ইদানিং কওমী উলামাদের সমালোচনা খুব হচ্ছে। অবশ্য সমালোচিত হওয়ার মতো কাজ তারা করেছেন অবশ্যই । তবে সমালোচনার ক্ষেত্রে ইনসাফ অবশ্যই বজায় রাখা চাই। কওমী উলামাদের এমনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে যেন বাকি সকলেই হকের উপর আছে, সকলেই জিহাদের পথে আছে আর কওমীর উলামারাই শুধু গোমরাহিতে নিপতিত। যেন তারাই জিহাদের পথে একমাত্র কাঁটা।
কওমী উলামারা গোমরাহিতে আছেন; তারা জিহাদের পথে বাধা দিচ্ছেন- এসব কিছুই সত্য। কিন্তু জিজ্ঞেস করি, এদেশের জিহাদের কাজটা যারা শরয়ী পন্থায় চালিয়ে নিচ্ছেন তারা কি আসমান থেকে নেমে এসেছেন? না’কি তারা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সত্য দ্বীন শিখেছেন? না’কি স্কুল-কলেজ থেকে? না’কি মায়ের পেট থেকে?
দু’চার জন হকপন্থী আলেম-উলামা যারা আছেন, দু’চার জন জিহাদের পথে কুরবানী দাতা আলেম যারা আছেন- তারা তো এ কওমী মাদ্রাসারই সন্তান। এখান থেকেই তারা সহীহ দ্বীন শিখেছেন। কওমী মাদ্রাসার এই লোকগুলো যদি জীবন কুরবানী না দিতেন তাহলে আমাদের দেশে সহীহ জিহাদ শুরু হতো বলে মনে হয় না। আর বর্তমানে কাজ যতটুকু চলছে তার সহীহ রাহনুমায়ী কারা করছেন? এই কওমী মাদ্রাসার আলেম উলামাই তো। তাগুতদের হাতে যেসকল আলেম গ্রেফতার হয়ে অমানবিক নির্যাতন ভোগ করছেন তারা তো এই কওমী মাদ্রাসারই সন্তান। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের জিহাদের যিনি আমীর তিনিও তো এই কওমী মাদ্রাসারই সন্তান।
আল্লাহ না করুন, আমারতো মনে হয়, কওমী মাদ্রাসার আলেম-উলামারা দু’চার দিন তাদের জিহাদী কার্যাক্রম ও রাহনুমায়ী বন্ধ রাখলে এদেশের জিহাদী দলগুলো দাওলার চেয়েও ভয়ংকর গোমরাহিতে নিপতিত হবে।
কেউ কেউ হয়তো আমাকে স্বজনপ্রীতির অপবাদ দিতে পারেন যে, তিনি কওমী সন্তান বলে কওমী আলেমদের পক্ষে কথা বলছেন। আসলে একটু চিন্তা করে দেখুন, কথাগুলো স্বজনপ্রীতি কি’না! না বলে পারছি না বলেই বলছি। ভুল হলে আল্লাহ আমাকে মাফ করুন। হেদায়াতের রাস্তা দেখান। কিন্তু কওমী আলেম উলামাকে নিয়ে যে ধরণের মন্তব্য করা হচ্ছে তার পরিণাম শুধু মনের ঝাল মিটানো ছাড়া আর ভাল কিছু হবে বলে মনে হয় না।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান কর! তোমার দ্বীনের পথে কায়েম রাখ।
Comment