নারীদের জিহাদের বিধান
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
প্রশ্নঃ
কিভাবে একজন নারী জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারে? এবং একজন নারী কি তার পিতামাতার অনুমতি ছাড়া জিহাদের জন্য বের হতে পারে? আমি উত্তর আশা করছি এবং আমার ক্ষেত্রে জিহাদ কি আক্রমণাত্মক নাকি রক্ষণাত্মক? জাযাকাল্লাহু খাইর।
শাইখ নাসিরের উত্তরঃ
ওয়ালাইমুকুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
মূল কথা হলো একজন নারীর উপর কোন জিহাদ নেই। তবে তার মুজাহিদীনদের সাথে বের হওয়া যাতে সে আহতদের সেবা করতে পারে, পানি পরিবেশন করতে পারে এবং এরকম অন্যান্য প্রয়োজন পূরণ করতে পারে, এক্ষেত্রে সহীহ মুসলিমে বর্ণিত ইবনে ‘আব্বাস (রা) এর হাদীসটির দিকে লক্ষ্য করা যেতে পারে – রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীদের নিয়ে যুদ্ধে যেতেন এবং তাঁরা আহতদের সেবা করতেন এবং গণিমত জমা করতেন। এবং উম্ম ‘আতিয়্যাহ (রা) এর হাদীসঃ “আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে যেতাম এবং রুগ্নদের পরিচর্যা করতাম, আহতদের চিকিৎসা করতাম এবং আমাদের যুদ্ধলব্ধ গণিমত থেকে কিছু দেওয়া হত।” এভাবে, কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি যুদ্ধে লড়াই করা বৈধ যেরকম সাফিয়্যাহ বিনতে আব্দুল মুত্তালিব (রা) একজন ইহুদীর সাথে লড়াই করেছিলেন যে তাঁর নিরাপদ আশ্রয়ে ঢুকে পড়েছিল। তিনি তাকে খুঁটি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছিলেন। এবং নিঃসন্দেহে অভিভাবকের অনুমতি ও মাহরামের উপস্থিতি থাকা শর্ত, তা আক্রমণাত্মক অথবা রক্ষণাত্মক জিহাদ হোক না কেন, যদি লড়াই করা নারীর উপর অবধারিত না হয়ে পড়ে। তবে যদি লড়াই অবধারিত হয়ে পড়ে তাহলে ঐ শর্তগুলো বাধ্যতামূলক নয় যেরকম সাফিয়্যাহ (রা) লড়াই করেছিলেন যখন তিনি ইহুদী ব্যক্তির ব্যাপারে ভীত হয়েছিলেন। তাই তিনি দুর্গ থেকে নেমে এসে খুঁটি নিয়েছিলেন এবং তা দিয়ে তাকে আঘাত করে হত্যা করেছিলেন। এবং আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।
মূল কথা হলো একজন নারীর উপর কোন জিহাদ নেই। তবে তার মুজাহিদীনদের সাথে বের হওয়া যাতে সে আহতদের সেবা করতে পারে, পানি পরিবেশন করতে পারে এবং এরকম অন্যান্য প্রয়োজন পূরণ করতে পারে, এক্ষেত্রে সহীহ মুসলিমে বর্ণিত ইবনে ‘আব্বাস (রা) এর হাদীসটির দিকে লক্ষ্য করা যেতে পারে – রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীদের নিয়ে যুদ্ধে যেতেন এবং তাঁরা আহতদের সেবা করতেন এবং গণিমত জমা করতেন। এবং উম্ম ‘আতিয়্যাহ (রা) এর হাদীসঃ “আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে যেতাম এবং রুগ্নদের পরিচর্যা করতাম, আহতদের চিকিৎসা করতাম এবং আমাদের যুদ্ধলব্ধ গণিমত থেকে কিছু দেওয়া হত।” এভাবে, কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি যুদ্ধে লড়াই করা বৈধ যেরকম সাফিয়্যাহ বিনতে আব্দুল মুত্তালিব (রা) একজন ইহুদীর সাথে লড়াই করেছিলেন যে তাঁর নিরাপদ আশ্রয়ে ঢুকে পড়েছিল। তিনি তাকে খুঁটি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছিলেন। এবং নিঃসন্দেহে অভিভাবকের অনুমতি ও মাহরামের উপস্থিতি থাকা শর্ত, তা আক্রমণাত্মক অথবা রক্ষণাত্মক জিহাদ হোক না কেন, যদি লড়াই করা নারীর উপর অবধারিত না হয়ে পড়ে। তবে যদি লড়াই অবধারিত হয়ে পড়ে তাহলে ঐ শর্তগুলো বাধ্যতামূলক নয় যেরকম সাফিয়্যাহ (রা) লড়াই করেছিলেন যখন তিনি ইহুদী ব্যক্তির ব্যাপারে ভীত হয়েছিলেন। তাই তিনি দুর্গ থেকে নেমে এসে খুঁটি নিয়েছিলেন এবং তা দিয়ে তাকে আঘাত করে হত্যা করেছিলেন। এবং আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।
উৎসঃ আত-তিবইয়ান
Comment