Announcement

Collapse
No announcement yet.

এটি প্রকৃত মুমিনের গুন নয়।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এটি প্রকৃত মুমিনের গুন নয়।

    সাজানো - গোছানো, সুরক্ষিত বক্তৃতার মঞ্চ আর ইসলামী ময়দান / জিহাদি ময়দান এক জিনিষ নয়।শুধু নিজের পছন্দসই কিছু আরামদায়ক ইবাদত করে আর হৃদয় মাতানো বক্তৃতা - বিবৃতি দিয়ে মানুষে বাহবা কুড়ানো যা, কিন্তু আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যায় না, পক্ষান্তরে মুমিনও হওয়া যায় না। মুমিন হতে হলে নিজের পছন্দ- অপছন্দকে আল্লাহর পছন্দ- অপছন্দের কাছে বিলীন করে দিতে হয়। দুনিয়া প্রেম, জালেমের জুলুম আর ভণ্ড লোকের মিষ্টি কথার কাছে ঈমান বিকিয়ে দিয়ে আল্লাহ সন্তুষ্টি পাওয়ার আশা নিতান্তই বিফল। মনে তাখতে হবে ইসলামের পথ পিচ্ছিল, রক্তমাখা পথ, আত্ন্যোৎসর্গের পথ। এ পথে চলতে গেলে আঘাতের পর আঘাত আসবে, অন্তরাত্মা কেঁপে উঠবে, শিহরিত হবে। নিজের অজান্তেই মুমিন প্রশ্ন করে বসবে - কখন আসবে আল্লাহর সাহায্য? আর ঠিক তখনই মুমিনের কানে ভেসে আসবে প্রত্যাশিত জবাব - নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
    سورة توبة ٤٦

  • #2
    বাংলাদেশের বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে কিছু বক্তা বলে জিহাদ করতে হবে ঠিক কি না বলে তখন লোকজন বলে ঠিক আবার খিছু লোক বলে লোক বলে লোকটি মারাত্বক ওয়াজ করেছেন প্রকূত পক্ষে এসব বাড়ীতে গেলেই সব ভূলো যাই একটা প্রবাদ আছে আমাকে ফাসি দেন দেন একটু পর নাস্তা করব এই হলো অবস্থা সাধুবাদ জানাই এই সব ভাইদের যারা শূধুমাএ আনসার ও মুহাজির ভাইদের যারা প্রকূত পক্ষে নিয়ম মেনে দ্বীন কায়েমের কাজ করছে
    রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেনঃ
    «من أطاعني فقد أطاع الله، ومن عصاني فقد عصى الله، ومن أطاع الأمير فقد أطاعني ومن عصى الأمير فقد عصاني»
    “যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো, সে আল্লাহর আনুগত্য করলো। যে ব্যক্তি আমার অবাধ্য হলো, সে আল্লাহর অবাধ্য হলো। যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করলো, সে আমার আনুগত্য করলো। যে ব্যক্তি আমীরের অবাধ্য হলো, সে আমার অবাধ্য হলো”। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ইমারাহ)
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      নিজের অজান্তেই মুমিন প্রশ্ন করে বসবে - কখন আসবে আল্লাহর সাহায্য? আর ঠিক তখনই মুমিনের কানে ভেসে আসবে প্রত্যাশিত জবাব - নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।
      জাযাকাল্লাহ ভাই।

      Comment


      • #4
        আজকের দিনে দুনিয়াকে ত্যাগ করতে পারে এরকম সাথীদের খুবি প্রয়োজন ছিলো। আপনার উপর দায়িত্ব নয় আপনার ছেলের জন্য মাল সম্পদ রেখে যাওয়া। আপনার উপর দায়িত্ব হলো আপনার ছেলেকে দ্বীনের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে যাওয়া। কিন্তু আমরা আজ তার পুরো উল্টোটাই দেখছি। আমরা আখিরাতের জন্য কতটুকু ত্যাগ করতে পারছি? আমরা কি মসজিদকে নিজের পরিবারের একজন ভাবি? আমরা কি আমার পাশে বাড়ীর ঘরিব লোকটিকে আমার পরিবারের একজন কখনো ভেবেছি? আমরা কি ঐ শামী ছাড়া মহিলাকে আমার পরিবারের একজন ভেবেছি? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর কি হবে আমরা নিজেরা ভালো করেই জানি। আজকের মুসলিমরা দান করাকে / যাকাত দেয়াকে আযাব মনে করে। একজন ফকির আসলে মানি ব্যাগের চিপায় পড়ে থাকা ৫টাকার আধলিটাকে বের করে আনি ফকিরকে দেয়ার জন্য। বাসে/ ট্রেনে বসে আছি আমার কাছে একজন ফজির আসলো সে আল্লাহর ওয়াস্তে সাহায্য চাচ্ছে, কত টাকা দেয়? ৫/১০টাকা। অথচ আমার ব্যাংকে হাজার হাজার টাকা পড়ে আছে। এগুলো কার জন্য রেখে যাচ্ছি? যাদের জন্য এই টাকা রেখে যাচ্ছি তারা তো তোমার মাল দিয়ে ডিজে পার্টি বসাবে, যাত্রার মঞ্চ বানাবে। মসজিদে জুমার দিন নামায পড়তে গেছি, দান বাক্স আসলো ৫টাকা দিলাম, এই ৫টাই কিছু হবে? আমরা দ্বীনের সৈনিক দাবী আমরা কত টাকা দেয় ইমারতকে। আমরা ইমারতকে নিজের পরিবারের একজন মনে করি??? মাসে কত টাকা দেয়? আল্লাহই ভালো জানে। একজন মুজাহিদ নিজেকে দ্বীনের মুজাহিদ ভাবার পর কীভাবে ইসালে সাওয়াবের জজন্য মোল্লা মুনশিকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াই???? আমাদের দ্বারা দ্বীন কায়েম হবে??? একজন মুজাহিদের জুতুর দাম ২০০০টা!!! অথচ ইমারাতের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকে প্রয়োজন ছিলো। আল্লাহ আমাদের দ্বীনের জন্য ত্যাগ শিকার করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
        আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
        আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ

          Comment


          • #6
            জাঝাকাল্লাহ ভাই, অল্প কথায় অনেক গুরুত্বপুর্ন বিষয় উপস্থাপন করেছেন।
            মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

            Comment


            • #7
              সুন্দর উপস্থাপনা,মাশাআল্লাহ!

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ ভাই খুব চমৎকার লিখেছেন ৷
                এ দেশে এমনও মোফাচ্ছিরে কেরামগণ আছেন৷ যারা সারাদিন মানুষকে মূমিন হওয়ার বয়ান করে, অথচ নিজে এই সমস্ত দ্বীনের বাণী পোছাঁনোর চাপে মাগরি, এশা, ফজর নামাজ ছেড়ে দেই ৷
                আল্লাহ তায়ালা সকলকে সঠিক ভাবে দ্বীনের দাওয়াত পোছাঁনোর তৌফিক দান করুন৷ আমিন

                Comment

                Working...
                X