রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন স্থান অনুযায়ী ইসলামকে পরিবর্তন করেন নি, বরং ইসলাম অনুযায়ী সেই স্থানকে সাজিয়ে ছিলেন৷ এটা পাশ্চাত্যের মুসলিমদের কথার ঠিক উল্টো৷ তারা বলে যে, যেহেতু আমরা পাশ্চাত্যে থাকি অতএব আমাদের পশ্চিমা ইসলাম বা আমেরিকান ইসলাম দরকার৷ যার অর্থ মুসলিমরা অন্য যেকোন আমেরিকানদের মতই তাদের সংস্কৃতি, শিক্ষা ও আকাঙ্খা অনুযায়ী চলতে পারবে৷ যদি অনুভব করেন যে, ঐ স্থানে থাকতে হলে আপনার ইসলামকে পরিবর্তন করতে হবে, তবে বুঝতে হবে যে, আপনার ঐ স্থান থেকে হিজরত করা অত্যন্ত জরুরী৷ যদি আপনি ইসলামকে পূর্ণাঙ্গরূপে পালন করতে না পারেন, তবে ঐ স্থান থেকে আপনার হিজরত করতে হবে৷
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও বলেননি যে, আমার মক্কায় থাকা উচিত, ভাল নাগরিক হওয়া উচিত, কিছু দাওয়ার কাজ করা উচিত, চরমপন্থা প্রচার করা থেকে বিরত হয়ে তাদের সমাজ ব্যবস্থা ও ইলাহ সম্বন্ধে খারাপ কথা বলা ত্যাগ করা উচিত, যাতে করে তারা ইসলামকে ভালবাসে৷ না, বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামকে এর পূর্ণরূপে তুলে ধরেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এর উপর তার কোন হাত নেই এবং তিনি একে পরিবর্তনও করতে পারবেন না৷ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কুরআনে বলেছেনঃ
يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَÒ
হেরসূল! তোমার রবের নিকট হতে তোমার পªতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর; যদি না কর, তবে তো তুমি তার বার্তা প্রচার করলে না৷ আল্লাহ্* তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন৷ নিশ্চয় আল্লাহ্* কাফির সম্প্রদায়কে সত্যপথে পরিচালিত করেন না৷ সূরা আল-মায়িদাঃ ৬৭
একটি গোত্র ইসলাম কবুল করতে রাজী হল কিন্তু এক শর্তে যে, রসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর পর তাদের মমতা দিতে হবে৷ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাজী হলেন না, কারণ এই পৃথিবী আল্লাহর এবং কে এই পৃথিবীতে আল্লাহ্*র প্রতিনিধিত্ব¡ করবে, তা নবীদের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়৷ আরেকটি গোত্র ইসলামী রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দিতে রাজী হল কিন্তু তারা বলল যে , পারস্য সাম্রাজ্য থেকে একে সুরক্ষা দিতে তারা অপারগ৷ অন্য আরব গোত্র থেকে একে সুরক্ষা দিতে তারা রাজী আছে৷ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, এই দ্বীন কেবল তারাই বহন করতে পারবে, যারা একে সবদিক থেকে ঘিরে রাখবে অর্থাৎ সর্বদিক থেকে সুরক্ষা দিবে৷ হয় তোমরা দ্বীনকে সবদিক থেকে সব আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে নতুবা তোমরা তোমাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে পারলে না৷ অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন৷ পরে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদের তাঁর সমস্ত প্রস্তাব গ্রহণে আগ্রহ দেখলেন৷ তারা রসূলকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলোঃ এর প্রতিদানে আমরা কি পাবো, ইয়া রাসুলুল্লাহ ! তিনি বললেন, জান্নাত আনসাররা তাঁর এই উত্তরে ভীষণ খুশী হল এবং বললঃ “কতইনা লাভজনক বানিজ্য! আমরা কখনই এর থেকে পিছু হঠব না৷সুনান আবু দাউদ
অনেকে পাশ্চাত্য মুসলিমই উসূল আল ফিকহ্*কে পরিবর্তন করে নতুন ফিকহ্* তৈরী করতে চায়, যাতে করে ইসলাম পাশ্চাত্য আদর্শকে গ্রহণ করে নেয়৷ এমনকি তারা কিছু আকিদা বাদও দিয়ে দেয়, কারণ তা পাশ্চাত্যের জন্য খুবই চরমপন্থী৷ এমনকি কিছু ইবাদত বাদ দিয়ে দেয়া হয়৷ মূলতঃ তারা পাশ্চাত্যের জন্য ইসলামকে পরিবর্তন করে ফেলছে এবং নিঃসন্দেহে এ রকম ইসলামকেই পাশ্চাত্য প্রচার করবে এবং এর প্রতি সন্তুষ্ট হবে৷
সাহাবাগণ পূর্ব থেকে পশ্চিমে ইসলামের প্রসার , প্রচার ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পথ অনুসরণ করেছিল৷ সাহাবাগণ যে কারণে মদীনা ত্যাগ করেছিল আর যে কারণে মক্কা ত্যাগ করেছিল তা এক ছিল না৷ বরং তারা মদীনা ত্যাগ করেছিল জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর জন্য৷ ইমাম মালিক رحمه اللهতার মুয়াত্তায় উল্লেখ করেছেন সালমান আল ফারসীর রাযিয়াল্লাহু আনহুর কাছে তার প্রিয়বন্ধু আবু দারদার رضي الله عنه লেখা চিঠি “এই পবিত্র ভূমিতে এসো” সালমান আল ফারসীرضي الله عنه জবাব দিয়েছিলেন, “কোন পবিত্র ভূমি মানুষকে পবিত্র করে না বরং তার আমল-ই তাকে পবিত্র করে তুলে৷”
তাঁরা জিহাদকে কেবল মক্কা বা মদীনার সাথে সংশ্লিষ্ট করে রাখেননি, বরং বিশ্বের যেকোন স্থানে যখনই এর পূর্বশর্তগুলো পূরণ হবে,তখনই জিহাদ হবে৷ যখন তুমি ফী সাবিলিল্লাহর উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়, তুমি তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ী যারা তোমাকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করত৷ তারা তোমার মতই কথা বলে এবং নিজেদের মুসলিম হিসেবে দাবী করে কিন্তু মুজাহিদ হওয়ার প্রমাণ সমূহ বিকৃত করে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদের সম্পর্কে বলেনঃ
لَوْ خَرَجُوا فِيكُمْ مَا زَادُوكُمْ إِلَّا خَبَالًا وَلَأَوْضَعُوا خِلَالَكُمْ يَبْغُونَكُمُ الْفِتْنَةَ وَفِيكُمْ سَمَّاعُونَ لَهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ
“তারা তোমাদের সাথে (জিহাদে) বাহির হলে তোমাদের বিভ্রান্তিই বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মধ্যে ফিত্*না সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ছুটাছুটি করত৷ তোমাদের মধ্যে তাদের জন্য কথা শুনবার লোক আছে৷ আল্লাহ যালিমদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত৷”
এসব মানুষ তোমাদের সামনে শাইখের বেশে আসতে পারে এবং তোমাদের বলতে পারে যে, এখন জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর সময় নয় এবং তারা আলিম হওয়ার কারণে তুমি তাদের কথা শুনতে পার৷ আল্লাহ্* সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেনঃ
“তোমাদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি থাকতে পারে যারা তাদের কথা শুনবে৷”
কেন তারা এসব লোকের কথা শোনে? কারণ তাদের পদমর্যাদা৷ তারা তাদের গোষ্ঠীর নেতা, এমনকি আলিমও৷ তারা মুসলিমদেও জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ পালনে নিরুৎসাহিত করে৷ আর যেই একজন মুসলিমকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ পালনে নিরুৎসাহিত করে, সে একজন মুনাফিক, কারণ এই আয়াত মুনাফিকদের উদ্দেশ্যে৷ একজন মুসলিম যখন মুজাহিদ হয়, সে এসব লোকদের অগ্রায্য করে৷ সে এসব লোকদের রাজত্বকে পরোয়া করেনা৷ একজন মুজাহিদ তাই করে যা আল্লাহ তাকে করতে বলেন৷ এটা বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় ফিতনা, যা আমরা দেখি বিশেষত আমাদের ছোট ভাইদের মধ্যে৷ আলিমরা তাদের উত্সাহিত করার বদলে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ ব্যাপারে তাদের নিরুৎসাহিত করে৷
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও বলেননি যে, আমার মক্কায় থাকা উচিত, ভাল নাগরিক হওয়া উচিত, কিছু দাওয়ার কাজ করা উচিত, চরমপন্থা প্রচার করা থেকে বিরত হয়ে তাদের সমাজ ব্যবস্থা ও ইলাহ সম্বন্ধে খারাপ কথা বলা ত্যাগ করা উচিত, যাতে করে তারা ইসলামকে ভালবাসে৷ না, বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামকে এর পূর্ণরূপে তুলে ধরেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এর উপর তার কোন হাত নেই এবং তিনি একে পরিবর্তনও করতে পারবেন না৷ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কুরআনে বলেছেনঃ
يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَÒ
হেরসূল! তোমার রবের নিকট হতে তোমার পªতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর; যদি না কর, তবে তো তুমি তার বার্তা প্রচার করলে না৷ আল্লাহ্* তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন৷ নিশ্চয় আল্লাহ্* কাফির সম্প্রদায়কে সত্যপথে পরিচালিত করেন না৷ সূরা আল-মায়িদাঃ ৬৭
একটি গোত্র ইসলাম কবুল করতে রাজী হল কিন্তু এক শর্তে যে, রসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর পর তাদের মমতা দিতে হবে৷ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাজী হলেন না, কারণ এই পৃথিবী আল্লাহর এবং কে এই পৃথিবীতে আল্লাহ্*র প্রতিনিধিত্ব¡ করবে, তা নবীদের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়৷ আরেকটি গোত্র ইসলামী রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দিতে রাজী হল কিন্তু তারা বলল যে , পারস্য সাম্রাজ্য থেকে একে সুরক্ষা দিতে তারা অপারগ৷ অন্য আরব গোত্র থেকে একে সুরক্ষা দিতে তারা রাজী আছে৷ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, এই দ্বীন কেবল তারাই বহন করতে পারবে, যারা একে সবদিক থেকে ঘিরে রাখবে অর্থাৎ সর্বদিক থেকে সুরক্ষা দিবে৷ হয় তোমরা দ্বীনকে সবদিক থেকে সব আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে নতুবা তোমরা তোমাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে পারলে না৷ অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন৷ পরে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদের তাঁর সমস্ত প্রস্তাব গ্রহণে আগ্রহ দেখলেন৷ তারা রসূলকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলোঃ এর প্রতিদানে আমরা কি পাবো, ইয়া রাসুলুল্লাহ ! তিনি বললেন, জান্নাত আনসাররা তাঁর এই উত্তরে ভীষণ খুশী হল এবং বললঃ “কতইনা লাভজনক বানিজ্য! আমরা কখনই এর থেকে পিছু হঠব না৷সুনান আবু দাউদ
অনেকে পাশ্চাত্য মুসলিমই উসূল আল ফিকহ্*কে পরিবর্তন করে নতুন ফিকহ্* তৈরী করতে চায়, যাতে করে ইসলাম পাশ্চাত্য আদর্শকে গ্রহণ করে নেয়৷ এমনকি তারা কিছু আকিদা বাদও দিয়ে দেয়, কারণ তা পাশ্চাত্যের জন্য খুবই চরমপন্থী৷ এমনকি কিছু ইবাদত বাদ দিয়ে দেয়া হয়৷ মূলতঃ তারা পাশ্চাত্যের জন্য ইসলামকে পরিবর্তন করে ফেলছে এবং নিঃসন্দেহে এ রকম ইসলামকেই পাশ্চাত্য প্রচার করবে এবং এর প্রতি সন্তুষ্ট হবে৷
সাহাবাগণ পূর্ব থেকে পশ্চিমে ইসলামের প্রসার , প্রচার ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পথ অনুসরণ করেছিল৷ সাহাবাগণ যে কারণে মদীনা ত্যাগ করেছিল আর যে কারণে মক্কা ত্যাগ করেছিল তা এক ছিল না৷ বরং তারা মদীনা ত্যাগ করেছিল জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর জন্য৷ ইমাম মালিক رحمه اللهতার মুয়াত্তায় উল্লেখ করেছেন সালমান আল ফারসীর রাযিয়াল্লাহু আনহুর কাছে তার প্রিয়বন্ধু আবু দারদার رضي الله عنه লেখা চিঠি “এই পবিত্র ভূমিতে এসো” সালমান আল ফারসীرضي الله عنه জবাব দিয়েছিলেন, “কোন পবিত্র ভূমি মানুষকে পবিত্র করে না বরং তার আমল-ই তাকে পবিত্র করে তুলে৷”
তাঁরা জিহাদকে কেবল মক্কা বা মদীনার সাথে সংশ্লিষ্ট করে রাখেননি, বরং বিশ্বের যেকোন স্থানে যখনই এর পূর্বশর্তগুলো পূরণ হবে,তখনই জিহাদ হবে৷ যখন তুমি ফী সাবিলিল্লাহর উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়, তুমি তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ী যারা তোমাকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করত৷ তারা তোমার মতই কথা বলে এবং নিজেদের মুসলিম হিসেবে দাবী করে কিন্তু মুজাহিদ হওয়ার প্রমাণ সমূহ বিকৃত করে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদের সম্পর্কে বলেনঃ
لَوْ خَرَجُوا فِيكُمْ مَا زَادُوكُمْ إِلَّا خَبَالًا وَلَأَوْضَعُوا خِلَالَكُمْ يَبْغُونَكُمُ الْفِتْنَةَ وَفِيكُمْ سَمَّاعُونَ لَهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ
“তারা তোমাদের সাথে (জিহাদে) বাহির হলে তোমাদের বিভ্রান্তিই বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মধ্যে ফিত্*না সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ছুটাছুটি করত৷ তোমাদের মধ্যে তাদের জন্য কথা শুনবার লোক আছে৷ আল্লাহ যালিমদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত৷”
এসব মানুষ তোমাদের সামনে শাইখের বেশে আসতে পারে এবং তোমাদের বলতে পারে যে, এখন জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর সময় নয় এবং তারা আলিম হওয়ার কারণে তুমি তাদের কথা শুনতে পার৷ আল্লাহ্* সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেনঃ
“তোমাদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি থাকতে পারে যারা তাদের কথা শুনবে৷”
কেন তারা এসব লোকের কথা শোনে? কারণ তাদের পদমর্যাদা৷ তারা তাদের গোষ্ঠীর নেতা, এমনকি আলিমও৷ তারা মুসলিমদেও জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ পালনে নিরুৎসাহিত করে৷ আর যেই একজন মুসলিমকে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ পালনে নিরুৎসাহিত করে, সে একজন মুনাফিক, কারণ এই আয়াত মুনাফিকদের উদ্দেশ্যে৷ একজন মুসলিম যখন মুজাহিদ হয়, সে এসব লোকদের অগ্রায্য করে৷ সে এসব লোকদের রাজত্বকে পরোয়া করেনা৷ একজন মুজাহিদ তাই করে যা আল্লাহ তাকে করতে বলেন৷ এটা বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় ফিতনা, যা আমরা দেখি বিশেষত আমাদের ছোট ভাইদের মধ্যে৷ আলিমরা তাদের উত্সাহিত করার বদলে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ ব্যাপারে তাদের নিরুৎসাহিত করে৷
Comment