আসলাম আবারও। তথ্যে ভুল পরিবেশনা থাকলে অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন।
এটি জানা কথা যে, এই দ্বীনের প্রকৃত নির্যাস হলো তাওহিদ; এর এজন্যই উন্মুক্ত করা হয়েছে তরবারি। সত্যকে শক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করবার অপূর্ব এক সমন্বয়ের মাধ্যমেই এই দ্বীনের বিজয় সম্ভব। তাওহিদের এই পথ, এ মানহাজ- এটিতো মিল্লাতু ইবরাহিম।
আপাতদৃষ্টে কায়িদাতুল জিহাদকেই এমন একটি তানজিম হিশেবে ধরে নেয়া যেতে পারে- বিশুদ্ধ একটি মানহাজের দাবিদার হিশেবে সুপরিচিত। ইদানিংকালে একটি প্রশ্ন ওঠে যাচ্ছে বা ওঠে গেছে- যুদ্ধরত কাফির জাতির সাধারণ নাগরিক- প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ- হত্যা হালাল কিনা! যুদ্ধরত কাফির জাতির বালিগ পুরুষ হত্যার বিষয়টি কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজের অন্তর্ভুক্ত একটি অন্যতম মাসয়ালাহ্। এ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহে ভুগবার কোনো কারণ নেই। বলা যায়, এটি কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজের মূল বিষয়।
আমি কতোগুলি উদাহরণ দিচ্ছি-
এই হলো কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজ। তাই যুদ্ধরত কাফির জাতির প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের হত্যার ব্যাপারে যারা আপত্তি তুলছেন কিংবা Lone wolf জিহাদকে যারা হারাম সাব্যস্ত করার প্রয়াস পাচ্ছেন- তারা আর যাই হোক কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজের কেউ নন। এটা কীভাবে সম্ভব যে, একজন কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজে থেকে এসব ব্যাপারে এমন আপত্তি তুলতে পারেন! হ্যাঁ, যদি আপত্তি তুলতেই হয়, তবে নিজেকে মানহাজের দাবি না করে কেউ দলিল আকারে তাঁর অভিমত পেশ করতেই পারেন, এ অধিকার প্রত্যেক মুসলিমেরই আছে। আর নাসিহাহ্* পাবার ও গ্রহণ করবার মানসিকতাও কায়িদাতুল জিহাদের থাকা উচিত।
কায়িদাতুল জিহাদের সেনাদের মাঝেও কোনো কোনো মাসয়ালাহয় ইজতিহাদি ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তানজিমের ইমামাতে নিজ মাসয়ালাহকে বিসর্জন দেবার মনমানসিকতাও একজন সেনার থাকা উচিত বলে মনে করি, আর যখন কিনা ব্যাপারটি হয় নিছক ইজতিহাদি।
উপমহাদেশের মুসলিমদের অবস্থান, প্রেক্ষাপট ও আলিম সমাজের ইলমের ধারা, রুচীর ওপর লক্ষ্য করে হয়তো কায়িদাতুল জিহাদ এ অঞ্চলে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করতে পারে, কিন্তু এতে করে মূল মানহাজের কোনো প্রভাব পড়তে পারে না। কায়িদাতুল জিহাদকে বুঝতে হবে, নিছক কোনো জিহাদি তানজিম হিশেবে এর আবির্ভাব নয়। বরং কায়িদাতুল জিহাদ এক ভারসম্পন্ন মানহাজকে ধারণ করে- তাওহিদ ওয়াল জিহাদের মানহাজ- যা মিল্লাতু ইবরাহিমের মানহাজ।
এটি জানা কথা যে, এই দ্বীনের প্রকৃত নির্যাস হলো তাওহিদ; এর এজন্যই উন্মুক্ত করা হয়েছে তরবারি। সত্যকে শক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করবার অপূর্ব এক সমন্বয়ের মাধ্যমেই এই দ্বীনের বিজয় সম্ভব। তাওহিদের এই পথ, এ মানহাজ- এটিতো মিল্লাতু ইবরাহিম।
আপাতদৃষ্টে কায়িদাতুল জিহাদকেই এমন একটি তানজিম হিশেবে ধরে নেয়া যেতে পারে- বিশুদ্ধ একটি মানহাজের দাবিদার হিশেবে সুপরিচিত। ইদানিংকালে একটি প্রশ্ন ওঠে যাচ্ছে বা ওঠে গেছে- যুদ্ধরত কাফির জাতির সাধারণ নাগরিক- প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ- হত্যা হালাল কিনা! যুদ্ধরত কাফির জাতির বালিগ পুরুষ হত্যার বিষয়টি কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজের অন্তর্ভুক্ত একটি অন্যতম মাসয়ালাহ্। এ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহে ভুগবার কোনো কারণ নেই। বলা যায়, এটি কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজের মূল বিষয়।
আমি কতোগুলি উদাহরণ দিচ্ছি-
১. জেমাহ্ আল্ইসলামিয়াহ্ কর্তৃক বালি দ্বীপে বোমা হামলা- ১২ অক্টোবর, ২০০২। এ হামলাকে কায়িদাতুল জিহাদ সমর্থন করে।
২. মাদ্রিদ ট্রেন বোম্বিং- ১১ মার্চ, ২০০৪।
৩. লন্ডন পাতাল ট্রেন হামলা- জুলাই ৭, ২০০৫।
৪. ২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর কায়িদাতুল জিহাদের আরব উপদ্বীপ শাখা AQAP র পরিচালনায় উমর ফারুক আব্দুল মুত্তালিব(আল্লাহ্ তাঁকে মুক্ত করুন) ন্যাদারল্যান্ডস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েডগামী একটি বেসামরিক বিমানে হামলার চেষ্টা চালান। এই বিমানে ২৭৯ জন বেসামরিক যাত্রী ছিলো।
৫. আল শাবাব কর্তৃক কেনিয়ার নাইরোবির ওয়েস্টগেট বিপণিবিতান হামলা- ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩।
৬. আল শাবাব কর্তৃক কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গ্যারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা- ২ এপ্রিল, ২০১৩।
৭. বোস্টনে অনুষ্ঠিত ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় বোম্বিং- ১৫ এপ্রিল, ২০১৩। এ হামলাকেও কায়িদাতুল জিহাদ সমর্থন করে।
২. মাদ্রিদ ট্রেন বোম্বিং- ১১ মার্চ, ২০০৪।
৩. লন্ডন পাতাল ট্রেন হামলা- জুলাই ৭, ২০০৫।
৪. ২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর কায়িদাতুল জিহাদের আরব উপদ্বীপ শাখা AQAP র পরিচালনায় উমর ফারুক আব্দুল মুত্তালিব(আল্লাহ্ তাঁকে মুক্ত করুন) ন্যাদারল্যান্ডস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েডগামী একটি বেসামরিক বিমানে হামলার চেষ্টা চালান। এই বিমানে ২৭৯ জন বেসামরিক যাত্রী ছিলো।
৫. আল শাবাব কর্তৃক কেনিয়ার নাইরোবির ওয়েস্টগেট বিপণিবিতান হামলা- ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩।
৬. আল শাবাব কর্তৃক কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গ্যারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা- ২ এপ্রিল, ২০১৩।
৭. বোস্টনে অনুষ্ঠিত ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় বোম্বিং- ১৫ এপ্রিল, ২০১৩। এ হামলাকেও কায়িদাতুল জিহাদ সমর্থন করে।
এই হলো কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজ। তাই যুদ্ধরত কাফির জাতির প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের হত্যার ব্যাপারে যারা আপত্তি তুলছেন কিংবা Lone wolf জিহাদকে যারা হারাম সাব্যস্ত করার প্রয়াস পাচ্ছেন- তারা আর যাই হোক কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজের কেউ নন। এটা কীভাবে সম্ভব যে, একজন কায়িদাতুল জিহাদের মানহাজে থেকে এসব ব্যাপারে এমন আপত্তি তুলতে পারেন! হ্যাঁ, যদি আপত্তি তুলতেই হয়, তবে নিজেকে মানহাজের দাবি না করে কেউ দলিল আকারে তাঁর অভিমত পেশ করতেই পারেন, এ অধিকার প্রত্যেক মুসলিমেরই আছে। আর নাসিহাহ্* পাবার ও গ্রহণ করবার মানসিকতাও কায়িদাতুল জিহাদের থাকা উচিত।
কায়িদাতুল জিহাদের সেনাদের মাঝেও কোনো কোনো মাসয়ালাহয় ইজতিহাদি ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তানজিমের ইমামাতে নিজ মাসয়ালাহকে বিসর্জন দেবার মনমানসিকতাও একজন সেনার থাকা উচিত বলে মনে করি, আর যখন কিনা ব্যাপারটি হয় নিছক ইজতিহাদি।
উপমহাদেশের মুসলিমদের অবস্থান, প্রেক্ষাপট ও আলিম সমাজের ইলমের ধারা, রুচীর ওপর লক্ষ্য করে হয়তো কায়িদাতুল জিহাদ এ অঞ্চলে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করতে পারে, কিন্তু এতে করে মূল মানহাজের কোনো প্রভাব পড়তে পারে না। কায়িদাতুল জিহাদকে বুঝতে হবে, নিছক কোনো জিহাদি তানজিম হিশেবে এর আবির্ভাব নয়। বরং কায়িদাতুল জিহাদ এক ভারসম্পন্ন মানহাজকে ধারণ করে- তাওহিদ ওয়াল জিহাদের মানহাজ- যা মিল্লাতু ইবরাহিমের মানহাজ।
Comment