সংশয় নিরসনঃ শরয়ী দন্ডবীধি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কি শুধু শাসকের?
قال شيخ الإسلام ابن تيمية: (لو فرض عجز بعض الأمراء عن إقامة الحدود والحقوق أو إضاعته لذلك، لكان ذلك الفرض؛ على القادر عليه. ... وقول من قال؛ "لا يقيم الحدود الا السلطان ونوابه"، إذا كانوا قادرين فاعلين بالعدل، كما يقول الفقهاء؛ "الأمر الى الحاكم"، إنما هو العادل القادر، فاذا كان مضيعا لأموال اليتامى أو عاجزا عنها لم يجب تسليمها اليه مع امكان حفظها بدونه. ... وكذلك الأمير؛ إذا كان مضيعا للحدود أو عاجزا عنها، لم يجب تفويضها اليه مع إمكان إقامتها بدونه. ... والأصل أن هذه الواجبات تقام على أحسن الوجوه، فمتى أمكن إقامتها من أمير لم يحتج إلى اثنين، ومتى لم يقم إلا بعدد ومن غير سلطان؛ أقيمت. ... اذا لم يكن فى إقامتها فساد يزيد على إضاعتها، فانها من باب الأمر بالمعروف والنهى عن المنكر، فان كان فى ذلك من فساد ولاة الأمر أو الرعية ما يزيد على إضاعتها؛ لم يدفع فساد بأفسد منه، والله أعلم)
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া র. বলেন, যদি মেনে নেয়া হয় যে, আমীর উমারাগণ শরয়ী দন্ডবিধি (হদ্দ) প্রতিষ্ঠা করতে, মুসলিমদের হকসমূহ আদায় করতে অক্ষম হয় অথবা তারা নিজেরাই তা নষ্ট করে, তাহলে তা আদায় করতে যে সক্ষম হবে তার উপর আদায় করা ফরজ।
আর যে বলে, হদ্দ কেবল শাসক বা তার প্রতিনিধিই প্রতিষ্ঠা করবে (অন্যরা না), এটা তখন যখন তারা তা আদায় করতে সক্ষম বা ইনসাফের সাথে তা আদায় করে (নিজ দায়িত্বে)।
যেমনটি ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন. আমর বা নির্দেশ দেয়ার অধিকার শাসকের। নিশ্চয়ই সে হবে ন্যায়পরায়ন ও (হদ্দ আদায়ে) সক্ষম।
আর যদি সে নিজেই ইয়াতিমদের মাল নষ্ট করে অথবা আদায়ে অক্ষম হয়, তাহলে এই দায়িত্ব তার উপর অর্পন করা ওয়াজিব না অন্যরা তা হেফাজত করতে সক্ষম হওয়া সত্বেও।
এমনিভাবে আমীর যদি শরয়ী দন্ডবিধি নষ্ট করে বা তা প্রতিষ্ঠা করতে অক্ষম হয়, তাহলেও অন্যরা তা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হওয়া সত্বেও আমীরের উপর ন্যাস্ত করা ওয়াজিব না।
মূলকথা হলো, এই ওয়াজিবগুলো সর্বোত্তম পন্থায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যখন আমীরের দ্বারা তা হবে তখন অন্যের তা করার প্রয়োজন নেই। আর যখন আমীর তা প্রতিষ্ঠা না করবে বা প্রতিষ্ঠা না করা হবে, বরং অন্যরা প্রতিষ্ঠা করবে বা অন্যের দ্বারা প্রতিষ্ঠা করা হবে, তখনও তা (সেভাবেই) প্রতিষ্ঠা করা হবে।
(অন্যরা) এগুলো তখন করবে যখন তা করলে ফাসাদ সৃষ্টি হবেনা, না করার চেয়ে বড় ফিতনা আশঙ্কা হবেনা। কেননা তা হলো আমর বিল মারূফ ও নাহি আনিল মুনকারের একটি প্রকার। যদি তা করা আমীর ও প্রজাদের জন্য ফাসাদ বৃদ্ধিকারী হয় তাহলে হদ্দ প্রতিষ্ঠা না করার ফাসাদের উপর আরো ফাসাদ বৃদ্ধি করা যাবেনা। কেননা, ফাসাদ বৃদ্ধিকারী বিষয় দ্বারা ফাসাদ দমন করা যায়না। আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন। (মাজমূউল ফাতাওয়া)
قال شيخ الإسلام ابن تيمية: (لو فرض عجز بعض الأمراء عن إقامة الحدود والحقوق أو إضاعته لذلك، لكان ذلك الفرض؛ على القادر عليه. ... وقول من قال؛ "لا يقيم الحدود الا السلطان ونوابه"، إذا كانوا قادرين فاعلين بالعدل، كما يقول الفقهاء؛ "الأمر الى الحاكم"، إنما هو العادل القادر، فاذا كان مضيعا لأموال اليتامى أو عاجزا عنها لم يجب تسليمها اليه مع امكان حفظها بدونه. ... وكذلك الأمير؛ إذا كان مضيعا للحدود أو عاجزا عنها، لم يجب تفويضها اليه مع إمكان إقامتها بدونه. ... والأصل أن هذه الواجبات تقام على أحسن الوجوه، فمتى أمكن إقامتها من أمير لم يحتج إلى اثنين، ومتى لم يقم إلا بعدد ومن غير سلطان؛ أقيمت. ... اذا لم يكن فى إقامتها فساد يزيد على إضاعتها، فانها من باب الأمر بالمعروف والنهى عن المنكر، فان كان فى ذلك من فساد ولاة الأمر أو الرعية ما يزيد على إضاعتها؛ لم يدفع فساد بأفسد منه، والله أعلم)
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া র. বলেন, যদি মেনে নেয়া হয় যে, আমীর উমারাগণ শরয়ী দন্ডবিধি (হদ্দ) প্রতিষ্ঠা করতে, মুসলিমদের হকসমূহ আদায় করতে অক্ষম হয় অথবা তারা নিজেরাই তা নষ্ট করে, তাহলে তা আদায় করতে যে সক্ষম হবে তার উপর আদায় করা ফরজ।
আর যে বলে, হদ্দ কেবল শাসক বা তার প্রতিনিধিই প্রতিষ্ঠা করবে (অন্যরা না), এটা তখন যখন তারা তা আদায় করতে সক্ষম বা ইনসাফের সাথে তা আদায় করে (নিজ দায়িত্বে)।
যেমনটি ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন. আমর বা নির্দেশ দেয়ার অধিকার শাসকের। নিশ্চয়ই সে হবে ন্যায়পরায়ন ও (হদ্দ আদায়ে) সক্ষম।
আর যদি সে নিজেই ইয়াতিমদের মাল নষ্ট করে অথবা আদায়ে অক্ষম হয়, তাহলে এই দায়িত্ব তার উপর অর্পন করা ওয়াজিব না অন্যরা তা হেফাজত করতে সক্ষম হওয়া সত্বেও।
এমনিভাবে আমীর যদি শরয়ী দন্ডবিধি নষ্ট করে বা তা প্রতিষ্ঠা করতে অক্ষম হয়, তাহলেও অন্যরা তা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হওয়া সত্বেও আমীরের উপর ন্যাস্ত করা ওয়াজিব না।
মূলকথা হলো, এই ওয়াজিবগুলো সর্বোত্তম পন্থায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যখন আমীরের দ্বারা তা হবে তখন অন্যের তা করার প্রয়োজন নেই। আর যখন আমীর তা প্রতিষ্ঠা না করবে বা প্রতিষ্ঠা না করা হবে, বরং অন্যরা প্রতিষ্ঠা করবে বা অন্যের দ্বারা প্রতিষ্ঠা করা হবে, তখনও তা (সেভাবেই) প্রতিষ্ঠা করা হবে।
(অন্যরা) এগুলো তখন করবে যখন তা করলে ফাসাদ সৃষ্টি হবেনা, না করার চেয়ে বড় ফিতনা আশঙ্কা হবেনা। কেননা তা হলো আমর বিল মারূফ ও নাহি আনিল মুনকারের একটি প্রকার। যদি তা করা আমীর ও প্রজাদের জন্য ফাসাদ বৃদ্ধিকারী হয় তাহলে হদ্দ প্রতিষ্ঠা না করার ফাসাদের উপর আরো ফাসাদ বৃদ্ধি করা যাবেনা। কেননা, ফাসাদ বৃদ্ধিকারী বিষয় দ্বারা ফাসাদ দমন করা যায়না। আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন। (মাজমূউল ফাতাওয়া)
Comment