মাওলানা আব্দুল মালেক ইসলামী রাজনীতির উপর পড়ার জন্য সাজেস্ট করেছেন, উসতাজুল আসাতিজা মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ লিখিত "খেলাফত ও রাজনীতিঃ ইসলামী দৃষ্টিকোণ"
বইয়ের প্রথম ছয়টি অধ্যায় অত্যন্ত উপকারী লেগেছে। আলহামদুলিল্লাহ...
কিন্তু, আল্লাহু আকবার!! শেষ তিন অধ্যায় পড়ার পর মনে হয়েছে লেখক দুনিয়ার বাস্তবতা থেকে সহস্র মাইল দূরে অবস্থান করছেন। বাস্তবতা বিবর্জিত এমন ছাইপাশ কেবলমাত্র সৌদি বেতনভুক্ত আলেমদের থেকেই সম্ভব জেনে এসেছি। পরোক্ষভাবে মুজাহিদিনদের দিকে কামান তাক করে শেষ অধ্যায়ে অদ্ভুত সব কথাবার্তা। কুফফারদের উদ্ভাবিত ভাষার নগ্ন পরিবেশনা... (আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় চাই)
সবচেয়ে বড় কথা, মুরতাদ শাসকদের মুসলিম আখ্যায়িত করা এবং মুজাহিদিনদের খারেজি, সন্ত্রাসী প্রমাণের অপচেষ্টা দেখে চোয়াল ঝুলে পরার জোগাড়!
আরও চমৎকার বিষয়! হুবহু মাদখালি সালাফিদের মত জিহাদের জন্য হরেক রকম শর্ত আরোপ, যদিও উনার নিজের লেখা দ্বারাই নিজেকে খন্ডন করেছেন উদাহারণ টানতে গিয়ে। এব্যাপারে আলাদা পোস্ট দেয়ার চেস্টা করব ইনশা'আল্লাহ!
শায়খ আরও উল্লেখ করেছেন - নারীদের এম পি নির্বাচনে দাঁড়ানো বৈধ, মন্দের ভালোকে ভোট দেয়া উত্তম, যেহেতু নির্দিষ্ট মেয়াদ পরে সরকার এমনিতে পরিবর্তিত হয় তাই এর শাসক উৎখাতের জরুরত নেই,
আল্লাহু আ'লাম! জানি না এই তিন অধ্যায় মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ লিখেছেন নাকি উনার সহযোগী লেখক মাহমুদ হাসান মাসরুর লিখেছেন। (বইয়ের লেখক দুইজন; তবে কে কোন অধ্যায় লিখেছেন উল্লেখ নেই)।
এবং, আমার ধারণা কিছুটা সত্যও হতে পারে। কেননা জঙ্গিবাদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে লেখক সরাসরি সৌদি আরবের একজন প্রাক্তন সরকারী আলেম খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের "ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" নামক কুখ্যাত বইয়ের লেখা হুবহু তুলে দিয়েছেন!!
তবে, যে ই লেখুক, বইয়ের কভারে লেখক হিসেবে মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ'র নামই লেখা। নিশ্চয়ই উনার জ্ঞান ব্যাতিত আরেকজনের লেখা উনার বইয়ে যুক্ত করার কথা না... যদি এটা নাও হয়, উনি কী নিজের ছাপা হওয়া বইটা একবারের জন্য দেখেন নি। তাই উনি নিজেকে এই বইয়ের ইলমি খিয়ানত ও বে-ইনসাফি থেকে মুক্ত রাখতে পারছেন না যতক্ষণ না বিপরীত বিষয় প্রকাশ পাচ্ছে।
আল্লাহু আকবার! সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই বইয়ের উত্থাপিত দলীলের অধিকাংশই মুজাহিদিনদের রাজনৈতিক পদক্ষেপকে সঠিক প্রমাণ করে; এবং যে বিষয়গুলোর দলীলশূন্য অবস্থায় মনগড়া ব্যখ্যা দাড় করানো হয়েছে, সেগুলো ঘরে বসে থাকা ব্যক্তিদের সঠিক প্রমাণ করে...
এধরণের বই সরকারি সালাফিরা প্রায়ই লিখে থাকে... তাদের থেকে এর থেকে ভালো আমরা আশাও করি না। তাদের খিয়ানত ও পলায়নপর মানসিকতা তাদের সত্যবিমুখতার পরিচয় দেয়!
কিন্তু! এত বড় কওমি আলেম থেকে এমন লেখা!! আল্লাহু আকবার!
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় সৌদি সরকারি আলেম খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিদের "ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" বইয়ের কিছু প্যারা হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে। এক হিসেবে লেখক এখানে সূত্র উল্লেখ না করে আরেকজনের লেখা চুরি করে খিয়ানত করেছেন... এটা অনস্বীকার্য!
সবশেষে, উনি বসে থাকা মানহাজের যৌক্তিকতা টেনে বই শেষ করেছেন।
বইয়ের উদ্ভট/ভয়ংকর কিছু বিষয় (সব নয়) নিচে তুলে ধরা হলো... সম্মানিত আলেম ও তালিবুল ইলম ভাইদের থেকে মতামত আশা করছি।
বসে বসে সামাজিক অবক্ষয় রোধ হচ্ছে, আমর বিল মারুফ ও নাহিয়ানিল মুনকার হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে!! এবং এটাই মধ্যমপন্থা!!!! জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে দরকার সরকার ও আলেমদের ঐক্য!!!
আল্লাহ'র আইন বাতিলকারী ব্যক্তি কাফির হবেনা যতক্ষণ সে নিজেকে মু'মিন দাবী করে এবং মুখে সুস্পস্ট কুফুরি কথা না বলে !! (এটা যদি ইরজা না হয় তাহলে মাদখালিদেরও মুরজিয়া বলার দরকার কী!!?)
সিস্টেমগত কারণে কুফুরি আইন প্রতিষ্ঠাকারী ব্যক্তি কাফির নয়। (অবশ্যই এরা বাধ্য নয়; এরা গরু-গাধার মত পড়ালেখা করে, ঘুষ দিয়ে এসব চাকরী নেয় এবং যে কোনো সময় চাকরী থেকে অব্যাহতি নেয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কুফুরি আইন প্রণয়নে ব্যস্ত থাকেঃ সবচেয়ে বড় কথা মুজাহিদিনে কেরাম সিস্টেমকেই তাকফির করে থাকেন, ব্যক্তিবিশেষে ঢালাও তাকফির তাঁদের নীতি নয়। এই প্রসঙ্গে এমন কথা বলে বিভ্রান্তির ধুম্রজাল সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই হয়নি।)!! সিস্টেমকেই জাস্টিফাই করা হচ্ছে! সিস্টেমের প্রণেতারা কী?? এসবের কোনো উত্তর নেই!
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীকে মুসলিম শাসক বলাটা প্রশ্নবিদ্ধ! শায়খ নিশ্চিত নন। সম্বোধন করেছেন মুসলিম শাসক হিসেবে। অনেক বড় প্রশ্ন! অথচ উত্তর নেই!!
কমেন্ট দেখুন (যেহেতু, এক পোস্টে চারটির বেশী ইমেজ/ছবি যুক্ত করা যায় না)
বইয়ের প্রথম ছয়টি অধ্যায় অত্যন্ত উপকারী লেগেছে। আলহামদুলিল্লাহ...
কিন্তু, আল্লাহু আকবার!! শেষ তিন অধ্যায় পড়ার পর মনে হয়েছে লেখক দুনিয়ার বাস্তবতা থেকে সহস্র মাইল দূরে অবস্থান করছেন। বাস্তবতা বিবর্জিত এমন ছাইপাশ কেবলমাত্র সৌদি বেতনভুক্ত আলেমদের থেকেই সম্ভব জেনে এসেছি। পরোক্ষভাবে মুজাহিদিনদের দিকে কামান তাক করে শেষ অধ্যায়ে অদ্ভুত সব কথাবার্তা। কুফফারদের উদ্ভাবিত ভাষার নগ্ন পরিবেশনা... (আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় চাই)
সবচেয়ে বড় কথা, মুরতাদ শাসকদের মুসলিম আখ্যায়িত করা এবং মুজাহিদিনদের খারেজি, সন্ত্রাসী প্রমাণের অপচেষ্টা দেখে চোয়াল ঝুলে পরার জোগাড়!
আরও চমৎকার বিষয়! হুবহু মাদখালি সালাফিদের মত জিহাদের জন্য হরেক রকম শর্ত আরোপ, যদিও উনার নিজের লেখা দ্বারাই নিজেকে খন্ডন করেছেন উদাহারণ টানতে গিয়ে। এব্যাপারে আলাদা পোস্ট দেয়ার চেস্টা করব ইনশা'আল্লাহ!
শায়খ আরও উল্লেখ করেছেন - নারীদের এম পি নির্বাচনে দাঁড়ানো বৈধ, মন্দের ভালোকে ভোট দেয়া উত্তম, যেহেতু নির্দিষ্ট মেয়াদ পরে সরকার এমনিতে পরিবর্তিত হয় তাই এর শাসক উৎখাতের জরুরত নেই,
আল্লাহু আ'লাম! জানি না এই তিন অধ্যায় মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ লিখেছেন নাকি উনার সহযোগী লেখক মাহমুদ হাসান মাসরুর লিখেছেন। (বইয়ের লেখক দুইজন; তবে কে কোন অধ্যায় লিখেছেন উল্লেখ নেই)।
এবং, আমার ধারণা কিছুটা সত্যও হতে পারে। কেননা জঙ্গিবাদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে লেখক সরাসরি সৌদি আরবের একজন প্রাক্তন সরকারী আলেম খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের "ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" নামক কুখ্যাত বইয়ের লেখা হুবহু তুলে দিয়েছেন!!
তবে, যে ই লেখুক, বইয়ের কভারে লেখক হিসেবে মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ'র নামই লেখা। নিশ্চয়ই উনার জ্ঞান ব্যাতিত আরেকজনের লেখা উনার বইয়ে যুক্ত করার কথা না... যদি এটা নাও হয়, উনি কী নিজের ছাপা হওয়া বইটা একবারের জন্য দেখেন নি। তাই উনি নিজেকে এই বইয়ের ইলমি খিয়ানত ও বে-ইনসাফি থেকে মুক্ত রাখতে পারছেন না যতক্ষণ না বিপরীত বিষয় প্রকাশ পাচ্ছে।
আল্লাহু আকবার! সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই বইয়ের উত্থাপিত দলীলের অধিকাংশই মুজাহিদিনদের রাজনৈতিক পদক্ষেপকে সঠিক প্রমাণ করে; এবং যে বিষয়গুলোর দলীলশূন্য অবস্থায় মনগড়া ব্যখ্যা দাড় করানো হয়েছে, সেগুলো ঘরে বসে থাকা ব্যক্তিদের সঠিক প্রমাণ করে...
এধরণের বই সরকারি সালাফিরা প্রায়ই লিখে থাকে... তাদের থেকে এর থেকে ভালো আমরা আশাও করি না। তাদের খিয়ানত ও পলায়নপর মানসিকতা তাদের সত্যবিমুখতার পরিচয় দেয়!
কিন্তু! এত বড় কওমি আলেম থেকে এমন লেখা!! আল্লাহু আকবার!
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় সৌদি সরকারি আলেম খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিদের "ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" বইয়ের কিছু প্যারা হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে। এক হিসেবে লেখক এখানে সূত্র উল্লেখ না করে আরেকজনের লেখা চুরি করে খিয়ানত করেছেন... এটা অনস্বীকার্য!
সবশেষে, উনি বসে থাকা মানহাজের যৌক্তিকতা টেনে বই শেষ করেছেন।
বইয়ের উদ্ভট/ভয়ংকর কিছু বিষয় (সব নয়) নিচে তুলে ধরা হলো... সম্মানিত আলেম ও তালিবুল ইলম ভাইদের থেকে মতামত আশা করছি।
বসে বসে সামাজিক অবক্ষয় রোধ হচ্ছে, আমর বিল মারুফ ও নাহিয়ানিল মুনকার হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে!! এবং এটাই মধ্যমপন্থা!!!! জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে দরকার সরকার ও আলেমদের ঐক্য!!!
আল্লাহ'র আইন বাতিলকারী ব্যক্তি কাফির হবেনা যতক্ষণ সে নিজেকে মু'মিন দাবী করে এবং মুখে সুস্পস্ট কুফুরি কথা না বলে !! (এটা যদি ইরজা না হয় তাহলে মাদখালিদেরও মুরজিয়া বলার দরকার কী!!?)
সিস্টেমগত কারণে কুফুরি আইন প্রতিষ্ঠাকারী ব্যক্তি কাফির নয়। (অবশ্যই এরা বাধ্য নয়; এরা গরু-গাধার মত পড়ালেখা করে, ঘুষ দিয়ে এসব চাকরী নেয় এবং যে কোনো সময় চাকরী থেকে অব্যাহতি নেয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কুফুরি আইন প্রণয়নে ব্যস্ত থাকেঃ সবচেয়ে বড় কথা মুজাহিদিনে কেরাম সিস্টেমকেই তাকফির করে থাকেন, ব্যক্তিবিশেষে ঢালাও তাকফির তাঁদের নীতি নয়। এই প্রসঙ্গে এমন কথা বলে বিভ্রান্তির ধুম্রজাল সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই হয়নি।)!! সিস্টেমকেই জাস্টিফাই করা হচ্ছে! সিস্টেমের প্রণেতারা কী?? এসবের কোনো উত্তর নেই!
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীকে মুসলিম শাসক বলাটা প্রশ্নবিদ্ধ! শায়খ নিশ্চিত নন। সম্বোধন করেছেন মুসলিম শাসক হিসেবে। অনেক বড় প্রশ্ন! অথচ উত্তর নেই!!
কমেন্ট দেখুন (যেহেতু, এক পোস্টে চারটির বেশী ইমেজ/ছবি যুক্ত করা যায় না)
Comment