অনুসরনীয় যোদ্ধা—follow me warrior
আলহামদুলিল্লাহ্। ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রসুলিল্লাহ।
*************************
*************************
(বাস্তবতা)
তাওহীদ, শিরক, ইমান, কুফরের মত মৌলিক বিষয়ে অনেক মুসলিমের বুঝা-পড়ায় ঘাটতি ও ভুল রয়েছে। অনেকেই এসব বিষয়ে ভুল বুঝকেই সঠিক বুঝ মনে করেন।
*************************
আল্লাহ তা’আলা আপনার উপর অনুগ্রহ করেছেন। তাওহীদ ও জিহাদের সঠিক বুঝ দিয়েছেন। হালাল-হারাম মেনে চলার তৌফিক দিয়েছেন। আপনি মানুষকে আল্লাহ্*র দিকে আহবান করেন। জাহান্নাম থেকে সাবধান করেন।
*************************
(বাস্তবতা)
সবাইতো আর হিকমাহ ও সদুপোদেশের মাধ্যমে দাওয়াত দিতে পারেন না।
*************************
(একটি কাল্পনিক সম্ভাব্য ঘটনাক্রম)
কেউ হয়ত তার নিকটবর্তী কাউকে তাওহীদের দাওয়াত দিচ্ছেন। শিরক, কুফরের ব্যাপারে সঠিক দাওয়াত আপনি তার নিকট পৌছে দিয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়গুলোতে তার বুঝ এতদিন অন্যরকম ছিল। তিনি স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের খুতবা শুনেন, কিছু ওয়াজ মাহফিলে যান, কখনও কখনও টিভিতে আলেমদের বয়ান শুনেন। কিন্তু আপনার বলা কথাগুলো তার নিকট নতুন।...ইতিমধ্য আপনি হয়ত শাসক বর্গের কাউকে কাফির বলেছেন। আপনার বলা কথাগুলো সহিহ কিনা এ ব্যাপারে তার মধ্য সংশয় তৈরি হয়েছে।
আপনি ফরয নামাজের পর সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করেন না, তাই তিনি আপনাকে বলেছেন, ‘তোমার কি আল্লাহ্*র নিকট চাওয়ার কিছু নাই?’
মিলাদ পড়া নিয়ে আপনাদের মধ্য রাগারাগি হয়েছে।
তিনি এখন মনে করেন যে, আপনার ইসলামের বুঝ সঠিক না। মসজিদের অন্য মুসলিমরাও মনে করে যে, আপনার ইসলামের বুঝ সঠিক না। আপনি হলেন কট্টর পন্থি।... এরকম অবস্থাতেই আপনি একদিন তাকে জিহাদের দাওয়াত দিয়েছেন।
তাদের শক্ত ধারনা যে, আপনি ইসলাম বুঝেন না। আপনার সাথে যারা ঘনিষ্ঠ তারাও ইসলাম বুঝে না। আপনি তাদের থেকে আলাদা।
*************************
(... সম্ভাব্য ঘটনাক্রম...)
আপনি জিহাদের সাথে সম্পৃক্ততার কারনে বন্দী হয়েছেন বা অপারেশনে গিয়ে নিহত হয়েছেন। আনসার আল ইসলামের সাথে জড়িয়ে আপনার ব্যাপারটি মিডিয়াতে এসেছে। মিডিয়াতে আপনার বাবার মন্তব্যও এসেছেঃ আপনাদের সন্তানেরা যেন এই পথে না যায়। মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে নিউজ করা হল যে, এরা ইসলাম বুঝে না। এরা জাহান্নামে যাবে। এদের ব্রেইন ওয়াশ্*ড্*।
*************************
(... সম্ভাব্য ঘটনাক্রম...)
আপনার এলাকার পরিচিতরা বলছে যে, ওতো ইসলাম বুঝত না। ও আনসার আল ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সুতরাং আনসার আল ইসলামও ইসলাম সম্মত দল না। এরা ব্রেইন ওয়াশ্*ড্*।
*************************
(... সম্ভাব্য ঘটনাক্রম...)
ফলাফলঃ
১। আপনি ইসলাম বুঝেন না
২। আপনি জঙ্গি
৩। আপনি মুজাহিদ না
৪। আনসার আল ইসলামও জিহাদ করছে না
*************************
(বাস্তবতা)
তগুতদের সর্বাত্বক চেষ্টা হল মুসলমানেরা যাতে না বুঝে যে, ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই করা হচ্ছে। ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইকে তারা জঙ্গিবাদ হিসাবে উপস্থাপন করতে চায়।
*************************
(চ্যালেঞ্জ)
ইখলাসের সহিত, পরিস্থিতি বুঝে, বিষয় বস্তুর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে, আদবের সাথে আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক নাজিলকৃত সত্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করা যাতে যাকে দাওয়াত দেয়া হচ্ছে তিনি বুঝেন যে আপনি ইসলামের সঠিক দাওয়াতই দিচ্ছেন। আপনি ইসলাম বুঝেন না- সে যেন এমন মনে না করে।
*************************
(চ্যালেঞ্জে আল্লাহ তা’আলা সফলতা দিলে ফলাফল)
১। আপনার ইসলামের বুঝ সঠিক
২। আপনি হলেন দীনের মুজাহিদ
৩। আপনার সাথে সম্পৃক্ত আনসার আল ইসলাম হল জিহাদি জামাত
৪। আপনি জঙ্গি না
*************************
(একটা বাস্তবতা)
আপনার আশেপাশের অনেকের সাথেই আপনার একদম মৌলিক মিল রয়েছেঃ আমরা সবাই আল্লাহ ও তার রসুল সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মহব্বত করি। আমরা কুরান-সুন্নাহকে সত্য বলে মানি। আমরা আখিরাতে বিশ্বাস রাখি।
দাওয়াতের প্রাথমিক বিষয়বস্তুও এগুলোঃ আল্লাহ তা’আলার বড়ত্ব ও ক্ষমতা, আল্লাহর রাসুলের মর্যাদা, আখিরাত। এসব বিষয়ে আপনার দাওয়াত কয়জন প্রত্যাখ্যান করবে? আপনার সমন্ধে এমন ধারনা করবে যে আপনি ইসলাম বুঝেন না? এসব বিষয়ে কেউ যখন বেশি অগ্রসর হয় তারপর আপনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ, গুনাহ ত্যাগ, সুন্নাহ অনুসরন, জিহাদ ও শাহাদাত সম্পর্ক্তি আয়াতগুলো তার নিকট উপস্থাপন করতে পারেন একটা গ্রহন করার পর আরেকটা। একটা যতক্ষন না গ্রহন করতে ততক্ষন তার পরবর্তীটাতে যাবেন না…
*************************
(কিছু নসিহা)
১। শতভাগ শরিয়াহ অনুসরনের জোর প্রচেষ্টা সবসময় রাখা।
২। বাবা-মায়ের সাথে উত্তম আচরন করাঃ বাবা-মা কেন বলবে যে আপনাদের কারও সন্তান যেন এই পথে না যায়? দাওয়াতের জন্য সময় নেয়া। ১, ২ বছরও অনেক সময় না। বাবা-মায়ের সাথে আপনি রাগা-রাগি করবেন না। এখনই শক্ত ডিসিশন নিন।
৩। মুসলমানদের হক পুরন করাঃ বেশি বেশি সালাম দেয়া, বড়দের সম্মান করা, ছোটদের স্নেহ করা, সত্য কথা বলা, ওয়াদা, আমানত রক্ষা করা, লেনদেন স্পষ্ট রাখা, অন্যদের খোজ খবর নেয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, জানাজাতে যাওয়া, প্রয়োজন পুরন করা, হাসি মুখে কথা বলা, হাদিয়া দেয়া, দাওয়াত দেয়া, দাওয়াতঁ খাওয়া, কথা ও কাজের মাধ্যমে কষ্ট না দেয়া, মুসলমানদের সাথে ঘনিষ্ঠ থাকা, তাদের সেবা করা। আপনি হলেন মুসলমানদের খাদেম। সেবক মুজাহিদ হওয়া। খেলাধুলা করা, মানুষের সাথে অনেক বেশি মিশা। প্রান-চাঞ্চল্য থাকা। আলাদা হয়ে না থাকা। এলাকাতে গাছ লাগানো…আসলে অনেক কিছু করার আছে…সবাইকে কুরআন তিলাওয়াত শিখতে উতসাহ দিবেন। ইমাম সাহেবদের সাথে কথা বলে অন্যদের কে কুরআন শিখাতে উদ্বুদ্ধ করবেন…
৪। মুসলমানেরা যাতে আপনাকে বন্ধু ভাবে। আপনি তাদের আশা পাশে থাকলে তারা নিরাপদ অনুভব করে।
৫। আপনি তাদের আখিরাতের জীবনের কল্যান যেমন চাবেন, তেমনি তাদের দুনিয়ার জীবনের কল্যানও চাবেন। স্কুল-কলেজের ছাত্রদের ভাল করে পড়ালেখার ব্যাপারে পরামর্শ দিবেন, যারা টাকা ইনকামের চেষ্টায় আছেন তাদেরকে বৈধ পথে টাকা ইনকামেরও পরামর্শ দিবেন। বৈধ-উত্তম পরামর্শ দিবেন। আর দীনের দাওয়াত তো দিবেনই। শরীর সাস্থ্য ফিট রাখার কথা বলবেন। মুসলমানদের সেবায় তাদেরকেও নিয়োজিত করার চেষ্টা করবেন।
৬। তাবলীগের ভাইদের সাথে চলা এখন পরিস্থিতির দাবী। ওনাদের সাথে চলার ক্ষেত্রে সাবধানতার বিষয় হলঃ আল্লাহ্র দীনের কোন বিষয়ের অপব্যাখ্যা নিজে করবেন না। সাময়িকভাবে, ওনাদের অপব্যাখ্যার সময় নীরবতা পালনের পরামর্শ দেই। অবস্থা বুঝে ব্যক্তি পর্যায়ে ওনাদেরকে সংশোধনের মানসিকতা রাখতে হবে।
দীনের জন্য আমরা জান-মাল সর্বস্ব দিতে তৈরি। উপরের কাজগুলো করতে কষ্ট হলেও করা দরকার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে নেয়া পদক্ষেপের মোকাবিলা ‘যথাযথভাবে শরিয়াহ’ অনুসরনের মাধ্যমেই করতে হবে।
*************************
(যে সব ভাইদের কে মনে করা হয় যে আপনারা ইসলাম বুঝেন না)
আপনার কি এটা দায়িত্ব নয় যে, আপনি সত্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে মানুষ একে সত্য হিসাবেই বুঝে নেয়? আপনি ভুল বুঝ সম্পন্ন মুসলমানদের নিকট সত্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করলেন যে তারা একে সত্য হিসাবে বুঝল না-এতে কি আপনার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন হয়?
*************************
(অনুসরনীয় যোদ্ধা-follow me warrior)
বর্তমানের এক বিখ্যাত কাফির যুদ্ধ বিশারদ, তালিবানদের সমন্ধে নিচের মন্তব্য করেছেঃ
‘হলিউড মুভিতে তাদেরকে যেভাবে চিত্তবিকারগ্রস্ত (psychopath) হিসাবে দেখানো হয়, তারা সেরকম না, তারা হলেন ক্যারিশমাটিক follow me warrior, যারা তোমাদের (এমেরিকানদের) বেস্ট প্লাটুন লিডার হয়ার মত’
আসলেই তো, মুজাহিদিনরা যখন যথাযথভাবে শরিয়াহ অনুসরন করেন, তখন তারা সমাজে ‘অনুসরনীয় যোদ্ধা’ হয়ে উঠেন।
*************************
(শেষ কথা)
সমস্ত প্রশংসা জগতসমুহের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য।
*************************
আল্লাহ তা’আলা আপনার উপর অনুগ্রহ করেছেন। তাওহীদ ও জিহাদের সঠিক বুঝ দিয়েছেন। হালাল-হারাম মেনে চলার তৌফিক দিয়েছেন। আপনি মানুষকে আল্লাহ্*র দিকে আহবান করেন। জাহান্নাম থেকে সাবধান করেন।
*************************
(বাস্তবতা)
সবাইতো আর হিকমাহ ও সদুপোদেশের মাধ্যমে দাওয়াত দিতে পারেন না।
*************************
(একটি কাল্পনিক সম্ভাব্য ঘটনাক্রম)
কেউ হয়ত তার নিকটবর্তী কাউকে তাওহীদের দাওয়াত দিচ্ছেন। শিরক, কুফরের ব্যাপারে সঠিক দাওয়াত আপনি তার নিকট পৌছে দিয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়গুলোতে তার বুঝ এতদিন অন্যরকম ছিল। তিনি স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের খুতবা শুনেন, কিছু ওয়াজ মাহফিলে যান, কখনও কখনও টিভিতে আলেমদের বয়ান শুনেন। কিন্তু আপনার বলা কথাগুলো তার নিকট নতুন।...ইতিমধ্য আপনি হয়ত শাসক বর্গের কাউকে কাফির বলেছেন। আপনার বলা কথাগুলো সহিহ কিনা এ ব্যাপারে তার মধ্য সংশয় তৈরি হয়েছে।
আপনি ফরয নামাজের পর সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করেন না, তাই তিনি আপনাকে বলেছেন, ‘তোমার কি আল্লাহ্*র নিকট চাওয়ার কিছু নাই?’
মিলাদ পড়া নিয়ে আপনাদের মধ্য রাগারাগি হয়েছে।
তিনি এখন মনে করেন যে, আপনার ইসলামের বুঝ সঠিক না। মসজিদের অন্য মুসলিমরাও মনে করে যে, আপনার ইসলামের বুঝ সঠিক না। আপনি হলেন কট্টর পন্থি।... এরকম অবস্থাতেই আপনি একদিন তাকে জিহাদের দাওয়াত দিয়েছেন।
তাদের শক্ত ধারনা যে, আপনি ইসলাম বুঝেন না। আপনার সাথে যারা ঘনিষ্ঠ তারাও ইসলাম বুঝে না। আপনি তাদের থেকে আলাদা।
*************************
(... সম্ভাব্য ঘটনাক্রম...)
আপনি জিহাদের সাথে সম্পৃক্ততার কারনে বন্দী হয়েছেন বা অপারেশনে গিয়ে নিহত হয়েছেন। আনসার আল ইসলামের সাথে জড়িয়ে আপনার ব্যাপারটি মিডিয়াতে এসেছে। মিডিয়াতে আপনার বাবার মন্তব্যও এসেছেঃ আপনাদের সন্তানেরা যেন এই পথে না যায়। মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে নিউজ করা হল যে, এরা ইসলাম বুঝে না। এরা জাহান্নামে যাবে। এদের ব্রেইন ওয়াশ্*ড্*।
*************************
(... সম্ভাব্য ঘটনাক্রম...)
আপনার এলাকার পরিচিতরা বলছে যে, ওতো ইসলাম বুঝত না। ও আনসার আল ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সুতরাং আনসার আল ইসলামও ইসলাম সম্মত দল না। এরা ব্রেইন ওয়াশ্*ড্*।
*************************
(... সম্ভাব্য ঘটনাক্রম...)
ফলাফলঃ
১। আপনি ইসলাম বুঝেন না
২। আপনি জঙ্গি
৩। আপনি মুজাহিদ না
৪। আনসার আল ইসলামও জিহাদ করছে না
*************************
(বাস্তবতা)
তগুতদের সর্বাত্বক চেষ্টা হল মুসলমানেরা যাতে না বুঝে যে, ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই করা হচ্ছে। ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইকে তারা জঙ্গিবাদ হিসাবে উপস্থাপন করতে চায়।
*************************
(চ্যালেঞ্জ)
ইখলাসের সহিত, পরিস্থিতি বুঝে, বিষয় বস্তুর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে, আদবের সাথে আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক নাজিলকৃত সত্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করা যাতে যাকে দাওয়াত দেয়া হচ্ছে তিনি বুঝেন যে আপনি ইসলামের সঠিক দাওয়াতই দিচ্ছেন। আপনি ইসলাম বুঝেন না- সে যেন এমন মনে না করে।
*************************
(চ্যালেঞ্জে আল্লাহ তা’আলা সফলতা দিলে ফলাফল)
১। আপনার ইসলামের বুঝ সঠিক
২। আপনি হলেন দীনের মুজাহিদ
৩। আপনার সাথে সম্পৃক্ত আনসার আল ইসলাম হল জিহাদি জামাত
৪। আপনি জঙ্গি না
*************************
(একটা বাস্তবতা)
আপনার আশেপাশের অনেকের সাথেই আপনার একদম মৌলিক মিল রয়েছেঃ আমরা সবাই আল্লাহ ও তার রসুল সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মহব্বত করি। আমরা কুরান-সুন্নাহকে সত্য বলে মানি। আমরা আখিরাতে বিশ্বাস রাখি।
দাওয়াতের প্রাথমিক বিষয়বস্তুও এগুলোঃ আল্লাহ তা’আলার বড়ত্ব ও ক্ষমতা, আল্লাহর রাসুলের মর্যাদা, আখিরাত। এসব বিষয়ে আপনার দাওয়াত কয়জন প্রত্যাখ্যান করবে? আপনার সমন্ধে এমন ধারনা করবে যে আপনি ইসলাম বুঝেন না? এসব বিষয়ে কেউ যখন বেশি অগ্রসর হয় তারপর আপনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ, গুনাহ ত্যাগ, সুন্নাহ অনুসরন, জিহাদ ও শাহাদাত সম্পর্ক্তি আয়াতগুলো তার নিকট উপস্থাপন করতে পারেন একটা গ্রহন করার পর আরেকটা। একটা যতক্ষন না গ্রহন করতে ততক্ষন তার পরবর্তীটাতে যাবেন না…
*************************
(কিছু নসিহা)
১। শতভাগ শরিয়াহ অনুসরনের জোর প্রচেষ্টা সবসময় রাখা।
২। বাবা-মায়ের সাথে উত্তম আচরন করাঃ বাবা-মা কেন বলবে যে আপনাদের কারও সন্তান যেন এই পথে না যায়? দাওয়াতের জন্য সময় নেয়া। ১, ২ বছরও অনেক সময় না। বাবা-মায়ের সাথে আপনি রাগা-রাগি করবেন না। এখনই শক্ত ডিসিশন নিন।
৩। মুসলমানদের হক পুরন করাঃ বেশি বেশি সালাম দেয়া, বড়দের সম্মান করা, ছোটদের স্নেহ করা, সত্য কথা বলা, ওয়াদা, আমানত রক্ষা করা, লেনদেন স্পষ্ট রাখা, অন্যদের খোজ খবর নেয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, জানাজাতে যাওয়া, প্রয়োজন পুরন করা, হাসি মুখে কথা বলা, হাদিয়া দেয়া, দাওয়াত দেয়া, দাওয়াতঁ খাওয়া, কথা ও কাজের মাধ্যমে কষ্ট না দেয়া, মুসলমানদের সাথে ঘনিষ্ঠ থাকা, তাদের সেবা করা। আপনি হলেন মুসলমানদের খাদেম। সেবক মুজাহিদ হওয়া। খেলাধুলা করা, মানুষের সাথে অনেক বেশি মিশা। প্রান-চাঞ্চল্য থাকা। আলাদা হয়ে না থাকা। এলাকাতে গাছ লাগানো…আসলে অনেক কিছু করার আছে…সবাইকে কুরআন তিলাওয়াত শিখতে উতসাহ দিবেন। ইমাম সাহেবদের সাথে কথা বলে অন্যদের কে কুরআন শিখাতে উদ্বুদ্ধ করবেন…
৪। মুসলমানেরা যাতে আপনাকে বন্ধু ভাবে। আপনি তাদের আশা পাশে থাকলে তারা নিরাপদ অনুভব করে।
৫। আপনি তাদের আখিরাতের জীবনের কল্যান যেমন চাবেন, তেমনি তাদের দুনিয়ার জীবনের কল্যানও চাবেন। স্কুল-কলেজের ছাত্রদের ভাল করে পড়ালেখার ব্যাপারে পরামর্শ দিবেন, যারা টাকা ইনকামের চেষ্টায় আছেন তাদেরকে বৈধ পথে টাকা ইনকামেরও পরামর্শ দিবেন। বৈধ-উত্তম পরামর্শ দিবেন। আর দীনের দাওয়াত তো দিবেনই। শরীর সাস্থ্য ফিট রাখার কথা বলবেন। মুসলমানদের সেবায় তাদেরকেও নিয়োজিত করার চেষ্টা করবেন।
৬। তাবলীগের ভাইদের সাথে চলা এখন পরিস্থিতির দাবী। ওনাদের সাথে চলার ক্ষেত্রে সাবধানতার বিষয় হলঃ আল্লাহ্র দীনের কোন বিষয়ের অপব্যাখ্যা নিজে করবেন না। সাময়িকভাবে, ওনাদের অপব্যাখ্যার সময় নীরবতা পালনের পরামর্শ দেই। অবস্থা বুঝে ব্যক্তি পর্যায়ে ওনাদেরকে সংশোধনের মানসিকতা রাখতে হবে।
দীনের জন্য আমরা জান-মাল সর্বস্ব দিতে তৈরি। উপরের কাজগুলো করতে কষ্ট হলেও করা দরকার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে নেয়া পদক্ষেপের মোকাবিলা ‘যথাযথভাবে শরিয়াহ’ অনুসরনের মাধ্যমেই করতে হবে।
*************************
(যে সব ভাইদের কে মনে করা হয় যে আপনারা ইসলাম বুঝেন না)
আপনার কি এটা দায়িত্ব নয় যে, আপনি সত্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে মানুষ একে সত্য হিসাবেই বুঝে নেয়? আপনি ভুল বুঝ সম্পন্ন মুসলমানদের নিকট সত্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করলেন যে তারা একে সত্য হিসাবে বুঝল না-এতে কি আপনার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন হয়?
*************************
(অনুসরনীয় যোদ্ধা-follow me warrior)
বর্তমানের এক বিখ্যাত কাফির যুদ্ধ বিশারদ, তালিবানদের সমন্ধে নিচের মন্তব্য করেছেঃ
‘হলিউড মুভিতে তাদেরকে যেভাবে চিত্তবিকারগ্রস্ত (psychopath) হিসাবে দেখানো হয়, তারা সেরকম না, তারা হলেন ক্যারিশমাটিক follow me warrior, যারা তোমাদের (এমেরিকানদের) বেস্ট প্লাটুন লিডার হয়ার মত’
আসলেই তো, মুজাহিদিনরা যখন যথাযথভাবে শরিয়াহ অনুসরন করেন, তখন তারা সমাজে ‘অনুসরনীয় যোদ্ধা’ হয়ে উঠেন।
*************************
(শেষ কথা)
সমস্ত প্রশংসা জগতসমুহের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য।
লিখেছেনঃ বড় ভাই
Comment