Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাড়াবাড়ি আর ছাড়াছাড়ির রাস্তা কোনটি? পরামর্শ চাই।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাড়াবাড়ি আর ছাড়াছাড়ির রাস্তা কোনটি? পরামর্শ চাই।

    ভাই সকল, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

    আমি ফোরামের নতুন সদস্য, দীন বা আমলের দিক দিয়ে আমি খুব নগণ্য । ইসলামের ফিকহি জ্ঞান সর্বকালের ইতিহাসএর উপরেও দখল কম। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্* জিহাদ এর প্রয়োজনীয়তা, উপায়, আল কায়েদার মানহাজ এর সম্পর্কে মোটামোটি ধারণা হয়েছে। খারিজী আর মুরজিয়াদের আকিদা সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছি। কিন্তু ইদানিং একটা দোটানায় থাকি, প্রায়ই ইরজাগ্রস্ত আহলে হাদিস , তাবলীগ , জামাত এদের সাথে কথা বলতে হয়, চোখের সামনে এত জাহেল কথা বার্তা দেখে চুপ থাকতে পারি না। ইলম গোপন করার পরিণতিও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেয় কিন্তু বলার ক্ষেত্রে কি পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত তা বুঝতে পারছি না ।যদিও তাদের কাজ আকিদা ইরজাগ্রস্ত এবং এই বাতিল আকিদার সাথে আমার কোন আপস নেই কিন্তু প্রায়ই তাদের সাথে কথা বলায় নিজের কথা সংযত করতে পারি না। মাঝে মাঝে এটা মনে হয় যে তাদের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিতে গিয়ে তাদের পারসোনাল আক্রমণ করে বসছি। ইভেন অনেক জায়গায়ই আমি দেখেছি যে কড়া ভাষায় জবাব দেয়ার ফলে তাদের মধ্যে সেটা গ্রহণ করার কোন রকম ইচ্ছাই অবশিষ্ট থাকেনা। ইভেন এটাও মনে হয় যে যদি কোনদিন ভুল বুঝতেও পারে তারপরেও আমাদের মানহাজ গ্রহণ করবে না। আমার ইলমের সল্পতা আমি স্বীকার করি কিন্তু আবার এত বড় ভুল না ধরিয়ে পাশ কাটিয়ে যেতেও মন সায় দেয় না। এমতোবস্থায় আমার কি করনীয়? অনেক অভিজ্ঞ জিহাদের সাথে অনেকদিনের জানাশোনা অনেকদিন এদেশের জাহেল মানুষকে নসিহা দিয়ে আসছেন অনেক ভাইয়েরা একটু পরামর্শ দরকার।


    জাযাকাল্লাহ খাইরান
    আল্লাহর এক অধম বান্দা।

  • #2
    ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ভাই, আমি আমার কথা আপনাকে বলি আল্লাহ্* চাহেন তও আপনার বা ভাইদের উপকারে আস্তে পারে। আমার এলাকাতেও একই অবস্থা ছিল এখন আছে। আপনি তর্ক করে যুক্তি দিয়ে এই পথে আনাটা অনেকটা কঠিন, সেই তর্ক যদি হয় তর্কের খাতিরে তর্ক। এরচে ভাল হয় কিছি সাম্ভাব্য ভাইদের নির্বাচন করে তাদের পিছনে মেহেনত করতে থাকুন এবং তবলিগের সাথে জড়িত থাকুন এবং এর ফায়দা নিতে থাকুন কারন তবলিগের অনেক কাজ অনেক অনেক ভাল, আপনি যদি তাফসীরে সূরা তওবা পরে থাকেন সেখানে কিন্তু সায়েখ এই কথাটিই বলেছেন। একটা কথা আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত মনে করি, আমরা দাওয়াত দিতেছি, আর আমরা যদি আল্লাহ্* (সুব) এর ভালবাসা পাওয়ার জন্য চেষ্টা না করি সব সময় দুয়া না করি, আল্লাহ্*র সাথে ঘবির সম্পর্ক না করি, তাহলে আমরা কিভাবে আশাকরি বরকতের, সাহায্যের এবং আল্লাহ্* ভালবাসার। আরেকটা কথা ভাই, আমাদেরকে অবশ্যই মিথ্যা কথা, গীবত সম্পূর্ণ ভাবে পরিহার করতে হবে। মুসলিমত ওই ব্যাক্তি যার জাবান ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ। আর ভাই আল্লাহ্* সাথে সম্পর্কের কথা বেশি চিন্তা ও চেষ্টা করুন, কিভাবে বাড়ানো জায়। ভাই, এই দীন বিজয়ী দীন, আল্লাহ্* (সুব) যে সময়টা এর হকিকতান বীজয়ের জন্য নিদিষ্ট করেছেন তার ১ সেকেন্ড আগ পিচ হবেনা। আল্লাহ্* (সুব) তার প্রিয় বান্দাদেরকেই কাজে লাগাবে ও বরকত দিবেন, তাই যে দিবে তারদিকে মুখিয়ে তাখতে হবে। আল্লাহ্* আমাদের সবাইকে মাফ করুন এবং তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন- আমিন। আমার ভুল গুলো মাফ করবেন। আমার জন্য দুয়া করবেন।

    Comment


    • #3
      প্রথমত শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) এর একটি বই আছে "ভুল সংশোধনে নবীজির শিক্ষা" আপনি যে টপিক নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বইটা সে টপিকেই লিখা। আপনি কিভাবে উত্তমভাবে মানুষের ভুল সংশোধন করতে পারেন সেটা বিস্তারিত বলা আছে। কালেক্ট করে, পড়ে, আমল করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
      বইটি প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল আযহার ।

      শাইখ আরিফীর "সুখময় জীবনের সন্ধানে" বইটা কালেক্ট করে পড়তে পারেন ইনশাআল্লাহ। পড়ার পাশাপাশি এর উপরও আমল করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ ফায়দা হবে।
      মাকতাবাতুল আফনানের অনুবাদটা সবচেয়ে ভালো, এরপর পিস পাবলিকেশন্স, এরপর হুদহুদ পাবলিকেশন্স

      আর নিয়মিত আল কাউসার পড়তে পারেন। আল কাউসারের আলোচনাগুলো খুব সফট ল্যাঙ্গুয়েজে করা হয়। কারো উপর আক্রমণ করে কথা বলা হয়না।
      বিন কাসিমের রণ বেশে
      কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
      দিকে দিকে লাগাও নারাহ
      জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

      Comment


      • #4
        আর অবশ্যই অবশ্যই তাফসীরে সূরা তাবা পড়বেন ইনশাআল্লাহ। "আল্লাহর গোলাম" ভাই যেটা খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন।
        বিন কাসিমের রণ বেশে
        কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
        দিকে দিকে লাগাও নারাহ
        জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ ভাইয়েরা। আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুক।

          Comment


          • #6
            উত্তম ব্যবহার নবীর সাল্লাল্লাহুর শিক্ষা। তাছাড়া আলক্বায়দার ভাইয়েরা মুসলিম অমুসলিম সবার সাথে কুমল ব্যবহার করে।

            Comment


            • #7
              ভালো ব্যবহার দিয়ে যা জয় করবেন তা কিন্তু কর্কশ ব্যবহারে অসম্ভব

              Comment


              • #8
                হাকিমুল উম্মতের লিখা, আদাবুল মু আশারাত পড়লে অনেক উপকার হবে।

                Comment


                • #9


                  “ব্ল্যাক ওয়াটার – মাওলানা আসেম ওমর (দাঃ বাঃ)” বইয়ের শেষের দিকে ১৮৬ পৃষ্ঠা থেকে শেষ অবধি ভালোভাবে পড়েন। এটা মাওলানা আসেম উমর হাফিঃ এর একটা আলাদা রিসালাহ যা কিতাব এর প্রকাশক সংযোজন করেছেন।
                  এখানে দাওয়াতি ময়দানে আমাদের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উত্তম ভাবে।

                  https://www.pdf-archive.com/2015/04/...water-12-0.pdf

                  Comment


                  • #10
                    ভাই কারো সাথে এভাবে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করা আপনার জন্য
                    ঠিক হবেনা ও বিভ্রান্তিকর কথা শুনে সহ্য করে থাকতে হবে,নিজের
                    মানসিকতা প্রকাশ পেয়ে যায় এমন কোন কথা বলা যাবেনা।
                    এদেরকে আপনি না বুঝালে আপনার ইলম গোপনের গুনাহ হবেনা।
                    আবু বকর রাযি এর মতো গোপনে যাদেরকে সত্য বুঝালে গ্রহন করবে বলে মনে
                    হয় কোন দলের সাথে অন্ধের মতো জড়িত নয় তাদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরী করুন,
                    ভালো কাজে তাকে সহায়তা করুন,খারাপ কাজ থেকে ফিরানোর চেষ্টা করুন।
                    সে আপনার কথা মান্য করলে পরবর্তীতে তাকে নরম ভাষায় আস্তে আস্তে জিহাদের
                    নরমাল দিকগুলো থেকে বুঝানো শুরু করুন আস্তে আস্তে অগ্রসর হোন ও সব মাসয়ালা বুঝিয়ে
                    দিন।একদিনে সব বুঝাতে যাবেন না,সে প্রশ্ন করলেও না।কারন সব মানুষ একসাথে
                    সব বিষয় গ্রহন করার জন্য প্রস্তুত থাকেনা।

                    Comment


                    • #11
                      ভাই কারো সাথে এভাবে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করা আপনার জন্য
                      ঠিক হবেনা ও বিভ্রান্তিকর কথা শুনে সহ্য করে থাকতে হবে,নিজের
                      মানসিকতা প্রকাশ পেয়ে যায় এমন কোন কথা বলা যাবেনা।
                      এদেরকে আপনি না বুঝালে আপনার ইলম গোপনের গুনাহ হবেনা।
                      আবু বকর রাযি এর মতো গোপনে যাদেরকে সত্য বুঝালে গ্রহন করবে বলে মনে
                      হয় কোন দলের সাথে অন্ধের মতো জড়িত নয় তাদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরী করুন,
                      ভালো কাজে তাকে সহায়তা করুন,খারাপ কাজ থেকে ফিরানোর চেষ্টা করুন।
                      সে আপনার কথা মান্য করলে পরবর্তীতে তাকে নরম ভাষায় আস্তে আস্তে জিহাদের
                      নরমাল দিকগুলো থেকে বুঝানো শুরু করুন আস্তে আস্তে অগ্রসর হোন ও সব মাসয়ালা বুঝিয়ে
                      দিন।একদিনে সব বুঝাতে যাবেন না,সে প্রশ্ন করলেও না।কারন সব মানুষ একসাথে
                      সব বিষয় গ্রহন করার জন্য প্রস্তুত থাকেনা।

                      Comment

                      Working...
                      X