ইসলাম কোন মানব রচিত জীবন ব্যবস্থা নয় বরং একটি ওয়াহী ভিত্তিক আল্লাহ প্রদত্ত ও মনোনীত জীবন ব্যবস্থা, ইসলামী শরী’আতের মূলনীতি হলো কুরআন ও সুন্নাহ। পবিত্র কুরআন যেমন ওয়াহী প্রদত্ত, সুন্নাহও তেমনি ওয়াহী প্রদত্ত। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“আর তিনি (নবী ছাঃ) প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না বরং শুধুমাত্র তাকে যাওয়াহী করা হয় তা-ই বলেন।” (আন-নাজম: ৩-৪)
সুতরাং নবী (ছাঃ) -এর দ্বীনী কথা, কাজ ও সম্মতি সবকিছুই ওয়াহী ভিত্তিক। এজন্যই আল্লাহর নির্দেশকে যেমন কোন ঈমানদার নর-নারীর উপেক্ষা করে চলার সুযোগ নেই, নবী (ছাঃ) -এর নির্দেশেরও একই অবস্থা। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন কাজের নির্দেশ দিলে কোন ঈমানদার পূরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে কোন এখতিয়ার থাকে না, আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হয় সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।” (আহযাব: ৩৬)
এ আয়াত ইসলামী শরীয়তে সুন্নাহর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, আল্লাহ বা কুরআনের নির্দেশের অবস্থান এবং রাসূল (ছাঃ) বা সুন্নাহর নির্দেশের অবস্থান পাশাপাশি। অনুরুপভাবে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করলে যেমন পথভ্রষ্ট হয়ে যায়, রাসূল (ছাঃ) এর নির্দেশ অমান্যের পরিণতিও একই, কোন অংশে কম নয়। এমনকি রাসূল (ছাঃ) -এর সিদ্ধান্ত ও সমাধানকে সতস্ফূর্তভাবে মাথা পেতে নেয়া ছাড়া ঈমানদার হওয়া কখনও সম্ভব নয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“অতঃপর তোমার রবের কসম তারা কখনও ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যপারে তোমাকে ফয়সালাকারী হিসাবে মেনে নেয়, অতঃপর তোমার ফয়সালার ব্যপারে তারা কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবূল করে নিবে।” (নিসা: ৬৫)
রাসূল (স.)-এর পর খোলাফায়ে রাশেদীন এই কুরআন ও সুন্নাহর জীবন ব্যবস্থার উপর কায়েম ছিলেন, এক চুল পরিমাণও ব্যতিক্রম ঘটতে দেননি। পরবর্তীকালে অন্যান্য সাহাবা ও তাবেয়ীগণও কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে কিছুমাত্র রদবদল হতে দেননি। বরং রাসূল (স.)-এর কোন হাদীস তাঁদের সম্মুখে উপস্থিত হলে বিনা শর্তে তা মেনে নিতেন। সাজাবা কেরাম ও তাবেয়ীগণের পরবর্তী যুগে যেমন নানা দেশের, নানা বর্ণের, নানা ধর্মের লোক ইসলামের পতাকা তলে আসতে লাগল তেমনি তাদের সঙ্গে সঙ্গে নানা ধর্মমত ও দার্শনিক মতবাদও আসা শুরু হল। ফলে, মুসলিমগণ নীতিগতভাবে এক আল্লাহকে সার্বভৌম শক্তির অধিকারী ও তাঁর রাসূল (স.)-কে একমাত্র নেতা বলে স্বীকার করলেও কার্যতঃ তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে ইসলামের প্রকৃত নীতি হতে সরে যেতে লাগল এবং কোনো কোনো সম্প্রদায় একেবারে ইসলামের গন্ডীর বাইরে চলে গেল। ফলে, মুসলিম জাতীয় জীবনে ভাঙ্গন শুরু হল। তারা রাসূল (স.)-এর নেতৃত্ব ত্যাগ করে বিভিন্ন নেতার অধীনে ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ল। এভাবে ইসলামে শুরু হল ফেতনা। ( খারেজি, রাফেজি......) অখন্ড ইসলাম হয়ে গেল খন্ড বিখন্ড।
তাই ইসলামকে আবার তার পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমদেরকে আবার কুরআন ও সুন্নাহকে আকড়ে ধরতে হবে।
“আর তিনি (নবী ছাঃ) প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না বরং শুধুমাত্র তাকে যাওয়াহী করা হয় তা-ই বলেন।” (আন-নাজম: ৩-৪)
সুতরাং নবী (ছাঃ) -এর দ্বীনী কথা, কাজ ও সম্মতি সবকিছুই ওয়াহী ভিত্তিক। এজন্যই আল্লাহর নির্দেশকে যেমন কোন ঈমানদার নর-নারীর উপেক্ষা করে চলার সুযোগ নেই, নবী (ছাঃ) -এর নির্দেশেরও একই অবস্থা। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন কাজের নির্দেশ দিলে কোন ঈমানদার পূরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে কোন এখতিয়ার থাকে না, আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হয় সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।” (আহযাব: ৩৬)
এ আয়াত ইসলামী শরীয়তে সুন্নাহর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, আল্লাহ বা কুরআনের নির্দেশের অবস্থান এবং রাসূল (ছাঃ) বা সুন্নাহর নির্দেশের অবস্থান পাশাপাশি। অনুরুপভাবে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করলে যেমন পথভ্রষ্ট হয়ে যায়, রাসূল (ছাঃ) এর নির্দেশ অমান্যের পরিণতিও একই, কোন অংশে কম নয়। এমনকি রাসূল (ছাঃ) -এর সিদ্ধান্ত ও সমাধানকে সতস্ফূর্তভাবে মাথা পেতে নেয়া ছাড়া ঈমানদার হওয়া কখনও সম্ভব নয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“অতঃপর তোমার রবের কসম তারা কখনও ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যপারে তোমাকে ফয়সালাকারী হিসাবে মেনে নেয়, অতঃপর তোমার ফয়সালার ব্যপারে তারা কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবূল করে নিবে।” (নিসা: ৬৫)
রাসূল (স.)-এর পর খোলাফায়ে রাশেদীন এই কুরআন ও সুন্নাহর জীবন ব্যবস্থার উপর কায়েম ছিলেন, এক চুল পরিমাণও ব্যতিক্রম ঘটতে দেননি। পরবর্তীকালে অন্যান্য সাহাবা ও তাবেয়ীগণও কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে কিছুমাত্র রদবদল হতে দেননি। বরং রাসূল (স.)-এর কোন হাদীস তাঁদের সম্মুখে উপস্থিত হলে বিনা শর্তে তা মেনে নিতেন। সাজাবা কেরাম ও তাবেয়ীগণের পরবর্তী যুগে যেমন নানা দেশের, নানা বর্ণের, নানা ধর্মের লোক ইসলামের পতাকা তলে আসতে লাগল তেমনি তাদের সঙ্গে সঙ্গে নানা ধর্মমত ও দার্শনিক মতবাদও আসা শুরু হল। ফলে, মুসলিমগণ নীতিগতভাবে এক আল্লাহকে সার্বভৌম শক্তির অধিকারী ও তাঁর রাসূল (স.)-কে একমাত্র নেতা বলে স্বীকার করলেও কার্যতঃ তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে ইসলামের প্রকৃত নীতি হতে সরে যেতে লাগল এবং কোনো কোনো সম্প্রদায় একেবারে ইসলামের গন্ডীর বাইরে চলে গেল। ফলে, মুসলিম জাতীয় জীবনে ভাঙ্গন শুরু হল। তারা রাসূল (স.)-এর নেতৃত্ব ত্যাগ করে বিভিন্ন নেতার অধীনে ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ল। এভাবে ইসলামে শুরু হল ফেতনা। ( খারেজি, রাফেজি......) অখন্ড ইসলাম হয়ে গেল খন্ড বিখন্ড।
তাই ইসলামকে আবার তার পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমদেরকে আবার কুরআন ও সুন্নাহকে আকড়ে ধরতে হবে।
Comment