ফেৎনা বন্ধ করতে হলে বা পথপ্রদর্শন করতে হলে নিজের কথা পক্ষপাতমুক্ত হতে হয়। যদিও তা সূক্ষ্ণ হয়। নিজেদেরকে বড় অবস্থানে রেখেই ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করা যায় না। পরিপূ্ণ ত্যাগ শিকার করতে হয়।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
ফোরামে আশঙ্কাজনক সাম্প্রদায়িকতা
Collapse
X
-
লা হাওলা ওলা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
কি শুরু হল ?
আমাদের এই ফোরামে গ্যাঞ্জাম লাগানোর মূল কারিগরদের আগমন হয়েছে হটাত করে। তারা আগুন্তুকের মত এসে এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলে যা খুবই অবাক করার।
১ম তো এক ব্যক্তি এসে হারবি কাফের না মারার ব্যপারে এমনভাবে কথা বলতে লাগলো যাকে দেখে মনে হচ্ছিল সে আহলে হাদিস গ্রুপের।
ঠিক কয়েক দিন পরেই ২য় আরেক ব্যক্তি এসে এমনভাবে কিছু আলেমগনের নাম উল্লেখ করলো আর এমনভাবে কথা বলা শুরু করলো যাতে মনে হচ্ছে উনারা এমন একটা প্রতিষ্টানের একনিষ্ট ভক্ত, যাদের কোন ভুল নেই।
আসলে সমস্যার সুত্রপাত এখানেই। কিছু প্রতিষ্টান সম্পর্কে অতিরিক্ত ভালোবাসাই, উম্মাহর রক্ত ক্ষরণ দেখে সেই সব প্রতিষ্টান সম্পর্কে কিছু যুবকের যৌক্তিক প্রশ্ন উত্থাপনের পরই এই ফিতনার শুরু।
তাই আমার মতে আমাদের ফোরামে জিহাদে জরিত নয় এমন ব্যক্তিদেরকে বিশেষ বিশেষণে বিশেষায়িত না করে পোস্ট করলে ভালো হয়। হোক সে মদিনার বা ভারতের যে কেউ।
কারণ উম্মাহর রক্তাক্ত দেহ দেখে যে কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারে যাদেরকে এমন বিশেষণে বিশেষায়িত করা হচ্ছে তাদের এই রক্ত বন্ধ করায় অবদান কি?? আর এই প্রশ্ন থেকেই সকল সমস্যার শুরু হয়েছে।
তাই আমার মতে যেসব আলেম!! জিহাদে নেই, নারী এবং দুর্বলদের সাথে পিছনে বসে আছে তাদের কোন লেখা এই ফোরামে পোস্ট না করা। সে যেই স্থানের বা যে সময়েরই হোক না কেন।"তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"
- Stuck
Comment
-
তাই আমার মতে যেসব আলেম!! জিহাদে নেই, নারী এবং দুর্বলদের সাথে পিছনে বসে আছে তাদের কোন লেখা এই ফোরামে পোস্ট না করা। সে যেই স্থানের বা যে সময়েরই হোক না কেন।
এমনটি হলে তো শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর মত অল্প সংখ্যক আলেমের কিতাবাদি ছাড়া ইসলামি জ্ঞানভান্ডারের সকল কিতাবই বাদ হয়ে যাবে!
ভাই! একটু চিন্তা করুন!
- Stuck
Comment
-
সহীহ দাওয়াত ভাই
আপনি দেখা যায় সহীহ দাওয়াত দেওয়ার পরিবর্তে ভেজাল দাওয়াত দেওয়া শুরু করলেন ?
এই ফোরামে সব জনসাধারণের জন্য বাক স্বাধীনতা দেওয়ার মানে এই নয় যে এখানে সঠিক জ্ঞানের পরিবর্তে মানুষদেরকে ভুল ধারণা এবং ফিৎনায় ফেলে দেওয়া ।
আমি খুব ব্যস্ত হাতে সময় খুব কম তাই বেশি কিছু লিখতে পারলাম না ।
আপনি কি আর কোন নাম বাছাই করতে পারলেন না ?
আমার নামের সাথে রিলেটিভ নাম পছন্দ করলেন ?
Comment
-
Originally posted by salahuddin aiubi View Postইবনে মুমিন ভাই আশ্চর্য কথা বললেন! আচ্ছা তাহলে ইমাম বুখারি রহঃও তো জিহাদ করেননি! ইবনে হাজার আসকালানি, ইবনে কাসির, ইমাম যাহাবি, আল্লামা শামী, ইবনে নুজাইম সহ ফিকহ, হাদিস ও তাফসিরের অসংখ্য ইমামগণই তো জিহাদ করেননি! অথচ এঁদের অধিকাংশের যামানায় কিছু কিছু ইসলামি ভূখন্ড কাফেরদের দখলে ছিল। তাহলে কি তাদের কিতাবগুলো গ্রহণহযোগ্য হবে না?
এমনটি হলে তো শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর মত অল্প সংখ্যক আলেমের কিতাবাদি ছাড়া ইসলামি জ্ঞানভান্ডারের সকল কিতাবই বাদ হয়ে যাবে!
ভাই! একটু চিন্তা করুন!
সম্মানিত মোডারেটর ভাই, আপনাদের একটা কাজে খুবই কষ্ট পেলাম একবার বলেন এটা ওপেন ফোরাম তাই সবাই পোস্ট করতে পারবে। কিন্তু ে কেমন দ্বিমুখী কথা। আপনারা আমার পোস্ট অন্ধ দেওবন্দি বা সালাফিবাদ এটা ডিলেট করে দিলেন...
এটা কি এই কারণেই যে এই পোস্টের কারণে কিছু অন্ধভক্তের গাত্র দাহন শুরু হয়ে যায়>???পক্ষান্তরে এইখানে ঠিকই এইরকম পোস্ট দিয়ে রাখছেন?? আসলে ভাই। সব সময় এমনই হয় যাদের পাওয়ার বেশি থাকে মানুষ তাদেরকেই সাপোর্ট করে বেশি।
যার আরেকটি নমুনা হল ফেক সালাফি লেকচারটি। কারণ সালাফিদের যা ইচ্ছা তা বলা যাবে কারণ ওরা এই জমিনে মাইনরিটি। কিন্তু মেজরিটিদের দিকে যদি ঐতিহাসিক ভাবে সত্য প্রশ্নও তুলে ধরা হয় তবু পোস্টের টুটি চেপে ধরা হবে।। যাতে এইরকম প্রশ্ন আর ২য় কেউ তুলতে না পারে। ভালো থাকুন আপনারা ভাই। এই ফোরাম আপনাদেরই । যেমন ইচ্ছে হয় তেমনই আচারন হবে এবং এটাই সত্য। মাইনরিটি নিয়ে যে কেউ যা ইচ্ছে বলতে পারবে কিন্তু মেজরিটির কোন ভুল হতে পারে তা প্রকাশ করা যাবে না। প্রকাশ করলেই টুটি চেপে ধরা হবে যেখানেই হোক, হোক সেটা ফোরামে বা মসজিদের মিম্বারে। সালাম। দুয়া কইরেন ভাই। বেয়াদবি হইলে মাফ চাই।
আসলে আজকে শায়খ জসিম উদ্দিন রহমানি (হাফিঃ ) কে মনে পড়ে। তিন্ি যখন তাগুতের হাতে ধরা পড়লেন তখন কথিত হক্কানিরা শুদু এই কারণেই তার কাছ থেকে দূরে ছিল যে উনি মহান, নির্ভুল, আকাবীরদের কিছু ভুল তুলে ধরেছিলেন। অবশ্য দালাল সালাফিরাও কিছু করে নি কারণ ছিল শুধুই শায়খের জিহাদ সংক্রান্ত কথা।
যাই হোক আর কিইবা বলবো অলরেডি তো কেউ কেউ বলাই শুরু করে দিয়েছে যে আমার হয়তো দেওবদিদের সাথে কোন পারসোনাল বিদ্বেষ আছে।
মেজরিটির বিপক্ষে যেই প্রশ্নও তুলবে তারই টুটি চেপে ধরা হবে। যদিও কথা সত্য হোক।
মেজরিটি জিন্দাবাদ।
মাইনরিটি মুর্দাবাদ ।
জানি না আমার এই কমেন্টের টুটি চেপে ধরা হবে কিনা।
যদি চেপে না ধরেন তবে তা হবে আপনাদের দয়া।
আর টুটি চেপে ধরলে তবে ফোরাম তো আপনাদেরই
সালাম ভাই, ভুল বললে মাফ কইররেন। ভালো থাইকেন, দুয়া চাই।
হয়তোবা টুটি চেপেই ধরা হয় কিনা..."তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"
- Stuck
Comment
-
Originally posted by murabit View Postوتساءل مع نفسك عن حظك من علامات العلم النافع هى
العمل به
كراهية المدح والتكبر على الخلق
تكاثر تواضعك
الهرب من حب الترأس والشهرة
هجر دعو العلم
اساءة الظن بالنفس واحسانه بالناس تنزها عن الوقوع بهم"তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"
Comment
-
Originally posted by salahuddin aiubi View Postইবনে মুমিন ভাই আশ্চর্য কথা বললেন! আচ্ছা তাহলে ইমাম বুখারি রহঃও তো জিহাদ করেননি! ইবনে হাজার আসকালানি, ইবনে কাসির, ইমাম যাহাবি, আল্লামা শামী, ইবনে নুজাইম সহ ফিকহ, হাদিস ও তাফসিরের অসংখ্য ইমামগণই তো জিহাদ করেননি! অথচ এঁদের অধিকাংশের যামানায় কিছু কিছু ইসলামি ভূখন্ড কাফেরদের দখলে ছিল। তাহলে কি তাদের কিতাবগুলো গ্রহণহযোগ্য হবে না?
এমনটি হলে তো শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর মত অল্প সংখ্যক আলেমের কিতাবাদি ছাড়া ইসলামি জ্ঞানভান্ডারের সকল কিতাবই বাদ হয়ে যাবে!
ভাই! একটু চিন্তা করুন!
এটা একটা বড় পার্থক্য।
- Stuck
Comment
-
ছোট খাট বিষয়ে তর্কে জড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
আমরা আমাদের আসল মাকসাদ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।
আমরা তর্ক করে যে সময় নস্ট করছি তা অন্য কোন ভাল কাজে ব্যয় করতে পারতাম।
সহীহ দাওয়াত নামক আই ডি তার কর্মে সে সফল হয়েছে।আমাদের মাঝে ঝগড়া লাগিয়ে সে আমাদেরকে এসলাহ করতে চায়।ভাইকে আমি বলব আপনি এমন হীন কাজ থেকে বিরত থাকুন।শরীয়তে এটা সম্পূর্নরূপে অবৈধ।এমন কাজকে শরীত মুনাফিকি বলে সাব্যস্ত করেছে।
সত্যিই আপনার মেধার প্রসংসা করতে হয় কিন্তু তা যদি ভাল কাজে ব্যয় হত তাহলে আমাদের উপকার হত।
আল্লাহ আপনাকে এবং আমাদের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।Last edited by banglar omor; 08-14-2016, 01:44 PM.শামের জন্য কাঁদো.....
Comment
-
Originally posted by Zakaria Abdullah View Postউল্লেখিত এ সকল ইমাম ও উলামাগণের সময় জিহাদ ফরজে আইন ছিল না। এখন ফরজে আইন।
এটা একটা বড় পার্থক্য।
যাকারিয়া ভাই! আমি তো বলেছি, তাদের অধিকাংশের যামানায় কিছু কিছু আঞ্চল কাফেরদের দখলে ছিল তাহলে?
আর ইবনে মুমিন ভাই! আপনি তো কট্টর্, তাহলে শুধু ফাতওয়া দেওয়াই কি যথেষ্ট? এটা বলবেননা, যে অন্তত এতটুকু তো করেছে? কারণ আপনার মাঝে তো শিথিলতা নেই।
আর একটি বিষয় হল, বর্তমান কালের আলেমরা স্পষ্ট বিরোধিতা করছে; কিন্তু কিছুকাল আগের আলেমরা, যাদেরকে অনেকে আকাবির বলে, তারা নিজেরা না করলেও বিরোধিতা করেননি। শুধু তাই নয়; তাদের ৯৯% ই সমর্থন করেছেন ও ভালবেসেছেন। তাদের কারো কারো অবস্থান এরূপ ছিল যে, জিহাদ কাম্য; কিন্তু তার কেন্দ্র মাদ্রাসা হলে তা কৌশলগতভাবে ক্ষতিকর হবে। এ মতের ক্ষেত্রে তারা বিভ্রান্তিতে ছিলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে জিহাদকে তো ভালবেসেন।
এ ছিল অধিকাংশের অবস্থা, কিন্তু মনে হয়, কারো কারো মাঝে দু:খজনক সমস্যাও ছিল।
যাইহোক তাহলে ঐ সকল লোকদের মাসআলা দলীলভিত্তিক হলে এবং পূর্ববর্তী ইমামদের কিয়াসের সাথে মিললে তা গ্র্রহণ করতে কিসে বাঁধা দেয়?!
যে দলিল দিয়ে বলা সত্তে স্পষ্ট অবদানকে মানে না, (কাল্পনিক যুক্তির মাধ্যমে- প্র্রতিষ্ঠানসহ ঘন্টা বাজিয়ে যেতে হবে। অথচ বুঝমান প্রতিটি ব্যক্তি তা মানবে!) তার থেকে গোড়ামি ছাড়া কি ই বা আশা করা যায়?
Last edited by salahuddin aiubi; 08-13-2016, 01:00 PM.
Comment
-
Originally posted by murabit View Postوتساءل مع نفسك عن حظك من علامات العلم النافع هى
العمل به
كراهية المدح والتكبر على الخلق
تكاثر تواضعك
الهرب من حب الترأس والشهرة
هجر دعو العلم
اساءة الظن بالنفس واحسانه بالناس تنزها عن الوقوع بهم
আপনার অধিকাংশ পোস্ট এ অনুবাদ বিহীন আরবী থাকে। যা আমাদের অধিকাংশ সদস্যরাই পড়তে সক্ষম নন।
তাই মেহেরবানী করে আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছু সময় করে হলেও অনুবাদ সহকারে উপকারি ইলমের সোহবত আমরা কামনা করি। আল্লাহ তায়ালা আপনার কাজে বারাকাহ দান করুন। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
Comment
-
Originally posted by salahuddin aiubi View Post
আর ইবনে মুমিন ভাই! আপনি তো কট্টর্, তাহলে শুধু ফাতওয়া দেওয়াই কি যথেষ্ট? এটা বলবেননা, যে অন্তত এতটুকু তো করেছে? কারণ আপনার মাঝে তো শিথিলতা নেই।
আর একটি বিষয় হল, বর্তমান কালের আলেমরা স্পষ্ট বিরোধিতা করছে; কিন্তু কিছুকাল আগের আলেমরা, যাদেরকে অনেকে আকাবির বলে, তারা নিজেরা না করলেও বিরোধিতা করেননি। শুধু তাই নয়; তাদের ৯৯% ই সমর্থন করেছেন ও ভালবেসেছেন। তাদের কারো কারো অবস্থান এরূপ ছিল যে, জিহাদ কাম্য; কিন্তু তার কেন্দ্র মাদ্রাসা হলে তা কৌশলগতভাবে ক্ষতিকর হবে। এ মতের ক্ষেত্রে তারা বিভ্রান্তিতে ছিলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে জিহাদকে তো ভালবেসেন।
এ ছিল অধিকাংশের অবস্থা, কিন্তু মনে হয়, কারো কারো মাঝে দু:খজনক সমস্যাও ছিল।
যাইহোক তাহলে ঐ সকল লোকদের মাসআলা দলীলভিত্তিক হলে এবং পূর্ববর্তী ইমামদের কিয়াসের সাথে মিললে তা গ্র্রহণ করতে কিসে বাঁধা দেয়?!
যে দলিল দিয়ে বলা সত্তে স্পষ্ট অবদানকে মানে না, (কাল্পনিক যুক্তির মাধ্যমে- প্র্রতিষ্ঠানসহ ঘন্টা বাজিয়ে যেতে হবে। অথচ বুঝমান প্রতিটি ব্যক্তি তা মানবে!) তার থেকে গোড়ামি ছাড়া কি ই বা আশা করা যায়?
"তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"
Comment
-
Originally posted by ibn mumin View Postলা হাওলা ওলা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
কি শুরু হল ?
আমাদের এই ফোরামে গ্যাঞ্জাম লাগানোর মূল কারিগরদের আগমন হয়েছে হটাত করে। তারা আগুন্তুকের মত এসে এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলে যা খুবই অবাক করার।
১ম তো এক ব্যক্তি এসে হারবি কাফের না মারার ব্যপারে এমনভাবে কথা বলতে লাগলো যাকে দেখে মনে হচ্ছিল সে আহলে হাদিস গ্রুপের।
ঠিক কয়েক দিন পরেই ২য় আরেক ব্যক্তি এসে এমনভাবে কিছু আলেমগনের নাম উল্লেখ করলো আর এমনভাবে কথা বলা শুরু করলো যাতে মনে হচ্ছে উনারা এমন একটা প্রতিষ্টানের একনিষ্ট ভক্ত, যাদের কোন ভুল নেই।
আসলে সমস্যার সুত্রপাত এখানেই। কিছু প্রতিষ্টান সম্পর্কে অতিরিক্ত ভালোবাসাই, উম্মাহর রক্ত ক্ষরণ দেখে সেই সব প্রতিষ্টান সম্পর্কে কিছু যুবকের যৌক্তিক প্রশ্ন উত্থাপনের পরই এই ফিতনার শুরু।
তাই আমার মতে আমাদের ফোরামে জিহাদে জরিত নয় এমন ব্যক্তিদেরকে বিশেষ বিশেষণে বিশেষায়িত না করে পোস্ট করলে ভালো হয়। হোক সে মদিনার বা ভারতের যে কেউ।
কারণ উম্মাহর রক্তাক্ত দেহ দেখে যে কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারে যাদেরকে এমন বিশেষণে বিশেষায়িত করা হচ্ছে তাদের এই রক্ত বন্ধ করায় অবদান কি?? আর এই প্রশ্ন থেকেই সকল সমস্যার শুরু হয়েছে।
তাই আমার মতে যেসব আলেম!! জিহাদে নেই, নারী এবং দুর্বলদের সাথে পিছনে বসে আছে তাদের কোন লেখা এই ফোরামে পোস্ট না করা। সে যেই স্থানের বা যে সময়েরই হোক না কেন।
এই ফোরামের মূলনীতি গুলো মেনে চলি। মতবিরোধ ও দ্বন্ধ পরিহার করি। নিজের মতের উপর অন্যের মতকে প্রাধান্য দেই।
তাই আমার মতে যেসব আলেম!! জিহাদে নেই, নারী এবং দুর্বলদের সাথে পিছনে বসে আছে তাদের কোন লেখা এই ফোরামে পোস্ট না করা। সে যেই স্থানের বা যে সময়েরই হোক না কেন।
শাইখ জসীমুদ্দীন রাহমানী (আল্লাহ তায়ালা তাকে মুক্ত করুন) তানজীম আল কায়েদার মানহাজকে সন্মান করেন ও সমর্থন করেন। যেহেতু শাইখ উনার কিছু সালাফি আসক্ত অনুসারী ও ছাত্রদের মাধ্যমে সালাফি স্ট্যান্ড এর দিকে ফিকহী বিষয়ে ঝুকে গিয়েছিলেন। তথাপি তিনি স্বীকার করতেন যে, আমাদেরকে এই জমীনে আহনাফদের মাসলাক মেনেই কাজ করা উচিত।
শাইখ বলেছিল যে, "আমি যেহেতু একটা অবস্থান নিয়ে নিয়েছি ওপেন দায়ী হিসেবে এটা পরিবর্তন করতে গেলে অনুসারীদের মাঝে ভুল বঝাবুজি সৃষ্টি হবে। তাই আমি সালাফিদের মাঝে দাওয়াত ও জিহাদের কাজ চালিয়ে যাই আপনারা আহনাফ সমাজে উলামায়ে কেরামদের মাঝে কাজ চালিয়ে যান ইনশাআল্লাহ ।"
সুতরাং শাইখের নামে কোন রটনায় আমরা কান না দেওয়াই ভালো হবে। শাইখের ভুল ত্রুটি আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিন।
মাজহাবী ও ফুরয়ী বিষয়ে শাইখ কিছু বয়ান ও বই লিখার কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েন। আর একটি কথিত ইসলামী দল উনাকে আরো কালার করার জন্য "হানাফি <> সালাফি" মুনাজারা বা বাহাছ জালিয়াতি নাটকের এর ফাদে ফেলে অপপ্রচার করে আহনাফ দের মাঝে আরো বেশী কালার করেছে। এই জমানায় বিচক্ষনতা ব্যতীত জিহাদ করা কঠিন বিশেষ করে উলামাদেরকে অনেক বেশি ইলমের বাস্তব প্রয়োগ বুঝতে হবে ও বিচক্ষন হতে হবে। কারন তারা ওপেন দাওাতের ময়দানে কাজ করেন। শত্রুরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন তকমা লাগিয়ে কালার করার শত চেষ্টা করে হকের দাওয়াতকে বন্ধ করে দিতে সচেষ্ট।
এক কথায় নবী রাসুল ব্যতীত কোন ব্যক্তি ভুলের উর্ধে না। তাই কোন ব্যক্তির মানহাজ ও ভুলের উর্ধে না। আমরা একটা গ্লোবাল জিহাদি কাফেলা ! এখানে আমাদের একটা তানজিমী লক্ষ্য উদ্দেশ্য অ মানহাজ রয়েছে যা কোন একক ব্যক্তির বুঝের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। জিহাদী ময়দানের এমন সকলের ইলম,হিলম, অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার আলোকে এই মানহাজ ঠিক করা হয়েছে যা আল হামদুলিল্লাহ সর্বজন স্বীকৃত তার সুফল অয়ামরা দেখতে পাচ্ছি।। আলোচনা করতে গেলে কলেবর অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে। শাইখ আইমান আজ যাওয়াহিরী একটা পত্র লিখেছিলেন শাইখ আবু মুঅসয়াব আজ জারকাভী রাহিঃ এর নিকট সেখানে মানহাজগত কারণে জিহাদ ও উম্মাহর ঐক্যের স্বার্থে দীনের ছোটখাট, শাখাগত মতপার্থক্য ছাড় দেওয়া উচিত। এটাই সাহাবা ও উম্মতের সালাফদের মানহাজ ছিল।উসেখানে অতীতের কিছু উলামাদের ( ইমাম নাববী ও সালাহুদ্দীন আইয়বী......) আকীদাগত ভুল ত্রুটি তুলে ধরে বলেছেন যে, তাদের এই সমস্ত কিছু ভুলত্রুটি থাকা স্বত্বেও উম্মাহ তাদের দীনের অন্যন্য বড় বড়ো খেদমত থেকে কি পড়িমান ফায়দা পেয়েছেন। কৈ তাদের নিয়েতো কেউ কোন কথা বলেন নি! তাহলে আমরা কি বঝলাম ! আমরা কি করছি ! আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সহীহ মানহাজ বুহার তৌফিক দিন। আমীন।
আপনাদের নিকট আশা রাখবো এর পর থেকে কেউ এই ধরনের মতবিরধ বা ঝগড়া ফাসাদ থেকে বিরত থাকনে ইনশাল্লাহ।
মূল কাজের ব্যপারে আপনার খেদমত উম্মাহ আশা করছে উম্মাহর রক্ত ক্ষরনের এই ক্লান্তি লগ্নে এসব ছোট খাট বিষয়ে পড়ে থাকা আমাদের সাজে না ভাই। কোন বুদ্ধিমান মুসলিম এটা করতে পার না।
শয়তান আমাদের মাঝে বিবেদের আগুন জালাতে বসে আছে এটা যেন ভুলে না যাই ।
@ঈবনে মুমিন ভাই !
মডারেটো ভাইরা অযথা কোন পোষ্ট ব্লক বা এডিট / ডিলিট করেন না, হৌক সেটা আপনার বা অন্যের।সুতরাং ফোরামের মূলনীতি অ আদব বঝায় রেখে কমেন্ট করুন তাহলে দেখবেন আপনার পোষ্ট ঠীক থাকবে ইনশাআল্লাহ। অযথা মডারেটর বা এডমি এর বিরুদ্ধে ভুলবুঝ তৈরী করা থেকে বিরত থাকুন। াবেগ তারিত হয়ে পোষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। মুনাযারা মনোভাব থেকে বিরত থাকি। আমার জানা বা বুঝ ভুল অ হতে পারে। ঞ্জেকে শুধরানোর আরো বাকি থাকতে পারে সেটা সকলেই মা্থায় রাখবো ইনশাআল্লাহ তাহলেই দেখবেন সমস্যা হচ্ছে না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ভাই ভাই হয়ে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাওার তাউফিক দিন। আমীন।
আমার কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা সন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ওয়াস সালাম
Comment
-
প্রিয় বাংলার উমর ভাই জাযাকাল্লাহ আমাকে সুন্দরভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য।
আপনি বলেছেনঃ দেওবন্দিদের প্রতি ইবনে মুমিন ভাইয়ের অন্তরে যে অনেক ক্ষোভ তা তার পোষ্টের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।তার ক্ষোভের কারণ হয়ত এই যে দেওবন্দিরা জিহাদ বিরোধী।
আমি বলছিঃ জী এতে কোন সন্দেহ নেই । বর্তমানের অধিকাংশ দেওবন্দিরাই জিহাদের অপব্যাক্ষা কারী শুধু কিছু আলেম বাঁধ দিয়ে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছেঃ exception not example.
আপনি বলেছেনঃ এজন্য আমি তাকে কোন দোষ দিবনা বরং তার কাছে আমি জানতে চাই আপনি কয়জন দেওবন্দির কাছে আলকায়দার জিহাদি মানহাযের দাওয়াত নিয়ে গেছেন?
আমি বলছিঃ হুম। এর কোন উত্তর দিব না। আগে যা দিয়েছিলাম তা এডিট করে প্রত্যাহার করে নিলাম।
আপনি বলেছেনঃ আপনি কথায় কথায় অন্ধ শব্দটি ব্যবহার করে কি বুঝাতে চাচ্ছেন?আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন আপনিই শুধু চাক্ষুষমান?আল্লাহকে ভয় করুন।
আমি বলছিঃ না আমি কখনোই বলি নি যে আমি চক্ষুষ্মান। আমি বিলিভ করি আমার রব আমার সামনে হক তুলে ধরেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আমি এই নিয়ে নিজে অহংকার করি না, শুধু আমার রবের শুকরিয়া আদায় করা ছাড়া।
আপনি বলেছেনঃ আপনার পোস্ট দেখে মনে হল আপনি মুফতি জসিম উদ্দিন রহমানীর (আল্লাহ তার মুক্তিকে তরান্নিত করুন)একজন অন্ধ ভক্ত।
কিন্তু আপনি কতটুকো জানেন এই শায়েখ সম্পর্কে?আপনি কি মনে করেন শায়েখের সব কথা গুলোই ছহীহ?
আপনার এবং আপনার মত যারা তার অন্ধ ভক্ত শুধু তাদের জ্ঞাতার্তে বলতে বাধ্য হচ্ছি তার কথার মাঝে অনেক গুলু রয়েছে।আর এই কথাটি আমার নয় বরং শায়খুল হাদীস আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহর।
আমি বলছিঃ আমি জানি শায়খের কিছু বিষয়ে বাড়াবাড়ি ছিল যেমন মাজহাব, তাবিজ, রাফুল ইয়াদিন। না শায়খের সকল কথাই সহিহ ছিল না, কিন্তু এই বাড়াবাড়ির কারণে তার সাথে বারা করা এটা কেমন মূর্খতা। লা হাওলা ওলা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। তাদের মুখ অন্ধকার হোক যারা ফিকহি বাড়াবাড়ির কারণে বলে যে শায়খ বন্দি হওয়াতে ভালোই হয়েছে। আর আমি তো আপনার কথায় এটাই দেখতে পাচ্ছি যে আপনি সেই হতভাগাদের মৌন সম্মতি দিচ্ছেন, যারা বলে উনার এই বন্দিত্ব ঠিকই হয়েছে। আকাবিরদের দোষ ধরছে তাই আল্লাহর গযব পরছে, টাডা পড়ছে।
আর শায়খুল হাদিস আবু ইমরান (হাফিঃ) যা বলেছেন তা সত্য, এবং তিনি শুধু এই কারণে বলেছেন যে সেটা ফিকহি বিষয় ছিল। । কিন্তু আপনার ইরাদা কি তা বুঝা যাচ্ছে না। আপনি শায়খের কথাকে এখানে আপনার মৌন সম্মতিকে জায়েজ করার জন্য তুলে এনেছেন কিনা তা চিন্তার বিষয়।
আপনি তো আমাকে বললেন যে আমার মত শায়খের অন্ধ ভক্তদের জানার জন্য বলছেন যে শায়খের কিছু গুলু ছিল । তবে এই কথা কি আপনাদের ক্ষেত্রেও খাটে না যে আপনাদের অন্ধ দেওবন্দি প্রেম দেখে কিছু কথা আমিও বলেছি!!
হে আমার ভাই, আপনি এখনো কি আমাকে শায়খের অন্ধভক্ত বলবেন? কারণ আমি তার দোষ স্বীকার করেছি। এবং কোথায় কোথায় বাড়াবাড়ি ছিল তাও বলে দিয়েছি। আপনি এখন দুটি অপরাধ করেছেন এক আমার উপর অপবাদ দিয়েছেন, মিথ্যা বলেছেন যে আমি অন্ধভক্ত। নয়তো আমার সম্পর্কে না জেনে বোকার মত ধারনা করেছেন। আমি দেওবন্দকে এই জন্য বলছি কারণ ওরা এই দেশে প্রভাবশালী। সালাফিদের প্রভাব এই জমিনে নেই বললেই চলে, তাই যাদের প্রভাব বেশি তাদের ভুল দ্বারা মানুষ বায়াস্ট হয়ও বেশি। সেই জন্যই তাদের কিছু ভুলের দিকে নজর দেওয়া কি অপরাধ হয়ে গেছে...?? সকল কিছুর একটা সীমা আছে।সীমাতরিক্ত ভালোবাসা বা বিদ্বেষ কিছুই ভালো না। সম্মানিত মোডারেটর ভাইয়েরা যদি আমার পোস্ট ডিলেট না করতেন তাহলে আবারো সবাই দেখতে পেত কে সীমাতরিক্ত বিদ্বেষ দেখাচ্ছে আর কে সীমাতরিক্ত ভালোবাসা দেখাচ্ছে। আল্লাহ তাদের মুখে মজলুমদের রক্তের ছিটা ফেলুক যারা জিহাদ বিমুখ আলেমদের ! বন্দনা দিয়ে ফোরাম গরম করে ফেলছে।
ভুলে যাবেন না আমার রবের পরিবর্তনের সুন্নাহ যে কোন প্রভাবশালীর প্রভাবকে পরোয়া করে না।
আপনি বলেছেনঃ আপনি মোডারেট ভাইদেরকে মেজরটি আর মাইনেরটি শিখাচ্ছেন?
আমি বলছিঃ জী না। সকল মোডারেটর ভাইদেরকে না। যিনি আমার পোস্ট ডিলেট করেছেন তাকে বলেছি। কারণ তিনি আমার পোস্ট এই জন্য সরিয়ে দিয়েছেন যে ওটাতে দেওবন্দিদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল কিন্তু একজনও আমার প্রশ্নগুলো যথারত উত্তর দিয়ে আমার প্রশ্ন গুলোর অসারতা তুলে ধরা তো দুরের কথা বরঞ্চ এমন সব আবেগি কান্না শুরু করলো যার ফলে অনেকেই মূল কথা থেকে সরে তাদের আবেগি কান্নায় থমকে দাঁড়ালো। আর কেউ কেউ চুপ থাকলো।
আপনি বলেছেনঃ আপনি ইতিপূর্বে একটি পোষ্টে বলেছিলেন জেনারেল গাইড সম্পর্কে আপনার ভাল ধারণা রয়েছে কিন্তু আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনার কথা মিথ্যা প্রমানিত হল।
আমি বলছিঃ এর উত্তর সময় দিবে ইংশা আল্লাহ। আল্লাহর কাছে দুয়া কইরেন যেন আমি আমাদের জেনারেল গাইড লাইন ভালো করে বুঝতে পারি। কি করবেন তো ভাই!! নাকি কোন বদদুয়া করবেন। অলরেডি তো না বুঝে আমার সম্পর্কে বদ ধারনা করে বসেই আছেন যে আমি অন্ধ শায়খ ভক্ত।
আপনি বলেছেনঃ ভারত উপমহাদেশে দেওবন্দিরা সংখ্যাগুরু আর সালাফিরা হল সংখ্যালুঘু ।এখন যদি আলকায়দা এই উপমহাদেশে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করতে চায় তাহলে তাদেরকে অবশ্যই দেওবন্দিদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে ।এখতেলাফি বিষয়গুলোকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে।আর এটাই হল আলকায়দার মানহায ।
আমি বলছিঃ স্যালুট জানাই ভাই আপনাকে এতক্ষণে মূল কথায় আসার জন্য। মুহতারাম ইখতিলাফি বিষয় এড়িয়ে যাওয়াই কায়দাতুল জিহাদের মানহাজ। এখন আমাদের বুঝতে হবে এখতিলাফের বিষয় কোনগুলোঃ যেমন রফুল ইয়াদিন, জোরে বা আস্তে আমিন, এক চাঁদের ঈদ। কিন্তু জিহাদ এখন ফরযে আইন না কিফায়া এই বিষয়ে শুধু তারাই এখতেলাফ করবে যাদের অন্তর সত্য দেখে না অথবা যারা নিজেরাই চোখ বন্ধ করে রেখেছে যাতে পূর্ববর্তীদের মতের উপর আমল হয়, যার ভিত্তি হল জিহাদ করলে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।
নোটঃ ভাই অনেক কথা হল । কেউ যদি কিছু বুঝতে চায় তাহলে সে বুঝে নিবে।যাই হোক সকল অভিযোগ আল্লাহর কাছে।
প্রিয় ভাই আমার মনোভাব আপনাদের মাঝে চলে আসুক সেই জন্য আমি কমেন্ট বা পোস্ট দেই নি। আপনি অন্ধ দেওবন্দি হন বা সালাফি হন এটা আপনার ব্যাপার। শুধু কিছু ভাইয়ের মারাত্মক আকাবির প্রীতি দেখে কিছু প্রশ্ন তুলেছিলাম। যদি তাদের দ্বারা অন্ধ শায়খ প্রীতি দেখা যেত তবে আমার এই লেখায় তাদের হাই লাইট করতাম। কিন্তু আফসোস। এই কথা বারবার চিৎকার করে বলার পরেও আপনাদের মত জ্ঞানী মানুষেরা বারবার আমাকে বলেই যাচ্ছেন যে, আমি দেওবন্দের অন্ধ বিরোধী/ বিদ্বেষী।
"তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"
Comment
-
Originally posted by ibn mumin View Postজাযাকাল্লাহ ভাই, প্রিয় ভাই, আমার কথা ব্যাপক অর্থে ছিল। জি তাদের সময় ভুখন্ড কুফফাআরদের দখলে থাকলেও তাদের মাঝে জিহাদ বিমুখতা দেখা যায় নি। এমন কি আপনি যদি ইতিহাস ঘাঁটেন তবে দেখতে পাবেন যে ইমাম গাজ্জালি (রাহিঃ) এর কাছে আন্দালুস থেকে ততকালীন উমাইয়া আমীর জিহাদের বিধান জানতে চেয়েছিলেন। তিনি তখন ফতোয়া দিয়েছিলেন আন্দালুসে ফরযে আঈন। আসলে আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম যে একে তো যারা জিহাদ করে নি আর সাথে সাথে জিহাদের পক্ষে কোন ফতোয়াও দেয় নি। যেমনটা এখন করে থাকেন আমাদের কথিত হক্কানি আর সহীহরা।
সম্মানিত মোডারেটর ভাই, আপনাদের একটা কাজে খুবই কষ্ট পেলাম একবার বলেন এটা ওপেন ফোরাম তাই সবাই পোস্ট করতে পারবে। কিন্তু ে কেমন দ্বিমুখী কথা। আপনারা আমার পোস্ট অন্ধ দেওবন্দি বা সালাফিবাদ এটা ডিলেট করে দিলেন...
এটা কি এই কারণেই যে এই পোস্টের কারণে কিছু অন্ধভক্তের গাত্র দাহন শুরু হয়ে যায়>???পক্ষান্তরে এইখানে ঠিকই এইরকম পোস্ট দিয়ে রাখছেন?? আসলে ভাই। সব সময় এমনই হয় যাদের পাওয়ার বেশি থাকে মানুষ তাদেরকেই সাপোর্ট করে বেশি।
যার আরেকটি নমুনা হল ফেক সালাফি লেকচারটি। কারণ সালাফিদের যা ইচ্ছা তা বলা যাবে কারণ ওরা এই জমিনে মাইনরিটি। কিন্তু মেজরিটিদের দিকে যদি ঐতিহাসিক ভাবে সত্য প্রশ্নও তুলে ধরা হয় তবু পোস্টের টুটি চেপে ধরা হবে।। যাতে এইরকম প্রশ্ন আর ২য় কেউ তুলতে না পারে। ভালো থাকুন আপনারা ভাই। এই ফোরাম আপনাদেরই । যেমন ইচ্ছে হয় তেমনই আচারন হবে এবং এটাই সত্য। মাইনরিটি নিয়ে যে কেউ যা ইচ্ছে বলতে পারবে কিন্তু মেজরিটির কোন ভুল হতে পারে তা প্রকাশ করা যাবে না। প্রকাশ করলেই টুটি চেপে ধরা হবে যেখানেই হোক, হোক সেটা ফোরামে বা মসজিদের মিম্বারে। সালাম। দুয়া কইরেন ভাই। বেয়াদবি হইলে মাফ চাই।
আসলে আজকে শায়খ জসিম উদ্দিন রহমানি (হাফিঃ ) কে মনে পড়ে। তিন্ি যখন তাগুতের হাতে ধরা পড়লেন তখন কথিত হক্কানিরা শুদু এই কারণেই তার কাছ থেকে দূরে ছিল যে উনি মহান, নির্ভুল, আকাবীরদের কিছু ভুল তুলে ধরেছিলেন। অবশ্য দালাল সালাফিরাও কিছু করে নি কারণ ছিল শুধুই শায়খের জিহাদ সংক্রান্ত কথা।
যাই হোক আর কিইবা বলবো অলরেডি তো কেউ কেউ বলাই শুরু করে দিয়েছে যে আমার হয়তো দেওবদিদের সাথে কোন পারসোনাল বিদ্বেষ আছে।
মেজরিটির বিপক্ষে যেই প্রশ্নও তুলবে তারই টুটি চেপে ধরা হবে। যদিও কথা সত্য হোক।
মেজরিটি জিন্দাবাদ।
মাইনরিটি মুর্দাবাদ ।
জানি না আমার এই কমেন্টের টুটি চেপে ধরা হবে কিনা।
যদি চেপে না ধরেন তবে তা হবে আপনাদের দয়া।
আর টুটি চেপে ধরলে তবে ফোরাম তো আপনাদেরই
সালাম ভাই, ভুল বললে মাফ কইররেন। ভালো থাইকেন, দুয়া চাই।
হয়তোবা টুটি চেপেই ধরা হয় কিনা...
প্রিয় ভাই,
উপরের কথা গুলো মনে হচ্ছে খুব রাগ আর ক্ষোভের সাথে লিখেছেন !
আপনি আমাদের কথাই বুঝতে পারেন নি তাহলে।
এই ফোরাম সবার জন্যে উন্মোক্ত মানে এই না যে, মূলনীতি ও নীতিমালার বাহিরে গিয়ে এখানে যে যা খুশি বলে বেড়াবে আর ফিতনা ছড়াবে আমরা চুপ করে সেটা দেখবো।তাহলে আর মডারেটর রাখার কি দরকার আছে ? ! মডারেটরদের কাজ কি !
"সবার জন্য উন্মোক্ত" মানে হচ্ছে এখানে সবাই আসবে ঐক্যের জন্য, বিবেদ সৃষ্টি করতে নয়। এখানে আসবে দ্বীনের মূল বিষয় ইলল ও আমল শিখতে শিখাতে,ইজতেহাদ ও মাজহাবগত দন্ধে জড়াতে নয় ; এখানে আসবে মুজাহিদ ও জিহাদের মানহাজ শিখতে ও মেনে চলতে ; ফিতনা করতে নয়। আপনি এটা বুঝতে ভুল করছেন আখি।
কি কারণে বা কি আচরনের কারণে মডারেটোর ভাইগণ আপনার পোষ্ট ডিলিট করেছেন তা আগে ফিকির করে দেখুন আখি।
আমার বিশ্বাস উনারা পক্ষপাতি করেন না। মুলনীতির বিরুদ্ধে গেলেই হস্তক্ষেপ করা উনাদের দায়ীত্ব।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ {وَإِذَا قُلْتُمْ فَاعْدِلُوا}
আর যখন কথা বলবে তখন আদল ইনসাফের সাথে বলবে। (সূরা আল আনয়াম ১৫২)
সন্মানিত লোকদের সন্মান রেখে কথা বলা সুন্নাতের অংশ।
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (أنزلوا الناس منازلهم) رواه أبو داود في سننه
রাসুল সাঃ বলেনঃ মানুষের সাথে তাদের মর্যাদার লেভেল অনুযায়ী আচরণ কর। (আবু দাউদ)
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (( مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُؤْذِ جَارَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ )) أخرجه البخاري ومسلم
রাসূল সাঃ বলেনঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহ অ আখেরাতের দিবসের প্রতি ইমাম রাখে .........তার উচিত হয় ভালো কথা বলবে নয়তো চুপ থাকবে।(বুখারী ও মুসলিম)
আপনি রীতিমত অনেক ইলজাম (আপবাদ) দিয়ে যাচ্ছেন মডারেটোর ভাইদেরকে। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
আখি! কথার লাগাম টেনে ধরুন, না হলে এটা আপনার বিরুদ্ধে হুজত হয়ে যাবে একদিন আখি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের কলমের কালিকে উপকারি কাজে ব্যায় করার তাইফিক দিন।
اللهم أصلح ذات بيننا ولا تجعل قلوبنا غلا لأحد.
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ
শাইখ জসীমুদ্দীন রাহমানী (আল্লাহ তায়ালা তাকে মুক্ত করুন) তানজীম আল কায়েদার মানহাজকে সন্মান করেন ও সমর্থন করেন। যেহেতু শাইখ উনার কিছু সালাফি আসক্ত অনুসারী ও ছাত্রদের মাধ্যমে সালাফি স্ট্যান্ড এর দিকে ফিকহী বিষয়ে ঝুকে গিয়েছিলেন। তথাপি তিনি স্বীকার করতেন যে, আমাদেরকে এই জমীনে আহনাফদের মাসলাক মেনেই কাজ করা উচিত।
শাইখ বলেছিল যে, "
আমি যেহেতু একটা অবস্থান নিয়ে নিয়েছি ওপেন দায়ী হিসেবে এটা পরিবর্তন করতে গেলে অনুসারীদের মাঝে ভুল বঝাবুজি সৃষ্টি হবে। তাই আমি সালাফিদের মাঝে দাওয়াত ও জিহাদের কাজ চালিয়ে যাই আপনারা আহনাফ সমাজে উলামায়ে কেরামদের মাঝে কাজ চালিয়ে যান ইনশাআল্লাহ ।"
এটা এই অধম শাইখ এর নিকট থেকে নিজ কানে শুনা কথা।
সুতরাং শাইখের নামে কোন রটনায় আমরা কান না দেওয়াই ভালো হবে। শাইখের ভুল ত্রুটি আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিন।
মাজহাবী ও ফুরয়ী বিষয়ে শাইখ কিছু বয়ান ও বই লিখার কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েন। যেটা করা উচিত ছিল না। আর একটি কথিত ইসলামী দল উনাকে আরো কালার করার জন্য "হানাফি <> সালাফি" মুনাজারা বা বাহাছ জালিয়াতি নাটকের এর ফাদে ফেলে অপপ্রচার করে আহনাফ দের মাঝে আরো বেশী কালার করেছে। এই জমানায় বিচক্ষনতা ব্যতীত জিহাদ করা কঠিন। বিশেষ করে উলামাদেরকে অনেক বেশি ইলমের বাস্তব প্রয়োগ বুঝতে হবে ও বিচক্ষন হতে হবে। কারন তারা ওপেন দাওাতের ময়দানে কাজ করেন। শত্রুরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন তকমা লাগিয়ে কালার করার শত চেষ্টা করে হকের দাওয়াতকে বন্ধ করে দিতে চায়।
এক কথায় নবী রাসুল ব্যতীত কোন ব্যক্তি ভুলের উর্ধে না। তাই কোন ব্যক্তির মানহাজ ও ভুলের উর্ধে না। আমরা একটা গ্লোবাল জিহাদি কাফেলা ! এখানে আমাদের একটা তানজিমী লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও মানহাজ রয়েছে যা কোন একক ব্যক্তির বুঝের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। জিহাদী ময়দানের এমন সকলের ইলম,হিলম, অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার আলোকে এই মানহাজ ঠিক করা হয়েছে যা আল হামদুলিল্লাহ সর্বজন স্বীকৃত তার সুফল অয়ামরা দেখতে পাচ্ছি।। আলোচনা করতে গেলে কলেবর অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে।
শাইখ আইমান আজ যাওয়াহিরী একটা পত্র লিখেছিলেন শাইখ আবু মুঅসয়াব আজ জারকাভী রাহিঃ এর নিকট সেখানে মানহাজগত কারণে জিহাদ ও উম্মাহর ঐক্যের স্বার্থে দীনের ছোটখাট, শাখাগত মতপার্থক্য ছাড় দেওয়া উচিত। এটাই সাহাবা ও উম্মতের সালাফদের মানহাজ ছিল।উসেখানে অতীতের কিছু উলামাদের ( ইমাম নাববী ও সালাহুদ্দীন আইয়বী......) আকীদাগত ভুল ত্রুটি তুলে ধরে বলেছেন যে, তাদের এই সমস্ত কিছু ভুলত্রুটি থাকা স্বত্বেও উম্মাহ তাদের দীনের অন্যন্য বড় বড়ো খেদমত থেকে কি পড়িমান ফায়দা পেয়েছেন। কৈ তাদের নিয়েতো কেউ কোন কথা বলেন নি! তাহলে আমরা কি বঝলাম ! আমরা কি করছি ! আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সহীহ মানহাজ বুহার তৌফিক দিন। আমীন।
আপনাদের নিকট আশা রাখবো এর পর থেকে কেউ এই ধরনের মতবিরধ বা ঝগড়া ফাসাদ থেকে বিরত থাকনে ইনশাল্লাহ।
মূল কাজের ব্যপারে আপনার খেদমত উম্মাহ আশা করছে উম্মাহর রক্ত ক্ষরনের এই ক্রান্তি লগ্নে এসব ছোট খাট বিষয়ে পড়ে থাকা আমাদের সাজে না ভাই। কোন বুদ্ধিমান মুসলিম এটা করতে পার না।
শয়তান আমাদের মাঝে বিবেদের আগুন জালাতে বসে আছে এটা যেন ভুলে না যাই ।
@ঈবনে মুমিন ভাই !
মডারেটো ভাইরা অযথা কোন পোষ্ট ব্লক বা এডিট / ডিলিট করেন না, হৌক সেটা আপনার বা অন্যের।সুতরাং ফোরামের মূলনীতি অ আদব বঝায় রেখে কমেন্ট করুন তাহলে দেখবেন আপনার পোষ্ট ঠীক থাকবে ইনশাআল্লাহ। অযথা মডারেটর বা এডমি এর বিরুদ্ধে ভুলবুঝ তৈরী করা থেকে বিরত থাকুন। াবেগ তারিত হয়ে পোষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। মুনাযারা মনোভাব থেকে বিরত থাকি। আমার জানা বা বুঝ ভুল অ হতে পারে। ঞ্জেকে শুধরানোর আরো বাকি থাকতে পারে সেটা সকলেই মা্থায় রাখবো ইনশাআল্লাহ তাহলেই দেখবেন সমস্যা হচ্ছে না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ভাই ভাই হয়ে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাওার তাউফিক দিন। আমীন।
আমার কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা সন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ওয়াস সালামLast edited by Ahmad Faruq M; 08-13-2016, 10:43 PM.
Comment
Comment