Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ ফরয সর্বদা, কিন্তু কখন কিফায়া আর কখন আইন?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ ফরয সর্বদা, কিন্তু কখন কিফায়া আর কখন আইন?

    জিহাদ কখন ফরয হয়?

    ১। খলিফার নির্দেশে কাফির অথবা খাওয়ারিজদের বিরুদ্ধে জিহাদ
    ২। মুসলিম শাসকের নির্দেশে কাফির অথবা খাওয়ারিজদের বিরুদ্ধে জিহাদ


    এই প্রকারের জিহাদ হচ্ছে ফরযে কিফায়া। খলিফা/শাসক যাদের নির্দেশ দিয়েছেন, তারা পালন করলেই গোটা দারুল ইসলামের সকলের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে, কিন্তু সাওয়াব শুধু যারা জিহাদ করেছে তারাই পাবে।

    ১। দারুল ইসলাম যদি দারুল হারবে পরিণত হয়
    ২। দারুল ইসলাম যদি দারুল কুফরে পরিণত হয়


    ১। দারুল হারবে পরিণত হওয়া মানে, মুসলিমদের জান-মালের উপর কাফিরদের আগ্রাসন আসলে।
    ২। দারুল কুফরে পরিণত হওয়া মানে শরীয়াহ ব্যাবস্থা পুরোপুরি বিলুপ্ত করে, কুফর-শিরকের ব্যাবস্থাকে রাষ্ট্রে অধিষ্ঠিত করা হলে।


    এইরকম পরিস্থিতি জিহাদ ফরযে আইন হবে সেই এলাকার সকল মুসলিমের জন্য, আর বাকি এলাকার মুসলিমদের জন্য তা ফরযে কিফায়া। তবে সেই এলাকার মুসলিমরা ব্যর্থ হলে তাদের পার্শ্ববর্তী এলাকার মুসলিমদের জন্য তারা ফরযে কিফায়া থেকে ফরযে আইন হয়ে যাবে, এভাবে সেই এলাকা পুনরায় দারুল ইসলামে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত ধাপে ধাপে সমগ্র উম্মাহর জন্য সেই কুফর-শিরক প্রতিষ্ঠাতা কাফির-মুরতাদদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরযে আইন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কেউ আদায় করলেই সকলের আদায় হবে না। ফরযে আইন হওয়ার পরও যারা আদায় করবে না, তাদের ফরযিয়াত অনাদায় থেকে যাবে।

    ফরযে আইন জিহাদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তা কোন খলিফা/শাসকের মুখাপেক্ষী না, দারুল ইসলাম/খিলাফাহ এর মুখাপেক্ষী না। অর্থাৎ দারুল ইসলাম/খিলাফাহ, খালিফা/শাসক অনুমতি দেক আর না দেক, তাদের অস্তিত্ব থাকুক আর না থাকুক, কারো উপর জিহাদ ফরযে আইন হলে, তাকে সেটা করতে হবে, না করলে ফরয আনদায় থাকবে। দারুল ইসলাম/খিলাফাহ, খলিফা/শাসকের শর্ত তখন, যখন জিহাদ কারো উপর ফরযে কিফায়া।

    সালতের জন্য যেন ওযু জরুরী, জিহাদের জন্য তেমনি আমীর এবং প্রস্তুতী জরুরী। জিহাদ যখন কোন এলাকার মুসলিমদের উপর ফরযে আইন হয়ে যায়, তখন তাদের জিহাদের জন্য একজন আমীর এবং প্রস্তুতী প্রয়োজন। খলিফা/শাসক থাকলে তারা নিজেরাই সেই দায়িত্ব নিতে পারেন, অথবা কাউকে সেই দায়িত্ব দিতে পারেন। আর তারা যদি তা না করেন, অথবা তাদের কোন অস্তিত্ব না থাকে, তখন যাদের উপর জিহাদ ফরযে আইন, তারা নিজেদের মধ্য থেকে অবশ্যই একজন আমীর নিয়োগ দিবে, এবং নিজেদের মত করে যথাসম্ভব প্রস্তুতি নিবে। জিহাদের প্রস্তুতি নেয়া সকল অবস্থায়ই ফরযে আইন, চাই জিহাদ থাকুক আর না থাকুক, মুসলিমরা আক্রান্ত হোল আর না হোক, শরীয়াহ কায়েম থাকুক আর না থাকুক, আমীর থাকুক অথবা না থাকুক।



    খিলাফাত এবং খলিফার অনুপস্থিতিতে, শাসক খলিফার দায়িত্ব পালন করবেন। এবং খলিফার অধিকার এবং মর্যাদাগুলো সেইসব শাসকই পাবেন যারা শরীয়াহ দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে, অর্থাৎ শুধুমাত্র দারুল ইসলামের শাসকরা। এবং অবশ্যই তারা অন্যান্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করবে না।


    কোন দারুল ইসলামের খলিফা/শাসক যদি মুরতাদ হয়ে যায়, অথবা অন্যান্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করে, তবে তার আশেপাশের মুসলিমরা তাকে সরিয়ে একজন যোগ্য মুসলিমকে খলিফা/শাসক হিসেবে নিয়োগ দিবে। যদি তারা না করে, তাহলে বুঝতে হবে যে তারা ওই মুরতাদ শাসকের দোসর। অর্থাৎ, দারুল ইসলামের শাসন ক্ষমতা তাগুতদের হাতে চলে গিয়েছে। এমন অবস্থায় সেই তাগুতদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ওই দারুল ইসলামের মুসলিমদের ফরযে কিফায়া, এবং পর্যায়ক্রমে ফরযে আইন, যতক্ষণ পর্যন্ত না মুসলিম খলিফা/শাসক এবং প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে তা আবার দারুল ইসলামে পরিণত করা হয়।

    এখানে জিহাদ বলতে যে কোন ধরণে চেষ্টা নয়, বরং সবধরণের চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে কাফির-মুরতাদদের বিরুদ্ধে শরীয়াহ মধ্য থেকে এমন কাজ করা, যা করলে নির্যাতন আর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকবে, শহীদ হবার ইচ্ছা এবং সম্ভাবনা দু’টোই থাকবে, এবং তা কোন জাতীয়তাবাদের জন্য নয়, বরং শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য হতে হবে।
    যেমন পরিপূর্ণ তাওহীদের দাওয়াত, কুফর বিত তাগুত ওয়া ঈমান বিল্লাহ ‘র ব্যাপারে স্পষ্ট জ্ঞান অর্জন করা এবং অন্যদের তা শিক্ষা দেয়া। আল্লাহর জন্য মুসলিমদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, একটি পতাকার নীচে সকলকে আহবান করা। আল-ওয়ালা ওয়াল-বারার সাথে কোন আপোষ না কর, এবং অন্যদের এর মর্মার্থ বুঝানো। রিবাত-ক্বিতালের জন্য নিজেকে যথাসম্ভব তৈরী করা। বিভিন্ন খাওয়ারিজ-বিদা’তী গোষ্ঠি যেমন তাকফিরী, মুর্যিয়া এবং অন্যান্যদের ব্যাপারে ধারণা রাখা। তাদের গোমরাহী সম্পর্কে জানা এবং তা থেকে বেঁচে থাকা এবং অন্যদের সাবধান করা। মুসলিমদের ১৪০০ বছরের ইতিহাস শুরু থেকে যথাসম্ভব জানার চেষ্টা করা এবং কুরআন-সুন্নাহ থেকে অর্জিত জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত করার চেষ্টা করা। সমকালীন বিশ্ব, বিশেষ করে মুজাহিদ এবং নির্যাতিত মুসলিমদের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা রাখার জন্য নিয়মিত খোঁজ-খবর নেয়া। এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্যা সঠিক ব্যাবস্থা নেয়া। নিয়মিত আল্লাহর কাছে দুআ করা, যেভাবে তাঁর রাসূল আমাদের শিখিয়েছেন।


    জিহাদ একটি দীর্ঘ ইবাদাত, এর মর্যাদাও তেমনি দীর্ঘ, এর জন্য কুরবানীও তেমনি দীর্ঘই দিতপে হয়, চাই তাওয়াক্কুল আর ইখলাস।



    লেখাটাতে কি কি ভুল আছে সকলে বলবেন একটু।

  • #2
    Originally posted by Mifta View Post
    ১। দারুল ইসলাম যদি দারুল হারবে পরিণত হয়
    ২। দারুল ইসলাম যদি দারুল কুফরে পরিণত হয়

    ১। দারুল হারবে পরিণত হওয়া মানে, মুসলিমদের জান-মালের উপর কাফিরদের আগ্রাসন আসলে।
    ২। দারুল কুফরে পরিণত হওয়া মানে শরীয়াহ ব্যাবস্থা পুরোপুরি বিলুপ্ত করে, কুফর-শিরকের ব্যাবস্থাকে রাষ্ট্রে অধিষ্ঠিত করা হলে।

    ... ... ... ...
    লেখাটাতে কি কি ভুল আছে সকলে বলবেন একটু।
    দারুল হারব এবং দারুল কুফর আলাদা কিছু নয়। বাই ডিফল্ট, প্রত্যেকে দারুল কুফর দারুল হারব। তবে, দারুল আহদ নামে আরেকটা দার আছে, যেখানকার জনগোষ্ঠীর সাথে মুসলিমদের শান্তিচুক্তি আছে। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দারুল হারব দারুল আহদে পরিণত হয়।

    Comment


    • #3
      তার আশেপাশের মুসলিমরা তাকে সরিয়ে একজন যোগ্য মুসলিমকে খলিফা/শাসক হিসেবে নিয়োগ দিবে। যদি তারা না করে, তাহলে বুঝতে হবে যে তারা ওই মুরতাদ শাসকের দোসর। অর্থাৎ, দারুল ইসলামের শাসন ক্ষমতা তাগুতদের হাতে চলে গিয়েছে। এমন অবস্থায় সেই তাগুতদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ওই দারুল ইসলামের মুসলিমদের ফরযে কিফায়া
      আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, শাসক কাফির হয়ে গেলে জনগণ যদি তাকে অপসারন না করে, তবে জনগণকেও শাসকের দোসর বলে তাগুত ট্যাগ দিয়ে তাদের উপর হামলা করতে হবে?? এটা তো খারেজীদের মানহাজ!!! যে তাকফীর করে না, তাকে তাকফীর না করার কারণে তাকফীর করা!!!!

      Comment

      Working...
      X