সর্বাবস্থায় বড়দের কাজকে সাদরে গ্রহণ করাটা বড়দের অনুসরণ নয়; বরং এটাকে ‘আকাবির পূজা’ বলা হয়।
.
দেওবন্দিয়ত হলো আহলে সুন্নাহ ওয়ালজামাতের আরেকটি নাম। দেওবন্দীরা কখনও বড়দের পূজা করে না। বড়দের পূজা করা মাজারভক্ত বেরলভীদের বৈশিষ্ট্য। ইংরেজ খেদাও আন্দোলনের বীরসেনানী, শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর সুযোগ্য দৌহিত্র, ভারতের শাহী মুরাদাবাদ মাদ্রাসার মুঈনে মুফতী আল্লামা সালমান মানসুরপুরী হাফি. বলেন, ‘বুযুর্গদের সম্মান আপন জায়গাতে ঠিক আছে। তবে এটা ওই পর্যন্তই হওয়া উচিত যতটুকু শরীয়ত অনুমোদিত। কারণ মুসলমানদের কাছে শরীয়ত সবচেয়ে সম্মানিত। আর শরীয়ত ডিঙিয়ে মুসলমানদের জন্য কোনো জিনিস করার সুযোগ নেই’।
(দাওয়াতে ফিকর ওয়া আমল: পৃষ্ঠা ৪১২; সূত্র, তাযিয়তী ইজলাস কী শরঈ হাইছিয়ত: পৃষ্ঠা ৩২)।
.
দারুল উলূম দেওবন্দের শায়খুল হাদীস উস্তাদে মুহতারাম মুফতী সাঈদ আহমদ পালনপুরী হাফি. বলেন, “আকাবিরদের আমল তখনই দলীল হবে যখন এটা কুরআন-সুন্নাহ এবং স্বর্ণালি তিন যুগের আমল দ্বারা সমর্থিত হবে। সর্বাবস্থায় বড়দের কাজ গ্রহণ করাটা তাঁদের অনুসরণ নয়; বরং এটাকে ‘আকাবির পূজা’ বলা হয়। ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’র মধ্যে হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ. দ্বীন বিকৃতির সাতটি কারণ উল্লেখ করেছেন। সেগুলোর মধ্য হতে একটি হলো, ‘ইস্তিহসানে মাশায়েখ’। অর্থাৎ বড়রা যে কাজকেই পছন্দ করে পরবর্তী প্রজন্ম সেটাকেই দ্বীন মনে করে বসে—এর দ্বারাও ধর্ম বিকৃত হয়ে যায়।”
(দেওবন্দিয়ত কিয়া হে: পৃষ্ঠা ২)।
.
ইমামে রব্বানী মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ. বলেন, “বুযুর্গ-মুরব্বিদের কথা ও কাজ শরীয়তের দলীল নয়; বরং শরীয়ত প্রণেতার কথা ও কাজ এবং মুজতাহিদ ইমামদের মতামত শরীয়তের দলীল হিসেবে ধর্তব্য হয়। হযরত নাসিরুদ্দীন চেরাগ দেহলভী রহ. বলেন, ‘কেউ যখন আমার কাছে আমার পীর সুলতানুল আওলিয়া নিযামুদ্দীন রহ.-এর কোনো আমলকে দলীল হিসেবে পেশ করে বলতো যে, তুমি এমনটি করো না কেন, অমনটি করো না কেন?
তখন আমি বলতাম, বুযুর্গদের কাজ শরীয়তের দলীল নয়। আমার এই উত্তরটি শোনে আমার পীর সাহেবও পছন্দ করতেন’।”
(ফাতাওয়া রশীদিয়া: পৃষ্ঠা ১১৭; সূত্র, তাযিয়তী ইজলাস কী শরঈ হাইছিয়ত: পৃষ্ঠা ১২৯)।
লিখেছেন:দারুল উলুম দেওবন্দের এক সন্তান। মহান আল্লাহ তা‘আলা তাকে জাঝায়ে খাইর দান করুন এবং দ্বীনের মুজাহিদ হিসাবে কবুল করে নিন।...আল্লাহুম্মা আমীন
.
দেওবন্দিয়ত হলো আহলে সুন্নাহ ওয়ালজামাতের আরেকটি নাম। দেওবন্দীরা কখনও বড়দের পূজা করে না। বড়দের পূজা করা মাজারভক্ত বেরলভীদের বৈশিষ্ট্য। ইংরেজ খেদাও আন্দোলনের বীরসেনানী, শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর সুযোগ্য দৌহিত্র, ভারতের শাহী মুরাদাবাদ মাদ্রাসার মুঈনে মুফতী আল্লামা সালমান মানসুরপুরী হাফি. বলেন, ‘বুযুর্গদের সম্মান আপন জায়গাতে ঠিক আছে। তবে এটা ওই পর্যন্তই হওয়া উচিত যতটুকু শরীয়ত অনুমোদিত। কারণ মুসলমানদের কাছে শরীয়ত সবচেয়ে সম্মানিত। আর শরীয়ত ডিঙিয়ে মুসলমানদের জন্য কোনো জিনিস করার সুযোগ নেই’।
(দাওয়াতে ফিকর ওয়া আমল: পৃষ্ঠা ৪১২; সূত্র, তাযিয়তী ইজলাস কী শরঈ হাইছিয়ত: পৃষ্ঠা ৩২)।
.
দারুল উলূম দেওবন্দের শায়খুল হাদীস উস্তাদে মুহতারাম মুফতী সাঈদ আহমদ পালনপুরী হাফি. বলেন, “আকাবিরদের আমল তখনই দলীল হবে যখন এটা কুরআন-সুন্নাহ এবং স্বর্ণালি তিন যুগের আমল দ্বারা সমর্থিত হবে। সর্বাবস্থায় বড়দের কাজ গ্রহণ করাটা তাঁদের অনুসরণ নয়; বরং এটাকে ‘আকাবির পূজা’ বলা হয়। ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’র মধ্যে হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ. দ্বীন বিকৃতির সাতটি কারণ উল্লেখ করেছেন। সেগুলোর মধ্য হতে একটি হলো, ‘ইস্তিহসানে মাশায়েখ’। অর্থাৎ বড়রা যে কাজকেই পছন্দ করে পরবর্তী প্রজন্ম সেটাকেই দ্বীন মনে করে বসে—এর দ্বারাও ধর্ম বিকৃত হয়ে যায়।”
(দেওবন্দিয়ত কিয়া হে: পৃষ্ঠা ২)।
.
ইমামে রব্বানী মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ. বলেন, “বুযুর্গ-মুরব্বিদের কথা ও কাজ শরীয়তের দলীল নয়; বরং শরীয়ত প্রণেতার কথা ও কাজ এবং মুজতাহিদ ইমামদের মতামত শরীয়তের দলীল হিসেবে ধর্তব্য হয়। হযরত নাসিরুদ্দীন চেরাগ দেহলভী রহ. বলেন, ‘কেউ যখন আমার কাছে আমার পীর সুলতানুল আওলিয়া নিযামুদ্দীন রহ.-এর কোনো আমলকে দলীল হিসেবে পেশ করে বলতো যে, তুমি এমনটি করো না কেন, অমনটি করো না কেন?
তখন আমি বলতাম, বুযুর্গদের কাজ শরীয়তের দলীল নয়। আমার এই উত্তরটি শোনে আমার পীর সাহেবও পছন্দ করতেন’।”
(ফাতাওয়া রশীদিয়া: পৃষ্ঠা ১১৭; সূত্র, তাযিয়তী ইজলাস কী শরঈ হাইছিয়ত: পৃষ্ঠা ১২৯)।
লিখেছেন:দারুল উলুম দেওবন্দের এক সন্তান। মহান আল্লাহ তা‘আলা তাকে জাঝায়ে খাইর দান করুন এবং দ্বীনের মুজাহিদ হিসাবে কবুল করে নিন।...আল্লাহুম্মা আমীন
Comment