কিছুদিন আগে এক ভাইয়ের সাথে দেখা হল, ভাই বললেন; আপনাদের কাজ কি চলছে, না’ কি থেমে গেছে? আমি বললাম; কেন ভাই কি হয়েছে? সে বলল; আমিতো কোনো কাজ দেখছি না। যেখানে আমি আছি সেখানও তেমন মজবুত কোন ভাই নেই। আমাকে দিয়েও কোনো কাজ নেয়া হচ্ছে না। তার কথা শুনে বুঝলাম এটা মুলত তার সমস্যা। কিন্তু কিছু বললাম না, কারণ সে আমার চেয়ে বড়। শুধু এতোটুকু বললাম; হা ভাই কাজ চলছে।
তার কথা শুনে আমার খুব আফসোস হল, সে নাকি কাজ পায় না! অথচ আমরা কাজ করে কুল- কিনারা পাই না। আসলে সমস্যা হল অনেক ভাই আছেন যারা মাছউলের সাথে ঠিকমত যুগাযোগ রাখেন না। আবার অনেকে আছেন তারা মাছউলের সাথে যুগাযোগ রাখেলেও কাজের কোনো আগ্রহ দেখান না, যার কারেণে মাছউল ভাই তাকে কাজ দিতে উৎসাহ পান না। বা অনেকে আছেন তাদেরকে কাজ দিলে ঠিকমত কাজটা করেন না, পরে মাছউল ভাই বিরক্ত হয়ে তাকে আর কাজ দেন না।
আমাদের নিজেদের এই সমস্যা গুলো কাটায় উঠতে হবে। তারপরে যদি দেখেন কোন কাজ হচ্ছে না, তখন অভিযোগ করতে পারেন।
আর বাস্তবিক পক্ষে যারা কাজ করতে চান তাদের তো কাজের কোনো অভাব নেই। আপনি আপনার আশে- পাশে একটু দৃষ্টি বুলালে দেখবেন আপনার সামনে শত শত কাজ জমা হয়ে আছে, যেগুলো আপনি করে সারতে পারবেন না।
যেমন, আপনার আপততো কোনো কাজ নেই, ভাইয়েরা কোনো কাজ দেয়নি। আপনি নিজেও কোনো কাজ পাচ্ছেন না। এই অবসর সময়টাকে অবহেলায় কাটায় দিয়েন না। যদি আপনি মাদরাসার ছাত্র হন তাহলে তো আপনার কাজের কোনো সীমাই নেই, কারণ আপনারাই তো জাতীর কর্ণধার। জাতির পথ প্রদর্শক। জাতীকে পথ দেখিয়ে সামনে আগায় নিতে হবে আপনাকেই। তাই আপনাকে জানতে হবে অসংখ্য অগনিতো মাছায়েল। বুজতে হবে কোরআন- হাদীস সঠিকভাবে। উম্মাতের এই দুরাবস্থা কালে নৈাকার হাল ধরার মত কেউ নেই। নৈাকার হাল ধরে আপনাকেই শত বাধা, ভয়-ভীতি আর পাহাড়সম ঢেউ অতিক্রম করে জাতীকে পৈাছে দিতে হবে তার মানজিলে মাকসুদে। আর বেশি দেরি নয় যেদিন ইসলামী খিলাফাত কায়েম হবে। সেদিন বিচারকার্য আপনাকেই সম্পাদন করতে হবে। কোরআন- হাদীস সামনে রেখে উম্মাতের মাঝে সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়ার দায়িত্ত্ব তখন আপনার উপরই আসবে। তখন আপনি কি করবেন যদি অবসর সময়টাকে কাজে না লাগান। কারণ, মাদরাসায় পড়া-লেখা করেছেন দশ থেকে বার বছর কিন্তু কোনো দিন তো আপনাকে জিহাদের মাসআলা পড়ানো হয় নাই। পড়ানো হয় নাই কাজা, হুদুদ, কিসাস, আমান, গনিমত, দারুল ইসলাম, দারুল হারবের মাসআলা সহ আরো অসংখ্য মাসায়েল। এগুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে কি এই কাজগুলো কে করবে। যারা এই পথে আসে নাই, যারা এ কাজ বুঝে নাই তারা এসেতো আমাদের কাজ করে দিবে না। আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে। তাই আপনি অলস সময় না কাটিয়ে, সময়টাকে কাজে লাগান। জিহাদের একটা মাসআলা হল করেন। হুদুদ- কিসাস নিয়ে পড়া-লেখা করেন। ইসলামী বিচার ব্যবস্থা নিয়ে পড়-লেখা করেন। আর যদি এটা আপনার সাধ্যে না কুলায়, তাহলে আরো সহজ কাজ করেন। আরবি এবং বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়া-লেখা করেন। তারপরে শায়েখদের শত শত আরবি রিসালা আছে সেগুলো অনুবাদ করে জাতীর কাছে পৈাছে দেন। তাও যদি না পারেন দাওয়া ইলাল্লাহতে একটা আইডি খোলেন। প্রতিদিন সুন্দর দেখে একটা লেখা পোষ্ট করেন। আপনার এই একটু কোরবানির কারণে হাজারও মানুষের উপকার হতে পারে। কে বলছে আপনার কাজ নেই? আপনার সামনে তো শত শত কাজ পড়ে আছে। কাজ শুরু করে দিন ইনশাআল্লাহ, দেখবেন আপনি কাজ না পেলেও কাজ এসে ঠিকই আপনার কাছে ধরা দিবে।
পরবর্তি পর্বে জেনারেল ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
তার কথা শুনে আমার খুব আফসোস হল, সে নাকি কাজ পায় না! অথচ আমরা কাজ করে কুল- কিনারা পাই না। আসলে সমস্যা হল অনেক ভাই আছেন যারা মাছউলের সাথে ঠিকমত যুগাযোগ রাখেন না। আবার অনেকে আছেন তারা মাছউলের সাথে যুগাযোগ রাখেলেও কাজের কোনো আগ্রহ দেখান না, যার কারেণে মাছউল ভাই তাকে কাজ দিতে উৎসাহ পান না। বা অনেকে আছেন তাদেরকে কাজ দিলে ঠিকমত কাজটা করেন না, পরে মাছউল ভাই বিরক্ত হয়ে তাকে আর কাজ দেন না।
আমাদের নিজেদের এই সমস্যা গুলো কাটায় উঠতে হবে। তারপরে যদি দেখেন কোন কাজ হচ্ছে না, তখন অভিযোগ করতে পারেন।
আর বাস্তবিক পক্ষে যারা কাজ করতে চান তাদের তো কাজের কোনো অভাব নেই। আপনি আপনার আশে- পাশে একটু দৃষ্টি বুলালে দেখবেন আপনার সামনে শত শত কাজ জমা হয়ে আছে, যেগুলো আপনি করে সারতে পারবেন না।
যেমন, আপনার আপততো কোনো কাজ নেই, ভাইয়েরা কোনো কাজ দেয়নি। আপনি নিজেও কোনো কাজ পাচ্ছেন না। এই অবসর সময়টাকে অবহেলায় কাটায় দিয়েন না। যদি আপনি মাদরাসার ছাত্র হন তাহলে তো আপনার কাজের কোনো সীমাই নেই, কারণ আপনারাই তো জাতীর কর্ণধার। জাতির পথ প্রদর্শক। জাতীকে পথ দেখিয়ে সামনে আগায় নিতে হবে আপনাকেই। তাই আপনাকে জানতে হবে অসংখ্য অগনিতো মাছায়েল। বুজতে হবে কোরআন- হাদীস সঠিকভাবে। উম্মাতের এই দুরাবস্থা কালে নৈাকার হাল ধরার মত কেউ নেই। নৈাকার হাল ধরে আপনাকেই শত বাধা, ভয়-ভীতি আর পাহাড়সম ঢেউ অতিক্রম করে জাতীকে পৈাছে দিতে হবে তার মানজিলে মাকসুদে। আর বেশি দেরি নয় যেদিন ইসলামী খিলাফাত কায়েম হবে। সেদিন বিচারকার্য আপনাকেই সম্পাদন করতে হবে। কোরআন- হাদীস সামনে রেখে উম্মাতের মাঝে সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়ার দায়িত্ত্ব তখন আপনার উপরই আসবে। তখন আপনি কি করবেন যদি অবসর সময়টাকে কাজে না লাগান। কারণ, মাদরাসায় পড়া-লেখা করেছেন দশ থেকে বার বছর কিন্তু কোনো দিন তো আপনাকে জিহাদের মাসআলা পড়ানো হয় নাই। পড়ানো হয় নাই কাজা, হুদুদ, কিসাস, আমান, গনিমত, দারুল ইসলাম, দারুল হারবের মাসআলা সহ আরো অসংখ্য মাসায়েল। এগুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে কি এই কাজগুলো কে করবে। যারা এই পথে আসে নাই, যারা এ কাজ বুঝে নাই তারা এসেতো আমাদের কাজ করে দিবে না। আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে। তাই আপনি অলস সময় না কাটিয়ে, সময়টাকে কাজে লাগান। জিহাদের একটা মাসআলা হল করেন। হুদুদ- কিসাস নিয়ে পড়া-লেখা করেন। ইসলামী বিচার ব্যবস্থা নিয়ে পড়-লেখা করেন। আর যদি এটা আপনার সাধ্যে না কুলায়, তাহলে আরো সহজ কাজ করেন। আরবি এবং বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়া-লেখা করেন। তারপরে শায়েখদের শত শত আরবি রিসালা আছে সেগুলো অনুবাদ করে জাতীর কাছে পৈাছে দেন। তাও যদি না পারেন দাওয়া ইলাল্লাহতে একটা আইডি খোলেন। প্রতিদিন সুন্দর দেখে একটা লেখা পোষ্ট করেন। আপনার এই একটু কোরবানির কারণে হাজারও মানুষের উপকার হতে পারে। কে বলছে আপনার কাজ নেই? আপনার সামনে তো শত শত কাজ পড়ে আছে। কাজ শুরু করে দিন ইনশাআল্লাহ, দেখবেন আপনি কাজ না পেলেও কাজ এসে ঠিকই আপনার কাছে ধরা দিবে।
পরবর্তি পর্বে জেনারেল ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
Comment