মাওলানা যাইনুল আবিদীন হাফিজাহুল্লাহ! বাংলাদেশের প্রধানতম চিন্তাশীল আলেম, ৭০ টি গ্রন্থের লেখক-অনুবাদক, হাদিসে রাসুলের সাবলীল শিক্ষক অর্থাৎ বাংলাদেশের একটি প্রখ্যাত মাদরাসার মুহাদ্দিস। অধমের যতদুর মনে পরে নাজেরা বা হেফজখানা থেকেই হুজুরের লিখনীর সাথে পরিচিত, তাঁর লেখা ‘রস গল্প উপদেশ’ এর রসের মজা আমার এখনো অনুভূত হচ্ছে। হযরতের “সাহসের গল্প” যে আমি কতজনকে শুনিয়েছি, তা বলতে পারবো না। মাসিক রাহমানী পয়গামে হযরতের বিশ্লেষণমূলক প্রবন্ধগুলো পড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতাম। আল্লাহ হযরতের ছায়া আমাদের মাথার উপর আরও দীর্ঘ করে দিন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ’র ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/%E0%A6%AE%E...8035951287558/
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের মাদারিসে কউমিয়্যাহর গর্ব মাওলানা মামুনুল হক হাফিজাহুল্লাহ সম্পাদিত মাসিক রাহমানী পয়গামের ২৫৮ তম সংখ্যায় (নভেম্বর- ২০১৭ ইংরেজি) “আরসা হিংস্র দৈত্যের বাতাসমুখোশ” নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। অধম মাওলানা হাফিজাহুল্লাহর প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে বেশ কয়েকবার পড়েছি, আমার ধারণা হযরতের এই প্রবন্ধের পাঠক কিছু বিষয়ে মারাত্মকভাবে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারে। বিশেষত দ্বীনদার শ্রেণী। যেহেতু রাহমানী পয়গামের অধিকাংশ পাঠক হচ্ছে দ্বীনদার শ্রেণী, তাই কিছু দীলের কথা ও কিছু ব্যাথার কথা বলা জরুরী মনে হচ্ছে।
মাওলানা মামুনুল হক হাফিজাহুল্লাহর ফেসবুক পেজ-
সম্মানিত পাঠক!
অধম একজন তালিবুল ইলম ও মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ হাজারো তালিবুল ইলমের উস্তাদ ও ছাত্র গড়ার কারিগর, এটা মনে করার সুযোগ নেই যে, আমি হুজুরকে চ্যালেঞ্জ করছি। সুতরাং আমার এই লেখায় কোন বিচ্যুতি দৃষ্টিগোচর হলে এর জন্য আমি দায়ী।
মাওলানা হাফিজাহুল্লাহর প্রবন্ধ থেকে সাধারণ পাঠকরা আরাকানের গেরিলা সংগঠন ‘আরসা’ সম্পর্কে যে বিভ্রাতিতে পতিত হবে, সেটা হল,
• -আরসা নামক কোন গেরিলা ও প্রতিরোধ যুদ্ধকারী দলের অস্তিত্ব নেই।
• ২৫ এ আগস্ট মিয়ানমার পুলিশ চৌকিতে হামলাটি একটি সাজানো ঘটনা।
• আরসা (যদি) থাকেও, তাহলে তা বৌদ্ধ সেনাবাহিনীর- ই তৈরি, যাদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতারনের বৈধতা আদায় করছে মিয়ানমার।
• সাম্প্রতিক গণহত্যার জন্য আরসা-ই দায়ী।
তবে সব কথার মুল কথা হল আরসা নামে আরাকানের স্বাধীনতা আন্দোলনের কোন দল নেই, যদিও থেকে থাকে, তাহলে সেটা খোদ বৌদ্ধদের-ই বানানো একটি ষড়যন্ত্র।
সম্মানিত পাঠক! উপরের কোন কোন পয়েন্ট পরস্পর বিরোধী মনে হতে পারে, তার কারণ হচ্ছে মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ কোন বিষয়েই চূড়ান্ত ফায়সালা দেন নি, এবং উনি উনার মতগুলোও শুধুমাত্র বিবিসি, প্রথম আলো ও আমাদের সময় পত্রিকার সুত্রে উল্লেখ করেছেন। আর এই মিডিয়াগুলোর মিথ্যাচার ও ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুতা কোন গোপন বিষয় নয়, তা কমবেশি সবাই জানেন।
পাঠক মুল আলোচনায় যাওয়ার আগে একটা বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে-
কোন সংবাদ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমরা কোন মূলনীতি গ্রহণ করবো?
“আসুন আমরা আমাদের আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে এই মূলনীতি অবলম্বন করেই অগ্রসর হই। সাধারণত মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হল যে বিষয়গুলোর ব্যাপারে আমাদের সরাসরি জানার সুযোগ নেই সেগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যও মুত্তাকী মুসলিম ভাইদের কথা সত্য বলে গ্রহন করা। যদি একই বিষয়ে কোন কাফির বিপরীত কোন দাবি করে তবে সুস্পষ্ট প্রমান না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কাফিরের দাবিকে আমলে নেব না। এটা এমন একটি মূলনীতি যা মুসলিম হিসেবে অনুসরন করা বাঞ্ছনীয়। যদি কাফির তার দাবির স্বপক্ষে কিছু প্রমান উপস্থাপন করে , যেমন ৯/১১ নিয়ে কিছু ষড়যন্ত্রতত্ত্বের ক্ষেত্রে ঘটেছে, সে ক্ষেত্রে মুসলিম হিসেবে আমাদের করণীয় হল এই দাবির প্রেক্ষিতে মুসলিমরা কি জবাব দিয়েছে, সেটা জানার চেস্টা করা। আর যদি কাফিরদের দাবির বিপরীতে মুসলিমরা কোন জবাব না দিয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের উচিত আমাদের মুসলিম ভাইদের বক্তব্য বিশ্বাস করা। অবশ্যই আমরা আমাদের নিজেদের মনে প্রমাণের ভিত্তিতে জন্ম নেয়া এসব প্রশ্নকে স্থান দিতে পারি। কিন্তু মুসলিম ভাইদের কাছ থেকে জবাব পাওয়া ও যাচাই করে নেয়ার আগে তাদের বক্তব্যকে প্রত্যাখান করা বা সন্দেহ সৃষ্টি করা একেবারেই অনুচিত। এরকম করার কারণ হল অনেক ক্ষেত্রেই কৌশলগত কারণে আমাদের মুসলিম ভাইরা কিছু তথ্য পাবলিকলি প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেন পারেন। এ অবস্থানের ব্যাপারে আমাদের সবার স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার।”
(সুত্র- ৯/১১ কি ইনসাইড জব? – সামির খান রহঃ, মিডিয়া দায়িত্বশীল, AQAP)
সম্মানিত পাঠক! এই জায়গাতে একটি কথা না বললেই নয়। আর তা হল যখনই মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় কোন ব্যক্তি বা গ্রুপ সীমিত সামর্থ নিয়েও দাড়িয়ে যায়, তখনই আমরা তাঁকে বিভিন্নভাবে একঘরে করে ফেলি, অনুমানভিত্তিক প্রোপাগান্ডা ছড়াতে থাকি, আসলে এমনটি কেন হচ্ছে? এটা কি আমাদের পরাজিত মানসিকতার কারণে হচ্ছে নাকি আমরা আন্তর্জাতিক কাফেরদের প্রোপাগান্ডার শিকার নিজের অজান্তেই হয়ে গেছি! আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন!
তো এবার আমরা মুল আলোচনায় আসি। মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ ২৫ আগস্টের পুলিশচৌকিতে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন রেখে লিখেছেন “আসলেই কি আরসা নামক কোন সংগঠন পুলিশ চৌকিতে হামলা করেছে? বিশেষ করে ওই ১২ জনের কারোরই ছবি মিয়ানমারের স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক কোন গণমাধ্যমে আজ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি।” একটু পর গিয়ে মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সুত্রে লিখেছেন “একাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুশ জানান ১১ আগস্ট রাখাইনে হটাত করে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতেই ওই সব পুলিশচৌকিতে অগ্নি সংযোগ করা হয়” ২৫ আগস্টের হামলাকারীদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ হিন্দু কর্তৃক নিজেদের ঘর পুড়িয়ে মুসলমানদের দোষারোপ করার সেই নিউজটি এনেছেন। যেখানে মুসলমানরা ঘর পুড়িয়েছে বলে মিথ্যাচার করা হয়েছিল।
মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ আরসার ২৫ আগস্টের হামলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গিয়ে সমকালের সুত্রে লিখেছেন “যদি আরসা এই হামলা করে, তাহলে তাঁদের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে হবে। ... ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের একটি প্রতিবেদন থেকে মিয়ানমার সিমান্তরক্ষী বাহিনী ও আরসার মাঝে ঘুষলেনদেনের মাধ্যমে বিদ্রোহীদের ছেড়ে দেওয়ার খবর জানা যায়। যা আরসার সঙ্গে মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের ইঙ্গিত দেয়”
সম্মানিত পাঠক! আসুন দেখি ২৫ আগস্টের হামলার ব্যাপারে আরসার কি বক্তব্য-
• হংকংভিত্তিক অনলাইন পত্রিকা এশিয়া টাইমসে আরসার মুখপাত্র আব্দুল্লাহর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়, যাতে তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, যখন কফি আনান মিয়ানমার সফর করছেন, ঠিক সে সময় কেন আরসার যোদ্ধারা ২৫ থেকে ৩০টি পুলিশি অবস্থানে হামলা চালাল? এ প্রশ্নের উত্তরে আবদুল্লাহ বলেন, আত্মরক্ষার জায়গা থেকে আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না। তিনি দাবি করেন, মংডু এবং রাথেডুং এলাকার গ্রামগুলোতে আগেই সরকারি সেনা অভিযান চলছিল। কিশোর-তরুণ থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিদের বেঁধে ফেলা হয় এবং ২৫ জনের বেশি গুলিতে নিহত হয়। পাশাপাশি জায়ে দি পায়েইন গ্রাম পুরো ঘিরে ফেলা হয়। এসব আঘাতের জবাব দিতেই আরসা এ সময় হামলার সিদ্ধান্ত নেয় ।
পাঠক! আরসার হাতে নিহত হওয়া বৌদ্ধদের ছবি মিয়ানমার প্রকাশ করেনি, তাই বলে কি আরসার হামলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ আছে?
সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতেই ওই সব পুলিশচৌকিতে অগ্নি সংযোগ করা হয় বলে যে অখ্যাত লোকদের কথা ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়া প্রচার করছে, এর দ্বারা কি আরসার হামলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ আছে?
হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি নাটক বলে আরসার হামলাটিও নাটক হতে হবে? ইতিপূর্বে কি রামু, নাসিরনগর ও সর্বশেষ রংপুরে নিজেদের বাড়িতে হিন্দুরা আগুন লাগিয়ে মুসলমানদের দোষ দেয়নি?
হামলার আগেই রাখাইনে সেনা মোতায়েন হয়েছে বলে কি আরসার হামলা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে?
কাফেরগোষ্ঠীর তৈরি কথিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন থেকে যে তথ্যটা জানা যায়, তা দ্বারা আদৌ কি আরসার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ বা ওদের তৈরি সন্দেহ করা যেতে পারে?
তাছাড়া এই গ্রুপটি তাদের রিপোর্টে এটাও তো বলেছে যে, ‘আরসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের অধিকার আদায়ে লড়াইকারী একটি সংগঠন’ তাহলে একই গ্রুপের একটি তথ্যকে হাইলাইট আরেকটি তথ্যকে কেন পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে?
একজন মুসলিম যদি কথিত গ্রুপটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাহলে কি তার প্রতিবাদ করার সুযোগ থাকবে?
অন্যান্য অনেক মন্দ লোকদের অভিযোগের ন্যায় একটি কথা মাওলানা হাফিজাহুল্লাহর লেখা প্রবন্ধ থেকেও পাঠক বুঝতে পারবে, তা হল সাম্প্রতিক এই হামলার জন্য আরসা দায়ী, কারণ এদের এই হামলাকে ঢাল বানিয়েই বৌদ্ধরা সাম্প্রতিক গণহত্যা শুরু করেছে।
সম্মানিত পাঠক!
আরাকানের মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই বছরই কি গণহত্যা হচ্ছে? ইতিপূর্বে কি কখনো বৌদ্ধরা গণহত্যা চালায়নি?
যদি চালিয়ে থাকে (ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার বড় ধরণের গণহত্যা চালানো হয়েছে, শুধু বাংলাদেশেই পূর্ব থেকে অন্তত ৪ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করে আসছে। আর হতাহতের কোন পরিসংখ্যান কেউ রাখেনি, আর রাখাও সম্ভব নয়) তাহলে আরসার আত্মরক্ষা করার অধিকার নেই? আত্মরক্ষা করলে সেটা কি প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে?
বিষয়টা কি এমন যে এই প্রথম অন্যায়ভাবে আরসা মিয়ানমার সেনা ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে নাকি এটা ইতিপূর্বে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে হত্যা করা, বারিঘর ছাড়া করা ও গণহত্যার একটি অতিশয় ক্ষুদ্র প্রতিবাদ ছিল মাত্র? পাঠক! আমি আমার পুরো পরিবারকে হত্যা ও ধ্বংসের প্রতিবাদে শত্রুকে একটি টোকা দেওয়ায় এটা কি আমার অপরাধ হয়ে গেল?
মাওলানা হাফিজাহুল্লাহর পুরো প্রবন্ধের দালিলিক ও যৌক্তিক প্রতিবাদ করার পর্যাপ্ত ইলম ও যোগ্যতা অধমের নেই। শুধুমাত্র মোটা দাগের কয়েকটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা মাত্র।
• আরসাকে আমি কোন খালেস জিহাদি সংগঠন মনে করি না, কারণ তারা একটি বার্তায় নিজেদের জাতীয়তাবাদী বলে দাবী করেছেন। তবে আরাকানের বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুসলিমদের রক্ষায় যে কোন পদক্ষেপকে কৌশলে সঠিক পথে প্রয়োগ করার পক্ষপাতী
• কিছু কিছু মিডিয়া যেমন আরসাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, তার চাইতে অনেক বেশী সাব্যস্ত করেছে, এছাড়াও জিহাদের একজন তালিবুল ইলম হিসেবে আমার কাছে এটা পরিস্কার যে আরসা আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় কাজ করে যাওয়া একটি সুন্নি গেরিলা সংগঠন।
• আরসা সম্পর্কে নিম্নের লিংকগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ ও অন্যান্যদের প্রতি বিনীত অনুরোধ রইলো-
আরসার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট- https://twitter.com/arsa_official
আবু আম্মার জুনুনি’র ভিডিও বার্তাসমূহ-
পাঠক! আরও লিংক দেওয়া যেত, এগুলোই আপাতত দেখুন ইনশা আল্লাহ! আশা করি আরসা সম্পর্কে ধারণা আরও পরিস্কার হবে।
• মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ শুধুমাত্র কয়েকটি কয়েকটি পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আরসার প্রতি এই অভিযোগগুলো উত্থাপন করেছেন, অথচ এই পত্রিকাগুলোর অন্যান্য রিপোর্ট দ্বারা-ই আরসার অস্তিত্ব প্রমাণ করা সম্ভব! যেমন বিবিসি ও প্রথম আলোর রিপোর্টগুলো। আর এই মিডিয়াগুলোর ইসলাম ও মুসলমান এবং জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরোধিতার বিষয়টা সচেতন মুসলমান কে না জানে?
• মাওলানা হাফিজাহুল্লাহর মত একজন ব্যক্তিত্ব শুধুমাত্র কিছু পত্রিকার উপর নির্ভর করে এই রকম সংবেদনশীল প্রবন্ধ লিখেছেন সেটা সত্যিই আমাদের মত সাধারণ মুসলমান ও তালিবুল ইলমদের মনকষ্টের কারণ!
• শাইখ এভাবে আরসাকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় কি করণীয় সেটা নিয়ে লিখবেন, এমনটাই আমরা আলিমদের থেকে প্রত্যাশা করি?
পাঠক এই সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে আরাকানের মুসলমানদের রক্ষায় আমাদের কি করণীয় সেটা নিয়ে আমি আলোচনায় যাবো না, ফিকহি মাসয়ালা ও মাসায়েল নিয়েও আলোচনা করবো না। এই ব্যাপারে উলামা হযরত, মুজাহিদিন নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বরা প্রকাশ্যে ও গোপনে কমবেশী বলে আসছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে মাওলানা হাফিজাহুল্লাহর মত একজন ব্যক্তিত্বের একটি প্রবন্ধ সমাজে বিশাল প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে, তাই আরাকানের মুসলমানদের অধিকার অর্জনে লড়াইকারী একটিমাত্র জামাআতের বিরুদ্ধে এই রকম কথা, সত্যিই মারাত্মক ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হবে। এটা তো আমার আপন ভাইকে ছুরি হাতে জবাই করার মত হয়ে যাবে! মাওলানা হাফিজাহুল্লাহ পর্যন্ত যদি এই লেখা পৌঁছে তাহলে হযরতকে জিহাদের একজন ছাত্র ও একজন মুসলমান হিসেবে বিনীত আবেদন করবো, হজরত! আপনাদের থেকে এই ধরণের কথা আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু করে! ওয়াল্লাহি! আপনি তো নিশ্চিত না যে, আরসা নেই, যদি আরসা থেকে থাকে, তাহলে আপনার লেখা দ্বারা কেউ যদি বিভ্রান্ত হয়, তাহলে এর দায়ভার কি আপনার উপর বর্তাবে না? আশা করি শাইখ বিষয়টা নিয়ে আবারো কলম ধরবেন, তাসামুহগুলোর ব্যাপারে সঠিক অবস্থান নিবেন!
আসলে এই বিষয়গুলো নিয়ে কলম ধরার লোক নেই, অধমের ইলমও নেই, যোগ্যতা নেই, মুখলিস লেখক ও আলিমদের প্রতি এগিয়ে আসার আহবান থাকলো! আল্লাহ আমার ও আমাদের ভুলগুলোকে ক্ষমা করুন! ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর জন্য আমাদের কবুল করুন! আমিন।
কিছু জরুরী নথিপত্র-
১। মুসলিমদের উপর আরাকানে চলমান নৃশংসতার প্রেক্ষাপটে আল-কায়েদা জাজিরাতুল আরবের বার্তা! বার্মা… এক ভুলে যাওয়া ক্ষত– শায়খ খালিদ বিন উমার আল বাতরাফি (হাফিজাহুল্লাহ)
ভিডিও লিংক- https://my.pcloud.com/publink/show?c...szthG4RuXYRXvX
অনলাইনে পড়ুনঃ https://justpaste.it/BarmaAQAP
পিডিএফ ডাউনলোড করুনঃ https://tinyurl.com/aqap-barma
২। আরাকানের মুসলমানদের সাহায্যে করণীয় সম্পর্কে AQIS মুখপাত্রের বার্তা কাজে নামার আহ্বান -উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
অনলাইনে পড়ুন– https://justpaste.it/kajenamarahban
৩। আশ-শাবাব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিবৃতি ডাকছে আরাকান... আছো কি কেউ সাড়া দেবে?
অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/ashshabab_barta
৪। জামাআত কায়েদাতুল জিহাদ || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব“আরাকান তোমাদের ডাকছে.......”
ডাউনলোড-
৫। আরাকান নিয়ে তিতুমির মিডিয়ার আল বালাগ ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যা- http://www.mediafire.com/file/x3kcd1...+Balagh+-6.pdf
৬। বার্মা... মুসলিম উম্মাহর বুকে এক নতুন রক্তক্ষরণ- উস্তাদ আহমাদ ফারুক রহঃ
পড়ুন- https://archive.org/details/men-soubatik
ভিডিও- http://archive.org/download/Exclusiv...uslimUmmah.mpg
৭। আশ শাবাব এর বিবৃতি- রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্দশাঃ তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ার দাবি!-
অনলাইন পড়ুন-http://justpaste.it/lq3f
৮। রোহিংগা: ঈমানদারদের প্রতি একটি ডাক-
ডাউনলোড - https://my.pcloud.com/publink/show?c...6LE5b208L3a3Dk
৯। আরাকান রাজ্যের ইতিহাস- শাইখ আব্দুর রহমান আল আরিফি - https://www.youtube.com/watch?v=s-xv0aIrEUc
অনলাইন- http://risala.ga/caqa/
Comment