আউযুবিল্লাহহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
ইন্নাল হামদালিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ ওয়া ‘আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি সাল্লাম তাসলিমান কাসীরা
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
‘আম্মা বা’আদ
বাস্তবতা ১ঃ জিহাদের দাওয়াহর প্রায় ৯৫% জুড়ে থাকে ‘কেন জিহাদ’ – এ নিয়ে আলোচনা। ‘কীভাবে জিহাদ’ – এ নিয়ে আলোচনা হয় বাকি ৫% এ। সংখ্যাটা ৫-এর চাইতে আরো ছোটও হতে পারে। সুতরাং জিহাদ সংক্রান্ত অধিকাংশ লেখা, বক্তব্য, ভিডিও ইত্যাদি থেকে ‘কেন জিহাদ করতে হবে’ – এ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অত্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা পেলেও, কীভাবে জিহাদ করতে হবে এ নিয়ে খুব বেশি কিছু জানা যায় না।
আর এর পেছনে শক্ত কারনও আছে। উম্মাহর মূল সমস্যা হল তারা বিভিন্ন ভুল ব্যাখ্যা, দুনিয়ার ভালোবাসা, মৃত্যুকে অপছন্দ করা – ইত্যাদি কারনে বিশুদ্ধ তাওহিদ সম্পর্কে প্রায় অজ্ঞ অবস্থায় আছে। তাওয়াগিতের পরিচয় ও তাদের বর্জন করার ব্যাপারে বেখেয়াল হয়েছে। আল ওয়ালা ওয়াল বারা বিস্মৃত হয়েছে। ফরয দায়িত্ব জিহাদ থেকে দূরে সরে আছে। তাই যারা বিশ্বজুড়ে জিহাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের মূল ফোকাস থাকে ঘুমন্ত উম্মাহকে জাগাবার। এছাড়া “কীভাবে জিহাদ’ – এ আলোচনার মধ্যে রণকৌশল, স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত পলিসি, স্ট্র্যাটিজি (strategy), ট্যাকটিক (tactics) ইত্যাদি বিষয় থাকে। যদি এধরণের বিষয় পাবলিকলি আলোচনা করা হয়, গণমানুষের সামনে প্রকাশ করা হয় তাহলে সেটা মুজাহিদিনকে কৌশলগতভাবে ঝুকিপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়। কারন মুরতাদ তাওাগীত ও কুফফারের সামনেও বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়ে যায়।
একইসাথে, এও সত্য যে স্ট্র্যাটিজিক ও ট্যাকটিকাল বিষয়ে আলোচনা প্রত্যেক জিহাদ সমর্থক বা জিহাদি আন্দোলনের সাথে যুক্ত ব্যক্তির জন্য মানানসই না। প্রত্যেক ব্যক্তিকে এ বিষয়গুলো জানানোও আবশ্যক না। সর্বোপরি, জিহাদ একটি ফরয ইবাদাত – এ সত্য উপস্থাপনের পর একজন মুমিনের প্রথম দায়িত্ব হল সে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হওয়া। আর যেহেতু জিহাদ একটি জামাতবদ্ধ ইবাদত তাই বব্যক্তির উপর আবশ্যক হল জামাতবদ্ধ হওয়া। কারন যা কিছু আবশ্যককে অর্জনের জন্য প্রয়োজন তার সবকিছুই আবশ্যকে পরিণত হয়। আর যখন ব্যক্তই জামাতবদ্ধ হয়, তখন জামা’আহ তাকে দিকনির্দেশনা দিতে থাকে ও দায়িত্ব বন্টন করে। তাই জিহাদি আন্দোলনের প্রতি দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে, জনসাধারনকে আন্দোলনের সাথে যুক্ত করার ক্ষেতরে, ‘জিহাদ কীভাবে?’ – প্রাথমিক পর্যায়ে এ আলোচনা তেমন গুরুত্বপূর্ণ হয় না।
তবে অনস্বীকার্য সত্য হল, কোন দল বা আন্দোলনের কাজ, কাজের প্রকৃতি, চিন্তাধারা, আদর্শ, উদ্দেশ্য, পদ্ধতি, নীতিমালা, আক্বিদা, সিলেবাস, পলিসি - ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে কর্মীদের পক্ষে সম্ভব না কাজের ক্ষেত্রে নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার। এও অনস্বীকার্য যে কেবলমাত্র পাবলিকলি যেসব মিডিয়া রিলিজ (বই, রিসালাহ, বয়ান, ভিডিও) পাওয়া যায় তার মাধ্যমে এসবগুলো বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করা অধিকাংশের পক্ষেই সম্ভব না। তবে আলহামদুলিল্লাহ কত বেশ কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক মুজাহিদিন মিডিয়াগুলো এবং, গত প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাভাষার মিডিয়াগুলোতে ধীরগতিতে হলেও এসব বিষয়ে কিছু কিছু আলোচনা উঠে আসছে। এজন্য জিহাদি আন্দোলনের সাথে যুক্ত সকল ভাই এবং সকল সমর্থক ভাইদের উচিৎ জিহাদি মিডিয়ার রিলিজসমূহ সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল থাকা, বিশেষ মুজাহিদিন উলামা ও উমারাহর কিতাব, রিসালাহ ও বয়ানগুলো গভীর মনোযোগের সাথে পড়া ও এ নিয়ে চিন্তা করা।
এ দীর্ঘ ভূমিকার উদ্দেশ্য কী?
উদ্দেশ্য হল, বাংলাদেশে এবং উপমহাদেশে জিহাদের ব্যাপারে মুজাহিদিনের ভূমিকা কী হবে? – এ প্রশ্নের ব্যাপারে আমাদের চিন্তাকে পরিকপক্ক ও স্বচ্ছ করার গুরুত্ব সম্পর্কে ভাইদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া। কারন জিহাদের ক্ষেত্রে জযবা যেমন থাকা প্রয়োজন তেমনিভাবে উপযুক্ত সময়ে জিহাদি আন্দোলনের প্রয়োজনেই সেই জযবাকে কন্ট্রোল করারও প্রবণতা প্রয়োজন। দলীল-আদিল্লা জানা থাকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন আসলিহাত ও এর ব্যবহারিক জ্ঞান। ব্যবসা হালাল না হারাম হচ্ছে – তা জানা যেমন প্রয়োজন, তেমনিভাবে জানা প্রয়োজন ব্যবসা কতোটুক লাভজনক হচ্ছে।
বাস্তবতা ২ঃ বিভিন্ন কারনে এ ভূমিতে জিহাদি আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে, এবং আন্দোলনের পক্ষে দাওয়াত দানকারী, এমনকি আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীদের মধ্যেও উপরে আলোচিত বিষয়ের বেশ কিছুর ব্যাপারে সঠিক বা যথেষ্ট ধারণা নেই। সব ব্যক্তির সব ব্যাপারে ধারণা থাকা অপরিহার্যও না। তবে নিজেদের অজ্ঞতা সম্পর্কে অবগত থাকা এবং প্রয়োজনের নতুন কিছু শেখার জন্য ইতিবাচক মনোভাব সবার মধ্যে থাকা প্রয়োজন। তিনি যে দলেরই হোন না কেন। এক্ষেত্রে কে কতোদিন ধরে কাজের সাথে যুক্ত আছে, কে কার আগে কাজ শুরু করেছে, সাধারন মানুষের কাছে কার মর্যাদা বা অবস্থান কতোটুকু – ইত্যাদি বিষয় প্রাসঙ্গিক না। বরং এসব বিষয় নিয়ে অধিক চিন্তা, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত উদ্দেশ্য অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়ায়।
একথাগুলো ব্যক্তির ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তেমনিভাবে সংগঠনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
উপরোক্ত বাস্তবতাগুলোর বিবেচনায় এ দুর্বল বান্দা চেষ্টা করবে নিজ তুচ্ছ সামর্থ্য অনুযায়ী জিহাদি আন্দোলনের সাথে যুক্ত সকল ভাই ও সমর্থকদের জন্য উল্লেখিত এমন সব বিষয়ে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা যেগুলো সম্পর্কে আমাদের চিন্তাধারায় পরিপক্কতা ও স্বচ্ছতা আসা দরকার, বিইযনিল্লাহ। ইনশা আল্লাহ এর মধ্যে মুজাহিদিনের কল্যাণ নিহিত আছে। কারন যতোক্ষন নিজ দায়িত্ব, উদ্দেশ্য ও ভূমিকা সম্পর্কে কেউ পূর্ণ সচেতন হয় না, ততোক্ষণ তার পক্ষে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন সম্ভব হয় না।
আল্লাহ সহজ করুন। ওয়ামা তাওফিক্বি ইল্লাহ বিল্লাহ।
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও তাঁর সাহাবিগণের উপর, কেয়ামত পর্যন্ত।
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
ইন্নাল হামদালিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ ওয়া ‘আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি সাল্লাম তাসলিমান কাসীরা
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
‘আম্মা বা’আদ
বাস্তবতা ১ঃ জিহাদের দাওয়াহর প্রায় ৯৫% জুড়ে থাকে ‘কেন জিহাদ’ – এ নিয়ে আলোচনা। ‘কীভাবে জিহাদ’ – এ নিয়ে আলোচনা হয় বাকি ৫% এ। সংখ্যাটা ৫-এর চাইতে আরো ছোটও হতে পারে। সুতরাং জিহাদ সংক্রান্ত অধিকাংশ লেখা, বক্তব্য, ভিডিও ইত্যাদি থেকে ‘কেন জিহাদ করতে হবে’ – এ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অত্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা পেলেও, কীভাবে জিহাদ করতে হবে এ নিয়ে খুব বেশি কিছু জানা যায় না।
আর এর পেছনে শক্ত কারনও আছে। উম্মাহর মূল সমস্যা হল তারা বিভিন্ন ভুল ব্যাখ্যা, দুনিয়ার ভালোবাসা, মৃত্যুকে অপছন্দ করা – ইত্যাদি কারনে বিশুদ্ধ তাওহিদ সম্পর্কে প্রায় অজ্ঞ অবস্থায় আছে। তাওয়াগিতের পরিচয় ও তাদের বর্জন করার ব্যাপারে বেখেয়াল হয়েছে। আল ওয়ালা ওয়াল বারা বিস্মৃত হয়েছে। ফরয দায়িত্ব জিহাদ থেকে দূরে সরে আছে। তাই যারা বিশ্বজুড়ে জিহাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের মূল ফোকাস থাকে ঘুমন্ত উম্মাহকে জাগাবার। এছাড়া “কীভাবে জিহাদ’ – এ আলোচনার মধ্যে রণকৌশল, স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত পলিসি, স্ট্র্যাটিজি (strategy), ট্যাকটিক (tactics) ইত্যাদি বিষয় থাকে। যদি এধরণের বিষয় পাবলিকলি আলোচনা করা হয়, গণমানুষের সামনে প্রকাশ করা হয় তাহলে সেটা মুজাহিদিনকে কৌশলগতভাবে ঝুকিপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়। কারন মুরতাদ তাওাগীত ও কুফফারের সামনেও বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়ে যায়।
একইসাথে, এও সত্য যে স্ট্র্যাটিজিক ও ট্যাকটিকাল বিষয়ে আলোচনা প্রত্যেক জিহাদ সমর্থক বা জিহাদি আন্দোলনের সাথে যুক্ত ব্যক্তির জন্য মানানসই না। প্রত্যেক ব্যক্তিকে এ বিষয়গুলো জানানোও আবশ্যক না। সর্বোপরি, জিহাদ একটি ফরয ইবাদাত – এ সত্য উপস্থাপনের পর একজন মুমিনের প্রথম দায়িত্ব হল সে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হওয়া। আর যেহেতু জিহাদ একটি জামাতবদ্ধ ইবাদত তাই বব্যক্তির উপর আবশ্যক হল জামাতবদ্ধ হওয়া। কারন যা কিছু আবশ্যককে অর্জনের জন্য প্রয়োজন তার সবকিছুই আবশ্যকে পরিণত হয়। আর যখন ব্যক্তই জামাতবদ্ধ হয়, তখন জামা’আহ তাকে দিকনির্দেশনা দিতে থাকে ও দায়িত্ব বন্টন করে। তাই জিহাদি আন্দোলনের প্রতি দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে, জনসাধারনকে আন্দোলনের সাথে যুক্ত করার ক্ষেতরে, ‘জিহাদ কীভাবে?’ – প্রাথমিক পর্যায়ে এ আলোচনা তেমন গুরুত্বপূর্ণ হয় না।
তবে অনস্বীকার্য সত্য হল, কোন দল বা আন্দোলনের কাজ, কাজের প্রকৃতি, চিন্তাধারা, আদর্শ, উদ্দেশ্য, পদ্ধতি, নীতিমালা, আক্বিদা, সিলেবাস, পলিসি - ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে কর্মীদের পক্ষে সম্ভব না কাজের ক্ষেত্রে নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার। এও অনস্বীকার্য যে কেবলমাত্র পাবলিকলি যেসব মিডিয়া রিলিজ (বই, রিসালাহ, বয়ান, ভিডিও) পাওয়া যায় তার মাধ্যমে এসবগুলো বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করা অধিকাংশের পক্ষেই সম্ভব না। তবে আলহামদুলিল্লাহ কত বেশ কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক মুজাহিদিন মিডিয়াগুলো এবং, গত প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাভাষার মিডিয়াগুলোতে ধীরগতিতে হলেও এসব বিষয়ে কিছু কিছু আলোচনা উঠে আসছে। এজন্য জিহাদি আন্দোলনের সাথে যুক্ত সকল ভাই এবং সকল সমর্থক ভাইদের উচিৎ জিহাদি মিডিয়ার রিলিজসমূহ সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল থাকা, বিশেষ মুজাহিদিন উলামা ও উমারাহর কিতাব, রিসালাহ ও বয়ানগুলো গভীর মনোযোগের সাথে পড়া ও এ নিয়ে চিন্তা করা।
এ দীর্ঘ ভূমিকার উদ্দেশ্য কী?
উদ্দেশ্য হল, বাংলাদেশে এবং উপমহাদেশে জিহাদের ব্যাপারে মুজাহিদিনের ভূমিকা কী হবে? – এ প্রশ্নের ব্যাপারে আমাদের চিন্তাকে পরিকপক্ক ও স্বচ্ছ করার গুরুত্ব সম্পর্কে ভাইদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া। কারন জিহাদের ক্ষেত্রে জযবা যেমন থাকা প্রয়োজন তেমনিভাবে উপযুক্ত সময়ে জিহাদি আন্দোলনের প্রয়োজনেই সেই জযবাকে কন্ট্রোল করারও প্রবণতা প্রয়োজন। দলীল-আদিল্লা জানা থাকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন আসলিহাত ও এর ব্যবহারিক জ্ঞান। ব্যবসা হালাল না হারাম হচ্ছে – তা জানা যেমন প্রয়োজন, তেমনিভাবে জানা প্রয়োজন ব্যবসা কতোটুক লাভজনক হচ্ছে।
বাস্তবতা ২ঃ বিভিন্ন কারনে এ ভূমিতে জিহাদি আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে, এবং আন্দোলনের পক্ষে দাওয়াত দানকারী, এমনকি আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীদের মধ্যেও উপরে আলোচিত বিষয়ের বেশ কিছুর ব্যাপারে সঠিক বা যথেষ্ট ধারণা নেই। সব ব্যক্তির সব ব্যাপারে ধারণা থাকা অপরিহার্যও না। তবে নিজেদের অজ্ঞতা সম্পর্কে অবগত থাকা এবং প্রয়োজনের নতুন কিছু শেখার জন্য ইতিবাচক মনোভাব সবার মধ্যে থাকা প্রয়োজন। তিনি যে দলেরই হোন না কেন। এক্ষেত্রে কে কতোদিন ধরে কাজের সাথে যুক্ত আছে, কে কার আগে কাজ শুরু করেছে, সাধারন মানুষের কাছে কার মর্যাদা বা অবস্থান কতোটুকু – ইত্যাদি বিষয় প্রাসঙ্গিক না। বরং এসব বিষয় নিয়ে অধিক চিন্তা, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত উদ্দেশ্য অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়ায়।
একথাগুলো ব্যক্তির ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তেমনিভাবে সংগঠনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
উপরোক্ত বাস্তবতাগুলোর বিবেচনায় এ দুর্বল বান্দা চেষ্টা করবে নিজ তুচ্ছ সামর্থ্য অনুযায়ী জিহাদি আন্দোলনের সাথে যুক্ত সকল ভাই ও সমর্থকদের জন্য উল্লেখিত এমন সব বিষয়ে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা যেগুলো সম্পর্কে আমাদের চিন্তাধারায় পরিপক্কতা ও স্বচ্ছতা আসা দরকার, বিইযনিল্লাহ। ইনশা আল্লাহ এর মধ্যে মুজাহিদিনের কল্যাণ নিহিত আছে। কারন যতোক্ষন নিজ দায়িত্ব, উদ্দেশ্য ও ভূমিকা সম্পর্কে কেউ পূর্ণ সচেতন হয় না, ততোক্ষণ তার পক্ষে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন সম্ভব হয় না।
আল্লাহ সহজ করুন। ওয়ামা তাওফিক্বি ইল্লাহ বিল্লাহ।
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও তাঁর সাহাবিগণের উপর, কেয়ামত পর্যন্ত।
Comment