আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহি ওয়াহদাহ্ ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা মাল্লা নাবিয়্যা বা’দাহ। আম্মা বা’দ-
নিজের দুর্বলতা স্বীকার করে নেওয়াকে আমি লজ্জাজনক মনে করি না। তাই, নিজের ইলমী সংকীর্ণতার কথা প্রথমেই স্বীকার করে নিচ্ছি! ভুল-ভ্রান্তি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়, তবে ভুলের উপর অটল থাকা তথা সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা হলো গোমরাহী! আর বর্তমানে ‘‘ভুলের উপর অটল থাকা’’-এর নীতিটাই বেশি লক্ষ্যণীয়! তাই, আলোচনার পূর্বে একটি বিষয় সুস্পষ্ট করে নেওয়া প্রয়োজন মনে করছি। ইসলামী শরীয়তকে এক বাক্যে মেনে নিয়েছি, আর শরীয়তের বিপরীতে গিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করাকে আমি গোমরাহী মনে করি। এখন কেউ যদি শরীয়তের নির্ধারিত কিছু বিষয়কে (যেমন ঘর-বাড়ি,স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে জিহাদের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়া, নির্যাতিত হওয়ার ভয় না পেয়ে সত্যকে সুস্পষ্ট করা ইত্যাদিকে) ‘আবেগী’ কথা বলে এড়িয়ে যান, তাহলে আমার কিছু বলার নেই! যাইহোক, ভূমিকা বড় করা অনেকের কাছে অপছন্দীয়, তাই মূল আলোচনায় যাওয়াটাই সংগত মনে করছি! বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘মুসলিমদের করণীয়’ সম্পর্কে এক ভাইয়ের উত্থাপিত একটি প্রশ্নের আলোকে আজ সংক্ষেপে কিছু কথা বলার ইচ্ছা করছি, ওয়ামা তাওফিক্বী ইল্লাহ বিল্লাহ।
এক ভাই বলেছেন, ‘‘বর্তমানে এই যে রাজনৈতিকদল দ্বারা আমরা যেভাবে গুম-খুন-কথা বলার স্বাধীনতা হরণসহ বহু অনাচারের শিকার হচ্ছি এগুলো বিষয়ে কী নীতি হবে?’’
সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি ইসলামের মাধ্যমে আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। ইসলামকে মনোনিত করেছেন মানবজাতির জন্য একমাত্র জীবনব্যবস্থা হিসেবে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-
‘إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ
অর্থাৎ, নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। [সূরা আলে-ইমরান, আয়াত:১৯]
সুতরাং, মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ইসলামকে আমাদের জন্য একমাত্র দ্বীন হিসেবে পছন্দ করেছেন। ইসলাম অনুযায়ী চলার মধ্যেই রয়েছে সুখ-শান্তি, সম্মান, জুলুমের প্রতিকার। তাই, ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করাই একজন মুমিনের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসরমান মুমিন বাধা-বিপত্তির শিকার হবে, এটাই স্বাভাবিক! আল্লাহর প্রেরিত নবী-রাসূলগণ এবং তাঁদের সহচরগণও ইসলামের দুশমনদের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন। তবে, তারা কখনোই তাওহীদের পথ থেকে বিচ্যুত হননি, কখনো ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হননি। ইসলামের জন্য অপকার, এরূপ কোন কাজ কখনো করেননি। বরং, আল্লাহ তা’য়ালার দেওয়া শরীয়াহ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন; হোক তা সাময়িক যন্ত্রণার, নিজেদের জন্য অপছন্দীয় বিষয়!
প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আমাদের উপর ইসলামের দুশমনদের প্রতিরক্ষা করার জন্য ক্বিতালকে ফরজ করা হয়েছে। ফেতনা নির্মূল করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতেও ক্বিতাল ফী সাবিলিল্লাহ’র কথা বলা হয়েছে! আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন-
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لِلَّهِ ۖ فَإِنِ انتَهَوْا فَلَا عُدْوَانَ إِلَّا عَلَى الظَّالِمِينَ [٢:١٩٣]
আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর,যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই,কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)। [সূরা বাকারা, আয়াত ১৯৩]
এ আয়াতে ব্যাখ্যায় তাফসিরগ্রন্থে [আশা করি, দলিল দেওয়ার প্রয়োজন নেই] ‘ফেতনা’ বলতে শিরক, কুফর ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে। যেহেতু, বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজ-দেশ, বিশ্বজুড়ে এসকল ফেতনার সয়লাব, এগুলো দূর করার জন্য ক্বিতালের ফরজিয়্যাত আদায়ের ভার আমাদের কাঁধে এমনিতেই ঝুলে রয়েছে। তার উপর আবার যোগ হয়েছে- মুসলিমদের উপর নির্যাতনের বদলা, মুসলিমদের বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব, ইসলামী ভূমিসমূহকে পুনরায় ইসলামী শরীয়ার ছায়ায় নিয়ে আসার ফরজিয়্যাত।
অতএব, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, বর্তমান মানবরচিত শাসনব্যবস্থাকে ক্বিতালের মাধ্যমে অপসারণ করে ইসলামী শাসন কায়েম করার ফরজিয়্যাত আমাদের কাঁধে অর্পিত রয়েছে। অর্থাৎ, আমাদের উচিত ছিল বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ক্বিতালরত থাকা। এখন বাস্তবতা হলো- আমভাবে আমরা বর্তমান শাসকের সাথে ক্বিতালরত না হলেও, তারা(শাসকগোষ্ঠী) আমাদের সাথে ক্বিতালরত! যার কারণে, তারা আমাদের হত্যা করে, গুম করে, দ্বীনী কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করে; মূলত আমাদের উপস্থিতিই তাদের জন্য পীড়াদায়ক!
এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের ‘করণীয় কী’? এর উত্তর অতি সোজা! তাদের সাথে ক্বিতাল করা। আল্লাহ তা’য়ালাও এমনটিই বলেছেন-
وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ [٢:١٩٠]
আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে,যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৯০]
এ আয়াত থেকে আমাদের করণীয় কী, তা সুস্পষ্ট হয়ে যায়! তারা আমাদেরকে হত্যা করতে আসলে, আমাদেরকে গুম করতে আসলে, আমাদের দ্বীনী কথা বলার অধিকার কেড়ে নিলে আমাদের করণীয় কী, তার উত্তর এ আয়াতেই সুস্পষ্ট হয়ে যায়! আমাদের সাধ্যানুযায়ী আমরা তাদের প্রতিহত করবো। তারপরও, পরাজিত হয়ে গেলে হয়তো শহীদ হয়ে যাব, না হয় তাদের হাতে নির্যাতন ভোগ করবো।
তাছাড়া, এক্ষেত্রে যে অজুহাতগুলো দাড় করানো হয় সাধারণত, তা হলো- আমাদের সামর্থ্য নেই, অস্ত্রশস্ত্রের অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি!! এ বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
তবুও, উল্লেখিত প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আমি কিছু পরামর্শ দিতে পারি ইনশাআল্লাহ। তা হলো-
- নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে উম্মাহকে সচেতন করা।
- গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে যেতে পারেন ইনশাআল্লাহ। [বি.দ্র: শত প্রচেষ্টার পরও গ্রেফতার হতে পারেন, তখন উপস্থিত সামরিক কিছু করতে পারলে তো করলেনই; আর না পারলে জেলে গিয়ে নির্যাতিত হওয়ার ধৈর্য থাকতে হবে ইনশআল্লাহ]
- নিজের পরিচয় লুকিয়ে (সিকিউরিটির জন্য, আপনার ইচ্ছা হলে খোলাখুলি বলতে পারেন; মূল কথা হলো- বলতে হবে) উম্মাহকে তাওহীদ ও জিহাদের বিশুদ্ধ দাওয়াত দিতে থাকা।
- সাধ্যমত ক্বিতালের প্রস্তুতি নেওয়া।
- সাধ্যমত সামরিক কার্যক্রম চালানো।
আশা করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে গুম-খুন, দ্বীনী কথা বলার অধিকারহরণ তথা আমাদের বিরুদ্ধে ঘটমান বিভিন্ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের করণীয় কী, তা সুস্পষ্ট হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
নিজের দুর্বলতা স্বীকার করে নেওয়াকে আমি লজ্জাজনক মনে করি না। তাই, নিজের ইলমী সংকীর্ণতার কথা প্রথমেই স্বীকার করে নিচ্ছি! ভুল-ভ্রান্তি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়, তবে ভুলের উপর অটল থাকা তথা সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা হলো গোমরাহী! আর বর্তমানে ‘‘ভুলের উপর অটল থাকা’’-এর নীতিটাই বেশি লক্ষ্যণীয়! তাই, আলোচনার পূর্বে একটি বিষয় সুস্পষ্ট করে নেওয়া প্রয়োজন মনে করছি। ইসলামী শরীয়তকে এক বাক্যে মেনে নিয়েছি, আর শরীয়তের বিপরীতে গিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করাকে আমি গোমরাহী মনে করি। এখন কেউ যদি শরীয়তের নির্ধারিত কিছু বিষয়কে (যেমন ঘর-বাড়ি,স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে জিহাদের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়া, নির্যাতিত হওয়ার ভয় না পেয়ে সত্যকে সুস্পষ্ট করা ইত্যাদিকে) ‘আবেগী’ কথা বলে এড়িয়ে যান, তাহলে আমার কিছু বলার নেই! যাইহোক, ভূমিকা বড় করা অনেকের কাছে অপছন্দীয়, তাই মূল আলোচনায় যাওয়াটাই সংগত মনে করছি! বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘মুসলিমদের করণীয়’ সম্পর্কে এক ভাইয়ের উত্থাপিত একটি প্রশ্নের আলোকে আজ সংক্ষেপে কিছু কথা বলার ইচ্ছা করছি, ওয়ামা তাওফিক্বী ইল্লাহ বিল্লাহ।
এক ভাই বলেছেন, ‘‘বর্তমানে এই যে রাজনৈতিকদল দ্বারা আমরা যেভাবে গুম-খুন-কথা বলার স্বাধীনতা হরণসহ বহু অনাচারের শিকার হচ্ছি এগুলো বিষয়ে কী নীতি হবে?’’
সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি ইসলামের মাধ্যমে আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। ইসলামকে মনোনিত করেছেন মানবজাতির জন্য একমাত্র জীবনব্যবস্থা হিসেবে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-
‘إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ
অর্থাৎ, নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। [সূরা আলে-ইমরান, আয়াত:১৯]
সুতরাং, মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ইসলামকে আমাদের জন্য একমাত্র দ্বীন হিসেবে পছন্দ করেছেন। ইসলাম অনুযায়ী চলার মধ্যেই রয়েছে সুখ-শান্তি, সম্মান, জুলুমের প্রতিকার। তাই, ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করাই একজন মুমিনের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসরমান মুমিন বাধা-বিপত্তির শিকার হবে, এটাই স্বাভাবিক! আল্লাহর প্রেরিত নবী-রাসূলগণ এবং তাঁদের সহচরগণও ইসলামের দুশমনদের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন। তবে, তারা কখনোই তাওহীদের পথ থেকে বিচ্যুত হননি, কখনো ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হননি। ইসলামের জন্য অপকার, এরূপ কোন কাজ কখনো করেননি। বরং, আল্লাহ তা’য়ালার দেওয়া শরীয়াহ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন; হোক তা সাময়িক যন্ত্রণার, নিজেদের জন্য অপছন্দীয় বিষয়!
প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আমাদের উপর ইসলামের দুশমনদের প্রতিরক্ষা করার জন্য ক্বিতালকে ফরজ করা হয়েছে। ফেতনা নির্মূল করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতেও ক্বিতাল ফী সাবিলিল্লাহ’র কথা বলা হয়েছে! আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন-
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لِلَّهِ ۖ فَإِنِ انتَهَوْا فَلَا عُدْوَانَ إِلَّا عَلَى الظَّالِمِينَ [٢:١٩٣]
আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর,যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই,কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)। [সূরা বাকারা, আয়াত ১৯৩]
এ আয়াতে ব্যাখ্যায় তাফসিরগ্রন্থে [আশা করি, দলিল দেওয়ার প্রয়োজন নেই] ‘ফেতনা’ বলতে শিরক, কুফর ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে। যেহেতু, বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজ-দেশ, বিশ্বজুড়ে এসকল ফেতনার সয়লাব, এগুলো দূর করার জন্য ক্বিতালের ফরজিয়্যাত আদায়ের ভার আমাদের কাঁধে এমনিতেই ঝুলে রয়েছে। তার উপর আবার যোগ হয়েছে- মুসলিমদের উপর নির্যাতনের বদলা, মুসলিমদের বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব, ইসলামী ভূমিসমূহকে পুনরায় ইসলামী শরীয়ার ছায়ায় নিয়ে আসার ফরজিয়্যাত।
অতএব, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, বর্তমান মানবরচিত শাসনব্যবস্থাকে ক্বিতালের মাধ্যমে অপসারণ করে ইসলামী শাসন কায়েম করার ফরজিয়্যাত আমাদের কাঁধে অর্পিত রয়েছে। অর্থাৎ, আমাদের উচিত ছিল বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ক্বিতালরত থাকা। এখন বাস্তবতা হলো- আমভাবে আমরা বর্তমান শাসকের সাথে ক্বিতালরত না হলেও, তারা(শাসকগোষ্ঠী) আমাদের সাথে ক্বিতালরত! যার কারণে, তারা আমাদের হত্যা করে, গুম করে, দ্বীনী কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করে; মূলত আমাদের উপস্থিতিই তাদের জন্য পীড়াদায়ক!
এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের ‘করণীয় কী’? এর উত্তর অতি সোজা! তাদের সাথে ক্বিতাল করা। আল্লাহ তা’য়ালাও এমনটিই বলেছেন-
وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ [٢:١٩٠]
আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে,যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৯০]
এ আয়াত থেকে আমাদের করণীয় কী, তা সুস্পষ্ট হয়ে যায়! তারা আমাদেরকে হত্যা করতে আসলে, আমাদেরকে গুম করতে আসলে, আমাদের দ্বীনী কথা বলার অধিকার কেড়ে নিলে আমাদের করণীয় কী, তার উত্তর এ আয়াতেই সুস্পষ্ট হয়ে যায়! আমাদের সাধ্যানুযায়ী আমরা তাদের প্রতিহত করবো। তারপরও, পরাজিত হয়ে গেলে হয়তো শহীদ হয়ে যাব, না হয় তাদের হাতে নির্যাতন ভোগ করবো।
তাছাড়া, এক্ষেত্রে যে অজুহাতগুলো দাড় করানো হয় সাধারণত, তা হলো- আমাদের সামর্থ্য নেই, অস্ত্রশস্ত্রের অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি!! এ বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
তবুও, উল্লেখিত প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আমি কিছু পরামর্শ দিতে পারি ইনশাআল্লাহ। তা হলো-
- নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে উম্মাহকে সচেতন করা।
- গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে যেতে পারেন ইনশাআল্লাহ। [বি.দ্র: শত প্রচেষ্টার পরও গ্রেফতার হতে পারেন, তখন উপস্থিত সামরিক কিছু করতে পারলে তো করলেনই; আর না পারলে জেলে গিয়ে নির্যাতিত হওয়ার ধৈর্য থাকতে হবে ইনশআল্লাহ]
- নিজের পরিচয় লুকিয়ে (সিকিউরিটির জন্য, আপনার ইচ্ছা হলে খোলাখুলি বলতে পারেন; মূল কথা হলো- বলতে হবে) উম্মাহকে তাওহীদ ও জিহাদের বিশুদ্ধ দাওয়াত দিতে থাকা।
- সাধ্যমত ক্বিতালের প্রস্তুতি নেওয়া।
- সাধ্যমত সামরিক কার্যক্রম চালানো।
আশা করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে গুম-খুন, দ্বীনী কথা বলার অধিকারহরণ তথা আমাদের বিরুদ্ধে ঘটমান বিভিন্ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের করণীয় কী, তা সুস্পষ্ট হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
Comment