*** আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারীমের প্রায় অনেক জায়গায় তাঁর আনুগত্যের সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য করার কথা বলেছেন।যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন -----
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ
[Surat An-Nisa' 59]
(قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ ۖ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِينَ)
[Surat Aal-E-Imran 32]
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ
[Surat Al-Anfal 20]
(وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ
রাসূল স. এর সম্মান ও মর্যাদা কিভাবে রক্ষা করতে হবে? আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারীমে তা শিক্ষা দিয়ে বলেছেন-----ِ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ)
[Surat Al-Hujurat 1]
অর্থ--
মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না( অর্থাৎ তাদের আগে কোন বিষয়ে সিদ্ধন্ত নিও না) এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।
অন্য আয়াতে বলেন---
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ)
[Surat Al-Hujurat 2]
অর্থ---
মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।
সাহাবায়ে কেরাম রাযি. যখন রাসূল স. কে সম্বোধন করে কোন কিছু বলতেন, তখন তাঁর পরিপূর্ণ সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করে কথা বলতেন।যেমন তারা বলতেন,يا رسول الله ( হে আল্লাহর রাসূল),يا نبي الله ( হে আল্লাহর নবী) ইত্যাদি। তারা তাকে يا محمد ( হে মোহাম্মদ) বলে সম্বোধন করতেন না। কারণ এভাবে সম্বোধন করা তাঁর অসম্মানের বিষয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের নবী মোহাম্মদ স. কে মানব ও জ্বিন জাতির জন্য নবী হিসেবে প্রেরন করেছেন।তিনি সবচেয়ে সম্মানিত ও সর্বশ্রেষ্ঠ মানব।তিনি আল্লাহর অতি প্রিয় ও তাঁর বন্ধু। তিনি শাফিউল মুশাফ্ফা।আল্লাহ তাআলা জান্নাতের দরজা প্রথমে তাঁর জন্যই খুলবেন।
আল্লাহ তাআলা তার প্রত্যেকটি কাজের প্রশংসা করেছেন।যেমন তাঁর আকলের প্রশংসা করে বলেন--و ما ضل صاحبكم و ما غوى
তাঁর জবানের প্রশংসা---ما ينطق عن الهوي
তাঁর দৃষ্টির প্রশংসা---ما زاغ البصر و ما طغى
তাঁর বক্ষের প্রশংসা---ألم نشرح لك صدرك
তাঁর চরিত্রের প্রশংসা---و إنك لعلى خلق عظيم
অতএব যারা আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দিবে,অবশ্যই তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন---
(ْ ۚ وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ رَسُولَ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ)
[Surat At-Tawbah 61]
আর যারা আল্লাহর রসূলের প্রতি কুৎসা রটনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন---
(إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَأَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُهِينًا)
[Surat Al-Ahzab 57]
অর্থ ---- যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।
**সুতরাং হে মহামানব! পৃথিবীর সমস্ত সাহিত্য ও অলংকারপূর্ন ভাষা আপনার প্রশংসার হক আদায় করতে অক্ষম।হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদের চোখের শীতলতা,আমাদের অন্তরের প্রশান্তি।আপনি যা চান আমরা তাই করতে প্রস্তুত।ইনশাআল্লাহ।
আমরা আমাদের জীবন দিয়ে হলেও আপনার শত্রুর মোকাবিলা করবো। আর এগুলো হলো আমাদের মনের আকুতি।
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ
[Surat An-Nisa' 59]
(قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ ۖ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِينَ)
[Surat Aal-E-Imran 32]
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ
[Surat Al-Anfal 20]
(وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ
রাসূল স. এর সম্মান ও মর্যাদা কিভাবে রক্ষা করতে হবে? আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারীমে তা শিক্ষা দিয়ে বলেছেন-----ِ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ)
[Surat Al-Hujurat 1]
অর্থ--
মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না( অর্থাৎ তাদের আগে কোন বিষয়ে সিদ্ধন্ত নিও না) এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।
অন্য আয়াতে বলেন---
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ)
[Surat Al-Hujurat 2]
অর্থ---
মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।
সাহাবায়ে কেরাম রাযি. যখন রাসূল স. কে সম্বোধন করে কোন কিছু বলতেন, তখন তাঁর পরিপূর্ণ সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করে কথা বলতেন।যেমন তারা বলতেন,يا رسول الله ( হে আল্লাহর রাসূল),يا نبي الله ( হে আল্লাহর নবী) ইত্যাদি। তারা তাকে يا محمد ( হে মোহাম্মদ) বলে সম্বোধন করতেন না। কারণ এভাবে সম্বোধন করা তাঁর অসম্মানের বিষয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের নবী মোহাম্মদ স. কে মানব ও জ্বিন জাতির জন্য নবী হিসেবে প্রেরন করেছেন।তিনি সবচেয়ে সম্মানিত ও সর্বশ্রেষ্ঠ মানব।তিনি আল্লাহর অতি প্রিয় ও তাঁর বন্ধু। তিনি শাফিউল মুশাফ্ফা।আল্লাহ তাআলা জান্নাতের দরজা প্রথমে তাঁর জন্যই খুলবেন।
আল্লাহ তাআলা তার প্রত্যেকটি কাজের প্রশংসা করেছেন।যেমন তাঁর আকলের প্রশংসা করে বলেন--و ما ضل صاحبكم و ما غوى
তাঁর জবানের প্রশংসা---ما ينطق عن الهوي
তাঁর দৃষ্টির প্রশংসা---ما زاغ البصر و ما طغى
তাঁর বক্ষের প্রশংসা---ألم نشرح لك صدرك
তাঁর চরিত্রের প্রশংসা---و إنك لعلى خلق عظيم
অতএব যারা আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দিবে,অবশ্যই তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন---
(ْ ۚ وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ رَسُولَ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ)
[Surat At-Tawbah 61]
আর যারা আল্লাহর রসূলের প্রতি কুৎসা রটনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন---
(إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَأَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُهِينًا)
[Surat Al-Ahzab 57]
অর্থ ---- যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।
**সুতরাং হে মহামানব! পৃথিবীর সমস্ত সাহিত্য ও অলংকারপূর্ন ভাষা আপনার প্রশংসার হক আদায় করতে অক্ষম।হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদের চোখের শীতলতা,আমাদের অন্তরের প্রশান্তি।আপনি যা চান আমরা তাই করতে প্রস্তুত।ইনশাআল্লাহ।
আমরা আমাদের জীবন দিয়ে হলেও আপনার শত্রুর মোকাবিলা করবো। আর এগুলো হলো আমাদের মনের আকুতি।
Comment