আমাদের আর সাহাবাদের চিন্তা চেতনার মাঝে পর্থক্য তো দেখুন, তাঁরা জিহাদের জন্য বের হওয়াকে কখনো তা'লীমের জন্য প্রতিবন্ধক মনে করতেন না, বরং এটাকে আল্লাহ তা'য়ালার নৈকট্যের সহজ মাধ্যম মনে করতেন৷ জিহাদ ব্যতীত অন্য কোন কাজের জন্য বের হওয়াকে পড়াশুনার জন্য প্রতিবন্ধক মনে করতেন৷ চাই তা ব্যবসার হোক কিংবা জিবিকা উপার্জনের জন্য।
পক্ষান্তরে আমাদের অবস্থা হল সম্পূর্ণরুপে এর বিপরীত৷ আমরা জিহাদকে মনে করি পড়াশুনার পথে প্রতিবন্ধকতা, আর জীবিকা উপার্জন তথা চান্দা উঠানো, কালেকশন করা ইত্যাদিকে বানিয়ে নিয়েছি পড়ালেখার অবিচ্ছেদ্য অংশ ৷ অথচ তাঁরা এটাকেই পড়া শুনার মাঝে খলল সৃষ্টিকারী মনে করতেন৷
হযরত আবু হুরায়রা রা: এর ছাত্র জামানা দেখুন, তিনি রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনের জন্যও বের হতেন না এই আশংকায় যে, যদি ওই মুহুর্তে রাসুল সা: কোন হাদিস বর্ণনা করেন আর তিনি সেটা থেকে বঞ্চিত হয়ে যান? রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনে যাওয়াটা তাঁর নিকট ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে খলল সৃষ্টিকারী মনে হত ৷ কিন্তু জিহাদের ডাক এলে ঠিকই বের হয়ে যেতেন ৷ কেননা জিহাদকে তাঁরা ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি কারী মনে করতেন না ৷ বরং আল্লাহর অধিকতর নৈকট্যের মাধ্যম মনে করতেন ৷
কিন্তু হায় আফসুস! আমরা আজ সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ থেকে কত দূরে সরে গেছি!!!
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
يا ايها النبي حرض المؤمنين علي القتال
হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে জিহাদের জন্য উদ্ভুদ্ধ করুন৷
আমাদের জন্য উচিত আমরা নিজেরা এই ফরজ আদায় করব, তালেবে ইলমদেরকে এ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা, উৎসাহিদেরকে সাহায্য করা ও অভয় দেয়া৷ এবং নিরুৎসাহিতকরী ও জিহাদের পুস্তক পড়ার কারনে কিংবা জিহাদের জযবা রাখার কারনে কোন তালিবে ইলমকে তিরস্কার কারীদেরকে দমন করা।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বিষয় বুঝার ও সে অনুযায়ে আমল করার তাওফিক দান করুন৷ আমিন !!!
- আযহার আযযাম
পক্ষান্তরে আমাদের অবস্থা হল সম্পূর্ণরুপে এর বিপরীত৷ আমরা জিহাদকে মনে করি পড়াশুনার পথে প্রতিবন্ধকতা, আর জীবিকা উপার্জন তথা চান্দা উঠানো, কালেকশন করা ইত্যাদিকে বানিয়ে নিয়েছি পড়ালেখার অবিচ্ছেদ্য অংশ ৷ অথচ তাঁরা এটাকেই পড়া শুনার মাঝে খলল সৃষ্টিকারী মনে করতেন৷
হযরত আবু হুরায়রা রা: এর ছাত্র জামানা দেখুন, তিনি রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনের জন্যও বের হতেন না এই আশংকায় যে, যদি ওই মুহুর্তে রাসুল সা: কোন হাদিস বর্ণনা করেন আর তিনি সেটা থেকে বঞ্চিত হয়ে যান? রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনে যাওয়াটা তাঁর নিকট ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে খলল সৃষ্টিকারী মনে হত ৷ কিন্তু জিহাদের ডাক এলে ঠিকই বের হয়ে যেতেন ৷ কেননা জিহাদকে তাঁরা ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি কারী মনে করতেন না ৷ বরং আল্লাহর অধিকতর নৈকট্যের মাধ্যম মনে করতেন ৷
কিন্তু হায় আফসুস! আমরা আজ সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ থেকে কত দূরে সরে গেছি!!!
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
يا ايها النبي حرض المؤمنين علي القتال
হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে জিহাদের জন্য উদ্ভুদ্ধ করুন৷
আমাদের জন্য উচিত আমরা নিজেরা এই ফরজ আদায় করব, তালেবে ইলমদেরকে এ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা, উৎসাহিদেরকে সাহায্য করা ও অভয় দেয়া৷ এবং নিরুৎসাহিতকরী ও জিহাদের পুস্তক পড়ার কারনে কিংবা জিহাদের জযবা রাখার কারনে কোন তালিবে ইলমকে তিরস্কার কারীদেরকে দমন করা।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বিষয় বুঝার ও সে অনুযায়ে আমল করার তাওফিক দান করুন৷ আমিন !!!
- আযহার আযযাম
Comment