আব্দুল্লাহ ইয়াফুর ভাই!
যদিও (নব্য দেওবন্দী চিন্তাধারা) মূল লেখাটি আবু খুবাইব ভাইয়ের, কিন্তু যেহেতু এখন পোষ্ট আপনি দিচ্ছেন, তাই দায়দায়িত্ব আপনার উপরই পড়বে। আর আপনি তার সাথে ‘পথভ্রষ্ট’ শব্দটি যোগ করে আপনার মানসিকতাও ফুটিয়ে তুলেছেন, তাই আমি প্রথমে আপনাকেই বলছি:
ভাই!
আশরাফ আলী থানবী, শাব্বির আহমাদ উসমানী, মুফতি শফি রহ:, হুসাইন আহমাদ মাদানী সহ এধরণের আলেমগণকে এভাবে বাতিলের অবস্থানে রেখে ধারাবাহিক খন্ডন লেখা উচিত নয়।
কারণ এদের তাকওয়া, পরহেজগারী ও ইসলামের কল্যাণকামীতার ব্যাপারে অসংখ্য ঘটনা অজস্র সূত্রে বর্ণিত আছে। যার দ্বারা বোঝা যায়, তারা ইসলামের জন্য ফেদা ছিলেন, সারা জীবন নি:স্বার্থভাবে ইসলামের জন্য কাজ করেছেন, নিজেদের ব্যক্তিজীবনের প্রতি তেমন নজর না দিয়ে সারাটি জীবন ইসলামের কাজের ব্যস্ততায় ছিলেন।
আমার এই কথাগুলো দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট সত্যকথা। তাদের ব্যাপারে লিখিত অসংখ্য কিতা্বের পাতাগুলোই এর প্রমাণ এবং তাদেরকে সরাসরি দেখা লোকদের বর্ণনাও প্রমাণ।
কিন্তু তাদের কর্মপদ্ধতিগত যে সব ভুল-ভ্রান্তি আছে, সেগুলো তারা একান্ত ভুলবশত: করেছেন। পরিবেশ-পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, কেউ তার দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে পারেনি।কিন্তু কেউ তাদের সদিচ্ছার উপর প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
আর তারা যে বিষয়গুলোতে ভুল করেছেন, ওই যামানায় বিষয়গুলো খুবই অস্পষ্ট ও মিশ্রিত ছিল। আর তাদের প্রত্যেকেরই ওই পদ্ধতির পক্ষে কিছু দলিল ছিল, যেগুলোর উপর তারা ভিত্তি করেছেন। আপনি সেই দলিলগুলো শুনলে তা একেবারে ফেলে দিতে পারবেন না।
কিন্তু আপনাদের পোষ্টের বিপরীতে আমরা সেই দলিলগুলো উল্লেখ করি না, যেহেতু এখন ওগুলোর পক্ষে দিফা করে কোন লাভ নেই, কারণ ওভার অল এখন তো সেগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এবং তা গ্রহণ করছি না।
কিন্তু যদি এই ভুলগুলোর কারণে তাদেরকে বাতিলের অবস্থানে রেখে পথভ্রষ্টদেরকে সমালোচনা করার মত সমালোচনা করতে থাকেন, তখন তো তাদের দলিলগুলো উল্লেখ করে, তাদের ওযর পেশ করা এবং বিষয়গুলোকে হালকা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে।
কিন্তু এই সময় যেহেতু সেগুলো আমি নিজেও গ্রহণ করছি না, তাই সেগুলো উল্লেখ করতে, সেগুলোর পিছনে পড়তে উৎসাহবোধ হয়ত হচ্ছে না।
আশা করি, বিষয়গুলো বুঝেছেন।
তাই তাদেরকে এমন অবস্থানে রেখে এভাবে সমালোচনা না করার জন্য পরিস্কারভাবে অনুরোধ করছি। অন্যায় “পথভ্রষ্ট নব্য সালাফি চিন্তাধারা শিরোনামে কেউ লেখা শুরু করে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি গোলাটে হয়ে যাবে।আর এ বিষয়ে কমল ধরলে নিশ্চয়ই কলমের খোরাকের অভাব হবে না। কারণ নব্য সালফিদের বর্তমান প্রজন্মের সিংহভাগই তো সরকারের দালালি, চাটুকারীতা, আমেরিকার সহযোগীতা ও ঈমান বিক্রিতে লিপ্ত। তাই বিন বাজ, উসাইমিন ও ইবরাহীম আলুশ শায়খদের সরকারের গোলামী করা সত্ত্বেও আপনারা তাদের প্রতি যতটা সহনশীল, দেওবন্দী আলেমদের ইজতিহাদী ভুলগুলোর প্রতি ততটা সহনশীল হওয়ার অনুরোধ করছি।
আমি দেখছি, এই ফোরামে কওমী ভাইয়েরা উগ্রতা খুবই কম দেখাচ্ছে, কিন্তু সালাফী নামধারী ভাইয়েরা কয়েকদিন পর পরই নিজেদের উগ্রতা ধরে রাখতে পারছেন না, তাদেরকে অনেক বোঝানো সত্ত্বেও।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!
যদিও (নব্য দেওবন্দী চিন্তাধারা) মূল লেখাটি আবু খুবাইব ভাইয়ের, কিন্তু যেহেতু এখন পোষ্ট আপনি দিচ্ছেন, তাই দায়দায়িত্ব আপনার উপরই পড়বে। আর আপনি তার সাথে ‘পথভ্রষ্ট’ শব্দটি যোগ করে আপনার মানসিকতাও ফুটিয়ে তুলেছেন, তাই আমি প্রথমে আপনাকেই বলছি:
ভাই!
আশরাফ আলী থানবী, শাব্বির আহমাদ উসমানী, মুফতি শফি রহ:, হুসাইন আহমাদ মাদানী সহ এধরণের আলেমগণকে এভাবে বাতিলের অবস্থানে রেখে ধারাবাহিক খন্ডন লেখা উচিত নয়।
কারণ এদের তাকওয়া, পরহেজগারী ও ইসলামের কল্যাণকামীতার ব্যাপারে অসংখ্য ঘটনা অজস্র সূত্রে বর্ণিত আছে। যার দ্বারা বোঝা যায়, তারা ইসলামের জন্য ফেদা ছিলেন, সারা জীবন নি:স্বার্থভাবে ইসলামের জন্য কাজ করেছেন, নিজেদের ব্যক্তিজীবনের প্রতি তেমন নজর না দিয়ে সারাটি জীবন ইসলামের কাজের ব্যস্ততায় ছিলেন।
আমার এই কথাগুলো দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট সত্যকথা। তাদের ব্যাপারে লিখিত অসংখ্য কিতা্বের পাতাগুলোই এর প্রমাণ এবং তাদেরকে সরাসরি দেখা লোকদের বর্ণনাও প্রমাণ।
কিন্তু তাদের কর্মপদ্ধতিগত যে সব ভুল-ভ্রান্তি আছে, সেগুলো তারা একান্ত ভুলবশত: করেছেন। পরিবেশ-পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, কেউ তার দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে পারেনি।কিন্তু কেউ তাদের সদিচ্ছার উপর প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
আর তারা যে বিষয়গুলোতে ভুল করেছেন, ওই যামানায় বিষয়গুলো খুবই অস্পষ্ট ও মিশ্রিত ছিল। আর তাদের প্রত্যেকেরই ওই পদ্ধতির পক্ষে কিছু দলিল ছিল, যেগুলোর উপর তারা ভিত্তি করেছেন। আপনি সেই দলিলগুলো শুনলে তা একেবারে ফেলে দিতে পারবেন না।
কিন্তু আপনাদের পোষ্টের বিপরীতে আমরা সেই দলিলগুলো উল্লেখ করি না, যেহেতু এখন ওগুলোর পক্ষে দিফা করে কোন লাভ নেই, কারণ ওভার অল এখন তো সেগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এবং তা গ্রহণ করছি না।
কিন্তু যদি এই ভুলগুলোর কারণে তাদেরকে বাতিলের অবস্থানে রেখে পথভ্রষ্টদেরকে সমালোচনা করার মত সমালোচনা করতে থাকেন, তখন তো তাদের দলিলগুলো উল্লেখ করে, তাদের ওযর পেশ করা এবং বিষয়গুলোকে হালকা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে।
কিন্তু এই সময় যেহেতু সেগুলো আমি নিজেও গ্রহণ করছি না, তাই সেগুলো উল্লেখ করতে, সেগুলোর পিছনে পড়তে উৎসাহবোধ হয়ত হচ্ছে না।
আশা করি, বিষয়গুলো বুঝেছেন।
তাই তাদেরকে এমন অবস্থানে রেখে এভাবে সমালোচনা না করার জন্য পরিস্কারভাবে অনুরোধ করছি। অন্যায় “পথভ্রষ্ট নব্য সালাফি চিন্তাধারা শিরোনামে কেউ লেখা শুরু করে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি গোলাটে হয়ে যাবে।আর এ বিষয়ে কমল ধরলে নিশ্চয়ই কলমের খোরাকের অভাব হবে না। কারণ নব্য সালফিদের বর্তমান প্রজন্মের সিংহভাগই তো সরকারের দালালি, চাটুকারীতা, আমেরিকার সহযোগীতা ও ঈমান বিক্রিতে লিপ্ত। তাই বিন বাজ, উসাইমিন ও ইবরাহীম আলুশ শায়খদের সরকারের গোলামী করা সত্ত্বেও আপনারা তাদের প্রতি যতটা সহনশীল, দেওবন্দী আলেমদের ইজতিহাদী ভুলগুলোর প্রতি ততটা সহনশীল হওয়ার অনুরোধ করছি।
আমি দেখছি, এই ফোরামে কওমী ভাইয়েরা উগ্রতা খুবই কম দেখাচ্ছে, কিন্তু সালাফী নামধারী ভাইয়েরা কয়েকদিন পর পরই নিজেদের উগ্রতা ধরে রাখতে পারছেন না, তাদেরকে অনেক বোঝানো সত্ত্বেও।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!
Comment