কিছুদিন আগে প্রচলিত ধারার দাওয়াত ও তাবলীগের উপর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে গেছে৷আমীর সাহেবকে নিয়ে উপর পর্যায়ে বহুদিন থেকে চলে আসা একটা বিতর্ক তৃণমূলপর্যায়ে এসে পৌছেছে৷ সঙ্গত কারণেই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে পুরো জামাত প্রধানত দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে৷সাধারণ বিচারে ভাগ দু'টো হচ্ছে—আলেম পক্ষ ও অ-আলেম পক্ষ৷ যদিও দ্বিতীয় ভাগটাতে গুটি কয়েক আলেমের উপস্থিতি আছে এবং এ পক্ষটার প্রাণভ্রমরাও হচ্ছেন একজন আলেম ,যাকে নিয়েই মূলত বিবাদ৷ সব মিলিয়ে অশান্তি আর উত্তেজনা ৷
সঙ্কটাপন্ন এ পরিস্থিতির জন্য কোন পক্ষ দায়ী সে তর্কে না গিয়ে আমরা দেখবো , ''ওয়ারিছে আম্বিয়া" দাবীদার (অবশ্যই সঠিক দাবী)সমাজের আলেম শ্রেণী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজেদের দায়িত্ব পালনার্থে কিরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?
আমরা সকলে জেনে থাকবো , এবারকার বিশ্ব ইজতেমার আগে আগে বিমানবন্দর মহাসড়কে অনুষ্ঠিত সম্মেলন,ইজতেমার পুরো সময়টাতে অব্যাহত কাকরাইল অবরোধসহ আগে পরে বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে আলেম সমাজ উপস্থিত প্রেক্ষিতে তাদের কঠোর অবস্থান তুলে ধরেছেন৷সবকিছু বিচারে বলতে হয় , চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় উলামায়ে কেরাম কঠোর অবস্থান গ্রহণকেই প্রধান ও মুখ্য হিসেবে দেখছেন৷ নমনীয় খন্ড-পদক্ষেপগুলো প্রসঙ্গক্রমে এসেছে৷বিষয়টা আরো স্পষ্ট হয় যখন শুনি,তাবলীগ-অন্ত-প্রাণ আমাদের উস্তাদদের অনেকেই বলছেন , "কাকরাইলের মুকীম আলেমরা যদি আরেকটু কঠোর হতেন ,তাহলে বিষয়টা এতদূর গড়াতো না ৷"
এককথায় আলেমরা পরিস্থিতি পরিবর্তনে কঠোরতাকে পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন ৷
কিন্তু এসবের মধ্য দিয়ে তারা বড় রকম স্ববিরোধিতার শিকার হয়েছেন ৷নিজেদের অজ্ঞাতেই তাদের সিদ্ধান্ত থেকে একটা সত্য ফুটে উঠেছে৷
আজকে যাদের বড় একটা অংশ মুখে কিংবা কাজে জিহাদকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার পথে অ-যুগোপযোগী ও অকার্যকর বলছে ; যারা বলছে,কুরআনে কারীমের ভাষ্যানুযায়ী নবীগণের দ্বীন ক্বায়েমের পন্থা কেবল চারটি —দাওয়াত,তাযকিয়া,তা'লীমে কিতাব ও তা'লীমে সুন্নাহ ,( এইতো কিছুদিন হল ,দেশের একজন প্রখ্যাত আলেমের মুখ থেকে নিজ কানে আমি কথাটা শুনেছি) তারাই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ পটভূমিতে যখন কঠোরতার কথা বলেন ,তখন কষ্টের হাসি হাসতে হয়৷ দ্বীন কায়েমের প্রশ্নে তাদের নমনীয় নীতির দাবী তো ছিল, আমীরকে আমীর থাকতে দেয়া,তার আপত্তিকর কথাগুলোর ভেতরে ভেতরে সমালোচনা করা এবং একটা জামাতকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর আমীর সাহেব ও তার অন্ধভক্তদের কাছে গাশত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া,যতক্ষণ না আমীর সাহেব নেযামুদ্দীনের মেম্বার থেকে পূর্বের আপত্তিকর কথাগুলো ভুল বলে স্বীকৃতি ঘোষণা করেন ৷ আর ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর নীতির দাবী ছিল ,তাকে আমীর মেনে নিয়ে যত পারা যায় মিটিং-মিছিল করা৷ সরাসরি নিযামুদ্দীনের ইমারতকে অস্বীকার করার মত দুঃসাহস দেখানো (!)কখনোই কর্মসূচীতে থাকার কথা ছিলনা৷ অথচ সেটিই তারা করেছেন এবং নিঃসন্দেহে যথার্থ করেছেন৷
সহজ সমীকরণ বিশ্লেষণ করলে যে ফলাফল দাঁড়ায় ,সেটি হচ্ছে , এখানে যেরকম কঠোরতা ছেড়ে পরিস্থিতি পরিবর্তনের কথা ভাবা যায় না ,একইভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জিহাদের কোন বিকল্প কল্পনা করা যায় না৷ কারণ আল্লাহ তায়ালা মু'মিনদের গুণাগুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন :
(1)أذلة على المؤمنين أعزة ن على الكافرين
(2)أشداء على الكفار رحماء بينهم
এছাড়াওجاهد الكفار والمنا فقين واغلظ عليهم এবং وليجدوافيكم غلظة এর মত বহু আয়াত "ওয়ালা-বারা"এর প্রশ্নে আমাদের জন্য সত্য-নির্দেশক হয়ে কুরআনের পাতায় জ্বলজ্বল করছে ৷ আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন ৷আমীন ৷
সঙ্কটাপন্ন এ পরিস্থিতির জন্য কোন পক্ষ দায়ী সে তর্কে না গিয়ে আমরা দেখবো , ''ওয়ারিছে আম্বিয়া" দাবীদার (অবশ্যই সঠিক দাবী)সমাজের আলেম শ্রেণী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজেদের দায়িত্ব পালনার্থে কিরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?
আমরা সকলে জেনে থাকবো , এবারকার বিশ্ব ইজতেমার আগে আগে বিমানবন্দর মহাসড়কে অনুষ্ঠিত সম্মেলন,ইজতেমার পুরো সময়টাতে অব্যাহত কাকরাইল অবরোধসহ আগে পরে বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে আলেম সমাজ উপস্থিত প্রেক্ষিতে তাদের কঠোর অবস্থান তুলে ধরেছেন৷সবকিছু বিচারে বলতে হয় , চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় উলামায়ে কেরাম কঠোর অবস্থান গ্রহণকেই প্রধান ও মুখ্য হিসেবে দেখছেন৷ নমনীয় খন্ড-পদক্ষেপগুলো প্রসঙ্গক্রমে এসেছে৷বিষয়টা আরো স্পষ্ট হয় যখন শুনি,তাবলীগ-অন্ত-প্রাণ আমাদের উস্তাদদের অনেকেই বলছেন , "কাকরাইলের মুকীম আলেমরা যদি আরেকটু কঠোর হতেন ,তাহলে বিষয়টা এতদূর গড়াতো না ৷"
এককথায় আলেমরা পরিস্থিতি পরিবর্তনে কঠোরতাকে পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন ৷
কিন্তু এসবের মধ্য দিয়ে তারা বড় রকম স্ববিরোধিতার শিকার হয়েছেন ৷নিজেদের অজ্ঞাতেই তাদের সিদ্ধান্ত থেকে একটা সত্য ফুটে উঠেছে৷
আজকে যাদের বড় একটা অংশ মুখে কিংবা কাজে জিহাদকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার পথে অ-যুগোপযোগী ও অকার্যকর বলছে ; যারা বলছে,কুরআনে কারীমের ভাষ্যানুযায়ী নবীগণের দ্বীন ক্বায়েমের পন্থা কেবল চারটি —দাওয়াত,তাযকিয়া,তা'লীমে কিতাব ও তা'লীমে সুন্নাহ ,( এইতো কিছুদিন হল ,দেশের একজন প্রখ্যাত আলেমের মুখ থেকে নিজ কানে আমি কথাটা শুনেছি) তারাই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ পটভূমিতে যখন কঠোরতার কথা বলেন ,তখন কষ্টের হাসি হাসতে হয়৷ দ্বীন কায়েমের প্রশ্নে তাদের নমনীয় নীতির দাবী তো ছিল, আমীরকে আমীর থাকতে দেয়া,তার আপত্তিকর কথাগুলোর ভেতরে ভেতরে সমালোচনা করা এবং একটা জামাতকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর আমীর সাহেব ও তার অন্ধভক্তদের কাছে গাশত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া,যতক্ষণ না আমীর সাহেব নেযামুদ্দীনের মেম্বার থেকে পূর্বের আপত্তিকর কথাগুলো ভুল বলে স্বীকৃতি ঘোষণা করেন ৷ আর ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর নীতির দাবী ছিল ,তাকে আমীর মেনে নিয়ে যত পারা যায় মিটিং-মিছিল করা৷ সরাসরি নিযামুদ্দীনের ইমারতকে অস্বীকার করার মত দুঃসাহস দেখানো (!)কখনোই কর্মসূচীতে থাকার কথা ছিলনা৷ অথচ সেটিই তারা করেছেন এবং নিঃসন্দেহে যথার্থ করেছেন৷
সহজ সমীকরণ বিশ্লেষণ করলে যে ফলাফল দাঁড়ায় ,সেটি হচ্ছে , এখানে যেরকম কঠোরতা ছেড়ে পরিস্থিতি পরিবর্তনের কথা ভাবা যায় না ,একইভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জিহাদের কোন বিকল্প কল্পনা করা যায় না৷ কারণ আল্লাহ তায়ালা মু'মিনদের গুণাগুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন :
(1)أذلة على المؤمنين أعزة ن على الكافرين
(2)أشداء على الكفار رحماء بينهم
এছাড়াওجاهد الكفار والمنا فقين واغلظ عليهم এবং وليجدوافيكم غلظة এর মত বহু আয়াত "ওয়ালা-বারা"এর প্রশ্নে আমাদের জন্য সত্য-নির্দেশক হয়ে কুরআনের পাতায় জ্বলজ্বল করছে ৷ আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন ৷আমীন ৷
Comment