হাদিসে অঙ্গ বিকৃতি করতে নিষেধ এসেছে। আরবীতে যাকে المثلة বলা হয়। এর দ্বারা উদ্দেশ্যে- কাউকে হত্যা করতে গিয়ে তার হাত-পা, নাক-কান-চোখ ইত্যাদি কর্তন করা বা নষ্ট করা। যেমন বুখারী শরীফে এসেছে-
তবে এ নিষেধাজ্ঞা বন্দী কাফেরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কাফের বন্দী হওয়ার পর তাকে স্বাভাবিক হত্যা করতে বলা হয়েছে। তখন ইচ্ছাকৃত তার অঙ্গ বিকৃত করা নিষেধ। নাক-কান কাটা, চোখ নষ্ট করা, হাত-পা কাটা বা নষ্ট করা: এসব করা যাবে না। অবশ্য এখানেও আইম্মায়ে কেরামের মতভেদ আছে।
পক্ষান্তরে যুদ্ধরত কাফের, যাদের সাথে এ মূহুর্তে মারামারি চলছে বা যেসব কাফেরকে আমরা বন্দী করতে পারিনি- তাদেরকে হত্যা, বন্দী বা কাবু করার জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গবিকৃতি বৈধ। যেমন- প্রথমে সুযোগ বুঝে আঘাত করে চোখ নষ্ট করে ফেলা তারপর হত্যা বা বন্দী করা।
ইবনুল হুমাম রহ. (৮৬১হি.) বলেন,
মোটকথা: যাকে আমরা বন্দী করেছি, এখন স্বাভাবিকভাবে তাকে হত্যা করতে পারি- তাকে স্বাভাবিক হত্যা করবো। আর যাকে বন্দী করতে পারিনি- চাই তার সাথে মারামারি চলুক বা না চলুক- তাকে হত্যা, বন্দী বা কাবু করার জন্য যেকোন স্থানে আঘাত করে যেকোন অঙ্গ কর্তন বা নষ্ট করা জায়েয।
অতএব, তাগুত বাহিনির কোন সদস্যের সাথে যদি কোন মুজাহিদ ভাইয়ের মারামারি বেঁধে যায়, তাহলে তিনি তাকে হত্যা বা কাবু করার জন্য বা তার থেকে নিরাপদে নিষ্কৃতি লাভের জন্য যেকোন জিনিস দ্বারা যেকোন স্থানে আঘাত করে যেকোন অঙ্গ কর্তন বা নষ্ট করতে পারবেন। তদ্রূপ, রাস্তা-ঘাটে চলন্ত বা সেনাঘাটিতে বা বাড়িতে প্রহরারত বা বিশ্রামরত যেকোন তাগুতী সদস্যকে হত্যা, বন্দী বা কাবু করার জন্য যেকোন জিনিস দিয়ে যেকোন স্থানে আঘাত করে নষ্ট ও বিকৃতি ঘটানো যাবে।
"نهى النبي صلى الله عليه و سلم عن النهبى والمثلة"
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লুণ্টন ও অঙ্গবিকৃতি থেকে বারণ করেছেন।” [সহীহ বুখারী: ২৩৪২]তবে এ নিষেধাজ্ঞা বন্দী কাফেরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কাফের বন্দী হওয়ার পর তাকে স্বাভাবিক হত্যা করতে বলা হয়েছে। তখন ইচ্ছাকৃত তার অঙ্গ বিকৃত করা নিষেধ। নাক-কান কাটা, চোখ নষ্ট করা, হাত-পা কাটা বা নষ্ট করা: এসব করা যাবে না। অবশ্য এখানেও আইম্মায়ে কেরামের মতভেদ আছে।
পক্ষান্তরে যুদ্ধরত কাফের, যাদের সাথে এ মূহুর্তে মারামারি চলছে বা যেসব কাফেরকে আমরা বন্দী করতে পারিনি- তাদেরকে হত্যা, বন্দী বা কাবু করার জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গবিকৃতি বৈধ। যেমন- প্রথমে সুযোগ বুঝে আঘাত করে চোখ নষ্ট করে ফেলা তারপর হত্যা বা বন্দী করা।
ইবনুল হুমাম রহ. (৮৬১হি.) বলেন,
ثم لا يخفى أن هذا بعد الظفر والنصر، أما قبل ذلك فلا بأس به إذا وقع قتالا كمبارز ضرب فقطع أذنه ثم ضرب ففقأ عينه فلم ينته فضرب فقطع أنفه ويده ونحو ذلك. اهـ
“অস্পষ্ট নয় যে, নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্র হলো- কাবু করতে সক্ষম হওয়া ও জয় লাভের পর। পক্ষান্তরে এর আগে মারামারি অবস্থায় তাতে কোন অসুবিধা নেই। যেমন, প্রতিদ্বন্দী (মুসলিম) যোদ্ধা এক আঘাতে প্রতিপক্ষ যোদ্ধার কান কেটে ফেলল। অপর আঘাতে চোখ নষ্ট করে ফেলল। এরপরও যখন সে বিরত হল না, তখন আরেক আঘাতে তার নাক ও হাত কেটে দিল। এছাড়াও এ ধরণের যেকোন অঙ্গবিকৃতি(তে কোন সমস্যা নেই)।” [ফাতহুল কাদীর: ৫/৪৫২] মোটকথা: যাকে আমরা বন্দী করেছি, এখন স্বাভাবিকভাবে তাকে হত্যা করতে পারি- তাকে স্বাভাবিক হত্যা করবো। আর যাকে বন্দী করতে পারিনি- চাই তার সাথে মারামারি চলুক বা না চলুক- তাকে হত্যা, বন্দী বা কাবু করার জন্য যেকোন স্থানে আঘাত করে যেকোন অঙ্গ কর্তন বা নষ্ট করা জায়েয।
অতএব, তাগুত বাহিনির কোন সদস্যের সাথে যদি কোন মুজাহিদ ভাইয়ের মারামারি বেঁধে যায়, তাহলে তিনি তাকে হত্যা বা কাবু করার জন্য বা তার থেকে নিরাপদে নিষ্কৃতি লাভের জন্য যেকোন জিনিস দ্বারা যেকোন স্থানে আঘাত করে যেকোন অঙ্গ কর্তন বা নষ্ট করতে পারবেন। তদ্রূপ, রাস্তা-ঘাটে চলন্ত বা সেনাঘাটিতে বা বাড়িতে প্রহরারত বা বিশ্রামরত যেকোন তাগুতী সদস্যকে হত্যা, বন্দী বা কাবু করার জন্য যেকোন জিনিস দিয়ে যেকোন স্থানে আঘাত করে নষ্ট ও বিকৃতি ঘটানো যাবে।
Comment