মাঝেমাঝে অনলাইনে দেখা যায়, মুজাহিদ ভাইদের কেউকেউ কওমি ভাইদের দিকে তীর্যক প্রশ্ন ছুড়ে দেন এভাবে-
"গত একযুগে কওমী মাদরাসা থেকে কয়জন মুজাহিদ তৈরি হয়েছেন? দুই একজনের নাম বলেন। আচ্ছা ১০ জন কওমী এমন মুজাহিদের নাম বলুল তো যাহারা আফগান সিরিয়া, ইরাক, আফ্রিকায় হিজরত করেছেন.."
আসলে ভাই, ঢালাওভাবে এভাবে বলা বোধ হয় ঠিক হবেনা। কারণ প্রথমত অনেক ক্ষেত্রে বিশেষত বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা একটা কৌশলগত অবস্থান ও বক্তব্য। যেহেতু জঙ্গিবাদের তীর শুরু থেকেই কওমি মাদ্রাসাগুলির দিকে। তাই ইদানিং কলেজ-ভার্সিটিগুলির সাথে জঙ্গিবাদকে জড়িয়ে দেয়ায় এ বক্তব্যের আড়ালে কওমিওয়ালাদের জন্য এখন কাজ করা সহজ হবে। তাছাড়া এ লাইনের অনেক কাজ এমন আছে যা কওমি ছাত্রদের পক্ষে অনেকটা কঠিন। যেমন, আসকারী ও মিডিয়ার অনেক কাজ। আর বর্তমান সময়ে যেহেতু জিহাদি কার্যক্রম অনেকটাই মিডিয়া নির্ভর তাই এখানেও কওমি মাদ্রাসার প্রাতিষ্ঠানিক আইনি সীমাবদ্ধতা আছে। কারণ ব্যক্তিগতভাবে মোবাইল চালানো আর মিডিয়ায় কাজ করা সমান কথা না।
আর হিজরতের ব্যাপারে কথা হল, এক্ষেত্রে যথেষ্ট কৌশলের সাথেসাথে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সাপোর্টের ব্যাপার আছে। যেকেউ চাইলেই তো আর হলনা। মাদ্রাসাওয়ালাদের বিদেশ সফরের ব্যাপারে অভিযোগ তো তবলীগওয়ালারাও করে।
আর ব্যাপকভাবে জিহাদি জযবা তৈরির ক্ষেত্রে দীনী পরিবেশগত প্রতিকূলতার একটা বড় ধরনের প্রভাব আছে। যা কলেজ-ভার্সিটিতে প্রকট। এই প্রতিকূলতা ছাড়া এই জযবা জমে উঠেনা। দীনি ক্ষেত্রে পরিস্থিতিগত সংকট যত বাড়বে, জিহাদের আগুন ততই দাউদাউ করে জ্বলবে। একথাই যুগেযুগে চিরসত্য ও বাস্তব। এখন বলেন, এটা কি কওমি মাদ্রাসায় আছে? তাছাড়া বিশ্বপরিস্থিতি বিশেষত বিশ্বকুফফার-মুসলিম সংঘাত পরিস্থিতি সম্পর্কে আপডেট খবরাখবর রাখার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে, যা নির্ভরশীল অবাধ ইন্টারনেট সুবিধার উপর। এক্ষেত্রেও ওই প্রাতিষ্ঠানিক আইনি সীমাবদ্ধতা আছে।
"গত একযুগে কওমী মাদরাসা থেকে কয়জন মুজাহিদ তৈরি হয়েছেন? দুই একজনের নাম বলেন। আচ্ছা ১০ জন কওমী এমন মুজাহিদের নাম বলুল তো যাহারা আফগান সিরিয়া, ইরাক, আফ্রিকায় হিজরত করেছেন.."
আসলে ভাই, ঢালাওভাবে এভাবে বলা বোধ হয় ঠিক হবেনা। কারণ প্রথমত অনেক ক্ষেত্রে বিশেষত বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা একটা কৌশলগত অবস্থান ও বক্তব্য। যেহেতু জঙ্গিবাদের তীর শুরু থেকেই কওমি মাদ্রাসাগুলির দিকে। তাই ইদানিং কলেজ-ভার্সিটিগুলির সাথে জঙ্গিবাদকে জড়িয়ে দেয়ায় এ বক্তব্যের আড়ালে কওমিওয়ালাদের জন্য এখন কাজ করা সহজ হবে। তাছাড়া এ লাইনের অনেক কাজ এমন আছে যা কওমি ছাত্রদের পক্ষে অনেকটা কঠিন। যেমন, আসকারী ও মিডিয়ার অনেক কাজ। আর বর্তমান সময়ে যেহেতু জিহাদি কার্যক্রম অনেকটাই মিডিয়া নির্ভর তাই এখানেও কওমি মাদ্রাসার প্রাতিষ্ঠানিক আইনি সীমাবদ্ধতা আছে। কারণ ব্যক্তিগতভাবে মোবাইল চালানো আর মিডিয়ায় কাজ করা সমান কথা না।
আর হিজরতের ব্যাপারে কথা হল, এক্ষেত্রে যথেষ্ট কৌশলের সাথেসাথে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সাপোর্টের ব্যাপার আছে। যেকেউ চাইলেই তো আর হলনা। মাদ্রাসাওয়ালাদের বিদেশ সফরের ব্যাপারে অভিযোগ তো তবলীগওয়ালারাও করে।
আর ব্যাপকভাবে জিহাদি জযবা তৈরির ক্ষেত্রে দীনী পরিবেশগত প্রতিকূলতার একটা বড় ধরনের প্রভাব আছে। যা কলেজ-ভার্সিটিতে প্রকট। এই প্রতিকূলতা ছাড়া এই জযবা জমে উঠেনা। দীনি ক্ষেত্রে পরিস্থিতিগত সংকট যত বাড়বে, জিহাদের আগুন ততই দাউদাউ করে জ্বলবে। একথাই যুগেযুগে চিরসত্য ও বাস্তব। এখন বলেন, এটা কি কওমি মাদ্রাসায় আছে? তাছাড়া বিশ্বপরিস্থিতি বিশেষত বিশ্বকুফফার-মুসলিম সংঘাত পরিস্থিতি সম্পর্কে আপডেট খবরাখবর রাখার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে, যা নির্ভরশীল অবাধ ইন্টারনেট সুবিধার উপর। এক্ষেত্রেও ওই প্রাতিষ্ঠানিক আইনি সীমাবদ্ধতা আছে।
Comment