Announcement

Collapse
No announcement yet.

সাহাবায়ে কিরাম রা:ই আমাদের আদর্শ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সাহাবায়ে কিরাম রা:ই আমাদের আদর্শ

    কুরআন, সূন্নাহ হলো শরীয়তের দলীল,আর সাহাবায়ে কেরাম হলো শরীয়তের মাপকাঠি। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওঃমাওদুদী সাহেব সাহাবায়ে কেরামকে মাপকাঠি মানেননা। তিনি বলেন فهم رجال ونحن رجال তাঁরাও মনুষ, আমরাও মানুষ।অর্থাৎ তাদের মাঝে আর আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই। এটা তার একটি গুমরাহী।
    কারণ আল্লাহতালা সূরা বাক্বারার ১৩ নাম্বার আয়াতে ইরশাদ করেন
    (وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ ۗ أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَٰكِنْ لَا يَعْلَمُونَ)
    আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।
    এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা সাহাবায়ে কেরামের মত ঈমান আনতে বলেছেন।
    এবং সূরা হুজরাতের ৭ নাম্বার আয়াতে আল্লাহতালা ইরশাদ করেন
    (وَاعْلَمُوا أَنَّ فِيكُمْ رَسُولَ اللَّهِ ۚ لَوْ يُطِيعُكُمْ فِي كَثِيرٍ مِنَ الْأَمْرِ لَعَنِتُّمْ وَلَٰكِنَّ اللَّهَ حَبَّبَ إِلَيْكُمُ الْإِيمَانَ وَزَيَّنَهُ فِي قُلُوبِكُمْ وَكَرَّهَ إِلَيْكُمُ الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ ۚ أُولَٰئِكَ هُمُ الرَّاشِدُونَ)
    তোমরা জেনে রাখ তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রসূল রয়েছেন। তিনি যদি অনেক বিষয়ে তোমাদের আবদার মেনে নেন, তবে তোমরাই কষ্ট পাবে। কিন্তু আল্লাহ তোমাদের অন্তরে ঈমানের মহব্বত সৃষ্টি করে দিয়েছেন এবং তা হৃদয়গ্রাহী করে দিয়েছেন। পক্ষান্তরে কুফর, পাপাচার ও নাফরমানীর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তারাই সৎপথ অবলম্বনকারী।
    এ আয়াতে সাহাবায়ে কেরামের ঈমান,পবিত্রতা,নাফরমানীর প্রতি ঘৃণা ও হেদায়েতের উপর থাকার সনদপত্র আল্লাহতালা দিয়েছেন।
    সূরায়ে বাক্বারার ১৩৭ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ্* রাব্বুল আলামীন বলেন:
    (فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا ۖ وَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ ۖ فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ ۚ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ)
    অতএব তারা যদি ঈমান আনে, তোমাদের ঈমান আনার মত, তবে তারা সুপথ পাবে। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তারাই হঠকারিতায় রয়েছে। সুতরাং এখন তাদের জন্যে আপনার পক্ষ থেকে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
    এ আয়াতে 'তোমরা'অর্থ সাহাবাগণ রা:।
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

    ٧- [عن عبدالله بن عمرو:] لَيأْتِيَنَّ على أمتي ما أتَى على بني إسرائيلَ حذْوَ النعلِ بالنعلِ حتى إِنْ كان منهم من أتى أمَّهُ علانِيَةً لكانَ في أمَّتِي من يصنَعُ ذلِكَ . وإِنَّ بني إسرائيلَ تفرقَتْ على ثنتينِ وسبعينَ مِلَّةً، وتفْتَرِقُ أمتي على ثلاثٍ وسبعينَ ملَّةً كلُّهم في النارِ إلَّا ملَّةً واحدَةً، قال من هِيَ يا رسولَ اللهِ؟ قال: ما أنا عليه وأصحابي
    الترمذي (٢٧٩ هـ)، سنن الترمذي ٢٦٤١ • غريب لا نعرفه مثل هذا إلا من هذا الوجه • أخرجه الترمذي (٢٦٤١) واللفظ له، والطبراني (١٤/٥٣) (١٤٦٤٦)، والحاكم (٤٤٤
    আমার উম্মত ঐসব অবস্থার সম্মুখিন হবে, যা বনী-ইসরাঈল সম্মুখীন হয়েছিলো,ঠিক একজোড়া জুতার একটি-অপরটির মতো।এমনভাবে যে,যদি তাদের কেউ নিজের মায়ের সাথে জ্বিনা করে থাকে তবে আমার উম্মতের মধ্যেও লোক থাকবে,যে নিজের মায়ের সাথে জ্বিনা করে।আর বনী ইসরাঈল বাহাত্তরটি ভাগে ভাগ হয়েছিলো,আমার উম্মত তেহাত্তর ভাগে ভাগ হবে।তাদের প্রত্যেকে জাহান্নামী হবে,শুধুমাত্র একটি ভাগ(মিল্লাত) ছাড়া। সাহাবীগণ রা: জিজ্ঞেস করলেন,''তারা কারা' হে আল্লাহর রাসূল?"তিনি বললেন, যারা আমি যে পথে আছি এবং আমার সাহাবাগণ যে পথে আছে (সে পথ অনুসরণ করবে) সুনানে তিরমিযী
    আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: বলেন:
    قَالَ عبد اللّٰه بن مسعود رضى الله عنه "من كان منكم مستنا فاليستن بمن قد مات.فٱن الحي لا تؤمن عليه الفتنة أولئك أصحاب محمد:أبر هذه الأمة قلوباً وأعمقها علما وأقلها تكلفا قوم اختار هم الله لصحبة نبيه وإقامة دينه فاعرفوا لهم حقهم وتمسكوا بهديهم فإنهم كانوا على الهدى المستقيم"
    তোমাদের মধ্যে যে কেউ অন্যকে উদাহরণ হিসাবে নিতে চায়, সে যেন যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, তাদের থেকে উদাহরণ নেয়।কারণ যে জীবিত,সে ভুলভ্রান্তি থেকে নিরাপদ থাকার নিশ্চয়তা নেই।তাঁরা হচ্ছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ রা:।এই উম্মতের মধ্যে তারা সবচেয়ে খোদাভীরু,সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী,বাড়াবাড়ি ও অলসতা হতে সবচেয়ে দূরে।তাঁদেরকে আল্লাহ তাঁর রাসূল সা:এর সঙ্গী হওয়ার জন্য এবং তাঁদের মাধ্যমে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নির্বাচিত করেছেন।তাই তাঁদের সম্মান ও অধিকারের স্বীকৃতি দাও।এবং তাদের পথ আঁকড়ে ধরো।কারণ তাঁরা সঠিক পথের উপর ছিলেন।
    আমাদের ইমামে আজম আবুহানিফা র: বলেছেন:
    قالالإمام أبو حنيفة: ما جاء عن الله تعالي فعلي الرأس والعينين. ،وما جاء عن رسول الله صلي الله عليه وسلم فسمعًا وطاعة، وما جاء عن الصحابة رضي الله عنهم تخيّرنا من أقوالهم، ولم نخرج عنهم ، وماجاء من التابعين فهم رجال ونحن رجال، [الإحكام لابن حزم ٤/٣٧٥]

    আল্লাহর কাছ থেকে যা এসেছে তা আমাদের মাথা ও দু'চোখের উপর,আর যা এসেছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সে ব্যপারে হলোঃ শুনা ও মানা, যে সকল কথা সাহাবা গন (রা.) থেকে এসেছে আমরা সেগুলোর মাঝে যাচাই-বাছাই করবো কিন্তু সেগুলোর বাইরে যাবো না। আর তাবেয়ীনদের কাছ থেকে যা এসেছে, সে ব্যাপারেঃ তারাও মানুষ আমরা ও মানুষ।
    মুহতারামহাজেরীন:উল্লেখিত আয়াত,হাদিস,সাহাবীর( রাবক্তব্য,ও আবু হানিফা র: এর বক্তব্য থেকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাগেলো যে, কুরআন,হাদিস ও সাহাবাগণ ছাড়া আর কেউ শরিয়তের দলীল বা মাপকাঠি হতে পারেনা।

  • #2
    আখি, জাযাকাল্লাহ।
    সাহাবায়ে কিরাম ই হলো আমাদের আসল আকাবির।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      jajhakallah vai. erokom likhoni aro beshi asha korchi.

      Comment

      Working...
      X