অসম্ভব পুলিশপ্রেমি একজন কবি হচ্ছেন মুসা আল হাফিজ, উনি মরমী কবিও বটে, কিন্তু কেন যেন জিহাদ ও জিহাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও ব্যক্তিত্বদের প্রতি উনার খুব রাগ ও ঘৃণা। সম্প্রতি কউমি তলাবাদের দ্বারা পরিচালিত অনলাইন সংবাদ পত্রিকাতে একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। তার প্রবন্ধ সম্পর্কে অধমের কিছু কথা-
পাঠক এই অংশটুকু মনে রাখবেন! প্রয়োজনে আরেকবার পড়ুন!
প্রশ্নটি আবারো পড়ুন-
সত্যিই অদ্ভুত একটা বিষয় আমার কেন যেন বুঝে আসে না!
- ভারত কাশ্মীরকে মুসলমানদের গোরস্থান বানাবে, তবুও কোন আলেমদের পক্ষ থেকে টু শব্দ নেই-
- ভারত বাবরী মসজিদসহ হাজার হাজার মসজিদকে বধ্যভূমি বানাবে, তবুও টু শব্দ নেই (অল্প কিছু ব্যতিত)
- গুজরাটে মুসলমানদের আগুনে পোড়াবে, মুসলিম রমণীদের গোপন অঙ্গে রড, সিগারেট ও ছুরি দিয়ে খণ্ডবিখণ্ড করবে, তবুও টু শব্দটি নেই
- মুসলিম শিশুদের তরবারির ধারালো মাথা দিয়ে তরমুজের মত টুকরো করবে, তবুও টু শব্দটি নেই-
- গরুর গোস্ত রাখার সন্দেহে পিটিয়ে মুসলমানদের বাজারে, রাস্তা ঘাঁটে মারবে, এমনকি মুসলিম রমণীদের ছাড় দিবে না, তবুও কোন টু শব্দটি নেই-
পাঠক আমি আর কত বলবো????????????
অথচ গত কালকের রিপোর্ট-
- উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে মাইকে নামাজ না পড়তে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
- গরু জবাই করলে হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছে-
তবুও কেউ কোন টু শব্দটি করেনি, পক্ষান্তরে কেউ প্রতিবাদ করলে সেটা হঠকারিতা হয়ে যায়-
কেউ তার বোনদের সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিলে হঠকারিতা হয়ে যায়-
- সত্যিই অদ্ভুত
- আমাকে তিলে তিলে হত্যা করবে, তখন আমার নিরাপত্তা বহাল থাকবে...
-আমার নও মুসলিম বোনকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে, তখনও আমার নিরাপত্তা বহাল থাকবে-
- গরুর পেশাবখোরেরা আমার বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করবে, তখনও আমি নিরাপদ...
সত্যিই আমি অনেক নিরাপদ......
সাবধান একটা ঢিলও মারা যাবে না, কারন এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে...
হ্যা হে কবিরা!
- তোমরা জিহাদ ও মুজাহিদের বিরুদ্ধে লিখে যাও! কারন পশ্চাৎ দিক থেকে তোমার উপর হামলার ভয় নেই-উপরন্তু পুলিশ হচ্ছে তোমাদের বন্ধু
- তোমরা আইএসের ধুয়া তুলে জিহাদকে বেমালুম ভুলে যাও, বা চেপে যাও! কারন তোমাকে সমর্থনকারী ও সহযোগিতা প্রদানকারী বাহিনী সর্বদা রয়েছে-
আসলে
- তোমরা মজলুমদের জন্য একটি কবিতাও লিখতে পার না, যদিও বা লিখ, তবে মজলুমদের প্রতি তোমাদের আহবান থাকে, মজলুম যেন সয়ে সয়ে যায় তার উপর চালিত জুলুম
- তোমরা নদীর স্রোতের তরঙ্গ নিয়ে কবিতার বিশাল বই লিখতে পারবে, কিন্তু পেশাবখোরদের ছুরির আঘাতে আমার মা, ভাই ও বোনদের দেহ থেকে যে রক্তের স্রোত বয়ে যায়, তার জন্য তোমার কলম থেকে একটু কালিও ঝরবে না, যদিও বা ঝরে সেখানেও আহবান থাকবে, সয়ে সয়ে যাও!
- তোমরা মরমী কবিতার নামে এমনসব উচ্ছাঙ্গের কবিতা লিখবে, যার একটি শব্দও সাধারন মুসলমানদের বুঝে আসবে না, কিন্তু কোন দিনই আমার নির্যাতিত জননীর জন্য তোমার একটি সাদামাটা কবিতাও থাকবে না, যদিও বা থাকে, সেখানেও থাকবে, মা সয়ে সয়ে যাও!
ভারতের মোম্বাইয়ে চরমপন্থীদের হামলার ঘটনার তাপ কিছুটা কমে এসেছে। ভারতে ইসলাম বিরোধী তুফান রাজনীতির মঞ্চ থেকে কিছুটা সরে গিয়ে সামাজিক চারণভূমি অধিকার করেছে। বিজেপির সদস্য সংখ্যা এক বছরে আরো আশি লক্ষ বেড়ে গেলো। সেখানকার আলেমরা মোম্বাই এর পাশে প্রবলভাবে দাঁড়িয়ে। ভারতের নিরাপত্তার প্রশ্নে তুমুল সোচ্চার।
পাঠক এই অংশটুকু মনে রাখবেন! প্রয়োজনে আরেকবার পড়ুন!
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এলেন সাইয়িদ সালমান হুসাইনী নদবী। তিনি হযরত আলী নদভীর রক্ত, চেতনা,কলম ও ইলমের উত্তরাধিকারী। ইসলামী বুদ্ধিজীবিতার বিশ্বব্যক্তিত্ব। সিলেটে তিনি অবস্থান করেন দুই দিন। এক অভিজাত হোটেলে উলামা সম্মেলনে যোগ দেবেন। তার আগে মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানিগঞ্জী ও আমি দেখা করলাম হযরতের সাথে, একান্তে।
সেদিন প্রশ্ন করেছিলাম যে ভারত কাশ্মীরকে মুসলমানদের গোরস্থান বানায়, বাবরী মসজিদকে বধ্যভূমি বানায়, গুজরাটে মুসলমানদের আগুনে পোড়ায়, সে ভারতে সামান্য এক হামলার কারণে আপনারা প্রতিবাদী হলেন, ভারতপ্রেমে সোচ্চার হলেন।
সেদিন প্রশ্ন করেছিলাম যে ভারত কাশ্মীরকে মুসলমানদের গোরস্থান বানায়, বাবরী মসজিদকে বধ্যভূমি বানায়, গুজরাটে মুসলমানদের আগুনে পোড়ায়, সে ভারতে সামান্য এক হামলার কারণে আপনারা প্রতিবাদী হলেন, ভারতপ্রেমে সোচ্চার হলেন।
প্রশ্নটি আবারো পড়ুন-
যে ভারত কাশ্মীরকে মুসলমানদের গোরস্থান বানায়, বাবরী মসজিদকে বধ্যভূমি বানায়, গুজরাটে মুসলমানদের আগুনে পোড়ায়, সে ভারতে সামান্য এক হামলার কারণে আপনারা প্রতিবাদী হলেন, ভারতপ্রেমে সোচ্চার হলেন।
কিন্তু কেন?
তীর্যক প্রশ্ন তিনি হয়তো আশা করেন নি। অল্পক্ষণ চুপ করলেন। তারপর বললেন, ভারতে মুসলমানরা খুব সুখে নেই। তবে বেঁচে আছে আপন ধর্ম ও ঐতিহ্য নিয়ে। তাদের সমস্যা হাজারো। কোনো সন্ত্রাসী হামলা সে সব সমস্যার সমাধান দেবে না। কাশ্মীরের মুসলিমদের মুসিবত কমাবে না। ঘাতকদের হাতকে দুর্বল করবে না। বরং একটি হামলা তাদেরকে আরো সবল করবে, মুসলিমদের আরো দুর্বল করবে। এ হামলার বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার হলাম। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব।
তীর্যক প্রশ্ন তিনি হয়তো আশা করেন নি। অল্পক্ষণ চুপ করলেন। তারপর বললেন, ভারতে মুসলমানরা খুব সুখে নেই। তবে বেঁচে আছে আপন ধর্ম ও ঐতিহ্য নিয়ে। তাদের সমস্যা হাজারো। কোনো সন্ত্রাসী হামলা সে সব সমস্যার সমাধান দেবে না। কাশ্মীরের মুসলিমদের মুসিবত কমাবে না। ঘাতকদের হাতকে দুর্বল করবে না। বরং একটি হামলা তাদেরকে আরো সবল করবে, মুসলিমদের আরো দুর্বল করবে। এ হামলার বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার হলাম। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব।
- ভারত কাশ্মীরকে মুসলমানদের গোরস্থান বানাবে, তবুও কোন আলেমদের পক্ষ থেকে টু শব্দ নেই-
- ভারত বাবরী মসজিদসহ হাজার হাজার মসজিদকে বধ্যভূমি বানাবে, তবুও টু শব্দ নেই (অল্প কিছু ব্যতিত)
- গুজরাটে মুসলমানদের আগুনে পোড়াবে, মুসলিম রমণীদের গোপন অঙ্গে রড, সিগারেট ও ছুরি দিয়ে খণ্ডবিখণ্ড করবে, তবুও টু শব্দটি নেই
- মুসলিম শিশুদের তরবারির ধারালো মাথা দিয়ে তরমুজের মত টুকরো করবে, তবুও টু শব্দটি নেই-
- গরুর গোস্ত রাখার সন্দেহে পিটিয়ে মুসলমানদের বাজারে, রাস্তা ঘাঁটে মারবে, এমনকি মুসলিম রমণীদের ছাড় দিবে না, তবুও কোন টু শব্দটি নেই-
পাঠক আমি আর কত বলবো????????????
অথচ গত কালকের রিপোর্ট-
- উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে মাইকে নামাজ না পড়তে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
- গরু জবাই করলে হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছে-
তবুও কেউ কোন টু শব্দটি করেনি, পক্ষান্তরে কেউ প্রতিবাদ করলে সেটা হঠকারিতা হয়ে যায়-
কেউ তার বোনদের সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিলে হঠকারিতা হয়ে যায়-
হামলাটি কী ইসলামের পক্ষ থেকে? না। একটি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে, যারা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না। ভারতের আলেমরা একে দেখেছেন কিছু মুসলিমের অপরাধমূলক হটকারিতা হিসাবে। যার দায়ভার থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের হেফাজত করা ছিলো তাদের দায়িত্ব। হামলাকারীরা এতোই নির্বোধ যে, তারা জানে না এ রকম কয়েক শত হামলা ভারতের মতো রাষ্ট্রের কোনোই ক্ষতি করবে না। কিছু মানুষকে ওরা মারবে। কিন্তু পরিণতিতে মুসলমান ও ইসলামের যে ক্ষতি হবে, তা সুদূরপ্রসারী। আমরা সেই ক্ষতি হতে দিতে চাই না। এমন হামলাকে তাই মুসলিমদের নিরাপত্তাবিরোধী হামলা হিসেবে গণ্য করি।
- আমাকে তিলে তিলে হত্যা করবে, তখন আমার নিরাপত্তা বহাল থাকবে...
-আমার নও মুসলিম বোনকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে, তখনও আমার নিরাপত্তা বহাল থাকবে-
- গরুর পেশাবখোরেরা আমার বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করবে, তখনও আমি নিরাপদ...
সত্যিই আমি অনেক নিরাপদ......
সাবধান একটা ঢিলও মারা যাবে না, কারন এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে...
হ্যা হে কবিরা!
- তোমরা জিহাদ ও মুজাহিদের বিরুদ্ধে লিখে যাও! কারন পশ্চাৎ দিক থেকে তোমার উপর হামলার ভয় নেই-উপরন্তু পুলিশ হচ্ছে তোমাদের বন্ধু
- তোমরা আইএসের ধুয়া তুলে জিহাদকে বেমালুম ভুলে যাও, বা চেপে যাও! কারন তোমাকে সমর্থনকারী ও সহযোগিতা প্রদানকারী বাহিনী সর্বদা রয়েছে-
আসলে
- তোমরা মজলুমদের জন্য একটি কবিতাও লিখতে পার না, যদিও বা লিখ, তবে মজলুমদের প্রতি তোমাদের আহবান থাকে, মজলুম যেন সয়ে সয়ে যায় তার উপর চালিত জুলুম
- তোমরা নদীর স্রোতের তরঙ্গ নিয়ে কবিতার বিশাল বই লিখতে পারবে, কিন্তু পেশাবখোরদের ছুরির আঘাতে আমার মা, ভাই ও বোনদের দেহ থেকে যে রক্তের স্রোত বয়ে যায়, তার জন্য তোমার কলম থেকে একটু কালিও ঝরবে না, যদিও বা ঝরে সেখানেও আহবান থাকবে, সয়ে সয়ে যাও!
- তোমরা মরমী কবিতার নামে এমনসব উচ্ছাঙ্গের কবিতা লিখবে, যার একটি শব্দও সাধারন মুসলমানদের বুঝে আসবে না, কিন্তু কোন দিনই আমার নির্যাতিত জননীর জন্য তোমার একটি সাদামাটা কবিতাও থাকবে না, যদিও বা থাকে, সেখানেও থাকবে, মা সয়ে সয়ে যাও!
Comment