মুরতাদ এবং বিদ’আতিদের পাশাপাশি যুদ্ধ করা
আইসিসের নানা অফিশিয়াল প্রকাশনার নিয়মিত লেখক আবু মায়সারা আশ-শামি, আইসিসের অফিসিয়াল ম্যাগাজিন দাবিক্ব-এর ষষ্ঠ সংখ্যার ২২ নং পৃষ্ঠায় লিখেছে –
“আমি বিশ্বস্ত সূত্রে[1] জানতে পেরেছি যে,ইয়েমেনের আল জউফ প্রদেশে “আনসার আশ শারীআহ্” হুথিদের বিরুদ্ধে মুরতাদ আর্মি (আব্দ রাব্বুর আর্মি, “আরব বসন্তের বাহিনী”) ও দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ব্রাদারহুডের সাথে মিলে যুদ্ধ করছে।”
এ কথার জবাবে আমরা বলি, “হে নির্যাতিত দাউলা (রাষ্ট্র), আল্লাহ তোমার সাথে আছেন” – শীর্ষক বক্তব্যে আইসিসের প্রধান মুখপাত্র বলেছিলঃ
“যখনি দাউলা কোন অপারেশন চালানোর সময় অন্য কোন গ্রুপকে তাদের সাথে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয় তখনি দেখা যায় মিডিয়া দাউলার নাম উল্লেখ করা ব্যতীত অপারেশনের সমস্ত কৃতিত্ব কেবল ঐ দলের নামে চালিয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, আলেপ্পোতে অবস্হিত “মিনাঘ” বিমানবন্দর মুক্ত করার কৃতিত্ব পুরোপুরি ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকে দেয়া হয়, যদিও অপারেশনটির পরিকল্পনা,প্রস্তুতি এবং সম্পাদন করেছিল দাউলার। FSA এর কিছু ব্যাটালিয়ানের সৈন্য এ অপারেশানে অংশগ্রহণ করেছিল মাত্র। অপারেশন এর ব্যাপারে মিডিয়া দাউলার নামটি পর্যন্ত উল্লেখ করেনি। FSA এর সেকুলার “বাহিনী প্রধান” এর মুখপাত্র নির্লজ্জের মত এই অপারেশনের কৃতিত্ব দাবি করে। অথচ বাস্তবতা হল যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তারা ছিল হোটেলে !”
আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই, ফ্রি সিরিয়ান আর্মির ব্যাপারে তোমাদের মতে কি হুকুম হওয়া উচিৎ (তারা কি মুরতাদ না মুসলিম)?[2] বিশেষ করে তোমরা যাদের সাথে, যাদের পাশাপাশি, যাদের সাথে মিলে “মিনাঘ” বমানবন্দরের যুদ্ধে অংশগ্রহন করলে তাদের সাথে যখন ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মূল নেতাদের এতোই দহরম-মহরম যে খোদ “বাহিনী প্রধান”[3](Cheif Of Staff) এই অপারেশনের কৃতিত্ব স্বীকার করে বক্তব্য দিচ্ছে! আরো নির্দিষ্ট করে বললে, তোমাদের সাথে এই অপারেশনে অংশগ্রহণকারীরা হল সেই “নর্দান স্টর্ম”[4] যাদের সম্পর্কে তোমাদের মুখপাত্র সে একই বক্তৃতায় বলেছে –
“যারা “নর্দান স্টর্ম” নামে পরিচিত তাদের শয়তানী ও পাপাচার সম্বন্ধে সবাই জানে। দূরের এবং কাছের সবাই জানে যে তারা আমেরিকান শূকর জন ম্যাককেইনকে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে এবং তার সাথে আলোচনায় তারা,দাউলা ও মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সম্মত হয়েছে। যেদিন দাউলার সৈনিকরা মিনাঘ বিমানবন্দরে আক্রমণ করে সেদিন তারা একটা নুসাইরি ট্যাংকও চুরি করে নিয়ে গেছে,যে ট্যাংক থেকে মিনাঘ বিমানবন্দর থেকে মুসলিমদের উপর গোলাবর্ষণ করা হত। সম্পরতি তারা ক্রুসেডারদের এক গুপ্তচরকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং এ গুপ্তচরকে রক্ষার্থে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। দাউলার সৈনিকরা এ গুপ্তচরের ক্যমেরায় স্থাপনা ও সামরিক অবস্থানের রেকর্ডিং পেয়েছে, এমন এক সময়ে যখন অ্যামেরিকার সামরিক হামলার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।“
যদি তোমাদের মতে এরা মুরতাদ হয়ে থাকে, তাহলে তো এটা স্ববিরোধি হয়ে গেল! নিজেরাই যেখানে এই কাজ করছ সেখানে কিভাবে তোমরা অন্যদের সমালোচনা কর?[5]
হুথিদের বিরুদ্ধে মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে মিলে যুদ্ধ করার ব্যাপারে আলোচনা করা যাক।
এ ব্যাপারে তোমাদের প্রতি আমাদের প্রশ্ন হল ইখওয়ানুল মুসলিমীনের ( মুসলিম ব্রাদারহুড) সাথে সম্পর্কিত সবাই কি তোমাদের মতে কাফির?[6] যদি তোমাদের উত্তর হয়, ‘না বরং তারা বিদ’আতি” – তাহলে তোমাদের উচিৎ শায়খ আবু মুস’আব আয-যারক্বাউয়ির নিচের কথাগুলো বিবেচনা করাঃ
“শায়খ আব্দুল্লাহ আল জানাবি একজন সুফি, যার সাথে আমাদের মতপার্থক্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে আমরা উনার সাথে একমত নই। তা সত্ত্বেও শাইখ আবু আনাস আশ শামী (আল্লাহ্ তার উপর রহম করুন) তার মাথায় চুম্বন করতেন। আমরা তার ব্যাপারে ভাল ধারণা রাখতাম এবং আশা করতাম যেন তাকে আমরা সালাফদের পথে নিয়ে আসতে পারি। শায়খ আবু আনাস তাকে ইবনে তাইমিয়ার একটা বই ও দিয়েছিলেন। আমরা তার কাছ থেকে আর কি চাইতে পারি যেখানে তিনি, জিহাদের পতাকাকে সমুন্নত করছেন এবং মুসলিমদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ডাক দিচ্ছেন? আল্লাহর কসম, আমরা উনাকে তাদের চেয়ে উত্তম মনে করি, যারা জিহাদের ব্যাপারে মুসলিমদের নিরুৎসাহিত করে এবং পেছনে পড়ে থাকে….সুতরাং আমার ভায়েরা! আমাকে একজন বিদ’আতে লিপ্ত সুফি এনে দাও,যে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে। আমি তার পায়ে চুমু খাব। তিনি আমার কাছে পেছনে বসে থাকা সাহীহ আক্বিদাওয়ালাদের চেয়ে উত্তম। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন ব্যাক্তি মুসলিম এবং মুজাহিদ ততক্ষণ পর্যন্ত সে কল্যাণের উপর আছে। সে পেছনে বসে থাকা ব্যাক্তির থেকে উত্তম, পেছনে বসে থাকা ব্যাক্তি যেই হোক না কেন। তবে তার জিহাদ আমাকে তার বিদ’আতগুলো পরিত্যাগ করতে বাধা দেয় না এবং একই সাথে তার বিদ’আত জিহাদের ব্যাপারে তাকে সমর্থন করতে আমাকে বাধা দেয় না…বিদ’আতির ব্যাপারে আমাদের অবস্হান হল,আমরা তার ব্যাপারে ধৈর্য্য ধারণ করি,তাকে নাসীহাহ করি, তার পাশে থেকে যুদ্ধ করি এবং ভুলের মধ্যে তাকে ফেলে রাখি না আবার তার তোষামোদও করি না। আমরা তাকে ততক্ষণ পর্যন্ত দাওয়াহ দিয়ে যেতে থাকি যতক্ষণ পর্যন্ত না সে সুন্নাহর পথে ফিরে আসে।”[7]
তবে কি যারক্বাউয়িও পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিল?
দাউলাতুল ইসলামিয়্যাহ ফিল ইরাকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে[8] ইখওয়ানুল মুসলিমীনসহ ইরাকের দলসমূহকে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল-
“এটা জানা কথা যে তারা আক্বিদার কিছু বিষয়কে হালকা করে ফেলেছে। তারা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পদ্ধতিকে গ্রহন করেছে এবং তারা মনে করে এটা শুরার মত। মাসলাহা ও মাফসাদার দোহাই দিয়ে তারা সেক্যুলার সরকারের সাথে অংশগ্রহণ করাও বৈধ মনে করে।”
আর দ্বিতীয় শ্রেণীভুক্ত দলগুল সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে –
এরা হল সে সব দল যারা সালাফিয়্যাহ এবং আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আর মানহাজের স্লোগান দেয়, কিন্তু তাদের এসব স্লোগানের আড়ালে তারা বিভিন্ন শার’ই বিষয়ে ইখওয়ানুল মুসলিমের মানহাজ ধারন করে, তারা উপলব্ধি করুক আর না করুক। এছাড়া এরা “সালাফি নবজাগরণের” বিভিন্ন ;আলিমম এবং দা’ইদের সাথেও সম্পর্কযুক্ত। এবং ইখওয়ানের মতই তারা সেক্যুলার সরকারে এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহন করাকে বৈধ মনে করে, যদিও ইখওয়ানের সাথে অন্য অনেক বিষয়ে তাদের মতপার্থক্য রয়েছে। সুতরাং বলা যায়,এই আন্দোলন, বিশুদ্ধ মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়”
লক্ষ্য করুন, এখানে এমন দলগুলোকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যারা সরকারের সাথে যোগ দেয়া এবং গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারনা গ্রহন করাকে বৈধতা দেয়।
অতঃপর বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে –
“এবং জিহাদের ময়দানে এসকল পার্থক্য কোন ভাবেই মুসলিম ভূখন্ড আক্রমনকারী ক্রুসেডার শত্রুকে বিতাড়িত করার ক্ষেত্রে এসব আন্দোলনের সাথে ইমানের ভিত্তিতে পারস্পরিক আনুগত্যের (আল ওয়ালা) দ্বারা সহায়তা, সহযোগিতা, পারষ্পরিক উপদেশ এবং একে অপরের সাথে মাশওয়ারার করার ক্ষেত্রে কোনরূপ বাধা হতে পারে না।”[9]
সুতরাং তোমরা যাদের সাথে ইতিপূর্বে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করেছো তাদের মধ্যে যদি এই বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে থাকে, তাহলে কিভাবে তোমরা একই কাজের জন্য অন্যদের দোষারোপ করো?!!
আর এরূপ করা যদি পথভ্রষ্টতা হয় তাহলে সর্বাগ্রে তোমরাই পথভ্রষ্ট।
================
রেফারেন্স
[1] “অতএব এসো মিথ্যাবাদীর উপর আল্লাহর লানতের দু’আ করি”, শীর্ষক বক্তব্যে আবু মুহাম্মাদ আল-আদনানি বলেছিল – “আর যদি তুমি তাদের প্রশ্ন করো, ‘কিসের ভিত্তিতে তুমি বিচার করছো?’ তারা বলবে, ‘আমি বিশ্বস্ত কারো কাছ থেকে জানতে পেরেছি।‘ সুবহান’আল্লাহ! এ বিশ্বস্ত ব্যক্তি যদি আমাদের শত্রু হয় তবুও? আমাদের বিরুদ্ধে তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার করা হবে?)।“ – আইসিসের জন্য সবাই তাদের শত্রু। আর তাই ইয়েমেন থেকে যই কেউ আবু মাইসারা আশ-শামীর সাথে যোগাযোগ করে থাকে তাহলে নিসন্দেহে সে আইসিসের নিজেদের কেউ, এবং নিঃসন্দেহে সে আল-ক্বা’ইদাহ্*র শত্রু। তাহলে যদি আইসিসের বিরুদ্ধে বিশ্বস্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহন অনুচিত হয় কারন সে আইসিসের শত্র, তাহলে আল-ক্বা’ইদাহ্*র বিরুদ্ধে বিশ্বস্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহন কিভাব উচিৎ হতে পারে, যখন সাক্ষ্যদাতা আল-ক্বা’ইদাহ্*র শত্রু? দেখুন কিভাবে তারা অন্যদের যার জন্য অভিযুক্ত নিজেরাই অহরহ সেসব কাজে লিপ্ত হয়।
[2] আইসিস তাদের অফিশিয়াল ম্যাগাযিন “দাবিক্ব” –এর দশম সংখ্যা ৪৪ নং পৃষ্ঠায় বলেছে, “ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মুরতাদরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে”।
[3] ইসলামি ফ্রন্ট ও এর নেতাদের ব্যাপারে ১৬-ই জুমাদি আল-আখিরাত, বুধবারম ১৪৩৫ হিজরিতে আইসিসের অফিশিয়াল শারীয়াহ কাউন্সিল থেকে প্রকাশিত বক্তব্য হল, “…এবং এসব কারনে এই সম্মিলিত বাহিনীর সকল রুপে ও সকল অংশে, এদের কর্মচারী সহ মুরতাদ, যারা আল্লাহর দ্বীন ত্যাগ করেছে”, পৃষ্ঠা ৭
[4] ফ্রি সিরিয়ান আর্মির, নর্দান স্টর্ম প্লাটুনের পক্ষ থেকে ভিডিও প্রকাশ করা হয় যেখানে আইসিসের নেতৃত্বাধীন মিনাঘ বিমানবন্দরের যুদ্ধে আইসিসের সাথে নর্দান স্টর্মের পক্ষ থেকে অংশগ্রহনকারী ও মৃত্যুবরণকারী সেনাদের নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়। যুদ্ধশেষে বিমানবন্দর মুক্ত হবার পর, নর্দান স্টর্ম বিমানবন্দরের বেহতর প্যারেডও করে।
[5] আইসিসের এধরনের স্ববিরোধিতা ও সু্যোগসন্ধানী তাকফিরি নীতির ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পড়ুন – “আইসিসের ভ্রান্ত ও সুযোগসন্ধানী তাকফির নীতির বাস্তবতাঃ কেন আইসিস মুরতাদ সাব্যস্ত হবে না?”
[6] যেমন দাউলাতুল ইসলামিয়্যাহ ফিল ইরাকের প্রথম আমীর, আবু উমার আল-বাগদাদি, ইরাকে কার্যরত ইখওয়ানুল মুসলিমীনের(মুসলিম ব্রাদারহুড) শাখা, “আল হিযবুল ইসলামি” সম্পর্কে বলেছিলেন – “আমরা মনে করি না, যারা এতে প্রবেশ করেছে তারা সবাই কাফির হয়ে গেছে, যদি না তাদের বিরুদ্ধে শারীয়াহ সম্মত প্রমান থাকে” দেখুন বক্তব্য- “বলুনঃ আমি আমার রবের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছি”, ১৩ মার্চ,২০০৭ আল ফুরক্বান ফাউন্ডেশান
[7] “আবু ইয়ামান আল-বাগদাদি এবং আবু-মুস’আব আয-যারক্বাউয়ির মধ্যে কথোপকথন”, পৃষ্ঠা ২৩,২৪
[8] “বিংশ শতাব্দীর বিপ্লবী ব্রিগেডদের নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা” শিরোনামে দেয়া বিবৃতি যা প্রকাশিত হয়েছে “আল ফজর মিডিয়া সেন্টার” কতৃক ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে আল শুমুখ ফোরামের “ইসলামিক স্টেটের বিবৃতি এবং রিপোর্টের আর্কাইভ” সেকশানে। মুরাসসিল আশ- শুবখা (ফোরাম সদস্য) দ্বারা বিবৃতিটি পোষ্ট হয়, যেটি থেকে শুধুমাত্র অফিশিয়াল পোস্ট করা হয়।
[9] আল ইখওয়ানুল মুরতাদ্দিন [The Murtadd Brotherhood] শিরোনামের দাবিক্ব ১৪ নং সংখ্যার প্রচ্ছদকাহিনী অনুযায়ী আইসিস এখন সমগ্র মুসলিম ব্রাদারহুডকেই মুরতাদ মনে করে। এবং যারা তাদের সাথে এক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করে তাদেরকে তারা চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী গোমরাহ বলে আখ্যায়িত করেছে। বিশেষ ভাবে শায়খ আবু মুস’আব আস-সুরি ফাঃআঃ কে এ বিষয়ে নাম ধরে গোমরাহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নীতি অনুযায়ী আবু উমার আল-বাগদাদিসগ দাউলাতুল ইসলামিয়্যাহ ফিল ইরাকের সাবেক শীর্ষ নেতৃবৃন্দও গোমরাহ, যেহেতু উপরের উদ্ধৃতিতে তারা স্পষ্ট ভাবে জিহাদের ময়দানে ইখওয়ান বা অনুরূপ দলগুলোর সাথে সহাবস্থান জায়েজ হবার অবস্থান গ্রহন করেছেন।
Comment