আগের অংশের লিংক- https://82.221.139.217/showthread.ph...-Movement-quot
# দ্বিতীয়ত, আরেকটি ব্যাপার হল যে আল-কায়দার আভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক পদগুলো পুনরায় ঠিক করা প্রয়োজন ছিল যা একটি ঝড়ের কারনে ভেঙ্গে গিয়েছিল। পূর্বে আল-কায়দায় এমন কিছু লোক ছিল যারা ISIS এর প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। কিন্তু, এখন বিষয়টির তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে ও এসব লোক ইসলামিক স্টেটের আনুগত্য মেনে নিতে শুরু করেছে। আর, তারা এভাবে চালিয়ে যেতে থাকলো আল-কায়দার পদে থাকা অবস্থাতেই। তাই, এমন একটি সময়ে জনসম্মুখে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া ও বিবৃতি প্রকাশ করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ না যখন আপনার আভ্যন্তরীণ পদেই গোলমাল দেখা দিয়েছে ও তা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে, আভ্যন্তরীণ পদের সমস্যা ঠিক করা ও এই আক্রমণ প্রতিহত করাই প্রথমে প্রাধান্য পেয়েছে। মূলত, আল-কায়দার অন্যান্য শাখার নেতাদের উপর হামলা করা, তাদের অপবাদ দেয়া এবং সন্দেহজনক আনুগত্য ছড়ানো যা অনেক ক্ষেত্রে তাকফিরের পর্যায়েও চলে গিয়েছিল, ISIS এর এমন সব খামখেয়ালীপূর্ণ কাজের কারনে ISIS দ্বারা পূর্বে প্রতারিত কিছু ব্যক্তিবর্গের হুশ ফাইল এলো এবং তারা বলতে লাগল, “হ্যাঁ, এটা সত্য যে আল-কায়দার কিছু কিছু ব্যাপারে আমরা একমত পোষণ করি না। কিন্তু, তা কখনোই তাকফিরের পর্যায়ে যাওয়ার মত কিছু না”।
এরপরেও আমি ভাবতাম ও এখনো ভাবি যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আল-কায়দার মিডিয়ার ভূমিকা নেতিবাচক ছিল। কারন, তারা এমন আশা করা চালিয়ে গেল যে, ISIS হয়তো আবার সঠিক পথে ফিরে আসবে। পাশাপাশি, আল-কায়দার মিডিয়া যে ভুলের মধ্যে একটি ছিল যে, ISIS তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করত তা অফিসিয়াল পন্থায় মোকাবেলা না করা। উদাহরণস্বরূপ, ISIS এর আনুগত্য স্বীকারের কারনে পদচ্যুত করার আগে আবু উবায়দা আল-লুবানি ছিলেন আল-কায়দার সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন আল-কায়দার খোরাসান শাখার একজন সদস্য ছিলেন। তিনি “আন-নাবা” নামক ISIS এর একটি প্রকাশনায় তার প্রামান্য দলিল প্রকাশ করেন। পরে, “আবু কারিমাহ” নামক তার সাবেক একজন বন্ধু ঐ দলিল অস্বীকার করার উপর একটি আর্টিকেল লেখেন, কিন্তু, এটা তিনি তার ব্যক্তিগত সামর্থের মধ্যে থেকেই “Justpaste” নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। তিনি আল-লুবানির দলিলের অনেক ভুল ও পরস্পর বিরোধী বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন।
যাই হোক, আমি প্রশ্ন করি যে, কোনটির প্রভাব বেশি হত- যখন আল-কায়দা তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে অফিসিয়ালি এ আর্টিকেলটি প্রকাশ করত নাকি যখন লেখক নিজের সামর্থের মধ্যে থেকে তা প্রকাশ করত? এভাবে, তুমি মানুষের মাঝে এ প্রশ্ন জাগিয়ে তুলবে যে, এর প্রমাণ কি যে আবু কারেমাহ আসলেই খোরাসানের একজন মুজাহিদ? এবং এরই বা প্রমাণ কি যে, তিনিই এই আর্টিকেলের আসল লেখক? এটা নিঃসন্দেহে মলা যায় যে, মানুষ আফিসিয়ালি প্রকাশ হওয়া কোনো বিষয়ের উপরই বেশি আস্থা রাখতে পারে। অপর পক্ষে, “দাবিক” এর প্রতিটি ইস্যতেই ISIS আল-কায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তোলে, এমনকি তারা আল-কায়দাকে এজেন্ট ও কাফের বলেও অভিযুক্ত করে। কিন্তু, আল-কায়দার দুটি অফিসিয়াল ম্যাগাজিন- “রিসারজেন্স” ও “ইন্সপায়ার” এ এ সম্পর্কিত অভিযোগের উত্তর দেয়া সম্পুর্ণই এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং এতে কিছু নেতা ও সৈনিকদের এমন লেখা থাকে যারা আনঅফিসিয়ালি তা প্রকাশ করেন।
আমি যদি জিহাদের কোনো সাধারণ অনুসারী হতাম তবে, আমি আল-কায়দার এমন অফিসিয়াল উত্তরের অভাবকে এর দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করতাম এবং এটা আমার মাথায় কখনোই আসত না যে, এ ধরণের আচরণ হল পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে না দেয়ার প্রচেষ্টা যাতে করে ISIS এর সঠিক পথে আসার রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে না যায়। বরং, আমি বলতাম, “এ ব্যাপারে যে কথার ছড়াছড়ি হচ্ছে তা যদি সঠিক না হয় তবে তারা তো অবশ্যই অতি সত্বর এর প্রত্যুত্তর দিত”। কিন্তু, এটা ছিল একটি ভুল নীতি যা জিহাদের অনেক সমর্থকদেরকে ISIS এর অনুসারীতে পরিণত করেছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে ড. আইমানের ঘন ঘন আগমনের ব্যাপারে আমি আমার সাথিদের সাথে বসেছিলাম এবং তাদের বলেছিলাম যে, “চলুন, গোয়েন্দা বিভাগের লোকেরা যেভাবে চিন্তা করে সেভাবে চিন্তা করা যাক। এটা কি হতে পারে যে, ড. আইমানের এই বক্তব্যগুলো সাম্প্রতিক সময়ের? এগুলো কি রেকর্ড করার সামান্য কিছু দিন পরেই প্রকাশ করা হয়েছে? নাকি এগুলো প্রকাশ করার কয়েক সপ্তাহ বা মাস আগে রেকর্ড করা হয়েছে এবং পরে অল্প অল্প করে প্রকাশ করা হয়েছে?” স্পষ্টত, দ্বিতীয় অপশনটিই সঠিক। আর, গোয়েন্দাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা প্রথম ব্যক্তির জন্য নিরাপত্তা বিবেচনায় তার বক্তব্যগুলো অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রকাশ করা কখনোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কারন, এটা গোয়েন্দা সংস্থাকে ঐ ব্যক্তির লিংক পেতে ও তাকে খুঁজে বের করতে সহায়ক হবে। আল-কায়দার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা, আব্দুল্লাহ আদম বলেছেন, “এমন দুজন মানুষ পরস্পরের সাথে একই স্থানে মিলবেই যদি তারা উভয়েই চলাচল করতে থাকে”। কিন্তু, এ চলাচলই যদি কমিয়ে দেয়া হয় তবে নিরাপত্তার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
তোরে হাম্মিং কর্তৃক আহমেদ আল মাহদানের উত্তরের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণঃ
আল-কায়দার নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে প্রথম দিকে ইসলামিক স্টেট যুদ্ধক্ষেত্রে ও মিডিয়ায় বিজয় অর্জন করেছিল। ফিতনা জন্ম নেয়ার কারনে আল-কায়দার নেতা আইমান আল-যাওয়াহিরি তেমন একটা প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া দেখাননি। যাই হোক, এ সম্পর্কে জিহাদি মিডিয়া ফাউন্ডেশনের অবস্থান ও প্রভাব বিবেচনায় আনা গুরুত্বপূর্ণ। আহমেদ আল হামদানের কথা অনুযায়ী, আইমান আল যাওয়াহিরির ইসলামিক স্টেটের আক্রমণের জবাব দেয়ার প্রচেষ্টাকে বিলম্বিত করার পিছনে আল-ফাযর সেন্টার যে ভূমিকা পালন করেছে তা যদি সত্য হয় তাহলে এ বিষয়টি মিডিয়া ফাউন্ডেশনগুলোর একধরণের জটিল ও সংকটপূর্ণ হস্তক্ষেপের প্রতি ইঙ্গিত করে। মজার বিষয় হল, আল ফাযর সেন্টারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আছে যে, তারা আবু বকর আল-বাগদাদির “ইরাক এবং লিভান্টে অবস্থান” শীর্ষক একটি বক্তব্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করে। যাওয়াহিরির আদেশ ছিল যে, “ইসলামিক স্টেটের অফ ইরাক অ্যান্ড শাম” এর উচিত শুধুমাত্র ইরাকেই অবস্থান করা। আর আবু বকর আল-বাগদাদির “ইরাক এবং লিভান্টে অবস্থান” শীর্ষক ঐ বক্তব্যটি ছিল মূলত যাওয়াহিরির এ আদেশেরই একটি জবাব। এখন, যদি উভয় কথাই সত্য হয় তাহলে বোঝা যায় যে, আল-ফাযরের ভূমিকা ছিল অস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থবোধক এবং এ সেন্টার পক্ষ নির্বাচনের এক আভ্যন্তরীণ লড়াই লড়ে গিয়েছিল।
আল হামদানের বক্তব্যে আরো একটি বিষয়ের উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায় যা যাওয়াহিরির প্রাথমিক নিষ্ক্রিয়তার কারন সম্পর্কে ধারণা দেয়। ISIS এর প্রতি বর্ধিষ্ণু সহানুভূতির কারনে জনসম্মুখে কোনো কিছু প্রকাশ করার চেয়ে নিজেদের আভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা আনা যাওয়াহিরির জন্য বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদি তিনি ইসলামিক স্টেটের সমালোচনায় বেশি সক্রিয় হতেন তবে আল-কায়দার অনেক সদস্যদের দল ত্যাগের ঝুঁকি থাকতো। যদিও আইমান আল যাওয়াহিরির নিষ্ক্রিয়তাকে অনেকে তাদের দলীয় দুর্বলতা হিসেবে দেখেছিলেন কিন্তু তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে এমন বিপদের জন্ম দিতেই পারতো।
হয়তো আল-কায়দা এ পরিস্থিতির ভয়াবহতা তেমন দ্রুত বুঝে উঠতে পারেনি। অপরপক্ষে, ISIS যোগাযোগ ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর সকল রাস্তাই যতটা সম্ভব কাজে লাগিয়েছিল। আর, অফিসিয়াল মিডিয়া সেন্টারগুলোর ব্যবহার করে অনুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিবর্তে আল-কায়দা দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছিল ও তাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুব রক্ষণশীল ভূমিকা রেখেছিল। এই পয়েন্টে আহমেদ আল হামদান সঠিক ছিলেন।
# দ্বিতীয়ত, আরেকটি ব্যাপার হল যে আল-কায়দার আভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক পদগুলো পুনরায় ঠিক করা প্রয়োজন ছিল যা একটি ঝড়ের কারনে ভেঙ্গে গিয়েছিল। পূর্বে আল-কায়দায় এমন কিছু লোক ছিল যারা ISIS এর প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। কিন্তু, এখন বিষয়টির তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে ও এসব লোক ইসলামিক স্টেটের আনুগত্য মেনে নিতে শুরু করেছে। আর, তারা এভাবে চালিয়ে যেতে থাকলো আল-কায়দার পদে থাকা অবস্থাতেই। তাই, এমন একটি সময়ে জনসম্মুখে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া ও বিবৃতি প্রকাশ করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ না যখন আপনার আভ্যন্তরীণ পদেই গোলমাল দেখা দিয়েছে ও তা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে, আভ্যন্তরীণ পদের সমস্যা ঠিক করা ও এই আক্রমণ প্রতিহত করাই প্রথমে প্রাধান্য পেয়েছে। মূলত, আল-কায়দার অন্যান্য শাখার নেতাদের উপর হামলা করা, তাদের অপবাদ দেয়া এবং সন্দেহজনক আনুগত্য ছড়ানো যা অনেক ক্ষেত্রে তাকফিরের পর্যায়েও চলে গিয়েছিল, ISIS এর এমন সব খামখেয়ালীপূর্ণ কাজের কারনে ISIS দ্বারা পূর্বে প্রতারিত কিছু ব্যক্তিবর্গের হুশ ফাইল এলো এবং তারা বলতে লাগল, “হ্যাঁ, এটা সত্য যে আল-কায়দার কিছু কিছু ব্যাপারে আমরা একমত পোষণ করি না। কিন্তু, তা কখনোই তাকফিরের পর্যায়ে যাওয়ার মত কিছু না”।
এরপরেও আমি ভাবতাম ও এখনো ভাবি যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আল-কায়দার মিডিয়ার ভূমিকা নেতিবাচক ছিল। কারন, তারা এমন আশা করা চালিয়ে গেল যে, ISIS হয়তো আবার সঠিক পথে ফিরে আসবে। পাশাপাশি, আল-কায়দার মিডিয়া যে ভুলের মধ্যে একটি ছিল যে, ISIS তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করত তা অফিসিয়াল পন্থায় মোকাবেলা না করা। উদাহরণস্বরূপ, ISIS এর আনুগত্য স্বীকারের কারনে পদচ্যুত করার আগে আবু উবায়দা আল-লুবানি ছিলেন আল-কায়দার সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন আল-কায়দার খোরাসান শাখার একজন সদস্য ছিলেন। তিনি “আন-নাবা” নামক ISIS এর একটি প্রকাশনায় তার প্রামান্য দলিল প্রকাশ করেন। পরে, “আবু কারিমাহ” নামক তার সাবেক একজন বন্ধু ঐ দলিল অস্বীকার করার উপর একটি আর্টিকেল লেখেন, কিন্তু, এটা তিনি তার ব্যক্তিগত সামর্থের মধ্যে থেকেই “Justpaste” নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। তিনি আল-লুবানির দলিলের অনেক ভুল ও পরস্পর বিরোধী বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন।
যাই হোক, আমি প্রশ্ন করি যে, কোনটির প্রভাব বেশি হত- যখন আল-কায়দা তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে অফিসিয়ালি এ আর্টিকেলটি প্রকাশ করত নাকি যখন লেখক নিজের সামর্থের মধ্যে থেকে তা প্রকাশ করত? এভাবে, তুমি মানুষের মাঝে এ প্রশ্ন জাগিয়ে তুলবে যে, এর প্রমাণ কি যে আবু কারেমাহ আসলেই খোরাসানের একজন মুজাহিদ? এবং এরই বা প্রমাণ কি যে, তিনিই এই আর্টিকেলের আসল লেখক? এটা নিঃসন্দেহে মলা যায় যে, মানুষ আফিসিয়ালি প্রকাশ হওয়া কোনো বিষয়ের উপরই বেশি আস্থা রাখতে পারে। অপর পক্ষে, “দাবিক” এর প্রতিটি ইস্যতেই ISIS আল-কায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তোলে, এমনকি তারা আল-কায়দাকে এজেন্ট ও কাফের বলেও অভিযুক্ত করে। কিন্তু, আল-কায়দার দুটি অফিসিয়াল ম্যাগাজিন- “রিসারজেন্স” ও “ইন্সপায়ার” এ এ সম্পর্কিত অভিযোগের উত্তর দেয়া সম্পুর্ণই এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং এতে কিছু নেতা ও সৈনিকদের এমন লেখা থাকে যারা আনঅফিসিয়ালি তা প্রকাশ করেন।
আমি যদি জিহাদের কোনো সাধারণ অনুসারী হতাম তবে, আমি আল-কায়দার এমন অফিসিয়াল উত্তরের অভাবকে এর দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করতাম এবং এটা আমার মাথায় কখনোই আসত না যে, এ ধরণের আচরণ হল পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে না দেয়ার প্রচেষ্টা যাতে করে ISIS এর সঠিক পথে আসার রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে না যায়। বরং, আমি বলতাম, “এ ব্যাপারে যে কথার ছড়াছড়ি হচ্ছে তা যদি সঠিক না হয় তবে তারা তো অবশ্যই অতি সত্বর এর প্রত্যুত্তর দিত”। কিন্তু, এটা ছিল একটি ভুল নীতি যা জিহাদের অনেক সমর্থকদেরকে ISIS এর অনুসারীতে পরিণত করেছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে ড. আইমানের ঘন ঘন আগমনের ব্যাপারে আমি আমার সাথিদের সাথে বসেছিলাম এবং তাদের বলেছিলাম যে, “চলুন, গোয়েন্দা বিভাগের লোকেরা যেভাবে চিন্তা করে সেভাবে চিন্তা করা যাক। এটা কি হতে পারে যে, ড. আইমানের এই বক্তব্যগুলো সাম্প্রতিক সময়ের? এগুলো কি রেকর্ড করার সামান্য কিছু দিন পরেই প্রকাশ করা হয়েছে? নাকি এগুলো প্রকাশ করার কয়েক সপ্তাহ বা মাস আগে রেকর্ড করা হয়েছে এবং পরে অল্প অল্প করে প্রকাশ করা হয়েছে?” স্পষ্টত, দ্বিতীয় অপশনটিই সঠিক। আর, গোয়েন্দাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা প্রথম ব্যক্তির জন্য নিরাপত্তা বিবেচনায় তার বক্তব্যগুলো অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রকাশ করা কখনোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কারন, এটা গোয়েন্দা সংস্থাকে ঐ ব্যক্তির লিংক পেতে ও তাকে খুঁজে বের করতে সহায়ক হবে। আল-কায়দার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা, আব্দুল্লাহ আদম বলেছেন, “এমন দুজন মানুষ পরস্পরের সাথে একই স্থানে মিলবেই যদি তারা উভয়েই চলাচল করতে থাকে”। কিন্তু, এ চলাচলই যদি কমিয়ে দেয়া হয় তবে নিরাপত্তার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
তোরে হাম্মিং কর্তৃক আহমেদ আল মাহদানের উত্তরের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণঃ
আল-কায়দার নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে প্রথম দিকে ইসলামিক স্টেট যুদ্ধক্ষেত্রে ও মিডিয়ায় বিজয় অর্জন করেছিল। ফিতনা জন্ম নেয়ার কারনে আল-কায়দার নেতা আইমান আল-যাওয়াহিরি তেমন একটা প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া দেখাননি। যাই হোক, এ সম্পর্কে জিহাদি মিডিয়া ফাউন্ডেশনের অবস্থান ও প্রভাব বিবেচনায় আনা গুরুত্বপূর্ণ। আহমেদ আল হামদানের কথা অনুযায়ী, আইমান আল যাওয়াহিরির ইসলামিক স্টেটের আক্রমণের জবাব দেয়ার প্রচেষ্টাকে বিলম্বিত করার পিছনে আল-ফাযর সেন্টার যে ভূমিকা পালন করেছে তা যদি সত্য হয় তাহলে এ বিষয়টি মিডিয়া ফাউন্ডেশনগুলোর একধরণের জটিল ও সংকটপূর্ণ হস্তক্ষেপের প্রতি ইঙ্গিত করে। মজার বিষয় হল, আল ফাযর সেন্টারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আছে যে, তারা আবু বকর আল-বাগদাদির “ইরাক এবং লিভান্টে অবস্থান” শীর্ষক একটি বক্তব্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করে। যাওয়াহিরির আদেশ ছিল যে, “ইসলামিক স্টেটের অফ ইরাক অ্যান্ড শাম” এর উচিত শুধুমাত্র ইরাকেই অবস্থান করা। আর আবু বকর আল-বাগদাদির “ইরাক এবং লিভান্টে অবস্থান” শীর্ষক ঐ বক্তব্যটি ছিল মূলত যাওয়াহিরির এ আদেশেরই একটি জবাব। এখন, যদি উভয় কথাই সত্য হয় তাহলে বোঝা যায় যে, আল-ফাযরের ভূমিকা ছিল অস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থবোধক এবং এ সেন্টার পক্ষ নির্বাচনের এক আভ্যন্তরীণ লড়াই লড়ে গিয়েছিল।
আল হামদানের বক্তব্যে আরো একটি বিষয়ের উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায় যা যাওয়াহিরির প্রাথমিক নিষ্ক্রিয়তার কারন সম্পর্কে ধারণা দেয়। ISIS এর প্রতি বর্ধিষ্ণু সহানুভূতির কারনে জনসম্মুখে কোনো কিছু প্রকাশ করার চেয়ে নিজেদের আভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা আনা যাওয়াহিরির জন্য বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদি তিনি ইসলামিক স্টেটের সমালোচনায় বেশি সক্রিয় হতেন তবে আল-কায়দার অনেক সদস্যদের দল ত্যাগের ঝুঁকি থাকতো। যদিও আইমান আল যাওয়াহিরির নিষ্ক্রিয়তাকে অনেকে তাদের দলীয় দুর্বলতা হিসেবে দেখেছিলেন কিন্তু তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে এমন বিপদের জন্ম দিতেই পারতো।
হয়তো আল-কায়দা এ পরিস্থিতির ভয়াবহতা তেমন দ্রুত বুঝে উঠতে পারেনি। অপরপক্ষে, ISIS যোগাযোগ ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর সকল রাস্তাই যতটা সম্ভব কাজে লাগিয়েছিল। আর, অফিসিয়াল মিডিয়া সেন্টারগুলোর ব্যবহার করে অনুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিবর্তে আল-কায়দা দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছিল ও তাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুব রক্ষণশীল ভূমিকা রেখেছিল। এই পয়েন্টে আহমেদ আল হামদান সঠিক ছিলেন।
Comment