একই দিনে রোজা ও ঈদের ব্যাপারে আমাদের করণীয়
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম।
আমাদের অনেক ভাইদের মধ্যে এই ভুল ধারনা রয়েছে যে,
একই দিনে রোজা ও ঈদ না করলে একটি রোজা ছুটে যায় ও ঈদের দিন রোজা রাখা হয়, যা হারাম।
এটা একটি সম্পুর্ন ভুল ধারনা। এটা কোন ইমাম, কোন ফকীহ, কোন উলামা কখনো দাবী করেন নি। আসলে একইদিনে পুরো দুনিয়ার সবাই রোযা রাখা, না রাখা পুরো বিষয়টা হচ্ছে একটি ইজতিহাদি বিষয় যার উভয়টাই জায়েজ।
এই ব্যাপারটা যে একটা ইজতিহাদী মাসআলা (যার উভয় আমলই গ্রহনযোগ্য) সেটা বুঝার জন্য সবাই "মুসলমানদের মাঝে ঈমান ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ঐক্য সৃষ্টির চেষ্টা করুন একই দিনে ঈদের বিষয় দায়িত্বশীলদের উপর ছাড়ুন" রচনাটা পড়তে পারেন।
(লিংকঃ http://anonym.to/?www.sendspace.com/file/2fm4dy)
এই রচনায় আরও রয়েছে সমকালীন উলামাদের ফাতওয়া, একই দিনে ঈদের পক্ষে লিখা "ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক' সাহেবের বইয়ের পর্যালোচনা, ‘ইকবাল বিন ফাখরুল’ নামক এক যুবকের লিখা বইয়ের জবাব। এছাড়াও আর কিছু বইয়ের বিভ্রান্তি তুলে ধরে এখানে সুন্দর দলিল ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। এটা লিখেছেন মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব ("উম্মাহর ঐক্য পথ ও পন্থা" উনারই লেখা আরেকটি বই) ।
উল্লেখ্যঃ মুজাহিদ উলামা ও শাইখগণ কখনোই একই দিনে ঈদ কিংবা রোজা নিয়ে কোন কথা বলেন নি। এই নিয়ে কোন বাহাস-বিতর্কতে জড়িত হন নি। কারণ এটা হচ্ছে, একটা ইজিতেহাদি মাসয়ালা। আর ইজতেহাদি মাসআলায় বিতর্কের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট মতে পৌঁছা সম্ভব নয়, বিশেষতঃ আ’ম (যারা আলেম নন) মানুষের জন্য।
তাই আমাদের উচিত এই ব্যাপারে, অযথা তর্ক-বিতর্ক-বাহাস ইত্যাদি পরিহার করা। বরং আল্লাহর ইবাদতে বেশী বেশী নিমগ্ন হওয়া। শয়তান চায় আমাদের ইবাদতের সময়কে কিছু অপ্রয়োজনীয় কাজে নষ্ট করে দিতে। আল্লাহ আমাদেরকে সেটা থেকে হেফাজত করুন।
বরং আমাদের মুজাহিদ ভাইদের উচিত জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর স্বার্থে ইজতিহাদি সকল মাসআলায় ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) এর নির্দেশিত পন্থা অনুসরণ করা।
এসকল ইজতিহাদী মাসয়ালায় নিজের জানা মতে / নিজের মাজহাবে একটি মত উত্তম থাকলেও নির্দিষ্ট এলাকার জিহাদের স্বার্থে ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের ভুল-বুঝাবুঝির সুযোগ সৃষ্টি হয়, এমন আমল থেকে তিনি বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ‘এসো কাফেলাবদ্ধ হই’ বই এ উল্লেখ করেছেনঃ
إن الشعب الأفغاني أمي تربى على المذهب الحنفي ولم يعايش المذهب الحنفي في أفغانستان مذهب آخر، ولذا فكثير منهم يظن أن كل من يخالف المذهب الحنفي ليس من الإسلام، وعدم وجود مذاهب أخرى في أفغانستان أظهر التعصب للمذهب الحنفي في قلوب الأفغان، فعلى كل من أراد الجهاد مع الشعب الأفغاني أن يحترم المذهب الحنفي.
إن الشعب الأفغاني شعب وفي عنده مروءة ورجولة وإباء ولا يعرف المراوغة ولا المداهنة، فإذا أحب شخصا بذل لأجله دمه ونفسه، وإذا بغض لا يقوم لبغضه شيء. وترك بعض هيئات الصلاة في بداية الإختلاط بهم، تعطيك فرصة غالية حتى تصل إلى قلوبهم فتوجههم وتربيهم، وتصلح في أمر دينهم ودنياهم، وقد أفتى أحمد بن حنبل ومالك وابن تيمية بمثل هذا] - الحق بالقافلة [
“যেহেতু আফগানিস্থানে হানাফী মাজহাব ছাড়া অন্য কোন মাজহাব ছিলো না, তাই এখানকার সাধারণ মানুষ হানাফী মাজহাবের খেলাফ কিছু দেখলে সেটাকে দ্বীনের খেলাফ মনে করেন। ... তাই যারা আফগানিস্তানে জিহাদ করতে ইচ্ছুক, তারা হানাফী মাজহাবকে সম্মান করে চলতে হবে।
...... তাই আফগানদের সাথে প্রথম প্রথম মিশতে গেলে একজনের উচিত হবেঃ নামাজে বিশেষ বিশেষ কাজ না করা (নোটঃ অর্থাৎ যে সব কাজ হানাফী মাজহাব অনুযায়ী নামাজে নেই, যেমনঃ রফে ইয়াদাইন ইত্যাদি), যাতে সে তাদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারে। ...... এ ব্যাপারে ইমাম আহমাদ (রঃ) , ইমাম মালেক (রঃ) ও ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) এর ফতোয়া রয়েছে। ”।
দেখা যাচ্ছে, ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ), আল্লাহ তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন, এখানে জিহাদের স্বার্থে নামাজের কোন কোন সুন্নত যা হানাফী মাজহাবে নেই, তা আরব সালাফী মুজাহিদীনদেরকে না করতে বলছেন, যাতে তারা সাধারণ আফগানদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারেন। যাতে হানাফী-আফগান-আনসার আর সালাফী-আরব-মুহাজিরের মাঝে কোন মতবিরোধ সৃষ্টি না হয়। যাতে সাধারণ আনসারদের মনে মুজাহিদদের ব্যাপারে কোন ভুল ধারনার সৃষ্টি না হয়। আরো উল্লেখ্য, এর কাছাকাছি ফতোয়া ইমাম আহমাদ (রঃ) , ইমাম মালেক (রঃ) ও ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
তাই, আমাদের উচিত উম্মাহর ঐক্যের স্বার্থে, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর স্বার্থে, এসব ফুরুয়ী মাসয়ালায় এদেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য মাসআলা অনুযায়ী আমল করা। অর্থাৎ এদেশের অধিকাংশ মুসলমান যে দিন রোজা শুরু করেন, সেই দিন শুরু করা এবং যেদিন ঈদ করেন, সেই দিন ঈদ উদযাপন করা। অপরিচিত মাসআলার উপর আমল করতে গিয়ে, ‘নিজের মনে খুশী লাগে’, ‘নিজের মন ঐদিকে টানে’, ‘আমার কাছে বেশী সহীহ মনে হয়’ ইত্যাদি কারণে কোন বিশেষ আমল করতে গিয়ে যেনো আমরা মুসলিমদের জনসমর্থন হারিয়ে না ফেলি। আল্লাহ আমাদেরকে সেটা থেকে হেফাজত রাখুন।
আমাদের মনে রাখতে হবেঃ আমাদের দাওয়াত ও জিহাদের মূল ইস্যু হচ্ছে তাওহীদ, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ, আল্লাহর শরিয়াহ কায়েম ও উম্মাহর ঐক্য বজায় রাখা। ঈদ, রোযা আর নামাজের ফুরুয়ী ইস্যুগুলো যেন আমাদের মূল বিষয়ের ব্যাঘাত না ঘটায়। আল্লাহু আ'লাম।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে হিকমতের সাথে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে শরীক থাকার তাউফিক দান করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জান-মাল দিয়ে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে শরীক থাকার তাউফিক দান করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে ইখলাস ও ইহসানের সাথে তাঁর ইবাদতে লিপ্ত থাকার তাউফিক দান করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে তাঁর ইবাদতকারী, রুকুকারী, সিজদাকারী, জিকিরকারী, শুকরিয়া আদায়কারী, প্রশংসাকারী বান্দা হিসেবে কবুল করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আসন্ন রমজান মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সামিল করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সেই সকল অভাগাদের থেকে দূরে রাখুন যারা রমজান মাস পেয়েও নিজের মুক্তি নিশ্চিত করতে পারলো না, যাদের উপর শ্রেষ্ট মানুষ ও শ্রেষ্ট ফেরেস্তার বদ-দুয়া পরেছে।
সকল প্রশংশা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য, সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তার পরিবারবর্গের উপর।
২৮ শা’বান ১৪৩৬ হিজরী (১৬ জুন ২০১৫)
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম।
আমাদের অনেক ভাইদের মধ্যে এই ভুল ধারনা রয়েছে যে,
একই দিনে রোজা ও ঈদ না করলে একটি রোজা ছুটে যায় ও ঈদের দিন রোজা রাখা হয়, যা হারাম।
এটা একটি সম্পুর্ন ভুল ধারনা। এটা কোন ইমাম, কোন ফকীহ, কোন উলামা কখনো দাবী করেন নি। আসলে একইদিনে পুরো দুনিয়ার সবাই রোযা রাখা, না রাখা পুরো বিষয়টা হচ্ছে একটি ইজতিহাদি বিষয় যার উভয়টাই জায়েজ।
এই ব্যাপারটা যে একটা ইজতিহাদী মাসআলা (যার উভয় আমলই গ্রহনযোগ্য) সেটা বুঝার জন্য সবাই "মুসলমানদের মাঝে ঈমান ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ঐক্য সৃষ্টির চেষ্টা করুন একই দিনে ঈদের বিষয় দায়িত্বশীলদের উপর ছাড়ুন" রচনাটা পড়তে পারেন।
(লিংকঃ http://anonym.to/?www.sendspace.com/file/2fm4dy)
এই রচনায় আরও রয়েছে সমকালীন উলামাদের ফাতওয়া, একই দিনে ঈদের পক্ষে লিখা "ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক' সাহেবের বইয়ের পর্যালোচনা, ‘ইকবাল বিন ফাখরুল’ নামক এক যুবকের লিখা বইয়ের জবাব। এছাড়াও আর কিছু বইয়ের বিভ্রান্তি তুলে ধরে এখানে সুন্দর দলিল ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। এটা লিখেছেন মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব ("উম্মাহর ঐক্য পথ ও পন্থা" উনারই লেখা আরেকটি বই) ।
উল্লেখ্যঃ মুজাহিদ উলামা ও শাইখগণ কখনোই একই দিনে ঈদ কিংবা রোজা নিয়ে কোন কথা বলেন নি। এই নিয়ে কোন বাহাস-বিতর্কতে জড়িত হন নি। কারণ এটা হচ্ছে, একটা ইজিতেহাদি মাসয়ালা। আর ইজতেহাদি মাসআলায় বিতর্কের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট মতে পৌঁছা সম্ভব নয়, বিশেষতঃ আ’ম (যারা আলেম নন) মানুষের জন্য।
তাই আমাদের উচিত এই ব্যাপারে, অযথা তর্ক-বিতর্ক-বাহাস ইত্যাদি পরিহার করা। বরং আল্লাহর ইবাদতে বেশী বেশী নিমগ্ন হওয়া। শয়তান চায় আমাদের ইবাদতের সময়কে কিছু অপ্রয়োজনীয় কাজে নষ্ট করে দিতে। আল্লাহ আমাদেরকে সেটা থেকে হেফাজত করুন।
বরং আমাদের মুজাহিদ ভাইদের উচিত জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর স্বার্থে ইজতিহাদি সকল মাসআলায় ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) এর নির্দেশিত পন্থা অনুসরণ করা।
এসকল ইজতিহাদী মাসয়ালায় নিজের জানা মতে / নিজের মাজহাবে একটি মত উত্তম থাকলেও নির্দিষ্ট এলাকার জিহাদের স্বার্থে ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের ভুল-বুঝাবুঝির সুযোগ সৃষ্টি হয়, এমন আমল থেকে তিনি বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ‘এসো কাফেলাবদ্ধ হই’ বই এ উল্লেখ করেছেনঃ
إن الشعب الأفغاني أمي تربى على المذهب الحنفي ولم يعايش المذهب الحنفي في أفغانستان مذهب آخر، ولذا فكثير منهم يظن أن كل من يخالف المذهب الحنفي ليس من الإسلام، وعدم وجود مذاهب أخرى في أفغانستان أظهر التعصب للمذهب الحنفي في قلوب الأفغان، فعلى كل من أراد الجهاد مع الشعب الأفغاني أن يحترم المذهب الحنفي.
إن الشعب الأفغاني شعب وفي عنده مروءة ورجولة وإباء ولا يعرف المراوغة ولا المداهنة، فإذا أحب شخصا بذل لأجله دمه ونفسه، وإذا بغض لا يقوم لبغضه شيء. وترك بعض هيئات الصلاة في بداية الإختلاط بهم، تعطيك فرصة غالية حتى تصل إلى قلوبهم فتوجههم وتربيهم، وتصلح في أمر دينهم ودنياهم، وقد أفتى أحمد بن حنبل ومالك وابن تيمية بمثل هذا] - الحق بالقافلة [
“যেহেতু আফগানিস্থানে হানাফী মাজহাব ছাড়া অন্য কোন মাজহাব ছিলো না, তাই এখানকার সাধারণ মানুষ হানাফী মাজহাবের খেলাফ কিছু দেখলে সেটাকে দ্বীনের খেলাফ মনে করেন। ... তাই যারা আফগানিস্তানে জিহাদ করতে ইচ্ছুক, তারা হানাফী মাজহাবকে সম্মান করে চলতে হবে।
...... তাই আফগানদের সাথে প্রথম প্রথম মিশতে গেলে একজনের উচিত হবেঃ নামাজে বিশেষ বিশেষ কাজ না করা (নোটঃ অর্থাৎ যে সব কাজ হানাফী মাজহাব অনুযায়ী নামাজে নেই, যেমনঃ রফে ইয়াদাইন ইত্যাদি), যাতে সে তাদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারে। ...... এ ব্যাপারে ইমাম আহমাদ (রঃ) , ইমাম মালেক (রঃ) ও ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) এর ফতোয়া রয়েছে। ”।
দেখা যাচ্ছে, ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ), আল্লাহ তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন, এখানে জিহাদের স্বার্থে নামাজের কোন কোন সুন্নত যা হানাফী মাজহাবে নেই, তা আরব সালাফী মুজাহিদীনদেরকে না করতে বলছেন, যাতে তারা সাধারণ আফগানদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারেন। যাতে হানাফী-আফগান-আনসার আর সালাফী-আরব-মুহাজিরের মাঝে কোন মতবিরোধ সৃষ্টি না হয়। যাতে সাধারণ আনসারদের মনে মুজাহিদদের ব্যাপারে কোন ভুল ধারনার সৃষ্টি না হয়। আরো উল্লেখ্য, এর কাছাকাছি ফতোয়া ইমাম আহমাদ (রঃ) , ইমাম মালেক (রঃ) ও ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
তাই, আমাদের উচিত উম্মাহর ঐক্যের স্বার্থে, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর স্বার্থে, এসব ফুরুয়ী মাসয়ালায় এদেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য মাসআলা অনুযায়ী আমল করা। অর্থাৎ এদেশের অধিকাংশ মুসলমান যে দিন রোজা শুরু করেন, সেই দিন শুরু করা এবং যেদিন ঈদ করেন, সেই দিন ঈদ উদযাপন করা। অপরিচিত মাসআলার উপর আমল করতে গিয়ে, ‘নিজের মনে খুশী লাগে’, ‘নিজের মন ঐদিকে টানে’, ‘আমার কাছে বেশী সহীহ মনে হয়’ ইত্যাদি কারণে কোন বিশেষ আমল করতে গিয়ে যেনো আমরা মুসলিমদের জনসমর্থন হারিয়ে না ফেলি। আল্লাহ আমাদেরকে সেটা থেকে হেফাজত রাখুন।
আমাদের মনে রাখতে হবেঃ আমাদের দাওয়াত ও জিহাদের মূল ইস্যু হচ্ছে তাওহীদ, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ, আল্লাহর শরিয়াহ কায়েম ও উম্মাহর ঐক্য বজায় রাখা। ঈদ, রোযা আর নামাজের ফুরুয়ী ইস্যুগুলো যেন আমাদের মূল বিষয়ের ব্যাঘাত না ঘটায়। আল্লাহু আ'লাম।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে হিকমতের সাথে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে শরীক থাকার তাউফিক দান করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জান-মাল দিয়ে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে শরীক থাকার তাউফিক দান করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে ইখলাস ও ইহসানের সাথে তাঁর ইবাদতে লিপ্ত থাকার তাউফিক দান করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে তাঁর ইবাদতকারী, রুকুকারী, সিজদাকারী, জিকিরকারী, শুকরিয়া আদায়কারী, প্রশংসাকারী বান্দা হিসেবে কবুল করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আসন্ন রমজান মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সামিল করুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সেই সকল অভাগাদের থেকে দূরে রাখুন যারা রমজান মাস পেয়েও নিজের মুক্তি নিশ্চিত করতে পারলো না, যাদের উপর শ্রেষ্ট মানুষ ও শ্রেষ্ট ফেরেস্তার বদ-দুয়া পরেছে।
সকল প্রশংশা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য, সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তার পরিবারবর্গের উপর।
২৮ শা’বান ১৪৩৬ হিজরী (১৬ জুন ২০১৫)
Comment