র*্যান্ড কর্পোরেশন কর্তৃক প্রকাশিত এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সৌজন্যে "আল কায়েদার ওপিঠ, ১ম অংশ" শীর্ষক গবেষণামূলক এক রিপোর্টে এঞ্জেল র*্যাবাসা এবং সহ-লেখক উল্লেখ করেন যে, "সাইবার স্পেইস বর্তমানে ৪ হাজারের মত প্রো-জিহাদি ওয়েবসাইটের আবাসস্থল। যেখানে আল কায়েদা তাদের মাল্টিমিডিয়া প্রজ্ঞাপন এবং আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে এক বুদ্ধিবৃত্তিক এবং বাস্তবধর্মী মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। রিপোর্টটিতে আরো বলা হয়, "এতে প্রকাশ পায় যে আল কায়েদা নিছক ইন্টারনেট ব্যবহারেই অনন্য নয়, বরং, সংখ্যাধিক পদ্ধতিতে কাজ করে এই সংগঠনটি তাদের ভাবাদর্শ, কৌশল এবং কার্যপদ্ধতি বিস্তরভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে সম্ভাব্য সৈন্যদের মাঝে।"
রিপোর্টে আরো বলা হয়, "নিজেদের নিজস্ব মিডিয়া সোর্স ছাড়াও, আল কায়েদা আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে সুকৌশলে নিজেদের প্রজ্ঞাপন, বিবৃতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে আরব মিডিয়া স্যাটেলাইট চ্যানেল যেমন আল জাজিরা, আল আরাবিয়া উল্লেখযোগ্য। তবে এছাড়াও বেশ কিছু জনপ্রিয় পশ্চিমা মিডিয়া সোর্সগুলোও ব্যবহার করছে যেমন, সিএনএন, বিবিসি, এবিসি নিউজ, এমএসবিসি এবং অন্যান্য প্রধান সংবাদ মাধ্যম যা আল কায়েদার অডিও, ভিডিও টেইপ বিশেষ করে যা বিন লাদেনের বক্তব্য এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সম্বলিত।
প্রকৃতপক্ষে এটি কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নয়। কারণ, ১৯৯৭ সালে সিএনএন এর রিপোর্টার পিটার আর্নেট উসামা বিন লাদেনকে এক ইন্টারভিউতে জিজ্ঞাস করেছিল তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে, বিন লাদেন উত্তরে বলেছিল, "মিডিয়াতেই আপনি তা দেখতে এবং শুনতে পারবেন, আল্লাহর ইচ্ছায়।"
@LetAmeenSpeakBengali
Comment