আলহামদুলিল্লাহ্*। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূল (সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর।
১- বৈশ্বিক জিহাদের বর্তমান অবস্থার বিশ্লেষণঃ
সাক্ষাৎকার গ্রহীতাঃ is এর মিডিয়া কার্যক্রম ও এর মুখপাত্র আবু মুহাম্মাদ আল-আদনানি-এর is সাফল্য সম্পর্কিত প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেয়ার তৎপরতার কারণে ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট ভূমি দখল করে যাচ্ছিল। এ সময়ে, আল-কায়দার নেতা আইমান আল যাওয়াহিরি চুপ ছিলেন। এখন, ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে যে, is তার দখলকৃত ভূমি হারাচ্ছে, মিডিয়া ক্ষেত্রে আদনানির শূন্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপর দিকে, আইমান আল যাওয়াহিরি সম্প্রতি “ইসলামি বসন্ত”, “বিজয়ী উম্মতের প্রতি সংক্ষিপ্ত বার্তা” এর মত কিছু বক্তৃতা দানের মাধ্যমে অনেক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এধরণের অবস্থা কি বোঝায় বলে আপনি মনে করেন?
আহমেদ আল হামদানঃ এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, আদনানি যে সময়ে সক্রিয় ছিল তখন দলটি কিছু সফলতা অর্জন করেছিল, যেমন- ইরাক ও সিরিয়ার অনেক অঞ্চল দখল করা এবং ইরাক ও সিরিয়ার বাইরে শাখা বিস্তার করা। সাধারণত দেখা যায় যে, কোনো কোম্পানি বেশি মুনাফা করলে এ মুনাফা কোম্পানির বিজ্ঞাপন ও বিপণনের কাজে ব্যয় করা হয়। তাই, এ সময়ে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে is দিন অতিবাহিত করছিল তাতে আদনানির সক্রিয় ভূমিকা থাকাটাই স্বাভাবিক। যাই হোক, এ সময়ে আইমান আল যাওয়াহিরির খুবই কম দেখা পাওয়া যেত। এর পিছনে কতগুলো কারণ রয়েছে। যেমনঃ
আর, যখন আব্দুল্লাহ আল মুহাম্মাদ এর মত একজন সুপরিচিত জিহাদি বিশ্লেষক আলজেরিয়ান জিহাদের মত isis এর পদেও বাইরে থেকে কারো অনুপ্রবেশের সম্ভাবনার ব্যাপারে লেখালেখি করেন তখন, এ সেন্টার একটি আফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশের উদ্ভট পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা আব্দুল্লাহ আল মুহাম্মাদ-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে এবং তার ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ করে। একারণে, আল-কায়দার শাখাগুলো এই সেন্টারকে অমান্য করতে শুরু করে এবং তারা সামাজিক মিডিয়া সাইটগুলোতে সরাসরি তাদের নিজস্ব দুটি মিডিয়া প্রতিনিধিদের ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশনার মাধ্যম পরিবর্তন করে। উদাহরণস্বরূপ, “আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ” নামক অ্যাকাউন্টটি ছিল আল-কায়দার ইয়েমেন শাখার আর “আবু মুসাব আশ-শানকিতি” অ্যাকাউন্টটি ছিল আল-কায়দার খোরাসান শাখার। তাই, তারা তাদের সকল মিডিয়ার কাজ বা প্রকাশনা কোনো মধ্যস্ততা ব্যতিরেকেই সরাসরি প্রকাশ করা শুরুর করল।
আর, যে বিষয়টি অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় তা হল এসব তথ্য শুধু যারা এসব উৎসের কাছে আছে তারাই জানত না বরং জিহাদি ফোরামে ভিজিট করা যেকেউই এসব জানতে পারতো। কিন্তু বাস্তবতা বোঝানোর জন্য আমার এক বন্ধুর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সে বলেছিল যে , জিহাদি দলগুলো এবং তাদের মিডিয়ার সংক্রান্ত বিষয় হল অনেকটা বন্ধ বাক্সের মত যার ভিতরে কি আছে তা এর কাছের মানুষেরাও জানে না। যাই হোক, isis এর ফিতনার ফলে সকল গোপন বিষয়ই জনসম্মুখে এসে পড়েছে। আর আমি এটা বলি না যে, শুধু জিহাদি দলগুলোর সমর্থকরাই এসব জেনেছে বরং প্রায় সকলেই জেনেছে। এটা গোয়েন্দা বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর জন্য অনেক সুবিধাজনক হয়েছে। কারণ, তাদের শত্রুপক্ষের ঘরে কি আছে তা জানার জন্য আর আগের মত কষ্ট করতে হবে না। এভাবে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দুই প্রতিযোগীর মাঝে সমতা এসে যায় ও প্রত্যেকেই জনসম্মুখে গোপনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারে। এতে, এক পক্ষ অপরপক্ষকে কোনো ব্যাপারে অভিযুক্ত করতে পারে এবং তা প্রতিপক্ষকে নিজেদের প্রতিরক্ষা বা ডিফেন্স করতে বাধ্য করবে। আর ঐ প্রতিপক্ষও তার ডিফেন্সের জন্য অপর পক্ষের গোপন বিষয় গনসম্মুখে প্রকাশ করবে। আর, যেকোনো অবস্থায়ই মহান আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা।
বাকি অংশ ইংশাআল্লহ, শীঘ্রই আসছে। বানানে বা ভাষায় কোনো ভুল থাকলে অনুগ্রহ করে ধরিয়ে দিবেন।
১- বৈশ্বিক জিহাদের বর্তমান অবস্থার বিশ্লেষণঃ
সাক্ষাৎকার গ্রহীতাঃ is এর মিডিয়া কার্যক্রম ও এর মুখপাত্র আবু মুহাম্মাদ আল-আদনানি-এর is সাফল্য সম্পর্কিত প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেয়ার তৎপরতার কারণে ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট ভূমি দখল করে যাচ্ছিল। এ সময়ে, আল-কায়দার নেতা আইমান আল যাওয়াহিরি চুপ ছিলেন। এখন, ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে যে, is তার দখলকৃত ভূমি হারাচ্ছে, মিডিয়া ক্ষেত্রে আদনানির শূন্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপর দিকে, আইমান আল যাওয়াহিরি সম্প্রতি “ইসলামি বসন্ত”, “বিজয়ী উম্মতের প্রতি সংক্ষিপ্ত বার্তা” এর মত কিছু বক্তৃতা দানের মাধ্যমে অনেক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এধরণের অবস্থা কি বোঝায় বলে আপনি মনে করেন?
আহমেদ আল হামদানঃ এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, আদনানি যে সময়ে সক্রিয় ছিল তখন দলটি কিছু সফলতা অর্জন করেছিল, যেমন- ইরাক ও সিরিয়ার অনেক অঞ্চল দখল করা এবং ইরাক ও সিরিয়ার বাইরে শাখা বিস্তার করা। সাধারণত দেখা যায় যে, কোনো কোম্পানি বেশি মুনাফা করলে এ মুনাফা কোম্পানির বিজ্ঞাপন ও বিপণনের কাজে ব্যয় করা হয়। তাই, এ সময়ে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে is দিন অতিবাহিত করছিল তাতে আদনানির সক্রিয় ভূমিকা থাকাটাই স্বাভাবিক। যাই হোক, এ সময়ে আইমান আল যাওয়াহিরির খুবই কম দেখা পাওয়া যেত। এর পিছনে কতগুলো কারণ রয়েছে। যেমনঃ
- প্রথমত, আল ফাযর সেন্টার(মুজাহিদিনের মিডিয়া ফোরাম) আল-কায়দার সকল শাখার প্রকাশনা প্রকাশ করত যার মধ্যে দলটির সে সমস্ত উচ্চ পদস্ত লোকও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন যারা ইসলামিক স্টেটের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। আর, এসব লোক আল-কায়দার কোনো শাখা থেকে প্রকাশ হওয়া যেকোনো মৌখিক আক্রমণের ব্যাপারে দেরি করত। তারা এবিষয়ের যেকোনো উত্তর দিতে বিলম্ব করত, এমনকি তা isis এর নেতাদের কাছেও পৌঁছে দিত। পরবর্তীতে, isis পূর্বপ্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থা নিতো যাতে তারা আল ফাযর সেন্টারে প্রেরিত আল-কায়দার যেকোনো প্রকাশনা মোকাবেলা করতে পারে। আস-সাহাব ফাউন্ডেশন কর্তৃক নেয়া শাইখ আইমান আল যাওয়াহিরির সপ্তম সাক্ষাৎকার এ বিষয়ের একটি উদাহরণ যা “ব্যথা ও আশার মাঝে বাস্তবতা” নামে প্রকাশিত হয়। এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার আগেই isis “এটা আমাদের পদ্ধতি না এবং কখনো এমন হবেও না” শিরোনামে আদনানির বক্তব্য প্রকাশ করে। অধিকন্তু, আস-সাহাব ফাউন্ডেশনের নেয়া ঐ সপ্তম সাক্ষাৎকারটি প্রায় ১২ দিন দেরীতে প্রকাশিত হয়েছিল যদিও আদনানির বক্তব্যের আগেই আস-সাহাবের নেয়া সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু, আদনানির বক্তব্য সেটিরে আগেই প্রকাশিত হল। তাই, এভাবে জিহাদি আন্দোলনের অনেক মানুষের মাঝে isis এর প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টিতে আল ফাযর সেন্টার অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর এতে আল ফাযর isis এর জন্য রক্ষাকবজ হিসেবে পরিণত হয়েছিল।
আর, যখন আব্দুল্লাহ আল মুহাম্মাদ এর মত একজন সুপরিচিত জিহাদি বিশ্লেষক আলজেরিয়ান জিহাদের মত isis এর পদেও বাইরে থেকে কারো অনুপ্রবেশের সম্ভাবনার ব্যাপারে লেখালেখি করেন তখন, এ সেন্টার একটি আফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশের উদ্ভট পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা আব্দুল্লাহ আল মুহাম্মাদ-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে এবং তার ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ করে। একারণে, আল-কায়দার শাখাগুলো এই সেন্টারকে অমান্য করতে শুরু করে এবং তারা সামাজিক মিডিয়া সাইটগুলোতে সরাসরি তাদের নিজস্ব দুটি মিডিয়া প্রতিনিধিদের ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশনার মাধ্যম পরিবর্তন করে। উদাহরণস্বরূপ, “আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ” নামক অ্যাকাউন্টটি ছিল আল-কায়দার ইয়েমেন শাখার আর “আবু মুসাব আশ-শানকিতি” অ্যাকাউন্টটি ছিল আল-কায়দার খোরাসান শাখার। তাই, তারা তাদের সকল মিডিয়ার কাজ বা প্রকাশনা কোনো মধ্যস্ততা ব্যতিরেকেই সরাসরি প্রকাশ করা শুরুর করল।
আর, যে বিষয়টি অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় তা হল এসব তথ্য শুধু যারা এসব উৎসের কাছে আছে তারাই জানত না বরং জিহাদি ফোরামে ভিজিট করা যেকেউই এসব জানতে পারতো। কিন্তু বাস্তবতা বোঝানোর জন্য আমার এক বন্ধুর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সে বলেছিল যে , জিহাদি দলগুলো এবং তাদের মিডিয়ার সংক্রান্ত বিষয় হল অনেকটা বন্ধ বাক্সের মত যার ভিতরে কি আছে তা এর কাছের মানুষেরাও জানে না। যাই হোক, isis এর ফিতনার ফলে সকল গোপন বিষয়ই জনসম্মুখে এসে পড়েছে। আর আমি এটা বলি না যে, শুধু জিহাদি দলগুলোর সমর্থকরাই এসব জেনেছে বরং প্রায় সকলেই জেনেছে। এটা গোয়েন্দা বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর জন্য অনেক সুবিধাজনক হয়েছে। কারণ, তাদের শত্রুপক্ষের ঘরে কি আছে তা জানার জন্য আর আগের মত কষ্ট করতে হবে না। এভাবে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দুই প্রতিযোগীর মাঝে সমতা এসে যায় ও প্রত্যেকেই জনসম্মুখে গোপনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারে। এতে, এক পক্ষ অপরপক্ষকে কোনো ব্যাপারে অভিযুক্ত করতে পারে এবং তা প্রতিপক্ষকে নিজেদের প্রতিরক্ষা বা ডিফেন্স করতে বাধ্য করবে। আর ঐ প্রতিপক্ষও তার ডিফেন্সের জন্য অপর পক্ষের গোপন বিষয় গনসম্মুখে প্রকাশ করবে। আর, যেকোনো অবস্থায়ই মহান আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা।
বাকি অংশ ইংশাআল্লহ, শীঘ্রই আসছে। বানানে বা ভাষায় কোনো ভুল থাকলে অনুগ্রহ করে ধরিয়ে দিবেন।
Comment