আমরা আল-কায়েদার মানহাজের কেউ যখন দেওবন্দীদের কারো বিভ্রান্তি নিয়ে কথা বলি, তখন কিছু ভাই আমাদের পোস্টের কমেন্টে দেওবন্দী চিন্তাধারার উপর হামলে পড়েন। তারা মনে করেন,এইতো আসল সহীহ আকীদার হক্বপন্থী জিহাদী পেয়েছি !
কেউ কেউতো “অমুক ভাই এগিয়ে চলুন,আমরা আছি আপনার সাথে” টাইপের স্লোগান দিতেও কসুর করেন না।
আর দেওবন্দীদের মধ্যে যারা উক্ত বিভ্রান্তির পক্ষে তারা আমাদের ব্যাপারে তাদের অনুসারীদেরকে এভাবে কনভিন্স করে, “আরে এরাতো ঐ আহলে হাদীসের অনুসারী ! সুতরাং এরাতো হক্বপন্থীদের বিরোধিতা করবেই !”
আবার বিপরীতে আমরা যখন আহলে হাদীস/সালাফীদের কারো বিভ্রান্তি নিয়ে কথা বলি, তখন কিছু ভাই আমাদের পোস্টের কমেন্টে আহলে হাদীস/সালাফী চিন্তাধারার উপর হামলে পড়েন। তারা মনে করেন,এইতো আসল হক্বপন্থী আহলে হক্ব জিহাদী পেয়েছি !
এক্ষেত্রেও কেউ কেউ “অমুক ভাই এগিয়ে চলুন,আমরা আছি আপনার সাথে” টাইপের স্লোগান দিতে কৃপনতা করেন না।
আর আহলে হাদীস/সালাফীদের মধ্যে যারা উক্ত বিভ্রান্তির পক্ষে তারা আমাদের ব্যাপারে তাদের অনুসারীদেরকে এভাবে কনভিন্স করে, “আরে এরাতো ঐ দেওবন্দী আকীদার ! সুতরাং এরাতো হক্বপন্থীদের বিরোধিতা করবেই !”
অতীব দুঃখের সাথে বলতে হয়, উপরোক্ত মন্তব্য প্রদানকারীরা আল-কায়েদার মানহাজ সম্পর্কে একেবারেই অবগত নয়।
আজকের আল-কায়েদা শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয় বরং এটি একটি মানহাজ, একটি চিন্তাধারা। তবে এটি কোনো নতুন চিন্তাধারা নয়। আল-কায়েদা নতুন কোনো মাযহাব কিংবা মাসলাকের প্রবর্তনও করেনি। বরং দুনিয়ার সকল মুসলিমকে কুফরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং ঈমানের ভিত্তিতে দুনিয়াকে সাজানোর এক অতুলনীয় লক্ষ্যই আল-কায়েদার মানহাজ।
দুনিয়াব্যাপী আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আল-কায়েদা উম্মাহর মাঝে সুদীর্ঘকাল ধরে চলে আসা বিভিন্ন ইখতিলাফকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে চায়। পুরো আলোচনা কুফর-শিরক ও ইসলামের শত্রুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়।
আল-কায়েদা এমন অবাস্তব চিন্তাধারা রাখে না যে, দীর্ঘকাল করে চলে আসা এই ইখতিলাফ ও বিতর্ক রাতারাতি মীমাংসা হয়ে যাবে। অথবা আল-কায়েদা এই সব ইখতিলাফ ও বিতর্ককে মিটিয়ে দিবে, এমন অবাস্তব ধারণাও পোষণ করে না।
আল-কায়েদা মনে করে, উম্মাহর মাঝে ইখতিলাফী বৈচিত্র থাকার পরেও যেভাবে সুদীর্ঘকাল ইসলাম বিজয়ীর আসনে অধিষ্ঠিত ছিলো, ঠিক তেমনিভাবে এখনো সেই ইখতিলাফকে স্বস্থানে রেখেই ইসলামকে বিজয়ীর আসনে আসীন করা সম্ভব ও জরুরিও বটে।
উম্মাহকে বিজয়ী করার এই সুমহান লক্ষ্যে আল-কায়েদা উম্মাহর মাঝে থাকা বিভিন্ন মাযহাব-মাসলাকের অনুসরণকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ছেড়ে দিয়েছে।
আল-কায়েদার মানহাজ তথা উম্মাহকে বিজয়ী করার এই চিন্তাধারার সাথে একমত বিভিন্ন মাযহাব-মাসলাকের আলিমগণ তাদের মাঝে নিজ নিজ মাযহাব-মাসলাকের সপক্ষে সকল আলোচনা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন, এমনটিও নয়; বরং তারা তাদের মাযহাব-মাসলাকের মত স্বাধীনভাবেই উপস্থাপন করে থাকেন। তবে তারা মাযহাব-মাসলাক কেন্দ্রিক নয় বরং কুফর-শিরক-ত্বগুতের বিরুদ্ধে তাওহীদ-জিহাদ কেন্দ্রিক।
ফলে জিহাদের সাথে যুক্ত বিভিন্ন মাযহাব-মাসলাকের আলিমরা নিজেদের মতের সপক্ষে বক্তব্য রাখলেও তারা কখনোই এসবের উপর ভিত্তি করে আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা করেন না। কিংবা ভুলেও এসব ইখতিলাফী বিষয়কে আসল দ্বীন বানিয়ে ভিন্ন মতের অনুসারীদের শত্রু বানান না বা তাদের সাথে আল-বারা করেন না।
এখানেই আল-কায়েদার মানহাজের সাথে সেইসব ব্যক্তিদের আসমান-যমীন তফাৎ, যারা উম্মাহর মাঝে থাকা বিভিন্ন মাযহাব-মাসলাকের প্রচার-প্রসারে ব্যস্ত থাকেন। তারা তাদের নিজস্ব মাযহাব-মাসলাক প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ভিন্নমতের অধিকারীদেরকে শত্রু বানিয়ে তার ভিত্তিতে আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা তথা বন্ধুত্ব ও শত্রুতার মাপকাঠি নির্ধারণ করেন।
এই বিকৃতি শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তারা ইসলামের চিরশত্রুদের ব্যাপারে অহিংস মতবাদ প্রচার করেন কিন্তু ভিন্নমতের অধিকারী মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের অনুসারীদেরকে সহিংস বা শত্রুভাবাপন্ন হওয়ার আহবান জানায়। তারা ইসলাম ও মুসলিমদের চিরশত্রু ইহুদী-খ্রিস্টান ক্রুসেডার চক্রের বিরুদ্ধে জেগে উঠার কিংবা রুখে দাঁড়ানোর জন্য তাদের অনুসারীদের উৎসাহিত করার প্রয়োজনবোধ করেন না কিন্তু নিজ মাসলাক ও মতের বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিজ মতের অনুসারীদের উসকে দিতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না। এমনটি এটিকে তারা জিহাদের অনুরুপ মনে করে।
এরই অনিবার্য ফলশ্রুতিতে তারা নিজেদের অজান্তেই আমেরিকার র*্যান্ড কর্পোরেশনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। র*্যান্ড কর্পোরেশনের গবেষণা পত্রে উল্লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী তারা আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমে নিয়োজিত মুজাহিদদের বিরুদ্ধে কুফফারদের অনুরুপ প্রচারণায় এক জায়গায় এসে মিলিত হয়েছেন। জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরোধিতার ক্ষেত্রে তারা নিজেদের মধ্যস্থিত মতবিরোধ ভুলে র*্যান্ড ইনস্টিটিউটের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিসার্চ বিভাগ র*্যান্ড কর্পোরেশনের গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা আমেরিকার গণতন্ত্রের বিরোধিতা করে এবং দুনিয়াব্যাপী শরী’আহ কায়েমের প্রচেষ্টা চালায় সেসব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে কাজে লাগাতে হবে। এর পাশাপাশি কোনোভাবেই সেইসব ধর্মীয়গোষ্ঠীগুলো যাতে জিহাদীদের সাথে কোনো ধরণের সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারে,সেই পরামর্শও দিয়েছে ।
............................(অসমাপ্ত)
লেখার তারিখঃ ১৪ জুন ২০১৭ Muhammad Bin Qasim
পড়ুন- https://82.221.139.217/showthread.ph...A6%95%E0%A6%BE
কেউ কেউতো “অমুক ভাই এগিয়ে চলুন,আমরা আছি আপনার সাথে” টাইপের স্লোগান দিতেও কসুর করেন না।
আর দেওবন্দীদের মধ্যে যারা উক্ত বিভ্রান্তির পক্ষে তারা আমাদের ব্যাপারে তাদের অনুসারীদেরকে এভাবে কনভিন্স করে, “আরে এরাতো ঐ আহলে হাদীসের অনুসারী ! সুতরাং এরাতো হক্বপন্থীদের বিরোধিতা করবেই !”
আবার বিপরীতে আমরা যখন আহলে হাদীস/সালাফীদের কারো বিভ্রান্তি নিয়ে কথা বলি, তখন কিছু ভাই আমাদের পোস্টের কমেন্টে আহলে হাদীস/সালাফী চিন্তাধারার উপর হামলে পড়েন। তারা মনে করেন,এইতো আসল হক্বপন্থী আহলে হক্ব জিহাদী পেয়েছি !
এক্ষেত্রেও কেউ কেউ “অমুক ভাই এগিয়ে চলুন,আমরা আছি আপনার সাথে” টাইপের স্লোগান দিতে কৃপনতা করেন না।
আর আহলে হাদীস/সালাফীদের মধ্যে যারা উক্ত বিভ্রান্তির পক্ষে তারা আমাদের ব্যাপারে তাদের অনুসারীদেরকে এভাবে কনভিন্স করে, “আরে এরাতো ঐ দেওবন্দী আকীদার ! সুতরাং এরাতো হক্বপন্থীদের বিরোধিতা করবেই !”
অতীব দুঃখের সাথে বলতে হয়, উপরোক্ত মন্তব্য প্রদানকারীরা আল-কায়েদার মানহাজ সম্পর্কে একেবারেই অবগত নয়।
আজকের আল-কায়েদা শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয় বরং এটি একটি মানহাজ, একটি চিন্তাধারা। তবে এটি কোনো নতুন চিন্তাধারা নয়। আল-কায়েদা নতুন কোনো মাযহাব কিংবা মাসলাকের প্রবর্তনও করেনি। বরং দুনিয়ার সকল মুসলিমকে কুফরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং ঈমানের ভিত্তিতে দুনিয়াকে সাজানোর এক অতুলনীয় লক্ষ্যই আল-কায়েদার মানহাজ।
দুনিয়াব্যাপী আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আল-কায়েদা উম্মাহর মাঝে সুদীর্ঘকাল ধরে চলে আসা বিভিন্ন ইখতিলাফকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে চায়। পুরো আলোচনা কুফর-শিরক ও ইসলামের শত্রুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়।
আল-কায়েদা এমন অবাস্তব চিন্তাধারা রাখে না যে, দীর্ঘকাল করে চলে আসা এই ইখতিলাফ ও বিতর্ক রাতারাতি মীমাংসা হয়ে যাবে। অথবা আল-কায়েদা এই সব ইখতিলাফ ও বিতর্ককে মিটিয়ে দিবে, এমন অবাস্তব ধারণাও পোষণ করে না।
আল-কায়েদা মনে করে, উম্মাহর মাঝে ইখতিলাফী বৈচিত্র থাকার পরেও যেভাবে সুদীর্ঘকাল ইসলাম বিজয়ীর আসনে অধিষ্ঠিত ছিলো, ঠিক তেমনিভাবে এখনো সেই ইখতিলাফকে স্বস্থানে রেখেই ইসলামকে বিজয়ীর আসনে আসীন করা সম্ভব ও জরুরিও বটে।
উম্মাহকে বিজয়ী করার এই সুমহান লক্ষ্যে আল-কায়েদা উম্মাহর মাঝে থাকা বিভিন্ন মাযহাব-মাসলাকের অনুসরণকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ছেড়ে দিয়েছে।
আল-কায়েদার মানহাজ তথা উম্মাহকে বিজয়ী করার এই চিন্তাধারার সাথে একমত বিভিন্ন মাযহাব-মাসলাকের আলিমগণ তাদের মাঝে নিজ নিজ মাযহাব-মাসলাকের সপক্ষে সকল আলোচনা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন, এমনটিও নয়; বরং তারা তাদের মাযহাব-মাসলাকের মত স্বাধীনভাবেই উপস্থাপন করে থাকেন। তবে তারা মাযহাব-মাসলাক কেন্দ্রিক নয় বরং কুফর-শিরক-ত্বগুতের বিরুদ্ধে তাওহীদ-জিহাদ কেন্দ্রিক।
ফলে জিহাদের সাথে যুক্ত বিভিন্ন মাযহাব-মাসলাকের আলিমরা নিজেদের মতের সপক্ষে বক্তব্য রাখলেও তারা কখনোই এসবের উপর ভিত্তি করে আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা করেন না। কিংবা ভুলেও এসব ইখতিলাফী বিষয়কে আসল দ্বীন বানিয়ে ভিন্ন মতের অনুসারীদের শত্রু বানান না বা তাদের সাথে আল-বারা করেন না।
এখানেই আল-কায়েদার মানহাজের সাথে সেইসব ব্যক্তিদের আসমান-যমীন তফাৎ, যারা উম্মাহর মাঝে থাকা বিভিন্ন মাযহাব-মাসলাকের প্রচার-প্রসারে ব্যস্ত থাকেন। তারা তাদের নিজস্ব মাযহাব-মাসলাক প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ভিন্নমতের অধিকারীদেরকে শত্রু বানিয়ে তার ভিত্তিতে আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা তথা বন্ধুত্ব ও শত্রুতার মাপকাঠি নির্ধারণ করেন।
এই বিকৃতি শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তারা ইসলামের চিরশত্রুদের ব্যাপারে অহিংস মতবাদ প্রচার করেন কিন্তু ভিন্নমতের অধিকারী মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের অনুসারীদেরকে সহিংস বা শত্রুভাবাপন্ন হওয়ার আহবান জানায়। তারা ইসলাম ও মুসলিমদের চিরশত্রু ইহুদী-খ্রিস্টান ক্রুসেডার চক্রের বিরুদ্ধে জেগে উঠার কিংবা রুখে দাঁড়ানোর জন্য তাদের অনুসারীদের উৎসাহিত করার প্রয়োজনবোধ করেন না কিন্তু নিজ মাসলাক ও মতের বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিজ মতের অনুসারীদের উসকে দিতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না। এমনটি এটিকে তারা জিহাদের অনুরুপ মনে করে।
এরই অনিবার্য ফলশ্রুতিতে তারা নিজেদের অজান্তেই আমেরিকার র*্যান্ড কর্পোরেশনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। র*্যান্ড কর্পোরেশনের গবেষণা পত্রে উল্লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী তারা আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমে নিয়োজিত মুজাহিদদের বিরুদ্ধে কুফফারদের অনুরুপ প্রচারণায় এক জায়গায় এসে মিলিত হয়েছেন। জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরোধিতার ক্ষেত্রে তারা নিজেদের মধ্যস্থিত মতবিরোধ ভুলে র*্যান্ড ইনস্টিটিউটের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিসার্চ বিভাগ র*্যান্ড কর্পোরেশনের গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা আমেরিকার গণতন্ত্রের বিরোধিতা করে এবং দুনিয়াব্যাপী শরী’আহ কায়েমের প্রচেষ্টা চালায় সেসব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে কাজে লাগাতে হবে। এর পাশাপাশি কোনোভাবেই সেইসব ধর্মীয়গোষ্ঠীগুলো যাতে জিহাদীদের সাথে কোনো ধরণের সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারে,সেই পরামর্শও দিয়েছে ।
............................(অসমাপ্ত)
লেখার তারিখঃ ১৪ জুন ২০১৭ Muhammad Bin Qasim
পড়ুন- https://82.221.139.217/showthread.ph...A6%95%E0%A6%BE
Comment