ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানের অন্যায়
যদি অন্যায়ে বা জুলুমে লিপ্ত ব্যক্তি মুসলিম শাসক হয়, আর সে রাষ্ট্রে নামায (তথা ইসলাম) প্রতিষ্ঠা করে, তবে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য লড়াই করা যাবে না। তবে তার নির্দিষ্ট মুনকার ও জুলুমটিকে বন্ধ করার জন্য হিম্মত থাকলে অবশ্যই হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়া যাবে। কারণ ইসলাম এক মুহূর্তও অন্যায় চলতে থাকাকে সহ্য করে না।
যেমন ইমাম আহমাদ রহ: বলেন:
জামিউল উলুমি ওয়াল হিকাম- ইবনে রজব হাম্বলী
(( يخلف من بعدهم خُلوفٌ ، فمن جاهدَهم بيدِه ، فهو مؤمنٌ )) ((২)) ৃ الحديث ، وهذا يدلُّ على جهاد الأمراءِ باليد . وقد استنكر الإمامُ أحمد هذا الحديث في رواية أبي داود ((৩)) ، وقال : هو خلافُ الأحاديث التي أمر رسول الله - صلى الله عليه وسلم - فيها بالصَّبر على جَوْرِ الأئمة . وقد يجاب عن ذلك : بأنَّ التَّغييرَ باليدِ لا يستلزمُ القتالَ . وقد نصَّ على ذلك أحمدُ أيضاً في رواية صالحٍ ، فقال : التَّغييرُ باليد ليسَ بالسَّيف والسِّلاح ، وحينئذٍ فجهادُ الأمراءِ باليد أنْ يُزيلَ بيده ما فعلوه مِنَ المنكرات ، مثل أنْ يُريق خمورَهم أو يكسِرَ آلات الملاهي التي لهم ، ونحو ذلك ، أو يُبطل بيده ما أمروا به مِنَ الظُّلم إن كان له قُدرةٌ على ذلك، وكلُّ هذا جائزٌ، وليس هو من باب قتالهم، ولا مِنَ الخروج عليهم الذي ورد النَّهيُ عنه، فإنَّ هذا أكثرُ ما يخشى منه أن يقتل الآمر وحده.
“তাদের পরে আসবে অযোগ্য উত্তরসূীগণ, যে তাদের বিরুদ্ধে হাত দ্বারা জিহাদ করবে, সে মুমিন...” এ হাদিসটি শাসকদের বিরুদ্ধে হাত দ্বারা জিহাদ বৈধ হওয়াকে প্রমাণ করে।
ইমাম আহমাদ রহ: আবু দাউদের রেওয়ায়েতে হাদিসটিকে মুনকার বলেছেন। (তবে মুসলিম রহ: এটা সহীহ সনদে রেওয়ায়াত করেছেন।) তিনি বলেন: ‘এটা ঐ সকল হাদিসের বিরোধী, যেগুলো শাসকদের জুলুমের উপর সবর করতে আদেশ করে’।
এর উত্তর দেওয়া হয় এভাবে যে: হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়া যুদ্ধকে আবশ্যক করে না। আবু সালিহের রেওয়ায়াতে স্বয়ং ইমাম আহমাদও স্পষ্টভাবে একথা বলেছেন: তিনি বলেন: হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়া; তরবারী বা অস্ত্র দ্বারা নয়, (অর্থাৎ যুদ্ধ করা নয়)।
এমতাবস্থায় শাসকদের বিরুদ্ধে হাত দ্বারা জিহাদ করার উদ্দেশ্য হল: তারা যে অন্যায় কাজ করে, তা হাত দ্বারা বন্ধ করা। যেমন তাদের মদ ফেলে দেওয়া, বিনোদন উপকরণগুলো ভেঙ্গে ফেলা এধরণের, অথবা তারা যে জুলুমের আদেশ করে, সামর্থ্য থাকলে তা নিজ হাত দ্বারা বাতিল করা। এ সবগুলোই জায়েয।
এর মানে তাদের সাথে যুদ্ধ করা বা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা নয়, যেটার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কারণ এতে (শাসককে হাত দ্বারা বাঁধা দিতে গেলে) সর্বোচ্চ আশঙ্কা হল: আদেশকারী ব্যক্তি একা নিহত হবে।”
এ ব্যাপারে বিখ্যাত হানাফি ফকীহ আল্লামা ইবনে আবেদিন শামী রহ: এর বক্তব্য:
আল্লামা ইবনে আবেদিন শামী রহ: ফাতওয়া শামীতে যা বলেন, তার সারকথা হল: ইসলামী শাসক প্রজাদের উপর জুলুম করলে কিংবা তাদের হক নষ্ট করলে যেসব প্রজা মজলুম হয়েছে বা যাদের হক নষ্ট করা হয়েছে তারা শাসকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে পারবে। এ অস্ত্র ধারণ শাসককে হটিয়ে ক্ষমতা দখল কিংবা নতুন শাসক নিয়োগ দেয়ার জন্য নয়, বরং জুলুম দূর করার জন্য এবং হক আদায় করার জন্য। অন্যান্য জনগণ যদি মনে করেন মজলুমদের পক্ষ হয়ে শাসকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলে জুলুম দূর করা যাবে তাহলে তাদের জন্য আবশ্যক হবে মজলুমদেরকে সাহায্য করা। আর যদি মনে হয় জুলুম দূর করা সম্ভব হবে না, বরং অহেতুক মারামারি হবে, তাহলে তারা সাহায্য করবে না। তবে মজলুমরা যদি অস্ত্র চালিয়ে যায় তবে তাদের কোন গুনাহ হবে না।
এবার ফাতওয়া শামীর উদ্ধৃতি দেখুন:
فى "الدر المختار": وفي المبتغى لو بغوا لأجل ظلم السلطان ولا يمتنع عنه لا ينبغي للناس معاونة السلطان ولا معاونتهم. اهـ
قال ابن عابدين فى الشرح: لكن في الفتح : ويجب على كل من أطاق الدفع أن يقاتل مع الإمام إلا إن أبدوا ما يجوز لهم القتال كأن ظلمهم أو ظلم غيرهم ظلما لا شبهة فيه بل يجب أن يعينوهم حتى ينصفهم ويرجع عن جوره ، بخلاف ما إذا كان الحال مشتبها أنه ظلم مثل تحميل بعض الجبايات التي للإمام أخذها وإلحاق الضرر بها لدفع ضرر أعم منه .ا هـ .
قلت : ويمكن التوفيق بأن وجوب إعانتهم إذا أمكن امتناعه عن بغيه وإلا فلا كما يفيده قول المبتغى ، ولا تمتنع عنه تأمل. اهـ
“আদদুররুল মুখতারে রয়েছে: ‘মুবতাগা’য় রয়েছে: যদি প্রজাগণ শাসকের জুলুমের কারণে বিদ্রোহ করে, আর শাসক তা থেকে বিরত না হয়, তখন অন্যান্য লোকদের জন্য শাসকেরও সাহায্য করা উচিত নয় এবং প্রজাদেরও সাহায্য করা উচিত নয়।
ইবনে আবেদিন শামী রহ: ব্যাখ্যায় বলেন: কিন্তু ফাতহুল কাদিরে রয়েছে: যাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে, তাদের প্রত্যেকের উপর আবশ্যক হল ইমামের সঙ্গে মিলে যুদ্ধ করা। তবে যদি প্রজাগণ এমন কোন প্রমাণ পেশ করে, যার ভিত্তিতে তাদের জন্য যুদ্ধ করা জায়েয হয় তবে ভিন্ন। যেমন শাসক তাদের উপর বা অন্যদের উপর এমন জুলুম করেছে, যা জুলুম হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। বরং সে সময় অন্যান্য লোকদের উপর বিদ্রোহকারী প্রজাদেরকে সাহায্য করা ফরজ, যতক্ষণ না সে তাদের প্রতি ইনসাফ করে এবং স্বীয় জুলুম থেকে ফিরে আসে।
পক্ষান্তরে যদি জুলুমের বিষয়টি অস্পষ্ট হয়, যেমন এমন ধরণের ট্যাক্স আরোপ করা, যা গ্রহণ করার বৈধতা শাসকের রয়েছে। ফলে বড় সমস্যা দূর করার জন্য ছোট সমস্যায় ফেলে।
আমি বলি: উভয় বক্তব্যের মাঝে এভাবে সমন্বয় করা সম্ভব যে: যদি শাসককে জুলুম থেকে বিরত করা সম্ভবপর হয়, তবে বিদ্রোহকারী প্রজাদেরকে সাহায্য করা ফরজ। আর যদি বিরত করা সম্ভবপর না হয় তবে সাহায্য করা ফরজ নয়।”
এই আলোচনাটি ছিল ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানের মুনকার ও জুলুমকে হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার ব্যাপারে। আর শাসক ছাড়া অন্যদেরকে হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার ব্যাপারটি আরো ব্যাপক।
যদি অন্যায়ে বা জুলুমে লিপ্ত ব্যক্তি মুসলিম শাসক হয়, আর সে রাষ্ট্রে নামায (তথা ইসলাম) প্রতিষ্ঠা করে, তবে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য লড়াই করা যাবে না। তবে তার নির্দিষ্ট মুনকার ও জুলুমটিকে বন্ধ করার জন্য হিম্মত থাকলে অবশ্যই হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়া যাবে। কারণ ইসলাম এক মুহূর্তও অন্যায় চলতে থাকাকে সহ্য করে না।
যেমন ইমাম আহমাদ রহ: বলেন:
জামিউল উলুমি ওয়াল হিকাম- ইবনে রজব হাম্বলী
(( يخلف من بعدهم خُلوفٌ ، فمن جاهدَهم بيدِه ، فهو مؤمنٌ )) ((২)) ৃ الحديث ، وهذا يدلُّ على جهاد الأمراءِ باليد . وقد استنكر الإمامُ أحمد هذا الحديث في رواية أبي داود ((৩)) ، وقال : هو خلافُ الأحاديث التي أمر رسول الله - صلى الله عليه وسلم - فيها بالصَّبر على جَوْرِ الأئمة . وقد يجاب عن ذلك : بأنَّ التَّغييرَ باليدِ لا يستلزمُ القتالَ . وقد نصَّ على ذلك أحمدُ أيضاً في رواية صالحٍ ، فقال : التَّغييرُ باليد ليسَ بالسَّيف والسِّلاح ، وحينئذٍ فجهادُ الأمراءِ باليد أنْ يُزيلَ بيده ما فعلوه مِنَ المنكرات ، مثل أنْ يُريق خمورَهم أو يكسِرَ آلات الملاهي التي لهم ، ونحو ذلك ، أو يُبطل بيده ما أمروا به مِنَ الظُّلم إن كان له قُدرةٌ على ذلك، وكلُّ هذا جائزٌ، وليس هو من باب قتالهم، ولا مِنَ الخروج عليهم الذي ورد النَّهيُ عنه، فإنَّ هذا أكثرُ ما يخشى منه أن يقتل الآمر وحده.
“তাদের পরে আসবে অযোগ্য উত্তরসূীগণ, যে তাদের বিরুদ্ধে হাত দ্বারা জিহাদ করবে, সে মুমিন...” এ হাদিসটি শাসকদের বিরুদ্ধে হাত দ্বারা জিহাদ বৈধ হওয়াকে প্রমাণ করে।
ইমাম আহমাদ রহ: আবু দাউদের রেওয়ায়েতে হাদিসটিকে মুনকার বলেছেন। (তবে মুসলিম রহ: এটা সহীহ সনদে রেওয়ায়াত করেছেন।) তিনি বলেন: ‘এটা ঐ সকল হাদিসের বিরোধী, যেগুলো শাসকদের জুলুমের উপর সবর করতে আদেশ করে’।
এর উত্তর দেওয়া হয় এভাবে যে: হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়া যুদ্ধকে আবশ্যক করে না। আবু সালিহের রেওয়ায়াতে স্বয়ং ইমাম আহমাদও স্পষ্টভাবে একথা বলেছেন: তিনি বলেন: হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়া; তরবারী বা অস্ত্র দ্বারা নয়, (অর্থাৎ যুদ্ধ করা নয়)।
এমতাবস্থায় শাসকদের বিরুদ্ধে হাত দ্বারা জিহাদ করার উদ্দেশ্য হল: তারা যে অন্যায় কাজ করে, তা হাত দ্বারা বন্ধ করা। যেমন তাদের মদ ফেলে দেওয়া, বিনোদন উপকরণগুলো ভেঙ্গে ফেলা এধরণের, অথবা তারা যে জুলুমের আদেশ করে, সামর্থ্য থাকলে তা নিজ হাত দ্বারা বাতিল করা। এ সবগুলোই জায়েয।
এর মানে তাদের সাথে যুদ্ধ করা বা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা নয়, যেটার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কারণ এতে (শাসককে হাত দ্বারা বাঁধা দিতে গেলে) সর্বোচ্চ আশঙ্কা হল: আদেশকারী ব্যক্তি একা নিহত হবে।”
এ ব্যাপারে বিখ্যাত হানাফি ফকীহ আল্লামা ইবনে আবেদিন শামী রহ: এর বক্তব্য:
আল্লামা ইবনে আবেদিন শামী রহ: ফাতওয়া শামীতে যা বলেন, তার সারকথা হল: ইসলামী শাসক প্রজাদের উপর জুলুম করলে কিংবা তাদের হক নষ্ট করলে যেসব প্রজা মজলুম হয়েছে বা যাদের হক নষ্ট করা হয়েছে তারা শাসকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে পারবে। এ অস্ত্র ধারণ শাসককে হটিয়ে ক্ষমতা দখল কিংবা নতুন শাসক নিয়োগ দেয়ার জন্য নয়, বরং জুলুম দূর করার জন্য এবং হক আদায় করার জন্য। অন্যান্য জনগণ যদি মনে করেন মজলুমদের পক্ষ হয়ে শাসকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলে জুলুম দূর করা যাবে তাহলে তাদের জন্য আবশ্যক হবে মজলুমদেরকে সাহায্য করা। আর যদি মনে হয় জুলুম দূর করা সম্ভব হবে না, বরং অহেতুক মারামারি হবে, তাহলে তারা সাহায্য করবে না। তবে মজলুমরা যদি অস্ত্র চালিয়ে যায় তবে তাদের কোন গুনাহ হবে না।
এবার ফাতওয়া শামীর উদ্ধৃতি দেখুন:
فى "الدر المختار": وفي المبتغى لو بغوا لأجل ظلم السلطان ولا يمتنع عنه لا ينبغي للناس معاونة السلطان ولا معاونتهم. اهـ
قال ابن عابدين فى الشرح: لكن في الفتح : ويجب على كل من أطاق الدفع أن يقاتل مع الإمام إلا إن أبدوا ما يجوز لهم القتال كأن ظلمهم أو ظلم غيرهم ظلما لا شبهة فيه بل يجب أن يعينوهم حتى ينصفهم ويرجع عن جوره ، بخلاف ما إذا كان الحال مشتبها أنه ظلم مثل تحميل بعض الجبايات التي للإمام أخذها وإلحاق الضرر بها لدفع ضرر أعم منه .ا هـ .
قلت : ويمكن التوفيق بأن وجوب إعانتهم إذا أمكن امتناعه عن بغيه وإلا فلا كما يفيده قول المبتغى ، ولا تمتنع عنه تأمل. اهـ
“আদদুররুল মুখতারে রয়েছে: ‘মুবতাগা’য় রয়েছে: যদি প্রজাগণ শাসকের জুলুমের কারণে বিদ্রোহ করে, আর শাসক তা থেকে বিরত না হয়, তখন অন্যান্য লোকদের জন্য শাসকেরও সাহায্য করা উচিত নয় এবং প্রজাদেরও সাহায্য করা উচিত নয়।
ইবনে আবেদিন শামী রহ: ব্যাখ্যায় বলেন: কিন্তু ফাতহুল কাদিরে রয়েছে: যাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে, তাদের প্রত্যেকের উপর আবশ্যক হল ইমামের সঙ্গে মিলে যুদ্ধ করা। তবে যদি প্রজাগণ এমন কোন প্রমাণ পেশ করে, যার ভিত্তিতে তাদের জন্য যুদ্ধ করা জায়েয হয় তবে ভিন্ন। যেমন শাসক তাদের উপর বা অন্যদের উপর এমন জুলুম করেছে, যা জুলুম হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। বরং সে সময় অন্যান্য লোকদের উপর বিদ্রোহকারী প্রজাদেরকে সাহায্য করা ফরজ, যতক্ষণ না সে তাদের প্রতি ইনসাফ করে এবং স্বীয় জুলুম থেকে ফিরে আসে।
পক্ষান্তরে যদি জুলুমের বিষয়টি অস্পষ্ট হয়, যেমন এমন ধরণের ট্যাক্স আরোপ করা, যা গ্রহণ করার বৈধতা শাসকের রয়েছে। ফলে বড় সমস্যা দূর করার জন্য ছোট সমস্যায় ফেলে।
আমি বলি: উভয় বক্তব্যের মাঝে এভাবে সমন্বয় করা সম্ভব যে: যদি শাসককে জুলুম থেকে বিরত করা সম্ভবপর হয়, তবে বিদ্রোহকারী প্রজাদেরকে সাহায্য করা ফরজ। আর যদি বিরত করা সম্ভবপর না হয় তবে সাহায্য করা ফরজ নয়।”
এই আলোচনাটি ছিল ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানের মুনকার ও জুলুমকে হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার ব্যাপারে। আর শাসক ছাড়া অন্যদেরকে হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার ব্যাপারটি আরো ব্যাপক।
Comment