Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইস্তেখারা করার নিয়মাবলী সম্পর্কে জানতে চাই?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইস্তেখারা করার নিয়মাবলী সম্পর্কে জানতে চাই?

    আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়েরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। রমজান প্রায় শেষের পথে। কিছু দিন পরেই ঈদ। সব ভাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আল্লাহ সবাইকে কবুল করুক।
    কোন ভাই এর কাছে ইস্তেখারার কোন বই / আর্টিকেল থাকলে দিতে পারেন।
    ফোরামে মনে হয় একবার মুফতি তাক্বী উসমানী দা.বা এর একটি বই এর লিংক দেয়া হয়েছিল। এটা কারো কাছে থাকলে তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য বিনীতভাবে ভাইদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
    ভাইদের কাছে দোয়া চাচ্ছি বিশেষভাবে আমার জন্য। ব্যক্তিগত অনেকখানি সীদ্ধান্ত হীনতায় ভোগতেছি। আল্লাহ যেন সহায় হোন এবং সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি। যদিও আমি বেশির ভাগ সময়েই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। ভাইদের কাছে আবারো দোয়া চেয়ে বিদায় নিচ্ছি।
    জীবনের ছোট -বড় সকল বিষয়ে সুন্নাহর উপর আমল করো, সর্বপরকার বিদ'আত থেকে দূরে থাকো! আল্লাহকে যদি ভালোবাসো, আল্লাহর নবীকে অনুসরণ কর।

  • #2
    প্রশ্ন: ইস্তিখারার নামাযের পদ্ধতি কী ? ইস্তিখারার নামাযে কোন দোয়া পড়তে হবে?

    উত্তর:* ইস্তিখারার নামাযের দোয়া জাবের বিন আব্দুল্লাহ্* আল-সুলামি (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্* সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে সর্ববিষয়ে ইস্তিখারা করা শিক্ষা দিতেন; যেভাবে তিনি তাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন: তোমাদের কেউ যখন কোন কাজের উদ্যোগ নেয় তখন সে যেন দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে। অতঃপর বলে:

    *اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الغُيُوبِ ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ (ثم تسميه بعينه) خَيْرا لِي في عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ قال أو فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاقْدُرْهُ لي وَيَسِّرْهُ لي ثُمَّ بَارِكْ لي فِيهِ ، اللهم وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّه شَرٌّ لي في ديني وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي أَوْ قَالَ في عَاجِلِ أمري وَآجِلِهِ ، فَاصْرِفْنِي عَنْهُ [واصْرِفْهُ عَنِّى]، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رضِّنِي به،

    (অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আমি আপনার শক্তির সাহায্যে শক্তি ও আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। কেননা আপনিই ক্ষমতা রাখেন; আমি ক্ষমতা রাখি না। আপনি জ্ঞান রাখেন, আমার জ্ঞান নেই এবং আপনি অদৃশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত। হে আল্লাহ! আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ (নিজের প্রয়োজনের নামোল্লেখ করবে) আমার বর্তমান ও ভবিষ্যত জীবনের জন্য কিংবা বলবে আমার দ্বীনদারি, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে কল্যাণকর হলে আপনি তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন। সেটা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং তাতে বরকত দিন। হে আল্লাহ্*! আর যদি আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ আমার দ্বীনদারি, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে কিংবা বলবে, আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য অকল্যাণকর হয়, তবে আপনি আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে দিন এবং সেটাকেও আমার থেকে ফিরিয়ে রাখুন। আমার জন্য সর্বক্ষেত্রে কল্যাণ নির্ধারণ করে রাখুন এবং আমাকে সেটার প্রতি সন্তুষ্ট করে দিন।”

    [সহিহ বুখারী (৬৮৪১) এ হাদিসটির আরও কিছু রেওয়ায়েত তিরমিযি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমাদে রয়েছে]

    হাফেয ইবনে হাজার (রহঃ) হাদিসটির ব্যাখ্যায় বলেন:استخارة (ইস্তিখারা) শব্দটি اسم বা বিশেষ্য। আল্লাহ্*র কাছে ইস্তিখারা করা মানে কোন একটি বিষয় বাছাই করার ক্ষেত্রে আল্লাহ্*র সাহায্য চাওয়া। উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে ব্যক্তিকে দুটো বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয় বাছাই করে নিতে হবে, সে যেন ভালটিকে বাছাই করে নিতে পারে সে প্রার্থনা।

    তাঁর কথা--- “রাসূলুল্লাহ্* সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সর্ববিষয়ে ইস্তিখারা করা শিক্ষা দিতেন”
    ইবনে আবু জামরা বলেন, এটি এমন একটি আম (সাধারণ)কথা যার থেকে কিছু একককে খাস (বিশেষায়িত) করা হয়েছে। কেননা ওয়াজিব ও মুস্তাহাব কর্ম পালন করার ক্ষেত্রে এবং হারাম ও মাকরূহ বিষয় বর্জন করার ক্ষেত্রে ইস্তিখারা করা যাবে না। তাই ইস্তিখারার গণ্ডি সীমাবদ্ধ শুধু মুবাহ বিষয়ের ক্ষেত্রে এবং এমন মুস্তাহাবের ক্ষেত্রে যে মুস্তাহাব অপর একটি মুস্তাহাবের সাথে সাংঘর্ষিক; সুতরাং দুইটির কোনটা আগে পালন করবে কিংবা কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা পালন করবে সেক্ষেত্রে।
    ইবনে হাজার রহ. বলেন: এ সাধারণটি বড় ছোট সকল বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। কারণ, অনেক ছোটখাট বিষয়ের উপর অনেক বড় বিষয়ও নির্ভর করে থাকে।

    হাদিসের বাক্য --- “উদ্যোগ নেয়”

    হযরত ইবনে মাসউদ রাযি.র হাদিসে এসেছে, যখন তোমাদের কেউ কোন কিছু করার সংকল্প করে, তখন সে যেন বলে।

    হাদিসের বাক্য --- “সে যেন দুই রাকাত নামায আদায় করে... ফরয নামায নয়”

    এ বাণীর মাধ্যমে ফরয নামাযকে বাদ দেয়া হয়েছে। ইমাম নববী তাঁর ‘আল-আযকার’ গ্রন্থে বলেছেন: উদাহরণস্বরূপ যদি যোহরের সুন্নত নামাযের পরে, কিংবা অন্যকোন নামাযের সুন্নতের পরে কিংবা সাধারণ নফল নামাযের পরে ইস্তিখারার দোয়া করে ... তবে আপাত প্রতীয়মান হচ্ছে যে, যদি ঐ নামাযের সাথে ইস্তিখারার নামাযেরও নিয়ত করে তাহলে জায়েয হবে; নিয়ত না করলে জায়েয হবে না।
    ইবনে আবু জামরা রহ.* বলেন, ইস্তিখারার দোয়ার আগে নামায পড়ার রহস্য হল, ইস্তিখারার উদ্দেশ্য হচ্ছে, একসাথে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ করা। আর এটি পেতে হলে রাজাধিরাজের দরজায় নক করা প্রয়োজন। আল্লাহ্*র প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাঁর স্তুতি জ্ঞাপন ও তাঁর কাছে ধর্ণা দেয়ার ক্ষেত্রে নামাযের চেয়ে কার্যকর ও সফল আর কিছু নেই।

    হাদিসের বাক্য --- “অতঃপর সে যেন বলে”

    এর থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, এ দোয়াটি নামায শেষ করার পরে পড়তে হবে। এমন সম্ভাবনাও রয়েছে যে, এক্ষেত্রে ক্রমধারা হবে নামাযের যিকির-আযকার ও দোয়াগুলো পড়ার পরে সালাম ফিরানোর আগে ইস্তিখারার দোয়াটি পড়বে।

    হাদিসের বাক্য --- "اللهم إني أستخيرك بعلمك"

    এখানে ب হরফটি করণাত্মক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এ ব্যাখ্যার আলোকে অর্থ হবে, ‘আমি আপনার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করছি; যেহেতু আপনি অধিক জ্ঞানী’। এবং بقدرتك এর মধ্যেও ب হরফটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। (সেক্ষেত্রে অর্থ হবে, আমি আপনার কাছে শক্তি প্রার্থনা করছি; কারণ আপনি ক্ষমতাবান।) আবার ب হরফটি استعانة বা সাহায্য অর্থেও ব্যবহৃত হতে পারে। (সে ক্ষেত্রে অর্থ হবে ‘হে আল্লাহ্*! আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করছি’। দ্বিতীয় বাক্যের অর্থ হবে, ‘আমি আপনার শক্তির সাহায্যে শক্তি প্রার্থনা করছি’।)

    হাদিসের বাক্য --- "أستقدرك"

    এর অর্থ হচ্ছে, উদ্দেশ্য হাছিলে আমি আপনার কাছে শক্তি প্রার্থনা করছি। আরেকটি অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে, আমি আপানার কাছে প্রার্থনা করছি- আপনি আমার তাকদীরে সেটা রাখুন। উদ্দেশ্য হচ্ছে- আপনি আমার জন্য সেটা সহজ করে দিন।

    হাদিসের বাক্য --- "وأسألك من فضلك" অর্থ- আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি।

    *এ বাক্যের মধ্যে এদিকে ইশারা রয়েছে যে, আল্লাহ্*র দান হচ্ছে তাঁর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ। তাঁর নেয়ামত প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাঁর উপর কারো কোন অধিকার নেই। এটাই আহলে সুন্নাহ্*র অভিমত।

    হাদিসের বাক্য --- فإنك تقدر ولا أقدر، وتعلم ولا أعلم* (অর্থ- কেননা আপনিই ক্ষমতা রাখেন; আমি ক্ষমতা রাখি না। আপনি জ্ঞান রাখেন, আমার জ্ঞান নেই)

    এ কথার দ্বারা এদিকে ইশারা করা হয়েছে যে, জ্ঞান ও ক্ষমতা এককভাবে আল্লাহ্*র জন্য। আল্লাহ্* বান্দার জন্য যতটুকু তাকদীর বা নির্ধারণ করে রেখেছেন এর বাইরে বান্দার কোন জ্ঞান বা ক্ষমতা নেই।
    হাদিসের বাক্য --- اللهم إن كنت تعلم أن هذا الأمر* (অর্থ, হে আল্লাহ! আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ। অপর এক বর্ণনায় এসেছে, ‘নিজের প্রয়োজনের নামোল্লেখ করবে’)

    ভাবপ্রকাশের বাহ্যিক শৈলী থেকে বুঝা যাচ্ছে প্রয়োজনটি উচ্চারণ করবে। আবার এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, দোয়া করার সময় মনে করলেও চলবে।

    হাদিসের বাক্য --- (فاقدره لي..) (অর্থ- আপনি তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন)
    অর্থাৎ আমার জন্য সেটা বাস্তবায়ন করে দিন। কিংবা অর্থ হবে আমার জন্য সেটা সহজ করে দিন।

    হাদিসের বাক্য --- (فاصرفه عني واصرفني عنه) (অর্থ, তবে আপনি তা আমার থেকে ফিরিয়ে নিন এবং আমাকেও তা থেকে ফিরিয়ে রাখুন): অর্থাৎ সে বিষয়টি ফিরিয়ে নেয়ার পরে আপনার অন্তর যেন সেটার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে না থাকে।

    হাদিসের বাক্য --- (رضِّني...) (অর্থ আমাকে তাতে সন্তুষ্ট রাখুন)। যেন আমি সেটা না পাওয়াতে ও না ঘটাতে অনুতপ্ত না হই। কেননা আমি তো চূড়ান্ত পরিণতি জানি না। যদিও আমি প্রার্থনাকালে সেটার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলাম...।

    এ দোয়ার গূঢ় রহস্য হচ্ছে যাতে করে বান্দার অন্তর সেই বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে না থাকে; পরিণতিতে সে মানসিক অস্বস্তিতে ভুগবে। সন্তুষ্টি বলতে বুঝায় তাকদীরের উপর অন্তরের স্বস্তি পাওয়া।

    হাফেয ইবনে হাজার কৃত সহিহ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারীর সারসংক্ষেপ, অধ্যায়: ‘কিতাবুত তাওহীদ; উপ-অধ্যায়: ‘দোয়াসমূহ’।

    শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
    হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

    Comment


    • #3
      যাজাকাল্লাহ ভাই!!
      আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিক।
      জীবনের ছোট -বড় সকল বিষয়ে সুন্নাহর উপর আমল করো, সর্বপরকার বিদ'আত থেকে দূরে থাকো! আল্লাহকে যদি ভালোবাসো, আল্লাহর নবীকে অনুসরণ কর।

      Comment


      • #4
        ইস্তিখারার নামায কি? কিভাবে পড়বেন?
        ==============================
        কোন বৈধ বিষয় বা কাজে (যেমন ব্যবসা, সফর, বিবাহের ব্যাপারে) ভালো মন্দ বুঝতে না পারলে, মনে ঠিক-বেঠিক, উচিৎ-অনুচিত বা লাভ-নোকসানের দ্বন্দ্ব হলে আল্লাহর নিকট মঙ্গল প্রার্থনা করতে দুই রাকআত নফল নামায পড়ে নিম্নের দুআ পাঠ করা সুন্নত।
        ২ রাকআত সুন্নত পড়ার পর রাতের অথবা দিনের (নিষিদ্ধ সময় ছাড়া) যে কোন সময়ে উক্ত দুআ পড়া যায়। উক্ত নামাযের নিয়ম সাধারণ সুন্নত নামাযের মতই।এ নামাযের প্রত্যেক রাকআতে কোন নির্দিষ্ট পঠনীয় সূরা নেই। যে কোন সূরা পড়লেই চলে।
        এই নামায অন্য দ্বারা পড়ানো যায় না। যেমন স্বপ্নযোগে স্পষ্ট কিছু দেখাও জরুরী নয়।
        اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوْبِ، اَللّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الأَمْرَ(--) خَيْرٌ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ وَعَاجِلِهِ آجِلِهِ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ وَعَاجِلِهِ وَآجِلِهِ فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاقْدُرْ لِىَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رَضِّنِيْ بِهِ।
        উচ্চারণ- “আল্লা-হুম্মা আস্তাখীরুকা বিইলমিকা অ আস্তাক্বদিরুকা বি ক্বুদরাতিকা অ আসআলুকা মিন ফায্বলিকাল আযীম, ফাইন্নাকা তাক্বদিরু অলা আক্বদিরু অতা’লামু অলা আ’লামু অ আন্তা আল্লা-মুল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইন কুন্তা তা’লামু আন্নাহা-যাল আমরা (----) খাইরুল লী ফী দ্বীনী অ মাআ’শী অ আ’-ক্বিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ, ফাক্বদুরহু লী, অ য়্যাসসিরহু লী, সুম্মা বা-রিক লী ফীহ্। অইন কুন্তা তা’লামু আন্নাহা-যাল আমরা শারুল লী ফী দ্বীনী অ মাআ’শী অ আ’-কিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ্, ফাস্বরিফহু আ ন্নী অস্বরিফনী আনহু, অক্বদুর লিয়াল খাইরাহাইসু কা-না সুম্মা রায্বযিনী বিহ্।
        অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার ইলমের সাথে মঙ্গল প্রার্থনা করছি। তোমার কুদরতের সাথে শক্তি প্রার্থনা করছি এবং তোমার বিরাট অনুগ্রহ থেকে ভিক্ষা যাচনা করছি। কেননা, তুমি শক্তি রাখ, আমি শক্তি রাখি না। তুমি জান, আমি জানি না এবং তুমি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। হে আল্লাহ! যদি তুমি এই (---) কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে ভালো জান, তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত ও সহ্জ করে দাও। অতঃপর তাতে আমার জন্য বর্কত দান কর। আর যদি তুমি এই কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে মন্দ জান, তাহলে তা আমার নিকট থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকে ওর নিকট থেকে সরিয়ে দাও। আর যেখানেই হোক মঙ্গল আমার জন্য বাস্তবায়িত কর, অতঃপর তাতে আমার মনকে পরিতুষ্ট করে দাও।
        প্রথমে هذا الأمر ‘হা-যাল আমরা’ এর স্থলে বা পরে কাজের নাম নিতে হবে অথবা মনে মনে সেই জ্ঞাতব্য বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করতে হবে।
        মহানবী (সাঃ) এই দুআ সাহাবীগণকে শিখাতেন, যেমন কুরআনের সূরা শিখাতেন। আর এখান থেকেই ছোট-বড় সকল কাজেই ইস্তিখারার গুরুত্ব প্রকাশ পায়।
        সে ব্যক্তি কর্মে কোনদিন লাঞ্জিত হয় না যে আল্লাহর নিকট তাতে মঙ্গল প্রার্থনা করে, অভিজ্ঞদের নিকট পরামর্শ গ্রহণ করে এবং ভালো-মন্দ বিচার করার পর কর্ম করে। (বুখারী, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ ৩ /৩৪৪)
        জ্ঞাতব্য যে, ইস্তিখারার পূর্বে কাজের ভালো-মন্দের কোন একটা দিকের প্রতি অধিক প্রবণতা থাকলে চলবে না। বরং এই প্রবণতা আল্লাহর তরফ থেকে সৃষ্টি হবে ইস্তিখারার পরেই। আর তা একবার করলেই হবে। ৭ বার করার হাদীস সহীহ নয়। (ইবনুস সুন্নী ৫৯৮নং-এর টীকা দ্র

        "অতঃপর তুমি যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে তখন আল্লাহর ওপর ভরসা কর।" (সুরা আল ইম্রান (৩) : আয়াত ১৫৯)

        Comment

        Working...
        X