১) বাশার আল আসাদের রাশিয়া কানেকশন অনেকদিনের । আমেরিকা চায় না রুশপন্থী বাশার ক্ষমতায় থাকুক। তাই সৃষ্টি হলো কথিত আইএস, হামলা হলো সিরিয়ায়।
২) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলাদ, স্যোশালিস্ট পার্টি। সম্পর্ক তার আমেরিকার সাথে নয়, রাশিয়ার সাথে। ২০১৫ তে প্যারিস অ্যাটাক করে কথিত আইএস ফ্রাসোঁয়া ওলাদকে বুঝিয়ে দিলো আমেরিকাকে বাদ দিয়ে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ভালো করলে কি হয় ?
৩) রাশিয়ার সাথে পরমানু চুক্তি করেছে শেখ হাসিনা। তৈরী হবে রূপপুর পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্র। গত ২১ জুন ‘স্থান সনদ’ বা সাইট লাইসেন্স পাওয়ার পর মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে গুলশানে হামলা করা হলো, সিএনএন-এ সরাসরি সম্প্রচার করা হলো। বিশ্বজুড়ে প্রচার পেলো- বাংলাদেশ জঙ্গী রাষ্ট্র, সেখানে পরমাণু প্রকল্প অবশ্যই রিস্কি। আর হাসিনাকে শিক্ষা দেওয়া হলো- আমেরিকার কথা না শুনলে আর রাশিয়ার সাথে ঘষাঘষি করলে শাস্তিটা কি ?
৪) গত নভেম্বরে রাশিয়ান বিমান ফেলে দেওয়ার পর রাশিয়া-তুরষ্কের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। কিন্তু গত ২৭শে জুন তুরষ্ক রাশিয়ার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে, ধারণা করা হয় এর মাধ্যমে তুরষ্ক-রাশিয়ার সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হবে। কিন্তু এর মাত্র একদিন পরেই তুরষ্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে বোমা হামলা চালালো কথিত আইএস। বোমা হামলায় মারা গেলো অর্ধশত, আহত হলো আড়াইশ”। বুঝিয়ে দেয়া হলো- আমেরিকাকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ভালো করলে কি হয় ?
আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, আইএস হচ্ছে আমেরিকার গুন্ডা বাহিনী। কোন দেশ যদি আমেরিকার স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় কিংবা মার্কিন শত্রু রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ভালো করে, তখন সেখানে আইএস পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয় ‘কত ধানে কত চাল’। যাদের মাথা আছে, তারা সবাই বুঝে কি ঘটছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয় ইসলাম ধর্মের ছদ্মাবরণ, এতে ‘এক ঠিলে দুই পাখি মারে’ আমেরিকা।
Comment