Announcement

Collapse
No announcement yet.

দায়ীর জন্যে বর্জনীয়

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দায়ীর জন্যে বর্জনীয়

    অন্তরে শত্রুতা
    অন্তরে শত্রুতার পরিচয় ও হুকুম :
    বোগজ (بغض) শব্দটি আরবী। যার আভিধানিক অর্থ ঘৃণা,শত্রুতা, অবজ্ঞা, অপছন্দ ইত্যাদি। কারো সাথে অন্তরে শত্রুতাভাব পোষণ করাকে বোগজ বলা হয়ে থাকে।
    বোগজের হুকুম :
    শরীয়াতের বৈধ হুকুম ব্যতীত কোন মানুষের সাথে শত্রুতা রাখা হারাম। কিন্তু শরীয়াত বিরোধী লোকদের সাথে এবং যারা শরীয়াতের মাসআলা গোপন বা পরিবর্তন করে সমাজকে ভ্রষ্টতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করা ওয়াজিব।
    অন্তরে অন্তরে শত্রুতার কারণ ও আলামতসমূহ :
    নিজের বা ধর্মের ক্ষতি দর্শনে বোগজ পয়দা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, ধর্মের ক্ষতি দর্শনে যে শত্রুতা পয়দা হয় তা হারাম নয়। বরং প্রশংসনীয়। আর নিজের ক্ষতি দর্শনে অন্তরে যে শত্রুতা পয়দা হয় তা দোষণীয়।
    অন্তরে অন্তরে শত্রুতা আলামতসমূহ :
    সংক্ষেপে এ কথা বলা যায় যে, শত্রুতার একমাত্র ও প্রধান আলমত হলো যার সাথে শত্রুতা আসে তার সাথে মিলে-মিশে থাকতে অসস্তিবোধ ও খারাপ মনে করা। সে তার সাথে সঙ্গ দিতেও অস্বীকৃতি জানায়।
    অন্তরে অন্তরে শত্রুতা ভয়াবহ পরিণতি :
    পরষ্পর পরস্পরের সাথে শত্রুতা করা ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি কোন মু’মিনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা সে অপছন্দ করে তা নিয়ে কানাকানি করাও ইসলামে নিষিদ্ধ। এ প্রসঙ্গে হাদীসের এক বর্ণনায় এসেছে,
    عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : لاَ يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً إِنْ كَرِهَ مِنْهَا خَلْقًا رَضِىَ آخَرَ .
    “আবূ হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন; রাসূল সা. বলেছেন :
    কোন মু’মিন নর ও নারীর কোন চরিত্র অপছন্দ হলে তার অপর ভালো চরিত্র দ্বারা খুশি থাক।”
    অন্তরে শত্রুতা থেকে বাঁচার উপায়
    সংক্ষেপে বলা যায় যে, যার সাথে শত্রুতা আছে তাঁর সাথে মিলে মিশে চলা এবং তাকে হাদীসা তোহফা প্রেরণ করা। তাহলে দেখা যাবে যে সকল প্রকার শত্রুতা বিদূরিত হয়ে উভয়ের মধ্যে চরম বন্ধুত্বপূর্ণভাব গড়ে উঠবে। আর এজন্যই রাসূল সা. ঘোষণা করেছেন :
    عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : تهادوا تحابوا.
    “আবূ হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সা. বলেছেন :
    তোমরা পরস্পর পরস্পরকে হাদিয়া দাও তাহলে তোমাদের মধ্যে ভালবাসা তথা মহব্বত পয়দা হবে।”
    অপর এক হাদীসে শত্রুতা দূর করার পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে : আবূ হুরইরা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন; রাসূল সা. বলেছেন :
    তোমরা ততক্ষণ বেহেশ্তে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে না পারবে, আর ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা পরস্পর পরস্পর ভালবাসতে না পারবে। আমি কি তোমাদের বলে দেব যে কোন জিনিস তোমাদের মধ্যে ভালবাসা বৃদ্ধি করবে? আর সেটি হলো তোমরা পরস্পর সালাম বিনিময় করবে।
    Last edited by Umar Faruq; 10-24-2015, 12:04 PM.

  • #2
    জাযাকাল্লাহ; সুন্দর একটা পোস্ট।

    sendspace e upload korle kichukkhon por file paowa jaina.

    doya kore aro system thakle bistarito likhe amar আল-কোরআনের বিশয়ভিত্তিক আয়াতের শিটের পোস্টে তাড়াতাড়ি পোস্টকরুন।
    আচ্ছা মাশাল্লাহ আথি দিয়ে কি বুঝায়?

    please bhai,taratari pathan.

    mashallah আথি।

    Comment

    Working...
    X