Announcement

Collapse
No announcement yet.

পরাজয়ের শিকল কবে খুলবে??

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পরাজয়ের শিকল কবে খুলবে??

    বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
    একটি আয়াত ও একটি হাদীস আমাকে সর্বদা বিনিদ্র রাত কাটাতে বাধ্য করে, যা বাস্তবতা দেখলে হৃদয়টা ফেটে যেতে চায়। কারণ, এই আয়াত ও হাদীসে এমন একটি অনোন্যপায়গ্রাহ্য বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে যে, এর জন্য আমাদের জীবনের সব চেষ্টা করলেও অতীতের সেই পরাজয় থেকে ফিরে আসা দূরহ বলে দুশ্চিন্তা চেপে বসে। উপরন্তু আমরা যদি সেক্ষেত্রে অবহেলাবা অলসতার পরিচয় দেই তাহলে তো নির্ঘাত পরাজয়ের শিকল আরো গলে জড়াতে থাকবে যার বর্ণনা দেওয় সম্ভব নয়।

    আল্লাহ তাআলা যখন জিহাদের সূচনা করেন, তখন ছিল হযরত মূসা আ. এর যমানা। মূসা আ. যখন বনী-ইসলাইলদের নিয়ে বাহরে কুলযুম পার হলেন তখন আল্লাহ তাআলা তাদে;রকে নির্দেশ করলেন,

    ، یٰقَوْمِ ادْخُلُوا الْاَرْضَ الْمُقَدَّسَۃَ الَّتِیْ کَتَبَ اللهُ لَكُمْ وَلَا تَرْتَدُّوْا عَلٰۤی اَدْبَارِكُمْ فَتَنْقَلِبُوْا خٰسِرِیْنَ

    অর্থাৎ, হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভুমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং পেছন দিকে প্রত্যাবর্তন করো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

    তখন তারা এই জিহজাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল আর বলল,

    قَالُوْا یٰمُوْسٰۤی اِنَّ فِیْهَا قَوْمًا جَبَّارِیْنَ ٭ۖ وَ اِنَّا لَنْ نَّدْخُلَهَا حَتّٰی یَخْرُجُوْا مِنْهَا ۚ فَاِنْ یَّخْرُجُوْا مِنْهَا فَاِنَّا دٰخِلُوْنَ ،

    তারা বললঃ হে মূসা, সেখানে একটি প্রবল পরাক্রান্ত জাতি রয়েছে। আমরা কখনও সেখানে যাব না, যে পর্যন্ত না তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়। তারা যদি সেখান থেকে বের হয়ে যায় তবে নিশ্চিতই আমরা প্রবেশ করব।
    আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সাহস দিয়ে এবং যখন ময়দানে অবতীর্ণ হবে তখন যেন ময়দানের বিভীষিকা দেখে পিছু না হটে সেজন্য তাদেরকে বিজয়ের সুসংবাদও দিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

    قَالَ رَجُلٰنِ مِنَ الَّذِیْنَ یَخَافُوْنَ اَنْعَمَ اللهُ عَلَیْهِمَا ادْخُلُوْا عَلَیْمَُن الْبَابَ ۚ فَاِذَا دَخَلْتُمُوْهُ فَاِنَّكُمْ غٰلِبُوْنَ ۬ۚ وَعَلَی اللهِ فَتَوَکَّلُوْۤا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ

    খোদাভীরুদের মধ্য থেকে দু’ব্যক্তি বলল, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেনঃ তোমরা তাদের উপর আক্রমণ করে দরজায় প্রবেশ কর। অতঃপর তোমরা যখন তাতে পবেশ করবে, তখন তোমরাই জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপর ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।

    কিন্তু আফসোসের বিষয় হল স্বয়ং আল্লাহ তাআলা বিজয়ের সুসংবাদ দেওয়ার পরেও তাদের অন্তরের বক্রতা শুদ্ধ হল না। বরং তাদের বক্রতা আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেল। তারা বলল,

    قَالُوْا یٰمُوْسٰۤی اِنَّا لَنْ نَّدْخُلَهَاۤ اَبَدًا مَّا دَامُوْا فِیْهَا فَاذْهَبْ اَنْتَ وَرَبُّکَ فَقَاتِلَاۤ اِنَّا هٰهُنَا قٰعِدُوْنَ ،

    তারা বললঃ হে মূসা, আমরা জীবনেও কখনো সেখানে যাব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকবে। অতএব, আপনি ও আপনার পালনকর্তাই যান এবং উভয়ে যুদ্ধ করে নিন। আমরা তো এখানেই বসলাম।

    তাদের এই উদ্ধত প্রতি উত্তরে মূসা আ. অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হলেন, আর একথা তো অবশ্যই সিদ্ধ যে, কোন নবীর গোস্বা আল্লাহ তাআলার আযাবকে ডেকে আনে। তাই মূসা আ. আল্লাহ তাআলার কাছে ফরিয়াদ করলেন,

    قَالَ رَبِّ اِنِّیْ لَاۤ اَمْلِكُ اِلَّا نَفْسِیْ وَاَخِیْ فَافْرُقْ بَیْنَنَا وَبَیْنَ الْقَوْمِ الْفٰسِقِیْنَ ، قَالَ فَاِنَّهَا مُحَرَّمَۃٌ عَلَیْمْلَ اَرْبَعِیْنَ سَنَۃً ۚ یَتِیْهُوْنَ فِی الْاَرْضِ ؕ فَلَا تَاْسَ عَلَی الْقَوْمِ الْفٰسِقِیْنَ ،

    মূসা বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমি শুধু নিজের উপর ও নিজের ভাইয়ের উপর ক্ষমতা রাখি। অতএব, আপনি আমাদের মধ্যে ও এ অবাধ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করুন। বললেনঃ এ দেশ চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্যে হারাম করা হল। তারা ভুপৃষ্ঠে উদভ্রান্ত হয়ে ফিরবে। অতএব, আপনি অবাধ্য সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না। -সূরা মায়েদা: ২১-২৫
    এ আয়াতগুলো থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, জিহাদের নির্দেশ আসলে তখন তা অবশ্যই সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়ে আমেীরের নির্দেশ মোতাবেক পালন করতে হয় নতুবা আল্লাহ তাআলার আযাব এসে গ্রেপ্তার করবে। যার স্বাদ দুনিয়াতেই ভোগ করা শুরু হবে। তাফসীরে ফতহুল জাওয়াদে আছে, এখানে যে তাদেরকে চল্লিশ বছর যাবত ময়দানে ভবঘুরে করে করে রেখেছেন এর উদ্দেশ্য হলিএই অবাধ্য জাতির অবসানান্তর যখন নতুন প্রজন্মের আগমন ঘটবে তখন তারা তাদের শাস্বিত স্বচক্ষে দর্শনপূর্বক আল্লাহ তাআলার নির্দেশ সহজেিই অনুধাবন করে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ পালনে ব্রতী হবে।

    আমারও তেমন একটা দুশ্চিন্তা সর্বদা কাজ করে যে আমাদের বর্তমান কালে যে পরাজিত শিকল পরা জাতির অবাধ বিচরণ চলছে তারা কোরআন হাদীসের নির্দেশনা হাজারো সামনে থাকলে এব্ং আল্লাহ তাআলা যে নারী নেতৃত্বের আযাব আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন তার অনুভূতিটাই আমরা মনে হচ্ছে যেন হারিয়ে ফেলেছি। আমি নিজ কানে শুনতে পেয়েছি যে, আমরা কওমী ওলামায়ে কেরাম। আমরা দুনিয়ার বাদশাহী চাই না। শাসন তোমরা করতে থাক। আমাদের মসনদের দরকার নেই। তবে তোমরা ঠিকমত শাসন কর। ইসলামী আইন অনুপাতে শাসন কর।
    মানে আমরা ওলামায়ে কেরাম আল্লাহর বিধান কায়েম করতে রাজি নই। আমরা সেই পরাজয়ের শিকল যে পরেছি তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আমাদের সম্মানের দরকার নেই।
    এ ধরনের আরো কত কথা যে শুনেছি তার ইয়ত্তা নেই।
    তখন তো আর এতটা বুঝতাম না। তাদের কথায় আমরাও সূর মিলাতাম।
    হাদীসটির বর্ণনা পরবর্তী পেস্টো আলোচনা করবো ইনশা-আল্লাহ।

  • #2
    এই চিন্তাগত পরাজয় আমাদের মধ্যে আমুল পরিবর্তন করে ফেলেছে।
    মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
    রোম- ৪৭

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ ।

      Comment


      • #4
        জাঝাকাল্লাহ আখি। আপনি আমাদের বাস্তব অবস্থা খুব সাবলীল, সু্ন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে লিখনীর মাধ্যমে এই ঘুমন্ত উম্মাহকে জাগ্রত করার তাওফিক দান করুন।

        Comment


        • #5
          জাজাকাল্লাহ

          Comment


          • #6
            অনেক ভাল লাগল ভাই

            Comment


            • #7
              জাজাকাল্লাহ আখি

              Comment


              • #8
                যারা পরাজয় বরণকেই বিজয়ী হওয়া ভাবছে, কে তাঁদের জাগাতে পারে?????

                Comment


                • #9
                  জাজাকাল্লাহ আখি
                  كتب عليكم القتال وهو كره لكم

                  Comment

                  Working...
                  X