাধারণের ঘৃণা কিংবা অসমর্থন প্রতিহত করা। অন্তত সাধারণের মৌন অবস্থান অর্জন করা।
৬. মুসলিম ভূমির শাসকগুলো যে মুরতাদ, তাওয়াগিত- এটি আলিম সমাজই বুঝেন না, সাধারণ যে বুঝে ওঠবে, এ আশা করা নিতান্তই হাস্যকর। আরও হাস্যকর আশা হবে- সাধারণ বুঝে ফেলুক এই হারবি হত্যার বিধান এমন এমন… ।
বৃহত্তর আলিম সমাজ এখনও হাকিমিয়াহ, তাশরি, তাহকুমের শির্ক ও কুফরগুলো বুঝতে পারছেন না বরং কেউ কেউতো এগুলোর বিরোধিতাও করেন বা করবেন, তখন ভারসাম্যের চিন্তা করতে হবে, আর হাত গুটিয়ে জনসমর্থনের আশা করা হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের বোকামি।
৭. কায়িদাতুল জিহাদকে মনে রাখতে হবে- এ ভূমিতে কিতালের উদ্দেশ্য একটি বিশুদ্ধ মানহাজ প্রতিষ্ঠা করা- যার ভিত্তি হচ্ছে তাওহিদ ওয়াল জিহাদ। ফলে, এই মানহাজ বিসর্জন দিয়ে সাময়িক কল্যাণ-প্রত্যাশী হলে সার্বিক ক্ষতি হতে বাধ্য। এই ভূমির আহলুল ইলমদের রূচির প্রতি খেয়াল রাখার মানে এই হবে না যে, আপোষকামিতাকে অনুমোদন দিতে হবে।
৮. মজার ব্যাপার হলো- হামলা করে is, আর জবাব দেয় কায়িদাতুল জিহাদের সমর্থক ভাইয়েরা। মনে রাখতে হবে, is-র এসব হামলা ওদের ইরাকের স্বকল্পিত ‘খিলাফাহ’-কেন্দ্রিক আর এরা এসব হামলার শারয়ি জবাব দিতে কোনো গরজ অনুভব করে না। হামলাগুলো ব্যাপক মিডিয়া-কাটতি পেলেও, শারিয়াহ প্রতিষ্ঠার কোনো কাজেই আসবে না। ফলে is-কে লাভবান করে ক্ষতিই বেশি।
৯. কায়িদাতুল জিহাদ যেসময় এসব হামলা করবে, তখন এর পরিবেশ তৈরি করেই করবে এবং এসব হামলার পক্ষে যথেষ্ট প্রচারণা ও সমর্থন আদায়ের ব্যাপারে সচেষ্ট হবে- এমন আশা করা যেতে পারে।
১০. কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন- মিডিয়ার এ যুগে অঞ্চলভিত্তিক বিভক্তকরণ aq-র জন্য লাভজনক হবে না। এ ভূমিতে এসব হামলা না করলেও ঠিকই অন্যভূমিতে এসব হামলা aq করে থাকে। ফলে এসব হামলার খবর নিমিষেই সবার কাছে চলে আসে। তখন মানুষ এসব হামলার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলবেই, আর aqis-কে মূল aq থেকে কৌশলগত কারণে বিচ্ছিন্ন ভেবে বসে থাকার কোনো কারণই নেই। মানহজ মানহাজই। কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক, এ হামলাগুলো মানহাজের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এসব হামলার ব্যাপারে শারয়ি বক্তব্য তুলে ধরতে হবেই। is কিংবা এ উপমহাদেশীয় আলিমদের ধারা দেখে কোনো লাভ হবে না। এই মানহাজের সার্বিক-প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে- আগের লেখায়- আমি কিছু প্রস্থাব পেশ করেছিলাম। সময় থাকতে এই দিকটায় মনোযোগ দিলে দেয়াও যেতে পারে।
২. ভাইদের উচিত ছিলো, গুলশান হামলায় সম্পূর্ণ চুপ থাকা। এই ঘটনার রেশ কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করা। তারপর না হয় এই হামলাগুলোর শারয়ি বৈধতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা যেতো- গুলশান হামলাকে সামনে রেখে নয়, কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজে হিশেবে।
৩. তাগূত ও এর মিডিয়াকে এর সুবিধা না দিয়ে চুপ থাকাই হবে কল্যাণকর।
৪. আজ কায়িদাতুল জিহাদও যদি এই হামলা করতো তবে আমার ধারণা, এই হামলার পক্ষে কিছু সমর্থন আদায় তারা করে ফেলতো, অন্তত সাধারণের এই ব্যাপক ঘৃণা অর্জন করতো না। গুলশান হামলা কী কারণে ও কেনো- এ জন্য কোনো মার্কেটিং-র গরজ অনুভব করেনি is। এরা এই হামলাকে উপজীব্য করে বার্তা পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ভূমিতে শারিয়াহ্ প্রতিষ্ঠায় এটি কোনো ভূমিকা রাখবে না, বরং নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে, আর রাখছেও।
৫. সাধারণ মুসলিমদের গুরুত্ব দেয়া মানে এই নয় যে, সাধারণের মতামতের অনুগামী হতে হবে, এটি স্থূল চিন্তা। মনে রাখতে হবে যে, সাধারণ ব্যাপকভাবে জিহাদে শামিল হবে না, আনসারও হবে না, কিংবা এই হামলার যৌক্তিকতাও বুঝে ওঠবে না। মুজাহিদদের মূল কাজ হবে- সাধারণের ঘৃণা কিংবা অসমর্থন প্রতিহত করা। অন্তত সাধারণের মৌন অবস্থান অর্জন করা।
৬. মুসলিম ভূমির শাসকগুলো যে মুরতাদ, তাওয়াগিত- এটি আলিম সমাজই বুঝেন না, সাধারণ যে বুঝে ওঠবে, এ আশা করা নিতান্তই হাস্যকর। আরও হাস্যকর আশা হবে- সাধারণ বুঝে ফেলুক এই হারবি হত্যার বিধান এমন এমন… ।
বৃহত্তর আলিম সমাজ এখনও হাকিমিয়াহ, তাশরি, তাহকুমের শির্ক ও কুফরগুলো বুঝতে পারছেন না বরং কেউ কেউতো এগুলোর বিরোধিতাও করেন বা করবেন, তখন ভারসাম্যের চিন্তা করতে হবে, আর হাত গুটিয়ে জনসমর্থনের আশা করা হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের বোকামি।
৭. কায়িদাতুল জিহাদকে মনে রাখতে হবে- এ ভূমিতে কিতালের উদ্দেশ্য একটি বিশুদ্ধ মানহাজ প্রতিষ্ঠা করা- যার ভিত্তি হচ্ছে তাওহিদ ওয়াল জিহাদ। ফলে, এই মানহাজ বিসর্জন দিয়ে সাময়িক কল্যাণ-প্রত্যাশী হলে সার্বিক ক্ষতি হতে বাধ্য। এই ভূমির আহলুল ইলমদের রূচির প্রতি খেয়াল রাখার মানে এই হবে না যে, আপোষকামিতাকে অনুমোদন দিতে হবে।
৮. মজার ব্যাপার হলো- হামলা করে is, আর জবাব দেয় কায়িদাতুল জিহাদের সমর্থক ভাইয়েরা। মনে রাখতে হবে, is-র এসব হামলা ওদের ইরাকের স্বকল্পিত ‘খিলাফাহ’-কেন্দ্রিক আর এরা এসব হামলার শারয়ি জবাব দিতে কোনো গরজ অনুভব করে না। হামলাগুলো ব্যাপক মিডিয়া-কাটতি পেলেও, শারিয়াহ প্রতিষ্ঠার কোনো কাজেই আসবে না। ফলে is-কে লাভবান করে ক্ষতিই বেশি।
৯. কায়িদাতুল জিহাদ যেসময় এসব হামলা করবে, তখন এর পরিবেশ তৈরি করেই করবে এবং এসব হামলার পক্ষে যথেষ্ট প্রচারণা ও সমর্থন আদায়ের ব্যাপারে সচেষ্ট হবে- এমন আশা করা যেতে পারে।
১০. কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন- মিডিয়ার এ যুগে অঞ্চলভিত্তিক বিভক্তকরণ aq-র জন্য লাভজনক হবে না। এ ভূমিতে এসব হামলা না করলেও ঠিকই অন্যভূমিতে এসব হামলা aq করে থাকে। ফলে এসব হামলার খবর নিমিষেই সবার কাছে চলে আসে। তখন মানুষ এসব হামলার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলবেই, আর aqis-কে মূল aq থেকে কৌশলগত কারণে বিচ্ছিন্ন ভেবে বসে থাকার কোনো কারণই নেই। মানহজ মানহাজই। কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক, এ হামলাগুলো মানহাজের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এসব হামলার ব্যাপারে শারয়ি বক্তব্য তুলে ধরতে হবেই। is কিংবা এ উপমহাদেশীয় আলিমদের ধারা দেখে কোনো লাভ হবে না। এই মানহাজের সার্বিক-প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে- আগের লেখায়- আমি কিছু প্রস্থাব পেশ করেছিলাম। সময় থাকতে এই দিকটায় মনোযোগ দিলে দেয়াও যেতে পারে।
Comment