বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
আমার মনে হচ্ছেঃ ইবনে মুমিন ভাইকে কিছু ভাই ভুল বুঝতেছেন। উনিতো এটা বলতেছেন না যেঃ
- এদেশে আহনাফ মাসলাক্ব না নিয়ে, সালাফী মাসলাক্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। কিংবা আহলে হাদিস / সালাফী মাসলাক্ব উত্তম।
- উনি এটাও বলতেছেন না যে, ফুরুয়ী ব্যাপারে আল-কায়েদার মানহাজ ঠিক নেই। বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ মুসলিমের অনুসৃত মাসলাক্ব অনুসরণ করা যাবে না।
তাই, উনার ব্যাপারে আলোচনায় ফিকহি ব্যাপারে ইখতেলাফ, শাইখ জসীম উদ্দিন রাহমানী এর মানহাজ কিংবা আফগান জিহাদের ক্ষেত্রে আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) ক্বওল তুলে দেয়ার যৌক্তিকতা দেখছি না।
উনার নিজস্ব যে পোষ্ট ছিল, সেটা খুব পরিষ্কার ছিল।
যেভাবে অন্ধ সালাফীবাদ ঠিক না, ঠিক সেভাবে অন্ধ দেওবন্দীবাদও ঠিক না। ঠিক যেভাবে সালাফী আহলে হাদিসদের জিহাদবিরোধীদেরকে পরিত্যাগ করা উচিত, ঠিক তেমনি দেওবন্দের জিহাদ-বিরোধীদেরকে পরিত্যাগ করা উচিত। এই দেওবন্দ থেকে মোল্লা উমর (রঃ)ও এসেছেন, আর শাহবাগী ফরিদউদ্দিন মাসউদ গং রাও এসেছে।
এটা তো খুবই পরিষ্কার একটা কথা ছিল। কিন্তু কেন জানি কিছু কিছু ভাই, ব্যাপারটাকে অনেক গুলিয়ে ফেলেছেন এবং উনার এই কথার মধ্যে শুধু 'দেওবন্দী মাসলাক্ব' এর দোষ ধরা হয়েছে বলে মনে করছেন। কেউ কেউ এই রকম কথাও বলেছেন, 'আপনি শুধু দেওবন্দীদেরকে জিহাদ বিরোধী মনে করেন, আর বাকী সবাইকে জিহাদী মনে করেন' - ধরনের কিছু কথা।
অধিকাংশ কমেন্টকারী উনার বিরোধিতা করায়, মনে হচ্ছে মডারেটর ভাইও উনাকে একটু নসীহাহ দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সবগুলো কমেন্ট পড়ে মনে হয়েছে, উনার পাশাপাশি উনার বিরোধিতা যারা করেছেন, তারাও নসীহাহ পাবার বেশী উপযুক্ত। আল্লাহু আ'লাম।
ইবনে মুমিন ভাইকে বলবোঃ আপনি মন খারাপ করবেন না। আপনার কথাটা হয়তো অনেকে বুঝতে পারে নি। কিংবা ভুল বুঝেছে। তাতে কি হয়েছে? সকল কথা কি সবাইকে বুঝানো যায়? আপনি আপনার কাজ চালিয়ে যান ইনশাআল্লাহ।
আমরা তো আল্লাহর জন্য কাজ করি। কোন মানুষকে খুশী করা কিংবা কেউ নারাজ হলে আমাদের কিছু যায় আসে না। আপনার কোন সত্য কথার কারণে কোন কোন মেম্বার কষ্ট পেলে কিছু করার নাই, কোন কোন মডারেটর ভুল বুঝলেও কিছু করার নাই। চলতে থাকেন ইনশাআল্লাহ।
এই ফোরামই তো দুনিয়াতে কামিয়াবীর মাপকাঠি না। বাস্তবে কে কতটুকু কাজ ফি সাবিলিল্লাহ করতেছে, সেটাই আসল। হয়তো এই ফোরামে কেউ অনেক বড়, আমরা জানি না আল্লাহর চোখে তিনি ছোট নাকি বড়। হয়তো এই ফোরামে কেউ অনেক ছোট, তার কথাকে ফোরামে গুরুত্ব দেয়া হয় না, কিন্তু হয়তো তিনি আল্লাহর চোখে অনেক বড়।
ছোট খাট বিষয়ে তর্কে জড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
আমরা আমাদের আসল মাকসাদ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।
আমরা তর্ক করে যে সময় নস্ট করছি তা অন্য কোন ভাল কাজে ব্যয় করতে পারতাম।
সহীহ দাওয়াত নামক আই ডি তার কর্মে সে সফল হয়েছে।আমাদের মাঝে ঝগড়া লাগিয়ে সে আমাদেরকে এসলাহ করতে চায়।ভাইকে আমি বলব আপনি এমন হীন কাজ থেকে বিরত থাকুন।শরীয়তে এটা সম্পূর্নরূপে অবৈধ।এমন কাজকে শরীত মুনাফিকি বলে সাব্যস্ত করেছে।
সত্যিই আপনার মেধার প্রসংসা করতে হয় কিন্তু তা যদি ভাল কাজে ব্যয় হত তাহলে আমাদের উপকার হত।
আল্লাহ আপনাকে এবং আমাদের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
--
দিনশেষে কিন্তু ঢালাওভাবে দেওবন্দি ও সালাফিদের অন্ধপ্রীতিই সামনে চলে আসলো। ইবনে মুমিন ভাই দেওবন্দ ও সালাফি মতবাদের অন্ধ অনুসরণের বিরোধিতা করেছেন যদিও তা কারো জন্য অতিরিক্ত সরাসরি মনে হতে পারে।
অথচ, শায়খ থানভি (রহ)'র ফতোয়া আছে যে ইংরেজ অধ্যুষিত ভারতিয় উপমহাদেশ দারুল আমান। পড়ূন, কামালাতে আশরাফিয়া।
শায়খ থানভি (রহ) আরও লিখেছেন, জিহাদের ফরজিয়াত আদায়ের জন্য নিয়ত করাই যথেষ্ট। পড়ূন- প্রাগুক্ত।
অবশ্যই শায়খ থানভি (রহ) আমাদের কাছে সম্মানের পাত্র। হতে পারে কিছু বুঝের মিস-আন্ডারস্ট্যন্ডীং। আমরা উত্তম ধারণাই করি। তবে উনাদের ভুল নিয়ে আলোচনা এবং শিক্ষাগ্রহণ আমাদের জন্য জরুরী।
এটা কীভাবে সম্ভব যে, দেওবন্দি আকাবির/আলেমদের এধরণের ভুল বক্তব্যের সমালোচনা করার সাথে সাথে আমরা জিহাদের জন্য উলামায়ে দেওবন্দের অবদান আলোচনা করে শুরু করে দেই!! আল্লাহু আকবার!
আর কিছু ভাই যত কথাই বলুক না কেন। ২০১৬ সালে দেওবন্দ বলতে দারুল উলুম দেওবন্দের ১৮৫৭ সালের অবস্থা বোঝায় কী?
বর্তমানের দেওবন্দ বলতে মাহমুদ মাদানি, কাশেম নোমানি, ফরিদ উদ্দিন মাস'উদ দেরকেই বোঝায়। আপনারা এটাকে যতভাবেই তাউইয়িল করার চেস্টা করেন না কেন।
এবং এজন্যই বর্তমানে ব্যাপকার্থে "দেওবন্দ একটি বাতিল ফিরক্কা" বলা হলে বাড়াবাড়ি হবে না। জামিয়া আজহারই যদি এখন বাতিল বলে গণ্য হয়। তাহলে আজহারুল হিন্দ কি করে সমালোচনার ঊর্ধ্বে চলে যাবে!!??
আর আজ পর্যন্ত! টিটিপি কিংবা তালেবানের মুজাহিদিনে কেরাম কী আমাদের মত এতবার ''দেওবন্দ দেওবন্দ'' করে মুখের ফেনা তুলেছেন?
আমরা উলামায়ে দেওবন্দের আদর্শকে ভালোবাসি। কিন্তু দেওবন্দকে ইটসেলফ হাক্কের চিরাচরিত মানদন্ড বানিয়ে নেয়ার পক্ষপাতি নই।
তাই শায়খ আবু ফিরাস আস সুরি (রহ) যা বলেছেন, "হাক্ক হাক্কের জায়গায়। সম্মান সম্মানের জায়গায়।"
*ইবনে মুমিন ভাই! ইমাম গাজ্জালি (রহ) উমাইয়াদের অনেক পরের আলেম। উনার তো ঐসময়ে ফতোয়া দেয়ার কথা না। ওয়াল্লাহু আ'লাম।
@ইবনে মুমিন ভাইকে বলবো-
প্রিয় ভাই কিছু বিষয় আছে যা অন্তরে চেপে রাখতে হয় বলতে হয়না।
উপরে উল্লেখিত আলেমদের কাছে আমরা অনেক কিছুই চাই কিন্তু না পেয়ে আফসোস করা ছাড়া উপায় থাকে না।
আসলে এটা সালাফি কিংবা দেওবন্দি বিষয় না। ঐ সমস্ত আলেমরা অন্যান্য দিক দিয়ে দ্বীনের অনেক খেদমত ও সাধারন মুসলিমদের কাছে উনাদের অনেক গ্রহন যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা হওয়ার কারনেই তাদের কাছে আমাদের এই চাওয়া । ( "এটা সালাফি আলেম বিন বাযই (রঃ) বলেন আর দেওবন্দি আলেম মুহাম্মদ সফি (রঃ) ই বলেন না কেন" )
এ ব্যাপারে মাওলানা আসেম উমার (হাঃ) ইসলাম ও গনতন্ত্র বইয়ের শুরুতে যে রকম আফসোস করেছে তাই যথেষ্ট।
সুতরাং এই সব বিষয়ে কথা না বলে চুপ থাকাই শ্রেয়। কারন শয়তান এক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে বিভেদ ছড়ানোর সুযোগ পেয়ে যাবে।
ওয়াস'সালাম ।
১. আমরা অনেক সময় সহজভাবে অনেক কিছু শিখতে চাই না, ঠেকায় পড়ে শিখি। সুতরাং কেউ যদি শিখতে না চায়, তবে তার ভালোর জন্য তাকে কৃত্রিম ঠেকায় ফেলা উচিৎ।
২. আল কায়েদার মানহাজ স্পষ্ট ইখতেলাফী বিষয়য়ে কোন বাত-চিত হবে না। একদম চুপ। পুরো বিষয় ব্যাক্তিগর পর্যায়ে হবে।
৩. আছারি এবং আশারী আকীদার ইখতেলাফ উসুলি, ফুরুয়ী নয়। সুতরাং, বোঝা গেল - যেকোন ধরণের ইখতেলাফ উসুলি হোক কিংবা ফুরুয়ী, আমাদের চুপ থাকতে হবে।
৪. এই ফোরাম থেকেই শুরু হোক। ইনশাআল্লাহ কিতাল শুরু হলে ফল পাওয়া যাবে।
ক) কোন ধরণের ফিকহ এখানে প্রচার করব না। নো হানাফী ফিকহ, নো সালাফী ফিকহ। কেবল মাত্র মুত্তাফাক আলাইহি এবং মুজমা আলাইহি ফিকহই এখানে স্থান পাবে।
খ) এমন কোন ব্যাক্তি যিনি এক মাসলাকের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় কিন্তু অন্য মাসলাকে সমালোচিত। এমন ব্যাক্তির প্রশংসা, নিন্দা কোনটাই আমরা এখানে করব না। সুতরাং, বিতর্কিত ব্যাক্তি যেমন আল্লামা আলবানী কিংবা হাকীমুল উম্মত থানভী কারও সমালোচনা এখানে হবে না। তাদের যদি জিহাদ এবং হাকিমিয়্যাহ আকীদা সংক্রান্ত ইরজাই বক্তব্য থাকে, তবে তাদের নাম উল্লেখ না করে, এগুলো খণ্ডন করব।
৩. জামাতবদ্ধ সাথীভাই দের ফিকহি-ইতেকাদি মতপার্থক্যের ক্ষেত্রে করনীয় শিক্ষা দিব।
আশা করি, এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আর কোন সমস্যা হবে না।
ভাই, আমাকে কেউ আপনাদের শত্রু ভাববেন না, আপনাদের মাঝেই যে কতগুলো গোড়া লুকিয়েছিল, সেটা বেড়িয়ে আসা কী উত্তম হয় নি? নিশচয়ি আমরা ভুল থেকে শিখি, এটা থেকেও শিখব ইনশাআল্লাহ।
*ইবনে মুমিন ভাই! ইমাম গাজ্জালি (রহ) উমাইয়াদের অনেক পরের আলেম। উনার তো ঐসময়ে ফতোয়া দেয়ার কথা না। ওয়াল্লাহু আ'লাম।
ভাই আমি কিন্তু বলেছি আন্দালুসের উমাইয়া আমির। বলি নি মুসলিম খলিফা। কারণ উমাইয়াদের খিলাফত শেষ হয়ে যায় খুবই দ্রুত কিন্তু আন্দালুসে তাদের ইমারন টিকে থাকে প্রায় ১৪০০-১৫০০ খ্রিঃ পর্যন্ত । আর ইমাম গাজ্জালি (রাহিঃ) ১০০০ খ্রিঃ এর কিছু পড়ের সময়কার এবং সালাহ উদ্দিন আইয়ুবি (রাহিঃ) এর একদম সমসাময়িক। তাই আমি যা বলেছি তা সম্ভব কারণ ১০০০ খ্রিঃ সময়ে আন্দালুসে উমাইয়াদের শাসন ব্যবস্থা অনেক শক্ত ছিল। এক কথায় তারা প্রতাপের সাথে ইসলামি ইমারা পরিচালনা করছিলেন। আপনি উমাইয়াদের সম্পর্কে খুব ভালো জানতে পারবেন ইসলামের ইতিহাস নামক একটি ইতিহাসের বই থেকে... এটা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের।
লেখকের নামটা মনে পড়ছে না। তবে একজন আলেমের লিখা।
"তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"
সন্মানিত ভাই গণ!
কারো ভালোলাগা না লাগার উপর ভিত্তি করে আমরা পোষ্ট দেই না। আমরা একটা উত্তম মাকসাদেই পোষ্ট দিয়ে থাকি। আমাদের দেশের অনেক কুরবানী করনে ওয়ালা ভাই সালাফী স্ট্যান্ড থেকে জিহাদের পথে এসেছেন । বা এই সংক্রান্ত মাসয়ালা গুলোর দলীল না জানা থাকার কারণে অনেক সময় না জেনেই প্রতিপক্ষকে ভুল বুঝে থাকেন। তাই আমার মাকসাদ ছিল স্রেফ আহনাফ ভাইদের দলীল এইসমর্কিত দলীল গুলো জানানো। ঈদের আগ মুহুর্তে এই পোষ্ট টা আমি এই উদ্দেশ্যেই দিয়েছিলাম।
আমি জায়েজ বলেই দলীল উল্লেখ করেছি এর বেশি কিছু নয়। আমার মাকসাদ একে অপ্রকে জানা জানানোর ভিত্তিতে পরস্পর সহবস্থান । ভুল বঝাবুঝির অবসান। কারন আমি নিজেও এর ভুক্তভূগী ।
আমরাও এখন এগুলো নিয়া মাতামাতি শুরু কইরা দিছি,,,,, তাহলে খেলাফার জন্য কে লড়বে???
যারা আল্লাহর রাহে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে আল্লাহ তাদের ভালবাসেন
Comment