Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রিয় ভাইয়েরা একটু সাহায্যের প্রয়োজন।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রিয় ভাইয়েরা একটু সাহায্যের প্রয়োজন।

    প্রিয় ভাইগণ!!!
    একটু সাহায্যের প্রয়োজন।
    তা হল, নফিরে আম সম্পর্কে কিভাবে বিস্তারিত জানতে
    জানতে পারি???
    যদি কোন ভাই এসম্পর্কে কোন ভিডিয় বা অডিও বা বইয়ের কোন খোঁজ দিতেন তবে অনেক উপকার হত।
    যদি রাসুলকে কটুক্তি করা হয়, ওদের বাক সাধিনতার অংশ
    তাহলে ওদেরকে ধারালো চাপাতির আঘাতে হত্যা করা আমাদের
    দিনের অংশ। (আনওয়কর আল-আওরাকি রহি

  • #2
    ভাই আপনি যে বিষয় আপনি জানতে চেয়েছেন তা যেন আল্লাহ তায়ালা অতি তাড়াতাড়ি জানার ব্যবস্থা করেদেন। আমিন
    আর ভাই আমাদেরকেও জানা বুলবেন না কিন্তু

    Comment


    • #3
      অনেক দিন আগে এ ব্যাপারে ছোট একটা লেখা দিয়েছিলাম। সেটা হয়তো আপনার কাজে আসতে পারে-

      ‘নফিরে আম’ কি খলিফাতুল মুসলিমিনের আদেশের নাম ?
      আমরা জানি, ‘নফিরে আম’ হলে সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। কিন্তু ‘নফিরে আম’ কাকে বলে ?
      অনেকে মনে করেন-(খলিফাতুল মুসলিমিন কর্তৃক সকল মুসলমানকে জিহাদে বের হয়ে যাওয়ার আদেশকে ‘নফিরে আম’ বলে।)
      এই ধারণা সহিহ নয়। বরং ‘নফিরে আম’ হচ্ছে একটি বিশেষ হালত(তথা অবস্থা)-এর নাম যার সাথে ইমামের আদেশের কোন সম্পর্ক নেই । আর তা হচ্ছে, কোন মুসলিম ভূখণ্ডে কাফেররা আক্রমন করে বসা এবং সকল মুসলমান জিহাদে অংশগ্রহণ করা ব্যতীত তাদেরকে মুসলিম ভূখণ্ড থেকে বের করা করা সম্ভব না হওয়া ।

      ‘নফির’ অর্থ- জিহাদে বের হওয়া, আর ‘আম’ অর্থ-ব্যাপক।
      ‘নফিরে আম’ অর্থ- এমন অবস্থা যখন সকল মুসলমানকে ব্যাপকভাবে জিহাদে অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
      যখন কোন মুসলিম ভূখণ্ডে কাফেররা আক্রমন করে বসে তখন কাফেরদেরকে ঐ মুসলিম ভূখণ্ড থেকে বের করে দেয়ার জন্য ‘নফির’ তথা জিহাদে বের হওয়া আবশ্যক হয়ে যায়। এই অবস্থায় কাফেরদেরকে ঐ মুসলিম ভূখণ্ড থেকে বের করার জন্য যদি ঐ এলাকার সকল মুসলমানকে জিহাদে বের হয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে ঐ এলাকার সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় ইমাম আছে কি নাই, বা থাকলে অনুমতি দিলো কি দিলো না - তা দেখার বিষয় নয়। ইমাম থাকুক বা না থাকুক, অনুমতি দিক বা না দিক - সর্বাবস্থায় জিহাদ ফরজে আইন। (দেখুনঃ শরহুস সিয়ারিল কবীর লিল ঈমামিস সারাখসী; খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৩৭৮)

      ঐ এলাকার মুসলমানগন কাফেরদেরকে বের করতে না পারলে বা অলসতা বশত জিহাদ না করলে তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মুসলমানদের উপর এবং ক্রমান্বয়ে তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মুসলমানদের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যাবে। পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, সারা দুনিয়ার সকল মুসলমান জিহাদে অংশগ্রহণ করা ব্যতীত কাফেরদেরকে মুসলিম ভূখণ্ড থেকে বের করা সম্ভব নয়, তাহলে সারা দুনিয়ার সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যাবে। এই অবস্থাকেই ‘নফিরে আম’ বলে।
      আল্লামা হাছকাফি(রহ.) বলেন-
      ( وَفَرْضُ عَيْنٍ إنْ هَجَمَ الْعَدُوُّ فَيَخْرُجُ الْكُلُّ)
      (যদি দুশমন - মুসলিম ভূখণ্ডে - ঢুকে পড়ে তাহলে - জিহাদ - ফরজে আইন, কাজেই তখন সকলেই বের হয়ে পড়বে।) (আদ দুররুল মুখতার, পৃষ্ঠা - ৩২৯)
      আল্লামা শামী (রহ.) এর ব্যখ্যায় বলেন ,
      )وَهَذِهِ الْحَالَةُ تُسَمَّى "النَّفِيرُ الْعَامُّ". قَالَ فِي الِاخْتِيَارِ : وَالنَّفِيرُ الْعَامُّ : أَنْ يُحْتَاجَ إلَى جَمِيعِ الْمُسْلِمِينَ .(
      (আর এই অবস্থাকেই ‘নফিরে আম’ বলা হয়। ‘আল-ইখতিয়ার’ কিতাবে বলেন, ‘নফিরে আম’ হচ্ছে সকল মুসলমানেরই - জিহাদে বের হয়ে যাওয়ার - প্রয়োজন পড়া।) (ফাতাওয়া শামী; খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-১২৭)
      অতএব, ‘নফিরে আম’ খলিফাতুল মুসলিমিনের আদেশের নাম নয়, বরং ঐ বিশেষ হালত(তথা অবস্থা)-এর নাম যখন সকল মুসলমান জিহাদে অংশগ্রহণ করা ব্যতীত কাফেরদেরকে মুসলিম ভূখণ্ড থেকে বের করা সম্ভব নয়।
      বর্তমানে ‘নফিরে আম’- এর হালত চলছে । বর্তমানে প্রায় সবগুলো মুসলিম ভূমি কাফের-মুরতাদদের দখলে। হয়তো কাফেররা সরাসরি সেগুলো দখল করে নিয়েছে (যেমন- স্পেন,ভারত,আরাকান,পূর্ব তর্কীস্তান...) নতুবা তাদের হাতে গড়া এবং তাদেরই এজেনডা বাস্তবায়নকারী মুসলিম নামধারী মুরতাদ শাসক গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছে(যেমন- অধিকাংশ মুসলিম দেশের অবস্থা)। কাজেই বর্তমানে সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরজে আইন। আর এই ফরজ বহাল থাকবে যতদিন পর্যন্ত না এই কাফের-মুরতাদদেরকে হটিয়ে এবং এই কুফরি শাসন ব্যবস্থাকে দূর করে ইসলামী শাসন কায়েম করা যায়।

      Comment


      • #4
        আহমাদ আল হিন্দি ভাই জাজাকাল্লাহ। ভাই আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক!!!আমীন,,,
        ভাই আপনার এই পোস্টা আমার জন্য অনেক উপকারী হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ভাই আপনি যেহেতু এই লিখাটা লিখেছেন, অবশ্যই এর জন্য আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে অনেক কিতাব দেখতে হয়েছে। তাই ভাই আমার আরো অনেক উপকার হত যদি এই সম্পর্কি কোন বই, বয়ান কিংবা ভিডিয়র খোঁজ পেতাম।
        যদি রাসুলকে কটুক্তি করা হয়, ওদের বাক সাধিনতার অংশ
        তাহলে ওদেরকে ধারালো চাপাতির আঘাতে হত্যা করা আমাদের
        দিনের অংশ। (আনওয়কর আল-আওরাকি রহি

        Comment


        • #5
          জাজাকাল্লাহ

          Comment


          • #6
            এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেয়া দরকার যে, নফীরে আম দুনিয়া ব্যাপীও হতে পারে, এলাকা ভিত্তিকও হতে পারে।

            কোন এলাকায় কাফেররা আক্রমণ করলে যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, উক্ত এলাকার সকলে বের না হলে কাফেরদেরকে প্রতিহত করা সম্ভব না, তাহলে উক্ত এলাকার লোকদের জন্য নফীরে আম হয়ে যায়। তাদের সকলকে জিহাদে বের হতে হবে। এছাড়া অন্যান্য এলাকার লোকদের উপর জিহাদ ফরয নয়। তাদের জন্য নফীরে আম নয়।

            যদি তারা প্রতিহত করতে সমর্থ্য না হয়, তাহলে তার পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকদের জন্যও নফীরে আম হয়ে যাবে। অর্থাৎ তাদেরকেও জিহাদে বের হতে হবে। এভাবে নফীরে আমের সীমা বাড়তে থাকবে। সারা দুনিয়ার সকল মুসলমান শরীক হওয়া ব্যতীত কাফেরদের প্রতিহত করা সম্ভব না হলে তখন দুনিয়া ব্যাপী নফীরে আম হয়ে যাবে।

            মোটকথা- নফীরে আম এলাকা ভিত্তিকও হতে পারে, দুনিয়া ব্যাপীও হতে পারে।

            Comment


            • #7
              আখিঁ ফিল্লাহ,জাযাকাল্লাহ।

              Comment

              Working...
              X